চাহিদা বা Demand
ক্রেতার যখন কোনো কিছু কিনার সামর্থ্য থাকে এবং সে তা কিনতে চায় তখনি তা চাহিদা বা demands। চাহিদার সাথে অর্থের সামর্থ্যের ব্যাপারটি অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত। যেমনঃ অনেকেই একটি আইফোন কিনতে চায় কিন্তু এই সামর্থ্য আছে কিছু মানুষের তাদের জন্যে এইটা চাহিদা। অন্যদের জন্যে তা ইচ্ছা বা desire।
অর্থাৎ চাওয়া তখনি পূর্ণতা পাবে যখন আপনি কিনার মত সামর্থ্য অর্জন করবেন। তার আগ পর্যন্ত তা ইচ্ছাই থেকে যাবে। ব্যাবসা বা লেনদেন হবে না।
এখন আমি যদি বলি এই পণ্যের অনেক চাহিদা তারমানে এই পণ্যটি কিনারমতো সামর্থ্য আছে অনেকের। মার্কেটাররা এই সামর্থ্য কে যাচাই করেন এবং সে অনুযায়ী তাদের টার্গেট কাস্টমার নির্ধারণ করেন। যেমনঃ অ্যাপল সবার কাছে তার আইফোন বিক্রি করতে চায় না সে কিছু সংখ্যক গ্রাহকদের কাছে পণ্যটি বিক্রি করতে চায় তারাই তার টার্গেট কাস্টমার। আবার MI ব্রান্ড তাদের ফোনটি অনেকেরই সাধ্যের মধ্যে বা চাহিদার মধ্যে নিয়ে আসতে চায় তারা সেভাবেই তাদের পণ্যটি তৈরি করে মূল্য নির্ধারণ করে।
মার্কেটিং এ Demand
মার্কেটিং এ Demand বা চাহিদাকে আবার ৮টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমনঃ
১. Negative Demand: কোন পণ্যের বা সেবার এমন চাহিদা যার প্রয়োজন হয়তবা আছে কিন্তু মানুষ হয়তবা তা চায় না যেমনঃ নিয়মিত দাঁতের ডাক্তার দেখানো।
২. Declining Demand: কোন পণ্য বা সেবার চাহিদা যখন ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে তাই Declining Demand। যেমনঃ Typewriter
৩. Irregular Demand: এমন পণ্যের চাহিদা যা সবসময় থাকে না যার প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট কোনো সময়ে তাই Irregular Demand। যেমনঃ ছাতা, কম্বল ইত্যাদি।
৪. Unwholesome Demand: এমন পণ্য যা ক্ষতিকর হবে যেনও গ্রাহকরা অধিক ভাবে প্রত্যাশা করে তাই Unwholesome Demand। যেমনঃ মাদক।
৫. Full Demand: কোনো পণ্যের চাহিদা যদি সবসময় একই থাকে তখন তা Full Demand। যেমনঃ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য।
৬. Non-existent Demand: কোনো পণ্য বা সেবা যা আছে কিন্তু মানুষ সে সম্পর্কে সচেতন না বা জানে না তাই Non-existent Demand। যেমনঃ নতুন কোন প্রযুক্তি, নতুন কোন শিক্ষামূলক কোর্স।
৭. Latent Demand: গ্রাহকদের চাহিদা রয়েছে কিন্তু বর্তমানের কোন পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না তাই Latent Demand। যেমনঃ normal phones vs smart phones.
৮. Overfull Demand: কোন পণ্যের চাহিদা যদি পণ্যের উৎপাদন থেকে বেশী থাকে তখন তা Overfull Demand।
অর্থাৎ একজন মার্কেটারের সবচেয়ে বড় কাজ ছচ্ছে কাস্টমারের প্রয়োজন কে বুঝতে পারা চাওয়াগুলোকে নির্ধারণ করা বা প্রভাবিত করা এবং তার পণ্যটিকে তার টার্গেট কাস্টমারের চাহিদার মধ্যে নিয়ে আসা।