কর্পোরেট ট্যাক্সেশন এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা (Corporate Tax)

675
article image

ইন্ট্যারশনাল ট্যাক্স হলো বহুজাতিক কর্পোরেশনের উপর আরোপিত কর । এই কর আইনের একটি জটিল ক্ষেত্র যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে মুনাফা এবং ট্যাক্স নিয়ে কাজ করে। মূল দিকগুলির মধ্যে স্থানান্তর মূল্য, ট্যাক্স চুক্তি, এবং বৈদেশিক-উৎস অন্তর্ভুক্ত। আন্তর্জাতিক কর বিধির কাজ হল ডাবল ট্যাক্সেশন হতে না দেওয়া, সঠিক কর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং বহুজাতিক কোম্পানির কর পরিহার রোধ করা। বৈশ্বিক অর্থনীতি যত বেশি বড় হয়ে উঠছে, সমস্যাগুলো তত জটিলাকার রূপ ধারণ করছে। দেশগুলি বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলির দ্বারা ব্যবহৃত ডিজিটালাইজেশন, মুনাফা স্থানান্তর এবং ট্যাক্স পরিকল্পনার কৌশলগুলির সাথে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় একসাথে কাজ করছে।

Key Points

  • বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির মধ্যে লেনদেনের জন্য উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণে অসুবিধার সম্মুখীন হয়।
  • দেশগুলির মধ্যে ট্যাক্স চুক্তি বোঝা এবং প্রয়োগ করা এমএনসিগুলির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, যা তাদের ট্যাক্স দায় নির্ধারণে সমস্যা এবং ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের সাথে সম্ভাব্য বিরোধের সৃষ্টি করে
  • এমএনসিগুলি বিদেশ দেশে PE এর অস্তিত্ব সনাক্ত করতে জটিলতার সম্মুখীন হয়, যা সেই বিচারব্যবস্থায় ট্যাক্সের বাধ্যবাধকতা এবং সম্মতির দায়িত্বগুলিকে ট্রিগার করতে পারে
  • এমএনসিগুলিতে জটিল আন্তঃসীমান্ত লেনদেনে জড়িত থাকে যার জন্য বিভিন্ন ট্যাক্স বিষয়ক হিসাবে সঠিক অ্যাকাউন্টিং এবং আয় এবং ব্যয়ের বরাদ্দ প্রয়োজন।
  • ডিজিটাল অর্থনীতি করের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি করে, যার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল পরিষেবার জন্য ট্যাক্স নির্ধারণ এবং ডেটা স্থানীয়করণ এবং ডিজিটাল PE সম্পর্কিত সমস্যা।

কর্পোরেট ট্যাক্সেশন

কর্পোরেট ট্যাক্সেশন কোম্পানী বা কর্পোরেশন এর দ্বারা অর্জিত মুনাফার উপর কর দেওয়ার নিয়মকে বোঝায়। কর্পোরেট করের হার এবং নিয়মগুলি দেশ থেকে দেশে পরিবর্তিত হতে পারে এবং তারা একটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আন্তর্জাতিক ট্যাক্স সমস্যা দেখা দেয় যখন কোম্পানিগুলি আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে। কারণ তখন তাদের উপার্জন একাধিক দেশের করের অধীন হতে পারে। এর ফলে সঠিক পরিমাণ ট্যাক্স নির্ধারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। দ্বৈত কর বা ডাবল ট্যাক্সেশন এড়াতে এবং ন্যায্য কর প্রদান নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক কর চুক্তি এবং স্থানান্তর মূল্যের নিয়মগুলি ব্যবহার করা হয়।

আন্তর্জাতিক ট্যাক্সেশন এর চ্যালেঞ্জ

ডিজিটাল ইকোনমি:

ডিজিটাল ইকোনমি যেভাবে ব্যবসা পরিচালনা হয়ে আসতো তা পরিবর্তন করে ফেলেছে। এখন কোম্পানিগুলিকে অনেক দেশ শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই বিশ্বব্যাপী পরিষেবা প্রদান এবং পণ্য বিক্রি করার অনুমতি দেয়। আন্তর্জাতিক কর্পোরেট ট্যাক্সেশনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল অর্থনীতির দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ হল কোম্পানিগুলিকে তাদের ডিজিটাল বিক্রয়ের উপর কোথায় এবং কাকে কর দিতে হবে তা ঠিকমতো উল্লেখ করা হয় নি।

বিশ্বব্যাপী পরিচালিত ব্যবসা এবং অনেক দেশে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই অনলাইনে পরিষেবা প্রদান এবং পণ্য বিক্রি করার সাথে ডিজাইন করা বর্তমান কর নিয়মগুলি অপর্যাপ্ত। ফলস্বরূপ, ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল লেনদেনের জন্য উপযুক্ত করের মান সনাক্ত করতে এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলি তাদের ডিজিটাল বিক্রয়ের উপর তাদের ন্যায্য অংশের করের প্রদান নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।

এটি ডিজিটাল কোম্পানিগুলির দ্বারা উৎপন্ন কর রাজস্ব গ্রহণ করতে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে ট্যাক্স এড়ানো রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক ট্যাক্স বিধিগুলি কীভাবে সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে বিতর্ক এবং আলোচনার দিক পরিচালিত করেছে।

ট্রান্সফার প্রাইসিং কমপ্লায়েন্স:

এটি আন্তর্জাতিক ট্যাক্সেশনের ক্ষেত্রে বহুজাতিক কর্পোরেশনের (MNCs) মুখোমুখি হওয়া একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। স্থানান্তর মূল্য বিভিন্ন স্থানের একই কর্পোরেট গ্রুপের মধ্যে লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্য, পরিষেবা বা সম্পদের মূল্য নির্ধারণকে বোঝায়। স্থানান্তর মূল্য এর উদ্দেশ্য হলো এই ধরনের লেনদেনগুলিতে পণ্যের উপর উভয় পক্ষে একই দাম আরোপ করা হবে। উদাহরণ স্বরূপ, একটি MNC কানাডাতে-তে উৎপাদন কার্যক্রম এবং বাংলাদেশে বিক্রয় ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ।

MNC টি স্থানীয় গ্রাহকদের বিতরণের জন্য কানাডা থেকে বাংলাদেশে তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে। এই লেনদেনের জন্য স্থানান্তর মূল্য নির্ধারণ করতে, MNC-কে উভয় দেশের উৎপাদন খরচ, বাজারের অবস্থা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে।

কান্ট্রি-বাই-কান্ট্রি রিপোর্টিং (সিবিসিআর):

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) দ্বারা প্রবর্তিত বেস ইরোসন অ্যান্ড প্রফিট শিফটিং (বিইপিএস) প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কান্ট্রি-বাই-কান্ট্রি রিপোর্টিং (সিবিসিআর)। এটি এমন একটি ব্যবস্থা যার জন্য বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলিকে (MNCs) প্রতিটি দেশের যেখানে তাদের উপস্থিতি রয়েছে তার জন্য বিস্তারিত আর্থিক এবং ট্যাক্স তথ্য প্রকাশ করতে হবে।

এই রিপোর্টিং ট্যাক্স কর্তৃপক্ষকে MNC-এর বিশ্বব্যাপী ক্রিয়াকলাপ, লাভ, প্রদেয় কর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ডেটার একটি বিস্তীর্ণ ধারণা প্রদান করে। ধরুন, একটি বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানীর কথা বিবেচনা করা যাক যেটি বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম রয়েছে। সিবিসিআর -এর মাধ্যমে, এই কোম্পানিকে প্রতিটি দেশে তার রাজস্ব, মুনাফা, প্রদেয় কর, কর্মচারীর সংখ্যা এবং অন্যান্য মূল আর্থিক সূচক প্রকাশ করতে হবে যেখানে এটি ব্যবসা পরিচালনা করে।

এটি করার মাধ্যমে, কর কর্তৃপক্ষ মুনাফা এবং করের বরাদ্দ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে। কিন্তু এই নিয়মটি পালন করার জন্য কোম্পানি কে প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা হিসাব রাখতে হয় যা তাদের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়।

জটিল আন্তঃসীমান্ত লেনদেন:

আন্তসীমানা লেনদেন বহুজাতিক কর্পোরেশনের (MNCs) জন্য তাদের ট্যাক্স রিপোর্টিং এবং সম্মতির প্রচেষ্টায় প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। যখন MNC গুলো আন্তঃসীমান্ত লেনদেনে জড়িত হয়, তখন তাদের অবশ্যই জড়িত বিভিন্ন বিচারব্যবস্থার মধ্যে আয় এবং ব্যয়ের জন্য সঠিকভাবে হিসাব এবং বরাদ্দ করতে হয়।

বিভিন্ন ট্যাক্স আইন, অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড এবং দেশ জুড়ে মূল্য স্থানান্তর নিয়মগুলি লাভ এবং খরচের উপযুক্ত বরাদ্দ নির্ধারণে জটিলতার কারণ হতে পারে। MNCs তাদের স্থানান্তর মূল্যের পদ্ধতিগুলিকে সমর্থন করার জন্য সম্পর্কহীন পক্ষগুলির সাথে তুলনামূলক লেনদেনগুলি সনাক্ত করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয় এবং এই লেনদেনের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা জটিল হয়ে থাকে।

ভুল বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বরাদ্দ স্থানান্তর মূল্য সমন্বয়, ডাবল ট্যাক্সেশন, বা ভিত্তি ক্ষয় সমস্যার কারণ হতে পারে, যার ফলে বিভিন্ন দেশে কর কর্তৃপক্ষের সাথে সম্ভাব্য ট্যাক্স বিরোধ দেখা দিতে পারে। এই জটিলতাগুলি নেভিগেট করার জন্য, কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই ব্যাপক ডকুমেন্টেশন বজায় রাখতে হবে, কার্যকর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করতে হবে।

সিএফসিঃ

কল্পনা করুন একটি নিয়ম রয়েছে যা একটি দেশকে অন্যান্য দেশের বড় কোম্পানিগুলি কীভাবে সেখানে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এই নিয়মগুলি বহুজাতিক কোম্পানিগুলিকে (MNCs) অনুসরণ করতে হবে৷ এই নিয়মগুলির সাহায্যে, একটি দেশ নির্দিষ্ট কৌশল ব্যবহার করে MNC-কে তাদের দেশে উচ্চ কর প্রদান এড়াতে বাধা দিতে পারে।

CFC নিয়মের অধীনে, যদি একটি কোম্পানি অন্য দেশে উপার্জন করা অর্থ তার নিজ দেশে ফিরিয়ে না আনে, তবুও তাকে সেখানে আয়ের উপর কর দিতে হতে পারে। এটি কোম্পানিগুলিকে তাদের দেশে ট্যাক্স এড়াতে কম ট্যাক্সের দেশে তাদের মুনাফা স্থানান্তর করতে বাধা দেয়। এই নিয়মগুলি প্রায়শই ট্যাক্স কর্তৃপক্ষকে কিছু বিদেশী আয় অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি দেয় যা সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে অর্জিত হয়, এমনকি যদি অর্থ স্বদেশে শারীরিকভাবে ফিরিয়ে না আনা হয়। কল্পনা করুন একটি বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী।

কানাডা সহ বেশ কয়েকটি দেশে তাদের কার্যক্রম রয়েছে, যেখানে করের হার অনেক কম। CFC নিয়ম না থাকলে, কোম্পানি কানাডাতে একটি সাবসিডিয়ারি স্থাপন করতে পারে, তাদের লাভের অনেক অংশ সেখানে স্থানান্তর করতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে কম কর দিতে পারে। কিন্তু CFC নিয়ম চালু আছে, এমনকি যদি কোম্পানি কানাডা থেকে বাংলাদেশে টাকা ফেরত না আনে, তবুও তাদের দেশ কানাডাতে লাভের উপর বাংলাদেশে কর দিতে হতে পারে। এটি নিশ্চিত করে যে - কোম্পানিগুলি তাদের অর্থ প্রদান করে করের ন্যায্য ভাগ যেখানে তারা আসলে ব্যবসা করে।

পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, কপিরাইট এবং ট্রেড সিক্রেট সহ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি (IP) হস্তান্তরের ট্যাক্সেশন:

আন্তর্জাতিক ট্যাক্সেশনের একটি জটিল ক্ষেত্র যা সম্ভাব্য বিরোধ এবং চ্যালেঞ্জের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যখন বহুজাতিক কর্পোরেশন (MNCs) তাদের কর্পোরেট গ্রুপের মধ্যে বা তৃতীয় পক্ষের মধ্যে আইপি অধিকার স্থানান্তর করে, তখন উপযুক্ত মূল্যায়ন এবং আয় নির্ধারণ করা জটিল হতে পারে। আইপির মূল্য সঠিকভাবে মূল্যায়ন করাই চ্যালেঞ্জ, কারণ এতে অনন্য বৈশিষ্ট্য জড়িত থাকে। বিভিন্ন দেশে কর কর্তৃপক্ষের আইপি মূল্যায়নের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পন্থা থাকতে পারে।

আবার একাধিকবার আইপি ব্যবহার বা লাইসেন্সিং থেকে আয় বরাদ্দ করার জন্য জড়িত প্রতিটি সত্তার অবদান এবং তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অবস্থান সম্পর্কে যত্নশীল বিবেচনার প্রয়োজন। ভুল মূল্যায়ন এবং আয়ের বরাদ্দ মুনাফা স্থানান্তর এর ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়াতে পারে। এই জটিলতাগুলি মোকাবেলা করার জন্য, MNCগুলিকে অবশ্যই শক্তিশালী অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ পরিচালনা করতে হবে, তাদের স্থানান্তর মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিগুলি তালিকা করতে হবে এবং ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সর্বশেষ নির্দেশিকাগুলি বিবেচনা করতে হবে।

কর কর্তৃপক্ষের সাথে পেশাগত দক্ষতা এবং সক্রিয় সম্পৃক্ততা MNC কে আইপি স্থানান্তরের জটিলতাগুলি, বিরোধ এবং সুনামগত ঝুঁকি এড়িয়ে আন্তর্জাতিক ট্যাক্স প্রবিধানগুলির সাথে সম্মতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

ট্যাক্স রিপোর্টিং এবং সম্মতি :

একাধিক বিচারব্যবস্থার ট্যাক্স রিপোর্টিং মেনে চলা বহুজাতিক কর্পোরেশনের (MNCs) জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু MNCগুলি বিভিন্ন দেশে কাজ করে, তাদের অবশ্যই প্রতিটি স্থানের ট্যাক্স আইন, প্রবিধান এবং রিপোর্টিং সময়সীমার একটি জটিল ওয়েব নেভিগেট করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, দশটি ভিন্ন দেশে সহায়ক সংস্থাগুলির সাথে একটি গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি।

প্রতিটি দেশের নিজস্ব ট্যাক্স ফর্ম, ফাইল করার সময়সীমা এবং রিপোর্টিং ফর্ম্যাট রয়েছে, যা MNC-কে অবশ্যই সতর্কতার সাথে মেনে চলতে হয়। প্রয়োজনীয় আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করা, সঠিক ট্যাক্স রিটার্ন প্রস্তুত করা এবং প্রতিটি স্থানের জন্য সম্মতির বাধ্যবাধকতা পূরণ করা সময়সাপেক্ষ এবং জটিল হয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন দেশে ট্যাক্স আইনের ঘন ঘন পরিবর্তনগুলি MNCগুলির জন্য ট্যাক্স রিপোর্টিংয়ের জটিলতা বাড়ায়।

ট্যাক্স রিপোর্টিং প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে ব্যর্থ হলে MNC-এর জন্য জরিমানা, সুদ, এবং সুনামগত ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য, MNCs প্রায়ই ট্যাক্স রিপোর্টিং প্রক্রিয়া সহজতর করতে এবং ট্যাক্স রিটার্নের সঠিকতা এবং সময়মত জমা দেওয়ার জন্য ট্যাক্স পেশাদার এবং ট্যাক্স প্রযুক্তি সমাধানের উপর নির্ভর করে। সক্রিয় ট্যাক্স পরিকল্পনা এবং সম্মতি কৌশলগুলি MNCs কে দক্ষতার সাথে তাদের ট্যাক্স রিপোর্টিং বোঝা পরিচালনা করতে সাহায্য করে, তাদের মূল ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ এবং কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলিতে ফোকাস করতে দেয়।

উপসংহার

বহুজাতিক কর্পোরেশন (MNCs) আন্তর্জাতিক ট্যাক্সেশনের ক্ষেত্রে অসংখ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে থাকে। জটিল স্থানান্তর মূল্য নির্ধারণ করা থেকে ট্যাক্স চুক্তির ব্যাখ্যা করা এবং স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি পরিচালনা করা, MNCs গুলিকে অবশ্যই ট্যাক্স নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তার একটি পরিবর্তনশীল সিস্টেমের সাথে লড়াই করতে হবে। একাধিক দেশে ট্যাক্স রিপোর্টিংয়ের বোঝা এবং ডবল ট্যাক্সেশনের সম্ভাবনা তাদের ট্যাক্স প্রদানে আরও জটিলতা যোগ করে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, MNCsকে অবশ্যই তাদের সুনাম বজায় রাখতে এবং কর কর্তৃপক্ষের সাথে বিরোধ এড়াতে ট্যাক্স সম্মতি এবং দায়িত্বশীল কর পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে 
 
 
 
 
 


  • Auditing Principles by Khawaja Ahmed
  • https://www.cfr.org/backgrounder/corporate-taxes-globalized-world
  • https://www.cfr.org/backgrounder/corporate-taxes-globalized-world
  • https://www.oecd.org/g20/topics/international-taxation/
  • https://cpd.org.bd/resources/2023/04/Presentation-on-tax-transparency-in-the-corporate-sector.pdf
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)

ইম্প্যাথি ম্যাপিং মূলত একধরনের ট্যুলস। এটি গ্রাহকদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভব, উপলব্ধি সহ নানাবিধ তথ্য, উপাত্ত এর সমন্বয়ে গঠিত সুশৃঙ্খল এবং সুবিন্যস্ত একটি চার্ট। উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পর্কিত তথ্য উপাত্তের খুব চমৎকার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন পাওয়া যায় এই ইম্প্যাথি ম্যাপিং এর মাধ্যমে। যা মূলত আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে।

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
Canvas & Methods
সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
Business Models
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
Business Models
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
Marketing
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
Business
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
Investment
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
Marketing
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)
E-Commerce
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)