বীমা (Insurance)
Last edited: December 2, 2024
বীমা হলো অর্থের পারস্পরিক লেনদেনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট কিছু ঝুঁকির দায়ভার গ্রহণ। বীমা করার মাধ্যমে মূলত বীমাগ্রহিতা বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে নির্দিষ্ট কিছু ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে চুক্তিভুক্ত হন এবং বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রতি মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করার অঙ্গীকার করেন। যদি বীমাগ্রহিতা প্রতি মাসে নির্ধারিত অর্থ বা প্রিমিয়াম যথাযথভাবে প্রদান করেন, তবেই বীমাগ্রহিতা তার চুক্তি সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের উপর অর্পন করে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন।
যেমন- কোন একজন গাড়ির মালিক "ক" নামক বীমা কোম্পানির নিকট গাড়ির অগ্নিবীমা করলেন। এবং শর্তানুসারে, তিনি প্রতি মাসে বীমা বাবদ 5,000/- (পাঁচ হাজার) টাকা বীমা প্রতিষ্ঠান বরাবর জমা দিচ্ছেন । এখন যদি বীমাগ্রহিতার গাড়িতে আগুন লেগে গ্রহিতার 5,00,000/- (পাঁচ লক্ষ) টাকাi ক্ষতি সাধিত হয় তবে তখন এই পুরো ক্ষতিপূরণই বীমা কোম্পানি তাদের বীমা পলিসি আইনে দিতে বাধ্য। অথচ বীমা গ্রহিতা প্রতিমাসের কিস্তি বাবদ পরিশোধ করেছেন 12 মাসে মাত্র 60,000/- টাকা। অথচ তার বিপরীতে পেয়েছেন 5,00,000/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা। এখানেই মূলত বীমাগ্রাহকের লাভ। ক্ষয়ক্ষতির প্রায় পুরোটাই বীমার মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া যায়। যা পুষিয়ে নেওয়ার অন্য কোন কার্যকর উপায় নেই।