বন্ড মার্কেট (Bond Market)
Last edited: December 4, 2024
মুদ্রাস্ফীতির সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের কষ্টার্জিত অর্থের মান ধরে রাখা দিন দিন বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থ জমা করে না রেখে বিনিয়োগ করে দেয়াই সবচেয়ে ভালো কাজ। এতে করে বিনিয়োগ থেকে রিটার্ন আসবে, যা মুদ্রাস্ফীতির কারণে মুদ্রার মানকে কমতে দিবে না। আর বিনিয়োগের জগতে সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয় বন্ডকে। বন্ডে বিনিয়োগ করলে বন্ডহোল্ডারদের বিশেষ একটি ঝুকিঁ নিতে হয় না। আবার নির্দিষ্ট হারে নিশ্চিত সুদ’ও পাওয়া যায়। এই কারণে এখন মানুষের বিভিন্ন ধরণের বন্ডে বিনিয়োগ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আজকে আমরা বন্ড মার্কেট ও বিভিন্ন ধরণের বন্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বন্ড মার্কেটকে অনেক সময় ঋণের বাজার, ক্রেডিট মার্কেট বা ফিক্সড ইনকাম মার্কেট হিসেবে অভিহিত করা হয়। যেই বাজারে ঋণের বিভিন্ন সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়, তাকেই বন্ড মার্কেট বলা হয়। নিজেদের ব্যবসায় স্থাপন ও সম্প্রসারণ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পাবলিক কোম্পানী বন্ড মার্কেটে বন্ড ইস্যু করে থাকে। আবার সরকার’ও দেশের বিভিন্ন বড় বড় প্রজেক্টের ফান্ডিং-এর জন্য বন্ড মার্কেটে বন্ড ইস্যু করে থাকে।
যিনি বা যারা বন্ড ইস্যু করে থাকেন, তাদেরকে বন্ডের ইস্যুকারী বলা হয়। আর যিনি বা যারা বন্ড ক্রয় করেন, তাদের বন্ডের ধারক বা বন্ডহোল্ডার বলা হয়। বন্ডের ট্রেডিং সাধারণত প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি মার্কেটে হয়ে থাকে। প্রাইমারি মার্কেট একদম নতুন বন্ড ইস্যু করা হয়। অর্থাৎ, এই মার্কেটে বন্ড ইস্যুকারী ও বন্ডহোল্ডারের মাঝে সরাসরি লেনদেন হয়ে থাকে।
অপরদিকে, সেকেন্ডারি মার্কেটে সাধারণত পুরনো বন্ডের ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। বিনিয়োগকারীরা সাধারণত ব্রোকারদের থেকে এই ধরণের বন্ড ক্রয় করে থাকেন, যারা বন্ডের ও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে একজন ইন্টারমিডিয়ারি হিসেবে কাজ করেন। সেকেন্ডারি মার্কেটে পেনশন ফান্ড, মিচুয়াল ফান্ড ও লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসির মতো প্যাকেজ আকারে’ও বন্ড বিক্রয় করা হয়ে থাকে।