হর্ষদ মেহেতা স্ক্যাম (1992 Indian Stock Market Scam)

ভারতীয় শেয়ার বাজারের কেলেঙ্কারি নিয়ে যতবার কথা উঠবে , হর্ষদ মেহেতার নাম নিতেই হবে। মৃত্যুর দুই দশক পরেও কেন তার নামের চর্চা হয়? কি এমন করেছিলেন হর্ষদ মেহেতা? যার জন্য তাকে শেয়ার বাজারের অমিতাভ বাচ্চানও বলা হতো! জেনে অবাক হবেন মেহেতার এই প্রভাবের উপর ভিত্তি করে একটি সিরিজ নির্মিত হয় ‘স্ক্যাম ১৯৯২ : দ্যা হর্ষদ মেহেতা স্ক্যাম’। হানসাল মেহেতা পরিচালিত সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ যা সর্বস্তরের জনগণের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে। Applause Entertainment-এর 'Scam 1992: The Harshad Mehta Story' সারা বিশ্ব থেকে সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
Key Points
- হর্ষদ মেহেতা যে দক্ষতার সাথে ভারতীয় শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করতেন, তার জন্য শেয়ার বাজারের অমিতাভ বাচ্চানও বলা হতো।
- তার ‘গ্রো মোর রিসার্চ’ এবং ‘অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট’ ফার্মের সাথে অনেকগুলি অদ্ভুত চুক্তির পরে তাকে 'বিগ বুল' বলা হয়।
- হর্ষদ মেহতাকে প্রায় ৭৪ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
- হর্ষদ মেহেতা প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওকে ১ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ তুলেন।
হর্ষদ মেহেতা কে?
হর্ষদ মেহতা স্ক্যাম ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক এবং শেয়ার বাজার স্ক্যামার। অনেক ধনী ব্যক্তি এই কেলেঙ্কারিতে প্রতারণার শিকার হয়, এবং কেউ কেউ এ কারসাজির ফলে আত্মহত্যা ও করেছে। আবার অনেকে ব্যাংক লোকসান ও দেউলিয়াত্বের শিকার হয়েছে। শেয়ার এবং আর্থিক বাজার কেলেঙ্কারিতে ব্যাপারে হর্ষদ মেহেতা ছিলেন একজন স্মার্ট এবং জ্ঞানী মানুষ। ১৯৯১-১৯৯২ সালের প্রথম দিকে, তিনি শেয়ার এবং আর্থিক বাজারে তার দক্ষতার জন্য ভারতে সুপরিচিত ছিলেন।
হর্ষদ শান্তিলাল মেহতা মধ্যবিত্ত গুজরাটি জৈন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একটি ছোট টেক্সটাইল কোম্পানি চালাতেন। তিনি ২৯ জুলাই, ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
তার ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য তার বাবা-মা বোম্বেতে চলে আসেন। তিনি ১৯৭৬ সালে বোম্বের লালা লাজপাত্রাই কলেজ থেকে তার বি.কম ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং প্রায় 8 বছর ধরে বিভিন্ন বিচিত্র চাকরিতে কাজ করেন। ১৯৮২ সালে তার কাছে কোন টাকাই ছিল না।
তিনি একবার একটি বীমা কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। শেয়ারবাজারে যুক্ত হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল তার। তিনি তার সমস্ত চাকরী ছেড়ে দেন এবং শেয়ার মার্কেট পড়ার জন্য একটি দালালের অধীনে চাকরি পান।
হর্ষদ মেহতা থানে জেলে বিচার চলাকালীন ৩১ ডিসেম্বর, ২০০২-এ হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
তার ১৫ থেকে ২০ টির মতো গাড়ি ছিল, যার মধ্যে কয়েকটি অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল, যেমন লেক্সাস এলএস ৪০০। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি কিনা তখনকার গাড়িটির মালিক ছিলেন। আরো অবাক করার মতো তথ্য হলো তার ব্যাংক একাউন্ট এ প্রায় ৩৫৪২ কোটি টাকা এবং একটি বিলাসবহুল বাড়ি ছিল।
হর্ষদ মেহেতা স্ক্যামের বর্ণনা
১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে, ভারতের ব্যাংকগুলি শেয়ার বাজারে ব্যবসা করার দিকে ঝুঁকে পড়ে। । হর্ষদ মেহেতা এই সু্যোগকেই কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্কের মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে তার ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ফান্ড স্থানান্তর করা শুরু করে। আর বিনিময়ে আরও বেশি সুদের প্রস্তাব দেয়। এমনকি ব্যাংকগুলো তার নামে জাল আর্থিক রশিদও তৈরি করে দিত।
জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে নগদ প্রাপ্তির পর, তিনি শেয়ার কেনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যবহার করতেন, যার ফলে সেই শেয়ারের দাম বেড়ে যেতো। ফলে, অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা সেই নির্দিষ্ট শেয়ার কিনতে বাধ্য হত, আর সেই শেয়ারের দাম দ্রুত বৃদ্ধি পেত। অন্যদিকে তিনি তখন গোপনে তার শেয়ার বিক্রি করে বড় মুনাফা পেতে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯১ সালে, হর্ষদ অ্যাসোসিয়েটেড সিমেন্ট কোম্পানির শেয়ারগুলিতে বিনিয়োগ করা শুরু করে এবং তাদের মূল্য বৃদ্ধি করে। ২০০ থেকে তিন মাসেরও কম সময়ে ৯০০০ রুপি তে নিয়ে আসে ।
অনেক লোক হর্ষদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার বিষয়ে সন্দেহ করেছিল, কিন্তু সাংবাদিক সুচেতা দালালই প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং হর্ষদ মেহেতার রাতারাতি ধনী হওয়ার কারণ খুঁজে বের করেছেন। অবশেষে ২৩ এপ্রিল, ১৯৯২ সালে টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় আর্টিকেল প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে হর্ষদ মেহতা কেলেঙ্কারীর অবসান হয়। সুচেতা দালাল শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য মেহতার প্রতারণামূলক কৌশলগুলি বেশ স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছিলেন।
পরবর্তীতে হর্ষদ মেহতা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রুপিতে স্ক্যাম করেছেন। প্রায়, ৫ বিলিয়নের একটি SGL রসিদ তৈরি করেছিলেন। এর পর থেকে পুলিশ হর্ষদকে খুঁজতে থাকে। ফেব্রুয়ারী ২৮, ১৯৯২ ট্যাক্স প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টিগেশন পরিচালনা করে। এমনকি আরবিআই জানকিরামন নামে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার মাধ্যমে তাকে দোষী সাব্যস্ত করাও হয়েছিল এবং ৪টি ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৯২ সালের নভেম্বরে হর্ষদ মেহেতা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন দ্বারা আইনের আওতায় আনা হয়। হর্ষদ মেহেতার এই কেলেঙ্কারির ফলে ভারতের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
১৯৯৫ সালের সিকিউরিটিজ আইন সংশোধনী আইন অনুযায়ী তিন মাস কারাগারে থাকার পর, হর্ষদ এবং তার ভাইদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। কয়েক সপ্তাহ পরে, তিনি এবং তার আইনজীবী রাম জেঠমালানি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে তিনি কংগ্রেসে জড়িত থাকার জন্য টাকা দিয়েছেন। এর পরে তিনি বহুবার 'নতুন যুগের স্টক মার্কেট বিশেষজ্ঞ’ হিসাবে ফিরে আসেন। ১৯৯৭ সাল নাগাদ মেহেতা তার নিজস্ব সাইট এবং সংবাদপত্রের কলামে পাঠকদের কোন স্টকগুলি ক্রয় এবং বিক্রি করতে হবে তার পরামর্শ দেয়া শুরু করেন।
হর্ষদ মেহতা স্ক্যাম হাইলাইটস
কখনো ভেবেছেন কেন মৃত্যুর দুইদশক পরেও একটা ব্যক্তির কুকীর্তি নিয়ে মানুষ এখনও আলোচনা? তাহলে কতটা প্রভাব ফেলেছিল এই হর্ষদ মেহেতা স্ক্যাম। পুরো ভারতীয় শেয়ার বাজারের মান ও গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
হর্ষদ মেহতার প্রথম স্ক্যাম
হর্ষদ মেহতা তার কাজের মাধ্যমে শেয়ার বাজার এবং কৌশল সম্পর্কে শিখেছিলেন। সে এগুলো তার নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিখেছে, বই বা ইন্টারনেট থেকে নয়। তিনি যথেষ্ট বুদ্ধিমান মানুষ,ফলে অল্প সময়ের মধ্যে শেয়ার বাজার সম্পর্কে সব আয়ত্ত করতে পেরেছিলেন। তিনি শেয়ারবাজারের উত্থান-পতন কীভাবে হয় সে বিষয়ে তিনি ভালোভাবে আয়ত্ত করে নেন।
১৯৮৬ সালে, তিনি তার নিজস্ব ব্রোকারেজ ফার্ম, 'গ্রো মোর রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট' প্রতিষ্ঠা করেন। স্টক মার্কেটে কোথায় বিনিয়োগ বা শেয়ার কেনার বিষয়ে পরামর্শের জন্য গ্রাহকরা তার কাছে যেতে শুরু করে। তিনি এমন কিছু নোংরা ফার্ম বেছে নেন যেগুলো কোনো কাজে আসে না, যেখানে ওই কোম্পানিগুলোর কোনো ঠিকানাও নেই বা কোনো কোম্পানির অস্তিত্ব নেই।
তাকে "দালাল রাস্তার রেড বুল" এবং সেইসাথে "ভারতীয় স্টক মার্কেটের অমিতাভ বচ্চন" ডাকনাম দেওয়া হয়েছিল। শেয়ারহোল্ডাররা তার দেওয়া তথ্য দুবার চেক করতে অস্বীকার করে ভুল করেছেন।
এই শেয়ার বাজার মূল্য বাড়ানোর জন্য নিযুক্ত কৌশলটি ছিল এই ধরনের কোম্পানিগুলিকে লাভজনক কোম্পানি হিসাবে দেখানো হত, যা সেই শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুবিধা তৈরি করত।
পরবর্তীতে, স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য তার আরোও অর্থের প্রয়োজন হয়, কিন্তু এখান থেকে তিনি যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতে পারেন নি।
হর্ষদ মেহেতার ২য় স্ক্যাম
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে, হর্ষদ মেহতা আর্থিক বাজারে ব্যাঙ্কের দালাল হিসাবে কাজ করার পথ বেছে নেন। তিনি কয়েকজনকে দালাল হিসেবে উপস্থাপন করে ব্যাংকগুলোকে ফাঁকি দিয়েছেন।
একইভাবে, তিনি জাল ব্যাঙ্কের রসিদগুলি ব্যবহার করে ন্যাশনাল হাউজিং ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ইউকো ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন সুপরিচিত ব্যাঙ্ক থেকে বেআইনি তহবিল ট্রিগার করেছিলেন এবং টাকা পেয়েছিলেন।
তিনি যথাযথভাবে ব্যাঙ্কগুলিতে এই ধরনের ফান্ড জমা দেওয়া শুরু করেছিলেন এবং তারপরে তিনি কোনও ব্যাঙ্ক জামানত ছাড়াই তাঁর অ্যাকাউন্টে তহবিল জমা দিয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যাঙ্কগুলিকে কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত করেন। এই প্রতারণামূলক পরিকল্পনার ফলে তিনি কোটি কোটি অর্থ উপার্জন করতে পেরেছিলেন যা পরবর্তীতে ছোট ব্যবসায় বিনিয়োগ করতেন।
যখন হর্ষদ মেহেতা এ তহবিল খরচ করার পরামর্শ দেয়,তখন থেকেই সবাই তার আচরণের কথা নোট করতে শুরু করে, বিশেষ করে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাংবাদিক সুচেতা দালাল । যখন সে হর্ষদের সমস্ত প্রতারণার কথা জানল, তখন সে তার কার্যকলাপের ফাঁস করে দিতে লাগল।
স্ক্যাম ১৯৯২: দ্য হর্ষদ মেহতা স্টোরি
করোনার মধ্যে গৃহবন্দী অবস্থায় সিনেমাপ্রেমীদের একটা বড় অংশ ওটিটি প্লাটফর্মের ওয়েব সিরিজের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ২০২০ সালে দর্শকমহলে তুমুল সাড়া জাগানো এমনই একটি সিরিজ হচ্ছে "স্ক্যাম ১৯৯২: দ্য হর্ষদ মেহতা স্টোরি"। গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আর্থিক কেলেঙ্কারিগুলির একটি। ১৯৯২ সালের ভারতীয় স্টক মার্কেটের কেলেঙ্কারির সব অকল্পনীয় ঘটনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে গল্পের প্লট৷
সাংবাদিক সুচেতা দালাল এবং দেবাশীষ বসুর রচিত ‘The scam: Who won, who lost, who got away’ এর অবলম্বনে হংসল মেহেতা দ্বারা পরিচালিত হয় সিরিজটি।
গল্পটি ভারতের বৃহত্তম আর্থিক কেলেঙ্কারির কেন্দ্রবিন্দু স্টক ব্রোকার ,হর্ষদ মেহতার জীবন এবং কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে প্লট করা হয় । হর্ষদ মেহতা স্টক মার্কেট ম্যানিপুলেট করার জন্য এবং নির্দিষ্ট স্টকের দাম বাড়াতে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করেছিলেন, যার ফলস্বরূপ একটি বিশাল আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছিল, যা ভারতীয় আর্থিক বিশ্বে বড় প্রভাব ফেলেছিল।
সিরিজটি হর্ষদ মেহতার উত্থান এবং পতন এবং কীভাবে তিনি স্টক মার্কেটে কারসাজি করেছিলেন, কেলেঙ্কারীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের জড়িত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে পরবর্তী তদন্ত এবং আইনী পদক্ষেপগুলি কভার করেছে। তাছাড়া সিরিজটি ভারতীয় আর্থিক ব্যবস্থা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর ত্রুটিগুলির উপরও হাইলাইট করেছে।
হর্ষদ মেহেতা স্ক্যামের শিক্ষা
হর্ষদ মেহতা কেলেঙ্কারি ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলি উন্মোচিত করেছে। অর্থ ব্যবস্থার যে নতুন সংস্কার প্রয়োজন তা সকলের নজরে আসে। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে স্টক মার্কেটে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। হর্ষদ মেহেতার এই কেলেঙ্কারীটি স্টক মার্কেটের কারসাজি সনাক্ত এবং তা প্রতিরোধ করার জন্য একটি শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণা পরিচালনা এবং বিনিয়োগ করার সময় সতর্ক থাকার উপরও জোর দিয়েছে।
শেষকথা
২০১৯ সালের মূল্যের হিসাবে, হর্ষদ মেহতা স্ক্যামে প্রায় ৩৫৭৫ কোটি রুপি পাচার হয়েছে। আর ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে প্রায় ২৫০ বিলিয়ন! প্রতারণার শিকার হওয়া বিনিয়োগকারী রা হারিয়েছে সারাজীবনের সঞ্চিত সম্পদ। আত্মহত্যার ঘটনাও বাদ যায়নি। এত বড় প্রতারণা খুঁজে বের করতেও সময় লেগেছে কয়েকবছর। পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি হারানো সম্পদ। ১৯৯৫ সালেই জামিন পেয়ে যায় এই প্রতারক।
Harshad Mehta scam এর পুরো ঘটনাটাই সিস্টেমের অসচেতনতার একটা বড় উদাহরণ। ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান গুলোর দূর্বল সিকিউরিটি, মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব ই তৈরি করে হর্ষদ মেহতাদের। তাই এই প্রতারণা রুখতে হলে সিকিউরিটি ও সচেতনতা উভয়ই জোরদার করা প্রয়োজন।
- https://thelawcommunicants.com/harshad-mehta-offences/
- https://en.m.wikipedia.org/wiki/Harshad_Mehta
- https://m.imdb.com/title/tt12392504/
Next to read
মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট (Minimum Viable Product)


লিন ক্যানভাস মডেল (Lean Canvas Model)

কাস্টমার ডাটা মনেটাইজেশন মডেল (Customer Data Monetization Model)

সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)

বি-টু-বি, বি-টু-সি এবং বি-টু-জি কি? (B-to-B, B-to-C, B-to-G)

অর্থনীতি কী?

ব্যবসায়কি আইন কি? উদাহরণ সহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়কি আইন

অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)

পঞ্জি স্কিম সংজ্ঞা এবং উদাহরণ
