‘SWOT’ Analysis

1122
article image

‘SWOT’ Analysis বা বিশ্লেষণ মূলত একটি পরিকল্পনা করার প্রক্রিয়া যা একটি অর্গানাইজেশনের চ্যালেঞ্জ গুলো কাটিয়ে উঠে নতুন কোন কোন দিকগুলোকে অনুসরণ করতে পারে তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। ‘SWOT’ এই এক্রোনিমটি ভাঙলে যথাক্রমে Strengths, Weaknesses, Opportunities & Threats অর্থাৎ শক্তিমত্তা, দুর্বলতা, সুযোগ এবং হুমকিসমূহ এই বিষয়গুলো বের হয়ে আসে। সুতরাং, একটি ‘SWOT’ বিশ্লেষণ কোন অর্গানাইজেশনের জন্য এই চারটি দিক মূল্যায়ন করার চমৎকার একটি কৌশল। খুব সহজভাবে বলতে গেলে, “নিজের সম্পর্কে ভালো দিক গুলো কি তা জানা, কি কি দুর্বল দিক নিজের রয়েছে তা খুঁজে বের করা, সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে আশেপাশের সুযোগসুবিধা গুলোর দিকে খেয়াল রাখা এবং আগত বিপদসমূহ কৌশলের সাথে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকা” এইযে বিষয়গুলোই একসাথে ‘SWOT’ Analysis।

Key Points

  • ‘SWOT’ অ্যানালাইসিস একদম গভীরের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা, সুযোগ এবং হুমকিসমূহ সনাক্ত করে এর তথ্য-ভিত্তিক বিশ্লেষণ, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং নতুন ধারণার দিকে পরিচালিত করে।
  • ‘SWOT’ অ্যানালাইসিস প্রথমে ব্যাবসায়িক কাজে প্রয়োগ করা হত। এখন এটি সরকারি, বেসরকারি, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারি এমনকি ব্যাক্তিগত জীবনেও অনেকেই প্রয়োগ করে থাকে।
  • একটি ‘SWOT’ অ্যানালাইসিস হল একটি কোম্পানির শক্তিমত্তা, দুর্বলতা, সুযোগ এবং হুমকিসমূহ এই চারটি বিষয়ের একটি সংকলন।
  • ‘SWOT’ অ্যানালাইসিস এ দুর্বল এবং অস্বচ্ছ তথ্যের পরিবর্তে বাস্তমসম্মত ও সঠিক তথ্য প্রদান করলে সর্বোত্তম কাজ করতে পারে।

‘SWOT’ Analysis

SWOT (Strengths, Weaknesses, Opportunities, Threats) অ্যানালাইসিস হল এক ধরনের ফ্রেমওয়ার্ক যা কোন কোম্পানির প্রতিযোগিতা মূলক অবস্থানকে নির্ণয় করতে এবং কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরী করতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ এই বিশ্লেষণটির সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ সব ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল দিক গুলোর পাশাপাশি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পটেনশিয়াল সব ফ্যাক্টরগুলো বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। এখানে উল্লেখ্য, SWOT এর প্রথম দুটি অর্থাৎ S এবং W হচ্ছে একদমই ইন্টারনাল বা ভেতরকার ফ্যাক্টর।

অন্যদিকে, শেষের দুটি অর্থাৎ O এবং T হচ্ছে এক্সটারনাল বা বাইরের ফ্যাক্টর। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ১৯৬০ সালে অ্যালবার্ট এস. হামফ্রে (Albert S. Humphrey) এই SWOT Analysis এর প্রবর্তন করেন, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়ার কাজকে সহায়তা করা। তবে International Journal of Business Research এর তথ্যমতে আলোচিত এই টুলের প্রবর্তক কে এই নিয়ে অনেক মিশ্র বিতর্ক আছে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, SWOT অ্যানালাইসিস শুধুমাত্র কোম্পানি বা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরীর কাজেই সীমাবদ্ধ নয়। এখন গঠনমূলক আত্নবিশ্লেষণ, পারসোনাল বা ব্যক্তিগত জীবনের জন্য উন্নয়ন ও লক্ষ্যের গঠন তৈরীর জন্যও এই অ্যানালাইসিস বহুল ব্যবহৃত। খুব সহজেই চমৎকার এই মেথডটি ব্যবহার করে আমরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ শক্তিমত্তা ও দুর্বল দিক গুলোকে এবং বাহ্যিক আমাদের যেই সুযোগ ও হুমকিসমূহ রয়েছে তা চিহ্নিত করতে পারি। যার ফলে আমরা আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কার্যকলাপকে একটি সঠিক আকার দিতে পারি এবং আমাদের লক্ষ্যগুলোর দিকে সঠিক একটি দিক-নির্দেশনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।

এছাড়াও, একটি সফল ব্যবসা পরিচালনার জন্য আপনি কতটা সম্ভব দক্ষতার সাথে কাজ করছেন তা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে আপনার SWOT Analysis এর এই বিশ্লেষণ গুলো করা উচিত। যদিও কোন কোম্পানিকে বিচার-বিশ্লেষণ করার অন্যান্য আরো পদ্ধতি থাকলেও, ধারণা করা হয় সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিগুলোর একটি হল এই SWOT বিশ্লেষন পরিচালনা করা।

রয়াস লেদার (Royce Leather) এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিলি বাউয়ার (Billy Bauer) এর মতে, “একটি কোম্পানির ভেতরের দুর্বলদিক গুলোর সাথে এর বাহিরের হুমকিসমূহকে একত্রিত করতে পারলে কোম্পানিটি যে গুরুতর সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে পারে তা হাইলাইট হয়ে পরে”। তিনি আরো বলেন, “আপনি একবার আপনার সম্মুখ ঝুঁকিগুলোকে চিহ্নিত করতে পারলে তবেই আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, ঝুঁকি গুলো কাটিয়ে উঠার জন্য কোম্পানির কোন শক্তিশালী অংশ গুলিকে সঠিকভাবে বরাদ্দ দেয়া উচিত যা হতে পারে দুর্বলতাগুলো দূর করার সবচেয়ে উপযুক্ত পথ! একইসাথে, আপনার ব্যবসার জন্য বিপদ ডেকে নিয়ে আসতে পারে এরকম হুমকিসমূহ এড়িয়ে গিয়ে পরবর্তীতে আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসে এসব বিপদের যেন মোকাবেলা করা যায় সেভাবে কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত প্রস্তুত রাখা গেলে বাহ্যিক হুমকি সমূহ কমানোর লক্ষ্য পূরণ করা যেতে পারে”।

শক্তিমত্তা সমূহ

Strengths বা শক্তিমত্তা সমূহ হল আপনার প্রতিষ্ঠানের এমন সব গুনাবলী, যা দিয়ে ইতিমধ্যে আপনার প্রতিষ্ঠান খুবই ভালো করছে এবং আপনাকে আপনার প্রতিযোগিদের থেকে আলাদা করে রেখেছে। অন্যান্য প্রতিযোগি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় নিজের কি কি শক্তিশালী দিক রয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করুন। এসব শক্তিমত্তা সমূহের উপরেই নির্ভর করছে আপনি নিজে কতটা শক্তিশালী। এটি হতে পারে: স্ট্রং ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি, লয়াল কাস্টমার বেজ, প্রোডাক্টের গুনগত মান, বিশেষ কোন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আরো অনেক কিছুই। আপনার শক্তিমত্তা সমূহ আপনার প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। দিনশেষে শক্তিশালী এই দিক গুলোই আপনাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেণীত করে রাখবে।

এখানে যদি কাল্পনিকভাবে আমরা উদাহরণ হিসাবে একটি ই-কমার্স ব্যবসার কথা চিন্তা করি, তাহলে এর শক্তিশালী দিক সমূহ কি কি দাঁড়ায়: প্রথমেই আসে লো-অপারেশনাল কস্ট অর্থাৎ কোন শপ বা শো-রুম এর চেয়ে পরিচালনার খরচ কম। এরপর আসে ঘরে বসেই কাস্টমাররা ইউনিক সব প্রোডাক্ট কিনতে পারছে এবং নিজেরাও খুব সহজেই একসাথে অনেক কাস্টমারের কাছে রিচ করতে পারছে।

দুর্বলতা সমূহ

Weaknesses বা দুর্বলতা সমূহ একটি প্রতিষ্ঠানকে তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করতে বাঁধা প্রদান করতে থাকে। দুর্বলতা সমূহ এমনই গুরুতর একটি বিষয়, যা ব্যবসায় সার্বিকভাবে উন্নতি করতে হলে এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কাটিয়ে উঠাটা অত্যন্ত জরুরী। এগুলো হতে পারে: সঠিক পরিকল্পনার ঘাঁতটি, দুর্বল ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি, অনভিজ্ঞ সাপ্লাই চেইন, টার্নওভারের চেয়ে খরচের মাত্রা বেশি অথবা মূলধনের অভাব। যে কোন কিছুতেই নিজের দুর্বলতা সমূহ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াটা কঠিন হয়ে পরে, হতে পারে ছোট-বড় কোন খারাপ অভ্যাসের কারনেও আপনি সফল হতে পারছেন না। সুতরাং, দ্রুত এই দুর্বলদিক গুলো নির্ণয় করে তা কাটিয়ে ওঠা জরুরী।

আবারো যদি আমাদের ই-কমার্স ব্যবসাটিকে চিন্তা করি তাহলে এখানে তার দুর্বলদিক গুলোর একটি হতে পারে ডেলিভারি ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত ডেলিভারিম্যন না থাকার কারনে এই ই-কমার্সটি হয়তো একসাথে অনেক কাস্টমারের কাছে তার পণ্য ঠিকমত পৌছে দিতে পারছে না। অথবা খুব ভারি বা কাঁচের জিনিসপত্রের মত ভঙ্গুর পণ্য ডেলিভারি করার মত সুবিধাও এদের কাছে নেই, সুতরাং প্রতিনিয়তই বেশকিছু পটেনশিয়াল অর্ডার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।

সুযোগ সমূহ

Opportunities বা সুযোগ সমূহ আসলে বাহিরের অনুকূল বিষয়গুলিকে উল্লেখ করে, যা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিযোগিতামূলক সুযোগ সুবিধার পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে। এই সুযোগ সুবিধা সমূহ হল আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য যে কোন সময় ইতিবাচক কিছু ঘটার সম্ভাবনা, তবে সেজন্যে সবসময়ই আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেইসাথে ভালো সুযোগ সমূহ নিয়ে চোখকান খোলা রেখে চিন্তা করতে হবে, যা আপনি সুযোগ পাওয়া মাত্রই অবিলম্বে কাজে লাগাতে পারেন। যেমন ধরুন, একটি দেশে সরকারিভাবে মোবাইল ফোনের উপর শুল্ক হ্রাস পেল, সে সুযোগে একটি মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি তার মোবাইল ফোনগুলিকে নতুন একটি বাজারে রপ্তানি করতে পারে এবং বাজারের শেয়ার ও বিক্রি বাড়িয়ে লাভবান হতে পারে।

এবার চলুন আমাদের ই-কমার্স ব্যবসাটির জন্য সুযোগসমূহ হিসেবে কি কি থাকতে পারে চিন্তা করি। আমাদের কাছে কোন পণ্যের হয়তো বেশকিছু মজুদ ছিল, কোন কারনে সেই পণ্যের কাস্টমার ডিমান্ড যদি বেড়ে যায় তাহলে দ্রুত সেই পণ্যটি সরবরাহ করে বাজার দখলের একটা সুযোগ কিন্তু চলে আসে। অথবা নতুন একটি এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার হঠাৎ উন্নয়ন ঘটলে সে অঞ্চলেও পণ্য ডেলিভারির ব্যবস্থা করে কাস্টমার রেঞ্জ বাড়ানো যেতে পারে।

হুমকি সমূহ

Threats বা হুমকি সমূহ এমন সব কারনগুলোকে বোঝায়, যেগুলো একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতি বা হুমকির কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব হুমকি সমূহের মধ্যে এমন সব কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা বাইরে থেকে একটি ব্যবসাকে নেতিবাচক ভাবেও প্রভাবিত করতে পারে। আপনার পণ্যসমূহ বাজারে সরবরাহ করতে এবং বিক্রি করতে আপনি যেসব বাঁধার সম্মুখীন হন সেসব নিয়ে ভাবুন।

হতে পারে, আপনার পণ্যের প্রতিকূলে গিয়ে বাজার স্ট্যান্ডার্ড পরিবর্তিত হচ্ছে। সেইসাথে আপনি যদি বাজারে টিকে থাকতে চান তাহলে আপনাকে আপনার পণ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিগত ভাবেও আপনাকে বিকশিত হতে হবে, নাহয় পিছিয়ে পরার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে বাহ্যিক কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে কিনা, এছাড়াও- পর্যাপ্ত ইনভেস্ট প্রবাহ, অশোধ্য কোন ঋণ, এরকম হুমকি সমূহ আপনার ব্যাবসার মারাত্নক ক্ষতি করতে পারে, এ বিষয়েও সর্বদা সতর্ক থাকা জরুরী।

এবারে আমাদের ই-কমার্স ব্যবসারটির জন্য কিছু হুমকি কেমন হতে পারে চলুন দেখি। অনলাইন ট্রেন্ড খুব ঘন ঘন চেঞ্জ হয়, প্রতিনিয়ত এসব পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে না পারলে ব্যবসায় পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও, দুনিয়াটা এখন ডিজিটাল হওয়ার কারনে নতুন নতুন ই-কমার্স ব্যবসা যেমন গড়ে উঠছে তেমনি সমান প্রতিযোগিও তৈরী হচ্ছে। এছাড়াও নতুন নতুন ডিজিটাল পলিসি তৈরী হওয়া, ট্যাক্স ও লিগ্যাল ইস্যু তৈরী হওয়া এসব তো রয়েছেই।

SWOT Analysis এর উদাহরণ

২০১৫ সালের একটি উদাহরণ। কোকা-কোলা (Coca-Cola) কোম্পানির একটি ভ্যালু লাইন SWOT অ্যানালাইসিস করে দেখা যায়, কোকা-কোলার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ব্র্যান্ড নেম, সুবিশাল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, আরো প্রসারিত মার্কেট দখলের মত সু্যোগ সহ বেশকিছু শক্তিশালী দিক রয়েছে। একইসাথে এটি বৈদেশিক মুদ্রাস্ফীতি, কাস্টমারের ‘স্বাস্থ্যকর’ পানীয়ের প্রতি দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি এবং ‘স্বাস্থ্যকর’ পানীয় সরবরাহকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ আরো কিছু নিজেদের দুর্বল দিক ও হুমকি সমূহ বের করে নিয়ে আসে।

ভ্যালু লাইনের এই SWOT অ্যানালাইসিসটি কোকা-কোলার স্ট্র্যাটেজির দিকে কঠিন কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। কিন্তু কোকা-কোলা সবসময়ই আত্নবিশ্বাসী ছিল যে, তারা ‘শীর্ষস্থানীয় পানীয় কোম্পানি’ হিসেবেই বিশ্ববাসীর কাছে টিকে থাকবে। তার ঠিক পাঁচ বছর পর কার্যকরীভাবে ভ্যালু লাইনের SWOT বিশ্লেষণে এটা প্রমানিত হয় যে, কোকা-কোলা বিশ্বের ৬ষ্ঠ তম শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবেই রয়ে গেছে যেমনটি তারা তখনও ছিল।

পূর্বের অ্যানালাইসিস শেষ হওয়ার ঠিক পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা তাদের ভ্যালুর পরিমাণ ৬০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পেরেছিল। কোকা-কোলা তার অন্যান্য সব পরিকল্পনার সাথে সাথে, তার শক্তিশালী দিকগুলো এবং বাহ্যিক সুযোগগুলোকে নিজস্ব কৌশলে একত্রিত করতে পেরেছিল। এছাড়াও কোম্পানিটি তার দুর্বল এড়িয়া গুলোকে আরো শক্তিশালী করে তোলা, এবং বাহ্যিক হুমকিসমূহ কে দূর করতে SWOT অ্যানালাইসিসের মত কার্যকরি পদ্ধতি ব্যাবহার করেছিল।

উপসংহার

একটি SWOT Analysis বা বিশ্লেষণ ব্যাবসা এবং এর প্রয়োজনীয় কৌশলসমূহের মিলিত হওয়ার দারুন একটি গাইডলাইন। এটি প্রত্যেকের কাছে থাকা একটি শক্তিশালী টুলবিশেষ যা দিয়ে সকলেই নিজেদের বা প্রতিষ্ঠানের মূলশক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ ও হুমকি গুলো নির্ণয় করতে পারে, আলোচনা করতে পারে এবং এর সমাধানে নিজেরাই ব্রেইনস্ট্রমিং করে দুর্দান্ত কোন সমাধান বের করে নিয়ে আসতে পারে।

প্রায়শই, আপনি যেমনটি ভাবছেন তার থেকেও অনেক বেশি কিছুই হয়তো একটি SWOT বিশ্লেষণের মাধ্যমে বের হয়ে আসে। একটি SWOT Analysis সামগ্রিক একটি ব্যবসায়িক সেশনের জন্যও যেমন হতে পারে, তেমনি আবার নির্দিষ্ট একটি ডিপার্টমেন্ট যেমন, মার্কেটিং, সেলস, অথবা ডিস্ট্রিবিউশন, প্রোডাকশন এর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই SWOT অ্যানালাইসিসকে প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি দিক-নির্দেশনা হিসেবেই ব্যবহার করা উচিত, অগত্যাই কোন প্রেসক্রিপশন হিসেবে নয়।

  • https://www.investopedia.com/terms/s/swot.asp#toc-swot-analysis-example
  • https://www.businessnewsdaily.com/4245-swot-analysis.html
  • https://www.mindtools.com/pages/article/newTMC_05.htm
  • https://en.wikipedia.org/wiki/SWOT_analysis
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)

ইম্প্যাথি ম্যাপিং মূলত একধরনের ট্যুলস। এটি গ্রাহকদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভব, উপলব্ধি সহ নানাবিধ তথ্য, উপাত্ত এর সমন্বয়ে গঠিত সুশৃঙ্খল এবং সুবিন্যস্ত একটি চার্ট। উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পর্কিত তথ্য উপাত্তের খুব চমৎকার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন পাওয়া যায় এই ইম্প্যাথি ম্যাপিং এর মাধ্যমে। যা মূলত আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে।

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
Canvas & Methods
সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
Business Models
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
Business Models
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
Marketing
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
Business
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
Investment
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
Marketing
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)
E-Commerce
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)