চক্রবৃদ্ধি সুদ (Compound Interest)
Last edited: December 6, 2024
যে পদ্ধতি শুধু আসল টাকার উপর নয়, বরং সুদাসলের উপর সুদ ধার্য করা হয়, তাকে ইংরেজিতে কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট ও বাংলায় চক্রবৃদ্ধি সুদ বলা হয়। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এই উপায়ে বিনিয়োগের মূল্য চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। উদাহরণস্বরুপ, ৫% বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি সুদে আপনি যদি ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ১ম বছর পর আপনার বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১০৫০ টাকা। কিন্তু ২য় বছরে আপনার বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১১০২.৫০ টাকা। অর্থাৎ, ২য় বছর ১০০০ টাকা (আসল) নয়, বরং ১০৫০ টাকার (সুদাসল = সুদ+আসল) ওপর ধার্য করা হচ্ছে। এভাবে যতোদিন বেশি সময় যাবে, চক্রবৃদ্ধির শক্তি ততোই বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
মূলত এই কনসেপ্টের উপর নির্ভর করেই আধুনিক অর্থনীতির রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ঋণ ব্যবস্থা টিকে আছে। তাই অনেক সময়েই এই ব্যবস্থাকে ‘সুদের উপর সুদ’ বলে অভিহিত করা হয়। এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের মূল্যে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও, ঋণগ্রহীতাদের দিক থেকে এটি একটি অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ স্বল্প সময়ে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে অনেক বেশি সুদ প্রদান করতে হয়।
আমরা সাধারণত বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি দেখে থাকলেও, চক্রবৃদ্ধি অনেক ধরণের হয়ে থাকে, যেমন - মাসিক, দ্বি-মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক ইত্যাদি।