শেয়ারিং ইকোনমি মডেল (Sharing Economy Model)

শেয়ারিং ইকোনমি মূলত দুই পক্ষের (Peer to Peer) সমন্বয়ে গঠিত এমন একটি বিজনেস মডেল, যেখানে মূল প্রতিষ্ঠানটি একটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। এক্ষত্রে প্রতিষ্টান গুলো মূলত দুই পক্ষ অর্থাৎ সেবা প্রদানকারী এবং সেবা গ্রহণকারীদের মাঝে প্রযুক্তির সহায়তায় নিজস্ব কৌশলে সংযোগ করে দেয়।
Key Points
- শেয়ারিং ইকোনমি মূলত দুই পক্ষের (Peer to Peer) সমন্বয়ে গঠিত এমন একটি বিজনেস মডেল, যেখানে মূল প্রতিষ্ঠানটি একটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে।
- ১৯৯৫ সালে রিসেলিং এবং ট্রেডিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইবেই (eBay) সর্বপ্রথম শেয়ারিং ইকোনমিক মডেল এর প্রচলন ঘটিয়েছে।
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল
বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম "পাঠাও" এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। মূলত পাঠাও রাইডার দের সাথে একটা চুক্তিভিত্তিক সমঝোতার মাধ্যমে গ্রাহকদের বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে। মূলত পাঠাও যে বিজনেস মডেল অনুসরণ করে তা হলো শেয়ারিং ইকোনমি মডেল।
শেয়ারিং ইকোনমি মূলত দুই পক্ষের (Peer to Peer) সমন্বয়ে গঠিত এমন একটি বিজনেস মডেল, যেখানে মূল প্রতিষ্ঠানটি একটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। এক্ষত্রে প্রতিষ্টান গুলো মূলত দুই পক্ষ অর্থাৎ সেবা প্রদানকারী এবং সেবা গ্রহণকারীদের মাঝে প্রযুক্তির সহায়তায় নিজস্ব কৌশলে সংযোগ করে দেয়।
১৯৯৫ সালে রিসেলিং এবং ট্রেডিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইবেই (eBay) সর্বপ্রথম শেয়ারিং ইকোনমিক মডেল এর প্রচলন ঘটিয়েছে। এখানে যে কেউই যে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় কিংবা বিক্রয় করতে পারবে এমন ধারণা নিয়েই মার্কেটপ্লেসটি এই শেয়ারিং ইকোনমির ব্যবহার শুরু করে। পরবর্তীতে ইবেই (eBay) এর সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই মডেল ব্যবহার করে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারে সফল হতে হলে প্রথমেই আপনার সেবা বা পণ্যটি চলমান কোন সমস্যার সমাধান করবে সে বিষয়টাকে খুঁজে বের করতে হবে
বিস্তারিত বিবরণ
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল এ মূলত যেকোনো ব্যক্তি কিংবা কয়েকজন ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত যেকোনো গ্রুপ বা দল কোনো একটি সেবা বা পণ্যকে কেন্দ্র করে পরিষেবা প্রদান করে৷ এখানে ঐ সেবা বা পণ্যটির স্বত্বাধিকারী কিংবা মালিক থাকে সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি নিজে।
আর এই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল বেশিরভাগ সময়েই এমন সেবা, পণ্য বা সম্পদকে কেন্দ্র করে ব্যবহার করা হয়, যেটির মূল্যমান অনেকাংশে উচ্চ। এবং যেটি কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে থাকলেও তা নিস্ক্রিয় কিংবা নিস্প্রোয়জনীয় ভাবে রয়েছে। আর এর সেবা গ্রহণকারীরা মূলত এরূপ হয়, যাদের কাছে উক্ত সেবা বা পণ্যটির গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু সেবা বা পণ্যটি পুরোপুরি ভাবে নয় বরং সাময়িক ভাবে দরকার।
এক্ষেত্রে শেয়ারিং ইকোনমি মডেল মূলত এই সেবা সন্ধানকারীকে সেবা বা পণ্যটি ক্রয় না করে ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে থাকে। বিনিময়ে সেবাটি প্রদানকারী কিংবা স্বত্বাধিকারী কে কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে।
শেয়ারিং ইকোনমি মূলত সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদের স্বাধীন ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। নিজের সুবিধা অনুযায়ী পছন্দমতো সময়ে কাজ করার ব্যাপারে তেমন কোনো বিধিনিষেধ থাকেনা। এছাড়াও নিজের রাজি, খুশি মতো তাঁর সেবা, পণ্য বা সম্পদটি ব্যবহার করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি রাখে না। অর্থাৎ সেবা, পণ্য বা সম্পদ টি সে কখন ব্যবহার করতে দিবে কি দিবে নাহ সেটা তাঁর ইচ্ছাধীন।
মূলত এখানে শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল মাধ্যম বা ইন্টারনেট এর সহায়তায় ঐ দুই শ্রেণি অর্থাৎ সেবা বা পণ্যের স্বত্বাধিকারী এবং ঐ সেবার সন্ধানকারীদের কে একীভূত করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান গুলো নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে এই সেবা প্রদান এই ধারণার ভিত্তিতে গড়ে উঠলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পরিষেবা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানও এই মডেল ব্যবহার করে গড়ে উঠে।
মূলত এই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতা কে কাজে লাগিয়ে বিশাল সংখ্যক মানুষের একটি সাধারণ সমস্যাকে খুব সুন্দর ভাবে সমাধান দিয়ে থাকে। মূলত শেয়ারিং ইকোনমি মডেল মানুষেদেরকে কোনো সেবা বা পণ্য ক্রয়, ব্যবহার এবং পুনরায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে। কোনো একটি সম্পদ, পণ্য, সেবা, পরিষেবা সম্পর্কে আমাদের ধারনাকে অভাবনীয় ভাবে পরিবর্তন করে ব্যবহার উপযোগী করেছে।
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গ্রাহক আস্থা এবং নির্ভরশীলতা অর্জন
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারের মাধ্যমে সাফল্য পেতে করণীয়
কতিপয় বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকলেই খুব সহজেই এই কাস্টমার শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহার করে সফল হতে পারে যে কোনো প্রতিষ্ঠান।
সেবা বা পণ্য
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারে সফল হতে হলে প্রথমেই আপনার সেবা বা পণ্যটি চলমান কোন সমস্যার সমাধান করবে সে বিষয়টাকে খুঁজে বের করতে হবে। অর্থাৎ প্রযুক্তির সহায়তায় ঐ পণ্য বা সেবাটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে হরহামেশা ঘটিত কোন সমস্যা থেকে উত্তোরণ করবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে।
আপনি যে বাজার বা মার্কেট কে লক্ষ্য করে আপনার সেবা বা পণ্যটি কে তৈরী বা প্রস্তুত করতে চাচ্ছেন, তাঁর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করতে হবে। অর্থাৎ ঐ সেবা বা পণ্যটির গ্রাহক কারা, তাঁদের জীবনযাত্রার মান, প্রয়োজন, চাহিদা এসব নিয়ে ভালোভাবে গবেষণা করতে হবে।
যেহেতু দুই ধরনের মানুষদের অর্থাৎ সেবা প্রদানকারী এবং গ্রহণকারীদের একত্রিত করে দেওয়াই মূল লক্ষ্য এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের। তাই এই উভয় শ্রেণির মানুষের মাঝে ঐ পণ্য বা সেবার চাহিদা কেমন সেটা যাচাই করতে হবে। এবং তাঁদের মতামতকে বিশ্লেষণ করে সেবা বা পণ্যটিকে বাজার উপযোগী করতে হবে।
সেবা বা পণ্যটি একদিকে যেমন অনন্য হতে হবে। ঠিক তেমনি এর গ্রহণযোগ্যতা গ্রাহকদের মাঝে থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগি প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে গুণগত মানে সেরা হতে হবে।
সর্বোপরি খেয়াল রাখতে হবে, আপনার পণ্য বা সেবাটির গ্রহণযোগ্যতা যেন দীর্ঘমেয়াদী হয়। অর্থাৎ একটি বিরাজমান সমস্যার চমৎকার সমাধান দেওয়ার পাশাপাশি যেন এটি দ্বারা আয়ের পথ দীর্ঘমেয়াদী হয়।
সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা
যেকোনো গ্রাহক স্বভাবতই সুরক্ষিত, নিরাপদ এবং বিশ্বাস যোগ্য পণ্য বা সেবার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। শেয়ারিং ইকোনমি মডেল এর ক্ষেত্রেও এ ব্যাপারটি ব্যতিক্রম নয়। সেবার গুণগত মান যতই ভাল হোক না কেন, গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে গ্রাহক আস্থা বা নির্ভরশীলতা কখনোই অর্জন করা যাবে নাহ।
যেহেতু শেয়ারিং ইকোনমি মডেল এ সব ধরনের মানুষই সেবা প্রদান এবং গ্রহণ করতে পারে। তাই সেবা প্রদানকারীর সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় এখানে সেবা গ্রহণকারী গ্রাহকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়াও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আপনার প্রতিষ্ঠানটির সেবাটিকে সবার জন্য সুরক্ষিত তথা গ্রাহক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই সেবা প্রদানকারীদের নাম, পরিচয় সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এবং খুব ভালোভাবে সেই তথ্য গুলোর সত্যতা যাচাই করতে হবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানভেদে সেবার মাধ্যম গুলো যেমন, গাড়ি, মোটরসাইকেল, ক্যামেরা, ফ্ল্যাট ইত্যাদির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, বৈধতা যাচাই করতে হবে।
এছাড়াও আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারটিও বিশেষ বিবেচনার সাথে দেখতে হবে। যেন এ ব্যাপারে গ্রাহকদের এতে দূর্ভোগ পোহানো না লাগে। একটি নির্দিষ্ট মাধ্যমে, একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্ঝঞ্জাট এবং নিরাপদ ভাবে যেন গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করতে পারে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে।
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারে সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনা
অপার সম্ভাবনার হাতছানির পাশাপাশি কিছুটা ঝুঁকিও কিন্তু এই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারে রয়ে যায়।
নিরাপত্তা ও আস্থা
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গ্রাহক আস্থা এবং নির্ভরশীলতা অর্জন। আমরা ইতোপূর্বেই জেনেছি যে, শেয়ারিং ইকোনমি প্ল্যাটফর্ম বা প্রতিষ্ঠানগুলোয় সেবা প্রদানকারী ব্যক্তির সংখ্যা অত্যন্ত বেশিই হয়। কারণ শেয়ারিং ইকোনমি মডেল এমনভাবেই তৈরী যার সেবা প্রদান এবং গ্রহণকারীর সংখ্যা উম্মুক্ত। যেকেউ এই ধরনের সেবা প্রদান করতে পারে বলে এখানে অনেক ক্ষেত্রে পেশাদারীত্বের অভাবও ব্যপকভাবে লক্ষ্যণীয়।
যেহেতু এই সেবা প্রদানের কাজটি বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন মানুষ করে তাই তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গী, আচার - ব্যবহার ও ভিন্ন রকম হয়। আর তাছাড়া সেবা প্রদানকারীর সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় সবাইকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মে একই সাথে পরিচালনা করা সম্ভবপর হয় নাহ। তাছাড়া যারা সেবা প্রদান করে তাঁদের প্রায় সবাই পার্ট টাইম বা নিজ মন মর্জি মতোই কাজটি করে। তাই প্রতিষ্ঠানের কতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের উপর তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। যা প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক সাফল্যের জন্য ক্ষতিকর।
কোনো একজন সেবা প্রদানকারী থেকে আপনার প্রতিষ্ঠানের সেবাটি গ্রহণ করার পর তা যদি গ্রাহক মনোঃপুত না হয় তবে গ্রাহকের মনে কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনার জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের সেবার মান নিয়েই প্রশ্ন উঠে। যা পরবর্তীতে আপনার প্রতিষ্ঠানের কোনো সেবা গ্রহণ থেকে ঐ গ্রাহককে বিরত রাখে। তাই সব দিক মিলিয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টতা অর্জন করে একটি সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করা তুলনামূলক কষ্ট সাধ্য কাজই বটে।
নির্ভরশীলতা
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেহেতু দুই পক্ষ অর্থাৎ সেবা প্রদানকারী এবং সেবা গ্রহণকারী উভয়ের সমন্বিত কাজের উপরই নির্ভরশীল হতে হয়, তাই এক্ষেত্রে উভয়ের সমন্বয় সাধন টাও অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবাকে গ্রাহক উপযোগী করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অন্য প্রতিযোগি প্রতিষ্ঠানের ঐ একই সেবাটি প্রদানের ধরন এবং কৌশলের দিকে লক্ষ্য রাখা। কিন্তু এক্ষেত্রে এত কিছু একসাথে করে কৌশলগত ভাবে এগিয়ে যাওয়া কিন্তু কম কঠিন কাজ নয়।
তাছাড়া এই মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটা বড় সংখ্যক সেবা প্রদানকারী প্রয়োজন। কিন্তু এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলো তাঁদের আয় সম্পর্কিত নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে নাহ। অর্থাৎ গ্রাহক চাহিদার ভিত্তিতে এটি কম-বেশি হয়। তাই সেক্ষেত্রে একটি নিশ্চিত অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে অনেকক্ষেত্রেই এগুতে ভায় নাহ সেবা প্রদানকারীরা।
তাছাড়াও এই মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান গুলো নির্দিষ্ট গ্রাহক বলয় তৈরী করতে পারে নাহ। যেমন এই গ্রাহকরা পরবর্তীতেও আমাদের সেবা নিবে, এরকম নিশ্চয়তা পাওয়া যায় নাহ। বরংচ খুব দ্রুত তাঁরা তাঁদের পছন্দ, প্রয়োজন কিংবা সময় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সেবাটি অন্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।
সুবিধা সমূহ
বর্তমান সময়ে চাকরির বাজারে অসম প্রতিযোগিতা লক্ষ্যণীয়। ওইসিডি (OECD) এর তথ্য মতে, বিশ্বে প্রায় ৬.৯ শতাংশ মানুষই বেকার। যারা বেকারত্ব ঘুচিয়ে নিজের স্বাধীন মতো যারা কাজ করতে চান, তাঁরাই দ্রুত এই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় সেবা প্রদানে আকৃষ্ট হয়। মূলত এখানে একটি বাধাধরা সময়ের গন্ডিতে কাজ করতে হয় নাহ। বরং নিজের সুবিধামতো সময়ে, নিজের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পছন্দসই কাজটিই করতে পারেন যে কোনো ব্যক্তি। তাই খুব সহজেই খুব বিরাট সংখ্যক ব্যক্তিকে এই কাজে যুক্ত করা যায়। ফলে এই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা প্রদানকারীর যোগান নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয় নাহ। এবং ভবিষ্যতেও কখনো লোকবলের অভাব পড়বে নাহ, এমনটাই নিশ্চিত থাকা যায়।
এছাড়াও শেয়ারিং ইকোনমি মডেল যেহেতু অব্যবহৃত সম্পদকে ব্যবহার উপযোগী করে দিচ্ছে তাই সেক্ষেত্রেও একটি বিরাট সংখ্যক সেবা প্রদানকারী পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার একটি সেবা বা পণ্য অব্যবহ্রত অবস্থায় রয়েছে। আর আরেকজনের সেই সেবাটিই দরকার। সেক্ষেত্রে আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় যদি ঐ সেবা সন্ধানকারীকে সেবাটি দিতে পারেন। ফলে আপনার অতিরিক্ত আয় ও হলো, আর সেবা গ্রহণকারী ও উপকৃত হলো। যেহেতু দুই পক্ষের এই লাভবান হওয়ার ব্যাপারটিই এই মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি। তাই প্রতিষ্ঠানটির কোনো পরিষেবা সম্পর্কিত আইডিয়া বা কৌশলটি যদি সুন্দর হয়, তবে খুব সহজেই এ দুই ধরনের মানুষকে একত্রিত করতে পারবে।
অসুবিধা সমূহ
মূলত প্রতারণা এবং গ্রাহকদের অনিরাপত্তার ব্যাপারটি নিয়ে শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর অভিযোগ উঠেছে বারংবার। এছাড়াও গ্রাহকদের বিভিন্ন তথ্যের গোপনীয়তার নিশ্চয়তা প্রদানেও ব্যর্থ হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের অভিযোগ গ্রাহক মনে অসন্তোষ সৃষ্টি করে প্রায়শই। যার প্রভাব কিন্তু এই মডেল ব্যবহারকারী অন্য প্রতিষ্ঠান গুলোর উপরও পড়ে। অর্থাৎ গ্রাহকদের মনে তাঁদের নিরাপত্তা কিংবা সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়।
এই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান গুলো যেহেতু দুই পক্ষ তথা সেবা প্রদানকারী এবং সেবাটি গ্রহণকারীদের প্রতি বিশ্বস্ততার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু যত বেশি সংখ্যক মানুষ এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সেবা প্রদান বা গ্রহণ করে, ততবেশি এর নিরাপত্তা কিংবা কতৃত্বের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই হাতের নাগালে চলে যায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণের অভাবে অনেকেই প্রতারণা কিংবা অন্য খারাপ কাজ করার সুযোগ পেয়ে যায়। যা প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের পথে অত্যন্ত অসুবিধাজনক একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
কোনো একটি সেবার বিপরীতে সেবাটি প্রদানকারীর সংখ্যা অপ্রতুল হওয়া যেমন আশীর্বাদ, ঠিক তেমনি অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধাজনক ও বটে। শুধু গ্রাহক প্রতারণার কিংবা অনিরাপত্তার ব্যাপারটি নয়, বরং যারা সেবা প্রদান করে সম্পূর্ণ জীবিকা নির্বাহ করছে তাদের জন্যও কিঞ্চিৎ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। মূলত প্রথমেই যে ব্যাপারটি আসে তা হচ্ছে, আয়ের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা। যেহেতু কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণের আয়ের নিশ্চয়তা এই প্রতিষ্ঠান গুলো দিতে পারে নাহ, সেক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারীকে একটি অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই এগুতে হয়। তাছাড়া একটি কোম্পানিতে চাকরীরত কেউ যে সুবিধা গুলো পেয়ে থাকে, সে সুবিধা গুলো তাঁরা পায় নাহ। যেমন, পেনশন প্রকল্প, মাতৃকালীন ছুটি, অসুস্থতাজনিত ছুটি কিংবা বোনাস এসব কোনোটিই এই ফ্রিল্যান্স সেবা প্রদানকারীরা পায় নাহ। তাছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারীরাও প্রতারণার শিকার হয়। ফলে সেবা প্রদানকারীদের ভিতর ক্ষোভ কিংবা অসন্তোষ জম্মায়। যার ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহককেও।
পাশাপাশি এখনো অনেকের কাছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা পৌছায় নি। কিংবা ইন্টারনেটের ব্যববহার জানেন নাহ অনেকে। ফলে একটি বিরাট অংশের গ্রাহক হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর। এছাড়াও সচরাচর প্রায় অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে ঐ সেবাটি নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ফলে এই মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান গুলো কে একটু হিমশিম খেতে হয়। এছাড়াও সঠিক নিয়ম-নীতির প্রয়োগ কিংবা ট্যাক্স প্রদানের ক্ষেত্রেও অনেক সময় ঝামেলা পোহাতে হয় এই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কে।
উদাহরণ সমূহ
বর্তমানে শেয়ারিং ইকোনমি মডেলের ব্যবহার অনেক বেশি বিস্তৃত। বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং এবং গাড়ি (Car) শেয়ারিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যেমন, উবার (Uber), লিফট (Lyft), ট্যুরো (Turo), পাঠাও (Pathao), জিপকার (ZipCar), গেট এরাউন্ড (GetAround) এই শেয়ারিং ইকোনমি মডেলের অত্যন্ত সুন্দর এবং সফল ব্যবহার করে আসছে।
এছাড়াও রিসেলিং এবং ট্রেডিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইবেই (eBay), কিডিজেন (KidiZen), ক্রেইগসলিস্ট (Craigslists), ক্রাউডফান্ডিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কিকস্টারটার (Kickstarter), এপার্টমেন্ট বা হাউস রেন্টিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হোম এক্সচেঞ্জ (HomeExchange), এয়ার বিএনবি (Airbnb) সহ অনেক সফল ও নামকরা প্রতিষ্ঠান এই মডেলের সফল প্রয়োগ করে আসছে।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক উদেমি (Udemy) এবং পার্কেক্স (parqEx) এর মতো বহুল জনপ্রিয় এবং সমাদৃত প্রতিষ্ঠান দুটি কিভাবে এই মডেলের সফল প্রয়োগ করে আসছেঃ
উডেমি (Udemy)
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শিক্ষা ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস উডেমি (Udemy) শেয়ারিং ইকোনমি মডেলের পুরোদস্তুর ব্যবহার করে আসছে। উডেমি এমন এক ধরনের মার্কেটপ্লেস যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্তের বিভিন্ন মানুষজন তাঁদের জ্ঞান এবং দক্ষতার ক্ষেত্র অনুযায়ী বিভিন্ন কোর্স তৈরী করে। এবং বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের যে কোনো ব্যক্তি তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কোর্স ক্রয় করে ঘরে বসে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মে মোট নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাড়িয়েছে চার কোটিতে। এবং শিক্ষকের সংখ্যা দাড়িয়েছে সত্তর হাজারের মতো। আর মোট কোর্সের সংখ্যা এক লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার এর মতো।
প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, লিডারশীপ, ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে গিটার বাজানো, ছবি আঁকা, যোগব্যায়াম এর মতো বিষয়াদির উপরও কোর্স এর সন্ধান মেলে উদেমিতে। এই প্ল্যাটফর্মটিতে বিনামূল্যে কিছু কোর্স পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ কোর্স গুলোই পেইড।
এখানে মূলত শিক্ষক বা ইন্সট্রাক্টররা নিজের দক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়ে পছন্দসই কাজটিই করতে পারে। আর তাছাড়া এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে খুব সহজেই পৌছাতে পারে তাঁরা। ফলে আয়ের পথটাও বেশ মসৃণ হয়। এ সব বিষয় বিবেচনায় তাঁরা তাদের দক্ষতার ক্ষেত্র অনুযায়ী বিভিন্ন কোর্স তৈরী করে উদেমি তে সেল করতে বেশি আগ্রহী হয়।
আর কোর্স গ্রহণকারী বা শিক্ষার্থীরা মূলত প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর খুব সহজেই কোর্স গুলো পায়। তম্মধ্যে তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী কোর্স ক্রয় করতে পারে। তাই তারা খুব বেশি আকৃষ্ট হয় এই প্ল্যাটফর্মটিতে। মূলত এই দুই ধরনের কোর্স সেলার এবং বায়ারের মধ্যে সংযোগ করে দেয় উদেমি। বিনিময়ে ঐ কোর্স গুলো বিক্রয়ের মাধ্যমে শিক্ষকের পাওয়া অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ পায় উদেমি। এভাবেই মূলয় শেয়ারিং ইকোনমি মডেলের ব্যবহার করে উডেমি।
উবার (Uber)
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল এর সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার করছে উবার। ২০০৯ সালে উবার ক্যাব (Uber Cab) নামে যাত্রা শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটির সেবা বর্তমানে ৬৩ টি দেশের ৭৮৫ টি শহর জুড়ে বিস্তৃত।
মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক এই ট্যাক্সি সেবা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান উবার। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি যে, এই বৃহৎ ট্যাক্সি সেবা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোনো গাড়িই নেই। তবে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি আয় কিংবা পরিচালিত হয় কিভাবে। কিন্তু আরও চমকপ্রদ হওয়ার বিষয় এটা যে, শেয়ারিং ইকোনমি মডেলের সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালেই আয় করে নিয়েছে ১১.২৭ ইউএস ডলার।
এখানে উবার মূলত রাইডারের সাথে ড্রাইভারের সংযোগ করে দেয়। আর এই উবার এর ড্রাইভারের সংখ্যাই প্রায় ৩ কোটির মতো এবং রাইডারের সংখ্যা ৭ কোটি ৫০ লক্ষ। অর্থাৎ একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ উবার এর সেবা প্রদান কাজে নিয়োজিত। এবং গ্রাহকের সংখ্যাটাও নেহাতই কম নয়।
রাইডশেয়ারিং মোবাইল অ্যাপ উবার মূলত নিমিষেই একটি অ্যাপ এর মাধ্যমে রাইডার আর ড্রাইভারের সংযোগ করে দেয়। ফলে যেমন রাইডার কে ড্রাইভার খুঁজে পাওয়ার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাহ। তেমনি ড্রাইভার এরও সময় সাশ্রয় হচ্ছে, সহজেই রাইডার পেয়ে যাচ্ছে।
তাছাড়া ট্র্যাডিশনাল ট্যাক্সি ক্যাবের চেয়ে উবার অনেক বেশি সাশ্রয়ী। যা রাইডার কে খুব বেশি আকৃষ্ট করে। এবং ড্রাইভাররাও নিজের রাজি-খুশি মতো ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে ট্রিপ দিতে পারে। মূলত নিজের ব্যবহ্রত ট্যাক্সি বা গাড়িটির মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আয়ের মসৃণ পথ থাকার কারণে, উবার এ ট্রিপ দিতে আগ্রহী হয় ড্রাইভাররা।
মূলত রাইডার কতৃক ড্রাইভারের ট্রিপ বাবদ প্রদত্ত অর্থের নির্দিষ্ট একটি অংশ উবার নিয়ে থাকে। এবং বাকি অংশ পায় ড্রাইভার। এভাবেই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল এর সফল প্রয়োগ করে আসছে উবার।
পার্কেক্স (parqEx)
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত স্মার্ট পার্কিং প্ল্যাটফর্ম পার্কেক্স ও শেয়ারিং ইকোনমি মডেলের সফল প্রয়োগ করে আসছে। পার্কেক্স প্রধানত কোনো নির্দিষ্ট এলাকার বিভিন্ন পার্কিং স্থান (Spaces) এর তালিকা তৈরী করে। অতঃপর বিভিন্ন গাড়ি চালকদের কে এইসব পার্কিং স্পেস এর মালিকদের সাথে সংযোগ করে দিয়ে গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা করে দেয়।
মূলত ব্যস্ত শহর গুলোয় পার্কিং খুব দূর্লভ একটি ব্যাপার। অর্থাৎ নগরায়ন দ্রুত হওয়ায় জায়গার পরিমাণ ও সীমিত হয়ে গেছে। যার প্রভাব পার্কিং এর ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে। তাই অনেক ক্ষেত্রে গাড়ির ড্রাইভার কিংবা মালিককে পার্কিং নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়।
আবার বিপরীতে অনেকের পার্কিং স্পেস থাকলেও তা বেশিরভাগ সময়েই খালি পড়ে থাকে কিংবা অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে। মূলত এই দুই ধরনের মানুষকে একসাথে সংযোগ করেছে পার্কেক্স।
পার্কেক্স মূলত একটি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছে। মূলত শিকাগো (Chicago) শহর কে কেন্দ্র করে এই সেবাটি দিয়ে আসছে পার্কেক্স।
পার্কেক্স এক্ষেত্রে পার্ক মালিকদের অপারেটিং ব্যয় অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি খালি বা অব্যবহ্রত জায়গা গুলো কে ব্যবহারের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ করে দেয়। এবং গাড়ির চালক দের কে পার্কিং নিয়ে ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচায়। অনেক ক্ষেত্রে পার্কিং ব্যয় স্বাভাবিকের তুলনায় কম মূল্যে হয়।
এক্ষেত্রে এই ড্রাইভার এবং পার্ক মালিকদের মাঝে সংযোগ করিয়ে দিয়ে আয় করে থাকে পার্কেক্স। এভাবেই শেয়ারিং ইকোনমি মডেল কে প্রযুক্তির সহায়তায় অনন্য রূপ দিয়ে ব্যবহার করছে পার্কেক্স।
- https://en.wikipedia.org/wiki/Sharing_economy https://businessca.net/what-are-the-advantages-or-disadvantages-of-sharing-economy
- https://www.moneycrashers.com/sharing-economy/
- https://medium.com/keycafe/the-history-of-the-sharing-economy-b139e55cdf47
- https://www.smf.org.uk/what-are-pros-and-cons-of-the-sharing-economy/
- http://www.parqex.com/wants-sharing-economy/ https://venturebeat.com/2014/11/10/sharing-economy-series-how-udemy-ramped-up-without-paid-advertising/
Next to read
মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট (Minimum Viable Product)


বেইট এন্ড হুক মডেল (Bait & Hook Model)

সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ

CSR বা Corporate Social Responsibility কী?

অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)

বিক্রয় বৃদ্ধি করার ৬টি নীতি

MTNUT কাটিয়ে কিভাবে একটি সেলস ডিল ক্লোজ করবেন?

ব্র্যান্ড আর্কিটেকচার কী? সংজ্ঞা, মডেল এবং উদাহরণ
