যোগান (Supply)
যোগান হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাজারে কোনো পণ্য বা সেবার সরবরাহের পরিমাণকে বোঝায়। অর্থাৎ একটি পণ্য উৎপাদনকারী কি পরিমাণে উৎপাদন করতে সক্ষম বা ইচ্ছুক তাই ঐ পণ্যের যোগান। আরো সহজ করে বললে ধরুন বাজারে ১ হাজার টন আলু আছে তার অর্থ দাড়ায় এই পরিমাণ আলু উৎপাদকেরা উৎপাদন করতে সক্ষম বা ইচ্ছুক। এখন এই ১ হাজার টনই হচ্ছে বাজারে আলুর যোগান।
যোগানের সূত্র:
দামের সাথে যোগানের সম্পর্ক সমানুপাতিক অর্থাৎ দাম বাড়লে যোগান বাড়বে আবার দাম কমলে যোগান কমবে।
যোগানের পরিবর্তনের কারণসমূহ:
চাহিদা: কোন পণ্যের চাহিদা কম বেশির সাথে যোগানো কম বেশি হয়ে থাকে।
পণ্যের দাম: সাধারণত পণ্যের দাম বাড়লে উৎপাদকরা আরো বেশি পরিমাণে পণ্য উৎপাদন করতে উৎসাহিত হয়। কারণ, দাম বাড়লে মুনাফাও বাড়ে।
উৎপাদন খরচ: কাঁচামালের দাম, শ্রমিকের মজুরি, ভাড়া ইত্যাদি উৎপাদন খরচ বাড়লে উৎপাদকরা কম পরিমাণে পণ্য উৎপাদন করতে চায়।
প্রযুক্তি: নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ কমাতে পারলে উৎপাদকরা আরো বেশি পরিমাণে পণ্য উৎপাদন করতে পারে।
সরকারের নীতি: সরকারি নীতি যেমন কর, ভর্তুকি ইত্যাদি উৎপাদন খরচ এবং মুনাফাকে প্রভাবিত করে, ফলে যোগানের উপর প্রভাব ফেলে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, খরা ইত্যাদি উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং যোগান কমিয়ে দেয়।
অন্যান্য উৎপাদকদের সংখ্যা: কোনো বাজারে যদি অনেক উৎপাদক থাকে, তাহলে যোগান বেশি হবে। কিন্তু যদি উৎপাদকের সংখ্যা কম হয়, তাহলে যোগান কম হবে।