স্থিতিস্থাপকতা বা Elasticity
স্থিতিস্থাপকতা বা Elasticity, সাধারণত কোন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে পণ্যটি চাহিদা বা যোগানের যে তারতম্য ঘটে তাই স্থিতিস্থাপকতা। অর্থনীতিতে, স্থিতিস্থাপকতার ধারণা সাধারণত চাহিদা এবং যোগানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি আরো পরিষ্কার বুঝা যেতে পারে, যদি কোনো পণ্যের মূল্য বেড়ে যায় এবং সেই কারণে পণ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, তবে সেই পণ্যটির চাহিদা স্থিতিস্থাপক বলে মনে করা হয় যেমনঃ ডিম, মাংস, বিলাসবহুল পণ্য ইত্যাদি। আবার, দাম বাড়লেও বা কমলেও যদি চাহিদায় তেমন কোনো পরিবর্তন না আসে, তবে সেই পণ্যটির চাহিদা অস্থিতিস্থাপক বলে গণ্য করা হয়। যেমনঃ লবণ।
স্থিতিস্থাপকতা ব্যবসা ও নীতিনির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি পণ্যের দাম, চাহিদা ও যোগানের পরিবর্তনের ফলে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া হয় তা বুঝতে সাহায্য করে এবং মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।