মুদ্রার পরিমাণ তত্ত্ব বা Quantity theory of money
মুদ্রার পরিমাণ তত্ত্ব বা Quantity theory of money বিষয়টি আসলে খুব সহজ, বাজারে অর্থের পরিমাণ বাড়লে মূল্যস্ফীতিও বাড়ে অর্থাৎ বাজারে অর্থের পরিমাণ যদি বাড়ে পণ্যের দামও বাড়ে। এইখানে অর্থের পরিমাণের সাথে মূল্যস্ফীতির সম্পর্ক একমুখী এবং ধনাত্মক। অর্থাৎ সব কিছু অপরিবর্তীত থেকে যদি নতুন টাকা ছাপান হয় তাহলে মূল্যস্ফীতি হবে।
১৫১৭ সালে পোলিশ গণিতবিদ নিকলাস কোপার্নিকাস সর্ব প্রথম এই ধারনা দেন। পরবর্তীতে জন লক, ডেভিড হিউম এর মত দার্শনিকরা এই ধারনা সমৃদ্ধ করেন।
Quantity theory of money:
MV = PY
যেখানে:
- M: মুদ্রার পরিমাণ
- V: মুদ্রার গতিবেগ (Velocity of Money)
- P: মূল্য স্তর বা মূল্যস্ফীতি
- Y: বাস্তব জিডিপি (Real GDP)
অর্থাৎ:
- যদি মুদ্রার পরিমাণ (M) বাড়ানো হয় এবং অন্যান্য ভেরিয়েবল (V, Y) স্থির থাকে, তাহলে মূল্য স্তর (P) বাড়বে। অর্থাৎ, অতিরিক্ত মুদ্রা সরবরাহ মূল্যস্ফীতির কারণ হতে পারে।
- মুদ্রার গতিবেগ Velocity of Money (V) হলো যে গতিতে মুদ্রা হাতবদল হয়। যদি মানুষ দ্রুত টাকা খরচ করে, তাহলে মুদ্রার গতিবেগ বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে।
- আর Y হলো বাস্তব জিডিপি বা Real GDP। মুদ্রার পরিমাণ M বা Velocity V যাই বাড়ুক না কেন তার প্রভাব পড়বে GDP তে।