What is CATWOE Analysis: Definition with Examples

301
article image

CATWOE অ্যানালিসিস হচ্ছে যেকোনো সমস্যা বা সিচুয়েশনকে অ্যানালাইজ করার একটি রোবাস্ট এবং সাবজেক্টিভ মেথড। এই স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করে যেকোনো সমস্যার সাথে জড়িত ৬টি উপাদান বিবেচনা করা হয়, সেগুলো হলো Customers/Clients, Actors, Transformation Process, Worldview, Owners এবং Environmental Restraints।

Key Points

  • CATWOE - এর ফুল ফর্ম হচ্ছে Customers/Clients, Actors, Transformation Process, Worldview, Owners এবং Environmental Restraints।
  • CATWOE অ্যানালিসিস ডিসিশান মেকারদের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে বের হয়ে যেকোনো সমস্যাকে বৃহৎ পরিসরে দেখতে উদ্বুদ্ধ করে।
  • উপর লেভেল থেকে নেয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত মূলত যাদের দ্বারা বাস্তবায়িত হয়, তারাই হচ্ছেন অ্যাক্টরস।
  • বড় পরিসরে চিন্তা করা এবং পজিটিভ ইম্প্যাক্ট নিয়ে আসার মাধ্যমে করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলি’ও পালন করা যায়।

CATWOE Analysis

যেকোনো ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সমস্যার মূল কারণ খুজে বের করা। একবার মূল কারণ খুজে বের করার পর সর্বোচ্চ যথার্থ সমাধান খুজে বের করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। তবে সমাধানটি অবশ্যই এমন হতে হবে যাতে করে তা থেকে নতুন কোনো সমস্যার উদ্ভব না হয়। একটি রোবাস্ট সল্যুশন পেতে চাইলে তাই অবশ্যই ব্যবসায়ের সাথে জড়িত সকল ফ্যাক্টর এবং স্টেকহোল্ডারদের কথা বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু ব্যবসায়ের সাথে তো অনেক স্টেকহোল্ডার জড়িত, সবার কথা বিবেচনা করা কি আদৌ সম্ভব?

জি, CATWOE অ্যানালিসিসের মাধ্যমে এই কাজটি খুব সহজেই করা সম্ভব। যেকোনো সমস্যার সমাধান খুজে বের করার জন্য যে স্ট্র্যাটেজিগুলো রয়েছে, তার মাঝে CATWOE অ্যানালিসিস বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিত। যেকোনো ম্যানেজারের জন্যই তাই CATWOE অ্যানালিসিস সম্পর্কে ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি।

CATWOE অ্যানালিসিস কী?

CATWOE অ্যানালিসিস হচ্ছে একটি একটি স্ট্র্যাটেজিকাল সমস্যা সমাধানের উপায় যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমস্যার মূল কারন (Root Cause) খুজে বের করার চেষ্টা করা হয় এবং উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য স্ট্র্যাটেজি বা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়। CATWOE অ্যানালিসিস ডিসিশান মেকারদের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে বের হয়ে যেকোনো সমস্যাকে বৃহৎ পরিসরে দেখতে উদ্বুদ্ধ করে। এতে করে প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সকল ফ্যাক্টর এবং স্টেকহোল্ডারদের কথা মাথায় রেখে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা যায়।

অনেক সময় দেখা যায় যে একটি সমস্যা সমাধানের জন্য যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেই সিদ্ধান্ত থেকে আরো নতুন অনেক সমস্যা তৈরি হয়। এর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে পারিপার্শ্বিক সকল ফ্যাক্টর এবং স্টেকহোল্ডারদেরে কথা না ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা। CATWOE অ্যানালিসিস দিয়ে যেহেতু পারিপার্শ্বিক সকল বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে আসা হয়, তাই এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়, যার থেকে নতুন কোনো সমস্যা তৈরি হবে না এবং সকল স্টেকহোল্ডার সন্তুষ্ট থাকবেন।

CATWOE - এর ফুল ফর্ম

CATWOE শব্দটির প্রতিটি সিলেবল একেকটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দ নিয়ে গঠিত। এগুলো ফুল ফর্ম হচ্ছে -

  • C - Customers / Clients
  • A - Actors
  • T - Transformation Process
  • W - Worldview
  • O - Owners
  • E - Environmental Constraints

CATWOE অ্যানালিসিস কিভাবে করতে হয়?

CATWOE অ্যানালিসিসের মাধ্যমে এমন অনেক ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান খুজে বের করা যায় যেখানে স্টেকহোল্ডারদের মাঝে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট দেখা দেয়। অর্থাৎ, কোনো স্টেকহোল্ডারের জন্য হয়তো সেটি ভালো, তবে অন্যদের জন্য তা মন্দ। তাই সকল স্টেকহোল্ডার এবং ফ্যাক্টর আইডেন্টিফাই করার মাধ্যমে একটি সমস্যার সমাধানের জন্য একটি এথিকাল ফ্রেইমওয়ার্ক তৈরিতে CATWOE অ্যানালিসিস সাহায্য করে। নিচে CATWOE অ্যানালিসিসের প্রতিটি উপাদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

C - Customers / Clients

কাস্টমার বা ক্লায়েন্ট হলো মূলত তারা যারা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৈরি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সরাসরি ভোগ বা ব্যবহার করেন। CATWOE অ্যানালিসিসের সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে -

● প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার বা ক্লায়েন্টদের আইডেন্টিফাই করা।

● প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত তাদের কিভাবে প্রভাবিত করে তা বোঝার চেষ্টা করে এবং

● নতুন সিদ্ধান্ত থেকে কাস্টমাররা কোনো ধরণের সমস্যা ফেইস করতে পারেন কি না তা যাচাই করা।

A - Actors

Actors হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের কর্মীগণ। অর্থাৎ, উপর লেভেল থেকে নেয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত মূলত যাদের দ্বারা বাস্তবায়িত হয়, তারাই হচ্ছেন অ্যাক্টরস। CATWOE অ্যানালিসিসের দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সক্ষমতা এবং মান যাচাই করা। এতে করে আগে থেকেই বোঝা যায় যে উক্ত সমাধান অ্যাপ্লাই করার জন্য প্রয়োজনীয় স্কিলসেট প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের আছে কি না।

T - Transformation Process

ট্রান্সফরমেশন প্রসেস হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে প্রতিষ্ঠানে কিছু ইনপুট দেয়া হয় এবং নির্দিষ্ট কিছু প্রসিডিউর ফলো করার মাধ্যমে আউটপুট বা এন্ড-প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়। কাঁচামাল থেকে সাবান, চিনি বা অন্য যেকোনো ধরণের পণ্য তৈরি করা হচ্ছে ট্রান্সফরমেশন প্রসেসের উদাহরণ। CATWOE অ্যানালিসিসের এই স্টেজে প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সফরমেশন প্রসেসের যাচাই বাছাই করা হয়। এতে করে সম্ভাব্য সমাধান অ্যাপ্লাই করতে চাইলে ট্রান্সফরমেশন প্রসেস পরিবর্তন করতে হবে কি না বা নতুন বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে কি না তা আগে থেকেই জানা যায়।

W - Worldview

একটি প্রতিষ্ঠান যখন নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করে, তখন তার ইমপ্যাক্ট শুধু অভ্যন্তরীণ কর্মী এবং কাস্টমারদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং সোসাইটি, দেশ, পৃথিবী সবকিছুই উক্ত প্রতিষ্ঠান দ্বারা এফেক্টেড হয়। তাই যেকোনো নতুন প্রসেস অ্যাপ্লাই করার আগে ভালোভাবে বুঝে নিতে হয় যে তা দ্বারা সোসাইটি, দেশ এবং পৃথিবী কিভাবে এফেক্টেড হচ্ছে। বড় পরিসরে চিন্তা করা এবং পজিটিভ ইম্প্যাক্ট নিয়ে আসার মাধ্যমে করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলি’ও পালন করা যায়।

O - Owners

এই স্টেজে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার বা প্রকৃত মালিকদের স্বার্থ বিবেচনা করা হয়। যেহেতু যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে মালিকদের যথাযথ প্রফিট জেনারেট করে দেয়া, তাই তাদের প্রিফারেন্সকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হয় যাতে করে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের স্বার্থ হুমকির মুখে পরতে পারে।

E - Environmental Restraints

Worldview দিয়ে এমন সব ফ্যাক্টর বিবেচনা করা হয় যা প্রতিষ্ঠান দ্বারা এফেক্টেড হতে পারে। আর Environmental Restraints দ্বারা এমন সব বাহ্যিক ফ্যাক্টর বিবেচনা করা হয় যা প্রতিষ্ঠানকে এফেক্ট করতে পারে। এমন কিছু ফ্যাক্টর হচ্ছে - সরকারি নিয়মনীতি, মুদ্রানীতি, ব্যবসায় আঈন, পরিবেশ আঈন, সুদের হার ইত্যাদি। যেকোনো ডিসিশান বা সল্যুশন এপ্লাই করতে চাইলে বাহ্যিক ফ্যাক্টরগুলোর অনুকুলতা বিবেচনায় আনতে হয়। উদাহরণস্বরুপ, ব্যবসায় যদি অতিরিক্ত একটি মেশিন ক্রয় করার প্রয়োজন হয় তাহলে ব্যাংক বা অন্য কোনো মাধ্যম হতে ঋণ নিতে হতে পারে। তবে সুদের হার যদি অনেক বেশি হয় তাহলে সেই ঋণ নেয়া সম্ভব না’ও হতে পারে। এমতাবস্থায় পুরো সল্যুশনটার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা বিবেচনা করতে হতে পারে।

CATWOE অ্যানালিসিসের উদাহরণ

থিওরিটিকাল কথাবার্তা পড়ে পুরো স্ট্র্যাটেজিটাই অনেক ঝাপসা মনে হতে পারে। তাই এর একটি বাস্তব প্রয়োগ জেনে নেয়া যাক। ধরে নিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সেমিস্টার ফি অনলাইনে বা এমএফএস সার্ভিসের মাধ্যমে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। গতানুগতিক নিয়মে সেমিস্টার ফি জমা দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হয় এবং টাকা জমার রশিদ ফটোকপি করে ডিপার্টমেন্টে এবং হল-এ গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হয়, যা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যপার।

অন্যদিকে, অনলাইনে সেমিস্টার ফি জমা দেয়ার সুযোগ তৈরি করা গেলে পুরো ব্যাপারটিই স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের সময় বেঁচে যাবে এবং কাগজপত্রজনিত ঝামেলা পোহাতে হবে না। তাহলে চলুন এই সিদ্ধান্ত বা সিস্টেমটার CATWOE অ্যানালিসিস করা যাক।

Customers বা Clients

যেহেতু অনলাইন এডমিশন সিস্টেম মূলত শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করবেন, তাই এই সিস্টেমের কাস্টমার বা ক্লায়েন্ট হচ্ছেন তারাই। এইক্ষেত্রে সিস্টেম তৈরি করার আগে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা সম্পর্কে জেনে নেয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক অনুযায়ী সিস্টেমে নতুন নতুন ফিচার যোগ করা যেতে পারে।

Actors

এইক্ষেত্রে Actors হচ্ছেন মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস বিভাগের কর্মকর্তাগণ। গতানুগতিক ব্যবস্থা বদলে ফেলার সাথে সাথে এটাও যাচাই করা উচিত যে কর্মচারীদের অনলাইন সিস্টেম সম্পর্কে জ্ঞান আছে কি না এবং তারা কি সিস্টেম মেইনটেইন করতে পারবেন কি না। যদি যথার্থ স্কিল না থাকে, তাহলে তাদের জন্য ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি করার জন্য স্কিলফুল ডেভেলপার হায়ার করা যেতে পারে।

Transformation Process

শিক্ষার্থীরা নিজেদের এমএফএস বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ক্যাশ-ইন করে, তারপর পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন। পেমেন্ট সম্পাদনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের জন্য জমা রশিদ জেনারেট করা হবে এবং তা ডাউনলোডের সুযোগ দেয়া হবে। এই পুরো ট্রান্সফরমেশন প্রসেসটা আসলে কতোটা ফিজিবল এবং দীর্ঘমেয়াদে সাস্টেইনেবল কি না তা যাচাই করতে হবে।

Worldview

শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইন-বেইসড করে ফেলার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বেঞ্চমার্ক তৈরি করতে পারবে। এতে করে অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ এই প্রক্রিয়া এপ্লাই করতে আগ্রহী হবে।

Owners

ভর্তি প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করে ফেলার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারবে। এতে করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পর্কে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে।

Environmental Restraints

তবে এই সিস্টেম পুরোপুরি এপ্লাই করার পথে কিছু বাধা থাকতে পারে। যেমন - শিক্ষার্থীদের এমএফএস বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা, অতিরিক্ত চাপে সার্ভার ডাউন থাকা, শিক্ষার্থীদের লেনদেনের নিরাপত্তাজনিত ইস্যু ইত্যাদি। সিস্টেম তৈরি করে তা লঞ্চ করার আগে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এসব ফ্যাক্টর বিবেচনায় নিতে হবে।

CATWOE অ্যানালিসিস কোথায় ব্যবহৃত হয়?

যেকোনো স্ট্র্যাটেজির সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহারের জন্য আগেই জেনে নিতে হবে যে কোন কোন প্রেক্ষাপটে তা ব্যবহার করা যাবে। একটি প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো ক্ষেত্রে এবং প্রেক্ষাপটে CATWOE অ্যানালিসিস ফলো করা সম্ভব। যেমন -

● যেকোনো সমস্যার মূল কারণ (Root Cause) খুজে বের করা।

● স্টেকহোল্ডারদের মাঝে কোনো কনফ্লিক্ট দেখা দিলে তার সমাধান করা।

● নতুন বিজনেস মডেল তৈরি করা।

● বিজনেস প্রসেসগুলোকে আরো অপটিমাইজ করার উদ্দেশ্য সম্ভাব্য অপশনগুলোকে যাচাই-বাছাই করা ইত্যাদি।

CATWOE অ্যানালিসিসের সুবিধা

CATWOE অ্যানালিসিসের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।

১। একটি প্রবলেম বা সিচুয়েশনের সাথে জড়িত সবগুলো ফ্যাক্টর বিবেচনা করতে সাহায্য করে।

২। অ্যানালিসিসের মাধ্যমে সকল স্টেকহোল্ডারের কথা বিবেচনা করে।

৩। সমস্যার মূল কারণ খুজে বের করতে এবং এপ্রোপ্রিয়েট সমাধান এপ্লাই করতে সাহায্য করে।

৪। প্রতিষ্ঠানের মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করে।

৫। সমাধানের সাথে জড়িত ঝুঁকি পরিমাপ করতে সাহায্য করে।

৬। প্রস্তাবিত সমাধানের ভায়াবিলিটি বা সম্ভাব্যতা যাচাই করতে সাহায্য করে।

CATWOE অ্যানালিসিসের অসুবিধা

সুবিধার পাশাপাশি CATWOE অ্যানালিসিসের বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।

১। বেশ সময়সাপেক্ষ।

২। অনেক ধরণের ফ্যাক্টর বিবেচনা করা হয় বলে সমাধান অনেক জটিল হয়ে উঠতে পারে।

৩। অ্যানালিসিসের সফলতা, অ্যানালিসিসের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচক্ষনতার উপর নির্ভর করে।

৪। মূলত কোয়ালিটেটিভ এবং সাবজেক্টিভ ডেটার উপর এই অ্যানলিসিস নির্ভরশীল। কোয়ান্টিটিভ ডেটা এই অ্যানালিসিসে বিবেচনা করা হয় না।

৫। এই অ্যানালিসিস মূলত বর্তমানের উপর বেশি ফোকাস করে, প্রেডিক্ট করার ক্ষেত্রে বিশেষ কাজে আসে না।

৬। মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় বায়াসড হয়ে যেতে পারে।

পরিসংহার

যেকোনো সিচুয়েশন অ্যানালাইজ করার জন্য CATWOE একটি ভালো স্ট্র্যাটেজি হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে এটি মূলত একটি সাবজেক্টিভ এপ্রোচ, সমস্যা যদি সংখ্যাকেন্দ্রিক হয়, তাহলে এটি বিশেষ কাজে আসবে না। তবে যেকোনো সাবজেক্টিভ জাজমেন্টের ক্ষেত্রে CATWOE অ্যানালিসিস বেশ কার্যকর। একটু সময় নিয়ে করতে পারলে এই স্ট্র্যাটেজি থেকে বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

  • https://www.improvementservice.org.uk/business-analysis-framework/consider-perspectives/catwoe
  • https://slidemodel.com/catwoe-analysis-problem-solving-guide/
  • https://www.toolshero.com/problem-solving/catwoe-analysis/
  • https://www.inveskills.com/business-analysis/catwoe-analysis/
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)

ইম্প্যাথি ম্যাপিং মূলত একধরনের ট্যুলস। এটি গ্রাহকদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভব, উপলব্ধি সহ নানাবিধ তথ্য, উপাত্ত এর সমন্বয়ে গঠিত সুশৃঙ্খল এবং সুবিন্যস্ত একটি চার্ট। উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পর্কিত তথ্য উপাত্তের খুব চমৎকার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন পাওয়া যায় এই ইম্প্যাথি ম্যাপিং এর মাধ্যমে। যা মূলত আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে।

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
Canvas & Methods
সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
Business Models
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
Business Models
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
Marketing
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
Business
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
Investment
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
Marketing
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)
E-Commerce
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)