রিব্র্যান্ডিং (Rebranding)

317
article image

সহজ কথায় Rebranding হচ্ছে আপনি কোন কোম্পানি বা কোম্পানির পণ্যকে নতুন করে গ্রাহকের কাছে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন। যেমন বাংলাদেশের ডাকবিভাগ বর্তমান নেটওয়ার্কিং যুগে একদমই পিছিয়ে পরা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এই ডাক বিভাগের ব্রান্ড ভ্যালু দিয়ে শুরু হয় নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা।যা খুব সহজেই গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে।এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগ একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান দেশের মানুষের কাছে কিন্তুু যুগোপযোগী সেবা না দিতে পারায় পিছিয়ে পরছিলো ঠিক তখন সেবা হিসেবে নিয়ে আসে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং যা রিব্র্যান্ড হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। যদিও এটার মালিকানার ৫১ শতাংশ হচ্ছে ডাকবিভাগের।

Key Points

  • Rebranding করার জন্য সবার প্রথমে কোম্পানিকে একটি সুদক্ষ টিম তৈরি করতে হবে
  • Rebranding কোম্পানি রিব্রান্ড করতে চাচ্ছে যে পণ্য সেটাতে কাস্টমারের চাহিদার জায়গা কোথায় সেটা শনাক্ত করতে হবে।Rebranding এর জন্য কোম্পানি বা তার পণ্যের সরজমিন এবং নেটওয়ার্কিং অডিট নিশ্চিত করতে হবে।
  • Rebranding এর সময় পণ্যের বা কোম্পানির মান সর্বাধিক উন্নত করার দিকে লক্ষ্য করতে হবে।যাতে গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত হয়।
  • Rebranding এর সময় কোম্পানি বা পণ্যের সুনির্দিষ্ট কার্যাবলী সহজ সাবলীল বোধগম্য হয় এমন কথায় মেসেজ আকারে দিতে হবে যে কোম্পানি ঠিক কি নিয়ে কাজ করছে বা পণ্যটি থেকে গ্রাহক ঠিক কোন সেবা নিশ্চিত ভাবে পাবে।
  • Rebranding করার সময় কোম্পানির বা পণ্যের লগো পরিবর্তন করা,ডিজাইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন চলে আসে।Rebranding কোম্পানি বা পণ্য নতুন কি ধরনের সেবা, সুবিধা গ্রাহকের জন্য নিশ্চিত করছে তা তুলে ধরতে হবে।
  • Rebranding করার সময় কোম্পানি বা পণ্যের স্লোগান পরিবর্তন করা জরুরি যা কাস্টমারকে নতুন ভাবে আকৃষ্ট করে থাকে।Rebranding এর সময় একটা নতুন পণ্য বা কোম্পানির জন্য সফল লঞ্চের পরিকল্পনা আর তা নিশ্চিত করা খুব বেশি জরুরি বিষয়। Rebranding এর নতুন কোম্পানি বা পণ্য বাজারজাতকরনের সময় অধিক প্রচারণা, বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা করা।

রিব্র্যান্ডিং

রিব্র্যান্ডিং হল একটি বিপণন কৌশল যেখানে ভোক্তা, বিনিয়োগকারী, প্রতিযোগী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মনে একটি নতুন, আলাদা পরিচয় গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের জন্য একটি নতুন নাম, শব্দ, নকশা, ধারণা বা এর সমন্বয় তৈরি করা হয়।Rebranding কেন,কি কারনে,কোন সুবিধার জন্য করা হলো কোম্পানির সেই দৃষ্টিভঙ্গি কাস্টমারের কাছে নিখুঁতভাবে তুলে ধরা।Rebranding করা কোম্পানি বা পণ্যের মান নিয়ে কাস্টমার কতটুকু সন্তুষ্ট বা কোন অভিযোগ আছে কি না তা জরিপ করা।Rebranding করা কোম্পানির বা পণ্যের মান সব সময় গতিশীল বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত করা আর গ্রাহক সেবা সুনিশ্চিত করা।

Re-Brand এর বিভাগসমূহঃ

Rebrand তিনটি ভিন্ন বিভাগ হিসাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যেমনঃ

১. ব্র্যান্ড রিফ্রেশঃ

আপনি কেবলমাত্র ছোটখাটো বিবরণ পরিবর্তন করতে পারেন যেমন আপনার লোগোর স্বতন্ত্র দিকগুলিকে আধুনিকীকরণ করা বা আপনার রঙের প্যালেটের রঙ সামান্য পরিবর্তন করা।যেমনঃ২০১৬ সালে মে মাসে Instagram তাদের লোগো রং,ডিজাইন সব কিছুতে আমূল পরিবর্তন করেন।

২. আংশিক পুনঃব্র্যান্ডঃ

আপনি কিছু উপাদান পরিবর্তন করেন কিন্তু অন্যদের নয়, যেমন একটি নতুন লোগো ব্যবহার করে যা আপনার পুরানো লোগো থেকে উপাদান, থিম এবং রং ব্যবহার করে।যেমনঃ MasterCard তাদের লোগো রং একই রকম রেখে ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসছে।

৩. সম্পূর্ণ রিব্র্যান্ডঃ

আপনি এমনভাবে সবকিছু পরিবর্তন করেন যেন আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন কোম্পানি।যেমনঃ বাংলাদেশ একসময় Warid নামে একটা সিম কোম্পানি ছিলো যেটা পরবর্তীতে স্বত্ব পরিবর্তন বা বিক্রয় হস্তান্তরের মধ্যে দিয়ে একদম নতুন নাম,লোগো,স্লোগান সব কিছু পরিবর্তন করে নতুন Airtel নামে পরিচিত হয়ে বাজারে আসে এবং সফল ভালো বিজনেস করছে।

উপরের তিন ভাবের যে কোন ভাবেই একজন প্রতিষ্ঠাতা তার কোম্পানি রিব্রান্ড করতে পারেন।

Re-Branding পরিকল্পনাঃ

একটা কোম্পানি বা পণ্যের সফল রিব্রান্ডিং এর জন্য সবার প্রথম প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা। রিব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রথমেই পরিকল্পনা সুনিশ্চিত করে নিতে হবে।কেন কোম্পানি বা পণ্যের রিব্রান্ডিং করা হচ্ছে, কি কি কারন তাতে আছে,কি ভাবে কাজ করলে বা উদ্যোগ নিলে কোম্পানি বা পণ্যের রিব্রান্ডিং এর কাজ সফল হবে।একটা কোম্পানি বা পণ্যের রিব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে অনেক আলোচনা-পর্যালোচনার প্রয়োজন হয়।সব কিছু সুনির্দিষ্ট করে তারপর রিব্রান্ডিং এর কাজ শুরু করা হয়।

Re-Branding এর ধাপসমূহঃ

Re-Branding এর কাজ শুরু করার পর থেকে অনেক গুলো কাজ ব্যবসায়ী বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে করতে হয়।তার জন্য অনেক গুলো ধাপ রয়েছে। প্রতিটি দাপ এলোমেলো ভাবে করলে কাজ কখনও ভালো ভাবে সম্পন্ন হবে না।প্রতিটি কাজ দাপে দাপে নিয়ম মেনে সিরিয়াল মেইনটেইন করে সামনে আগালে সফল ভাবে রিব্রান্ডিং এর কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

আমরা এখন বিস্তারিত ভাবে দাপগুলো নিয়েই জানবো।

১. কোম্পানি বা প্রডাক্টের রিব্র্যান্ড দরকার আছে কি না তা প্রথমে সুনির্দিষ্ট কারন সহ যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।

২. রিব্র্যান্ড করার জন্য কোম্পানির সব চাইতে দক্ষ আর কার্যক্ষমতা সম্পন্ন কর্মীদের নিয়ে একটা টিম তৈরি করতে হবে। এবং টিমের সবাই কাজের দায়িত্ব নির্দিষ্ট ভাবে বন্টন করে দিতে হবে।

৩. কোম্পানি যে প্রডাক্টের রিব্র্যান্ডিং করতে চাচ্ছে বাজারে সেই প্রডাক্টের প্রতিযোগি কোম্পানিদের পণ্য নিয়ে একটি নিখুঁত বিশ্লেষণ জরুরি ভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

৪. আপনি কোন বিশেষ শ্রেণির কাস্টমারকে টার্গেট করে পণ্য বাজারে আনছেন কি না বা কোন বয়সের বা শ্রেণীপেশার মানুষ আপনার রিব্রান্ডিং প্রডাক্টের বেশি কাস্টমার হবেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি সুনিপুণ বাজার গবেষণা চালানো অপরিহার্য। তাতে আপনার রিব্রান্ডিং সঠিক পথেই আগাচ্ছে কি না তাও অনেকটা অনুমান করা সহজ হয়ে যায়।

৫. একটি ভাল রিব্র্যান্ড ভাল গবেষণা দিয়ে শুরু হয়। আপনার যত বেশি জ্ঞান থাকবে, আপনার কৌশল এবং আপনার সৃজনশীল পদ্ধতি তত ভালো হবে। আপনি আনুষ্ঠানিকভাবে আপনার রিব্র্যান্ড (মেসেজিং, ডিজাইন, ইত্যাদি) শুরু করার আগে, আপনাকে বুঝতে হবে কী কাজ করছে, কী করছে না, আপনার কীভাবে বেড়ে উঠতে হবে ইত্যাদি। সংক্ষেপে, আপনাকে আপনার ব্র্যান্ডের বর্তমান অবস্থা বুঝতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী সামঞ্জস্য করতে হবে। সুতরাং, একটি ব্র্যান্ড অডিট হল গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।

৬. আপনার রিব্র্যান্ডিং এর মূল বিষয়বস্তুু কি সেটা স্পষ্ট থাকতে হবে।আপনার রিব্র্যান্ড কি মূল বিষয়ের উপর হচ্ছে এটি আপনার ব্র্যান্ডকে - এর মূল লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে। আরও বিশেষভাবে, আপনার ব্র্যান্ড মূল বিষয়ে সমন্বয়ে গঠিত আপনার কোম্পানির উদ্দেশ্য,কোম্পানির রয়েছে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, আপনি কোন ভবিষ্যৎ মিশন তৈরি করতে সাহায্য করতে চান, আপনি কীভাবে সেই ভবিষ্যত মান তৈরি করবেন,আপনি কে আপনি কীভাবে কাজ করেন এই সবকিছুই রিব্রান্ডিং এর সময় সামনে চলে আসবে।

৭. আপনার রিব্র্যান্ড মেসেজিং স্পষ্ট করতে হবে। আপনি প্রথমে আপনার লোগো ডিজাইন বা ভিজ্যুয়াল সম্পদগুলি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা সুনিশ্চিত করতে হবে।প্রথমে আপনার ব্র্যান্ডের মেসেজিংকে স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ, এর মধ্যে আপনার: ব্র্যান্ডের সারমর্ম (কণ্ঠস্বর, স্বর, ব্যক্তিত্ব) ট্যাগলাইন ভ্যালু মেসেজিং পিলার এই মেসেজিং উপাদানগুলি সময়ের সাথে সাথে বাসি হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ব্র্যান্ডিং করার কয়েক দশক হয়ে গেছে। আপনার লক্ষ্য হল মেসেজিং তৈরি করা যা আপনার ব্র্যান্ডের লক্ষ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সমন্বিত এবং সারিবদ্ধভাবে কাজ করবে সেক্ষেত্রে রিব্রান্ডিং শুরু করা জরুরি হয়ে পরে।

৮. বেশিরভাগ লোকেরা যখন একটি রিব্র্যান্ড করার কথা ভাবেন, তখন তারা একটি ব্র্যান্ডের ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি সম্পর্কে ভাবেন, শুধুমাত্র এটি কেমন দেখাচ্ছে তার উপর ফোকাস করে৷ কিন্তু, আবার, আপনার ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি হল কে এবং আপনার ব্র্যান্ড কী তার প্রতিফলন এবং এক্সটেনশন, তাই এই পদক্ষেপটি মোকাবেলা করার আগে সেগুলিকে লক করা গুরুত্বপূর্ণ।এর মানে হল যে কিছু উপাদানগুলিকে আপনার বিদ্যমান ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটিতে সংশোধিত, আপডেট করা বা যোগ করার প্রয়োজন হতে পারে।যেমন জিনিসগুলি সহ: কালার, লোগো, টাইপোগ্রাফি, হায়ারার্কি, ফটোগ্রাফি, ইলাস্ট্রেশন, আইকনোগ্রাফি, ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন, ইন্টারেক্টিভ উপাদান, ভিডিও এবং মোশন ইত্যাদি।

৯. আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ড নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে।নির্দেশিকার কিছু পুরনো বিষয় বাদ দিতে হবে আবার রিব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে নতুন কিছু বিষয় নির্দেশিকায় যুক্ত করতে হবে। আপনাকে আপনার টিমকে সঠিকভাবে ব্র্যান্ডিং প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিতে হবে এবং আপনার ব্র্যান্ড মূলবিষয় , মেসেজিং এবং ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি—সুন্দর, ঝরঝরে নির্দেশিকাতে উপস্থাপন করতে হবে। আপনাকে একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে মনোনীত করতে হবে যে আপনার ব্র্যান্ডের নির্দেশিকা সহজ সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

১০. আপনার টিমকে সমর্থন করুন রিব্র্যান্ড প্রক্রিয়া চলাকালীন চাপ অনুভব করা সহজ, তবে মনে রাখবেন আপনি এটি করতে পারেন, এটির মধ্য দিয়ে যেতে পারেন এবং শেষ পর্যন্ত আরও ভাল ব্র্যান্ড নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন৷ এই কাজটি ভবিষ্যতে আপনার ব্র্যান্ডকে পালিত করার জন্য অত্যাবশ্যক, কিন্তু আপনি একবার আপনার নতুন ব্র্যান্ডিংকে বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে এটি থামবে না। এটি শুধুমাত্র জাম্পিং-অফ পয়েন্ট। এখন আপনার কাছে প্রতিটি সম্ভাব্য টাচপয়েন্টে আপনার ব্র্যান্ডকে প্রাণবন্ত করার সুযোগ রয়েছে।

১১. Re-Branding একটি দীর্ঘ এবং কঠিন প্রক্রিয়ার সমাপ্তি সম্পাদন করা হয়ে গেলে, আপনি আপনার নতুন ব্র্যান্ডিংকে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করতে দিতে পারবেন।এটি আপনার নতুন ব্র্যান্ডিংয়ের সাথে সারিবদ্ধ হয়েছে তা নিশ্চিত করতে আপনার সামগ্রীর কৌশলটি পরিমার্জন করতে হবে। কীভাবে অনন্য উপায়ে আপনার ব্র্যান্ডের গল্প বলতে হয় তা শিখে নিতে হবে এবং প্রচারণার কাজ চালাতে হবে। যতটা সম্ভব কার্যকরভাবে উচ্চ-মানের সামগ্রী তৈরি করতে আপনার সামগ্রী তৈরির প্রক্রিয়াটিকে গতিশীল করতে হবে। এটি কীভাবে কাজ করছে তা জানতে আপনার ফলাফলগুলি ট্র্যাক করুন—এবং আপনি কীভাবে উন্নতি চালিয়ে যেতে পারেন সে বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করুন।

Re-Branding একটি সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া একটা কোম্পানি বা প্রডাক্টের জন্য। আর এর যত গুলো ধাপ আছে তা পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করে সামনে এগিয়ে গেলে সফলতা পাওয়ার সুনিশ্চিত একটা বিষয় কোম্পানির সামনে চলে আসে।

উদাহরণঃ

১. বাংলাদেশে একটা সময় বেসরকারি সিম কোম্পানি ছিল Warid কিন্তুু তাদের নেটওয়ার্কিং সমস্যা সমাধান করতে ব্যার্থ হওয়ায় অন্যসব প্রতিযোগি কোম্পানির সাথে তারা বাজারে টিকে থাকতে পারেনি।তাই পুরো কোম্পানি তারা স্বত্ব বিক্রয় করে দেয়।এবং নতুন করে বাজারে আসে Re-Branding company হয়ে Airtel সিম কোম্পানি তারা নেটওয়ার্কের উন্নয়নের কাজ চালায় এবং পুরো ইয়াং জেনারেশনকে টার্গেট কাস্টমার করে তারা ব্যবসায় সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

২. বাংলাদেশের শুরু থেকে সেরাটন হোটেল একটা তিন তারকা বিশিষ্ট হোটেল থাকার পরও এবং খুব সুনাম থাকার পরও মেনেজম্যান্ট সিস্টেমের জন্য একটা সময় তা স্বত্ব নতুন করে বাজারে আসে রিব্রান্ডিং করে হোটেল কন্টিনেন্টাল নাম দিয়ে এবং তা পুরোদস্তুর ভালোভাবে এখন পরিচালিত হচ্ছে।

৩. ঢাকার ধানমন্ডির রাইফেলস স্কয়ার একটা সুনামধন্য শপিং মল ছিলো যা বিভিন্ন করানে রিব্রান্ডিং হয়ে নতুন নাম সীমান্ত স্কয়ারে নাম পরিবর্তিত হয়ে আসে এবং তা ব্যবসায় গতিশীলতা বৃদ্ধি করে।

৪. মেকডোনাল্ডস প্রথমবার তাদের লোগো নিয়ে যাত্রা শুরু করে ১৯৪০ সালে এরপর এখন পর্যন্ত তা পরিবর্তন করে রিব্র্যান্ডিং করে পর্যায়েক্রমে ১৯৫৬,১৯৬০,১৯৭৫,১৯৯২,২০০৬ নিয়ে মোট ৫ বার।যা ২০০৬ সালে করা লোগো রিব্র্যান্ডিং এখনো অপরিবর্তিত আছে।

৫. পেপসি ব্র্যান্ড ১৮৯৮ সালে প্রথমবার তাদের লোগো নিয়ে যাত্রা শুরু করে এবং এরপর পর্যায়েক্রমে মোট ৯ বার তা পরিবর্তিত করে ২০০৩ সালে আবার নতুন করে লোগো করে রিব্র্যান্ডিং করে যা এখন পর্যন্ত অপরিবর্তিত আছে।

৬. বহুল জনপ্রিয় আর ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যম দুটো ইন্সট্রাগাম আর ওয়াটসআপ মালিকানা স্বত্ব ক্রয়ের মাধ্যমে রিব্র্যান্ডিং করেন জুকারবার্গ।যে লোগো, কালার, সেবা একই থাকলেও মালিকানা স্বত্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে তা রিব্র্যান্ড করা হয়েছে।

উপসংহারঃ

রিব্র্যান্ডিং হল একটি বিপণন কৌশল যেখানে ভোক্তা, বিনিয়োগকারী, প্রতিযোগী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মনে একটি নতুন, আলাদা পরিচয় গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের জন্য একটি নতুন নাম, শব্দ, প্রতীক, নকশা, ধারণা বা এর সমন্বয় তৈরি করা হয়ে থাকে।

  • Building a Story Brand by Donald Miller
  • It's Not How Good You Are, It's How Good You Want To Be by Paul Arden
  • দৈনিক বাংলা তথ্য সূত্র
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)

ইম্প্যাথি ম্যাপিং মূলত একধরনের ট্যুলস। এটি গ্রাহকদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভব, উপলব্ধি সহ নানাবিধ তথ্য, উপাত্ত এর সমন্বয়ে গঠিত সুশৃঙ্খল এবং সুবিন্যস্ত একটি চার্ট। উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পর্কিত তথ্য উপাত্তের খুব চমৎকার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন পাওয়া যায় এই ইম্প্যাথি ম্যাপিং এর মাধ্যমে। যা মূলত আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে।

লিন ক্যানভাস মডেল (Lean Canvas Model)
Canvas & Methods
লিন ক্যানভাস মডেল (Lean Canvas Model)
বেইট এন্ড হুক মডেল  (Bait & Hook Model)
Business Models
বেইট এন্ড হুক মডেল (Bait & Hook Model)
লোগোর প্রকারভেদ (Types of Logos)
Logo
লোগোর প্রকারভেদ (Types of Logos)
সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?
Sales
সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?
ই-কমার্স: অনলাইন ব্যবসা
E-Commerce
ই-কমার্স: অনলাইন ব্যবসা
MTNUT কাটিয়ে কিভাবে একটি সেলস ডিল ক্লোজ করবেন?
Sales
MTNUT কাটিয়ে কিভাবে একটি সেলস ডিল ক্লোজ করবেন?
ব্র্যান্ড আর্কিটেকচার কী? সংজ্ঞা, মডেল এবং উদাহরণ
Branding
ব্র্যান্ড আর্কিটেকচার কী? সংজ্ঞা, মডেল এবং উদাহরণ
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
সম্পদ, দায় এবং ইক্যুইটি
Accounting
সম্পদ, দায় এবং ইক্যুইটি