সুনীল অর্থনীতি বা Blue Economy কী ?

সুনীল অর্থনীতি বা Blue Economy অর্থনীতির এমন একটি বিষয় যেখানে একটি দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ কিংবা সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে আলোচনা করা হয়। সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানোর অর্থনীতিকেই সুনীল অর্থনীতি বা Blue Economy বলা হয়। অর্থাৎ ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। অর্থাৎ সমুদ্র থেকে আহরণকৃত যেকোনো সম্পদ যা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখে বা যুক্ত হয়, তাই ব্লু-ইকোনমির পর্যায়ে পড়বে।
Key Points
- সমুদ্রকে ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রমই ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি।
- কেবল সমুদ্রের নিচের অর্থনৈতিক কার্যক্রম নয়, সমুদ্রনির্ভর যে কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই সুনীল অর্থনীতির আওতায় পড়ে।
- ব্লু ইকোনমির বিশেষ অনুষঙ্গ মৎস্য, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ আহরণ।
- পৃথিবীর সব দেশেই ব্লু ইকোনমি কে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এবং এর থেকে অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে।
- ব্লু ইকোনমি নিয়ে সঠিক ভাবে কাজ করলে বাংলাদেশের জিডিপি ৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সুনীল অর্থনীতি বা Blue Economy
আমরা যে রেস্টুরেন্ট গুলোতে অক্টোপাস, চিংড়ি সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার খেয়ে থাকি এটিও কিন্তু ব্লু ইকোনমির অংশ। এই সব সামুদ্রিক মাছ জেলেরা সমুদ্রে থেকে ধোরে বাজারে বিক্রি করে, সেখান থেকে কয়েক হাত ঘুরে রেস্টুরেন্ট গুলোতে আসে। এর মাধ্যমে জেলে, মধ্যস্থতাকারী, রেষ্টুরেন্ট মালিকগুলো অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হয়, ফলশ্রুতিতে জাতীয় অর্থনীতিও লাভবান হয়। উপরের ঘটনাটি শুধু সুনীল অর্থনীতি সহজে বুঝানোর জন্য বলা হলো। কিন্তু সুনীল অর্থনীতির আকার, কার্যক্রম, সম্ভাবনা এর থেকেও অনেক অনেক বড়।
সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। সমুদ্র, মাছ এবং মৎস্য সম্পদের মাধ্যমে খাবার চাহিদা মেটায়, মানুষ এবং পন্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সমুদ্র নানা ধরনের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ যেমন বালি, লবণ, কবাল্ট, গ্রাভেল, এবং কপার ইত্যাদির আধার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং তেল ও গ্যাস আহরণের ক্ষেত্র হিসেবেও সমুদ্র অনেক প্রয়োজনীয়। সুনীল অর্থনীতির এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করা, সামাজিক পুঁজির সৃষ্টি করা, দেশের জিডিপিতে অবদান রাখা, সার্বিক আয় বাড়ানো এবং সর্বোপরি পরিবেশে সঞ্চয়-বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।
সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে বেলজিয়ামের অধ্যাপক গুন্টার পাউলি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব মডেল হিসেবে সুনীল অর্থনীতির ধারণা দেন।
সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। বিশ্বব্যাপী সমুদ্র ঘিরে তিন থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সমুদ্র সম্পদ নানাভাবে অবদান রাখছে। বিশ্বের ৪৩০ কোটি মানুষের ১৫ ভাগ প্রোটিনের জোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ ও প্রাণী। তাছাড়া সমুদ্রতলের গ্যাস ও তেলক্ষেত্র থেকে পৃথিবীর ৩০ ভাগ গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ হচ্ছে।
ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ইতিহাস!
আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার বেশি সমুদ্র এলাকা এখন বাংলাদেশের। এছাড়া ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৪৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহিসোপানের তলদেশে সবধরনের প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার। মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রে বিরোধপূর্ণ ১৭টি ব্লকের ১২টি পেয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতের কাছ থেকে দাবিকৃত ১০টি ব্লকের সবগুলোই পেয়েছে বাংলাদেশ। এসব ব্লক থেকে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব। ২ বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল প্রদত্ত এ রায় দুটি বাংলাদেশের জন্য "সমুদ্র বিজয়" নামে আখ্যায়িত হয়েছে।
বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১২০ কিমি. দৈর্ঘ্যের অবিচ্ছিন্ন বালুময় সমুদ্রসৈকত রয়েছে। ব্লু-ইকোনমির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এর মধ্যেই পাইলট কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ, ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি মাছ, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া, ৩৩৬ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক এবং বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ও জৈব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক জেলে প্রায় ৭০ হাজার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযানের সহায়তায় জীবিকা নির্বাহের সঙ্গে সঙ্গে মৎস্য উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রয়েছে ৪টি মৎস্যকেন্দ্র।
সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা!
বিশ্ব অর্থনীতিতে সমুদ্র সম্পদ নানাভাবে অবদান রাখছে। বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তেল ও গ্যাস রফতানিকারক দেশগুলো ২০৫৫ সালের পর তেল এবং ২০৬৫ সালের পরে গ্যাস রফতানি করবে না। এক্ষেত্রে দেশের বিপুল সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে জ্বালানি নিরাপত্তা পাওয়া সম্ভব হবে। বঙ্গোপসাগর হতে প্রতিবছর ৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন মাছ ধরা সম্ভব হলেও আমরা মাত্র ০.৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ ধরতে পারছি। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে মাছ আহরণ বাড়বে।
তাছাড়া গভীর সমুদ্রে প্রচুর টুনা জাতীয় মাছের প্রাচুর্য রয়েছে।
মৎস্যসম্পদ ছাড়াও সামুদ্রিক প্রাণী, সামুদ্রিক আগাছা, লতা-গুল্মতেও ভরপুর বঙ্গোপসাগর। এসব আগাছা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করা যায়। স্পিরুলিনা নামক আগাছা চীন, জাপান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানুষ খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
সামুদ্রিক বিভিন্ন মৎস্য থেকে কসমেটিক, পুষ্টি, খাদ্য ও ওষুধ পাওয়া যায়। মেরিন জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যমান মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। বিশ্ববাণিজ্যের ৯০ ভাগই সম্পন্ন হয় সামুদ্রিক পরিবহনের মাধ্যমে । এই সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য উন্নতমানের বাণিজ্য জাহাজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। তাই স্থানীয় জাহাজ নির্মাণ কোম্পানিগুলোকে সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক জাহাজ নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করা দরকার।
দেশে প্রতিবছর ১৫ লাখ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানো হয়। বিশাল সমুদ্র এলাকায় উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার করলে লবণ বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। বঙ্গোপসাগরে আরও অনেক মূল্যবান ও ভারি খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে রয়েছে ইলমেনাইট, টাইটেনিয়াম অক্সাইড, রুটাইল, জিরকন, গার্নেট, ম্যাগনেটাইট, কোবাল্ট ও মোনাজাইটসহ অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ।
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ ছাড়াও বিদেশীরা আসে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। তাই ক্রুজশিপ এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারলে বিশাল এই সমুদ্র সীমার মাধ্যমে পর্যটন আয় বাড়ানো সম্ভব হবে বহুগুণ। বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ ভাগ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে সম্পদে রূপান্তর করার মাধ্যমে আমাদের অব্যবহৃত সম্পদ কাজে লাগানো প্রয়োজন। ব্লু ইকোনমির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বেকারত্ব কমবে।
সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ সমূহ!
ব্লু-ইকোনমি উন্নয়নে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, হলো পর্যাপ্ত নীতিমালার ও সঠিক কর্মপরিকল্পনার অভাব, দক্ষ জনশক্তির অভাব, প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, সম্পদের পরিমাণ ও মূল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাব, মেরিন রিসোর্সভিত্তিক পর্যাপ্ত গবেষণা না হওয়া, ব্লু ইকোনমি সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক যোগাযোগের অভাব ও সমুদ্রে গমন এবং গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য গবেষণা জাহাজ না থাকা। আগামী এক দশকের মধ্যে বিশ্বের কোবাল্ট, কপার, জিঙ্ক এবং ধাতুসমূহের উৎপাদনের ১০ ভাগ আসবে সমুদ্র থেকে। এ সকল মূল্যবান খনিজধাতু চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ এখনও যথোপযুক্ত গবেষণা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি।
বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির চ্যালেঞ্জের মোকাবেলার উপায় এবং সরকারের পদক্ষেপ!
সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে মানুষের জ্ঞান খুব স্বল্প। তাই এই বিষয় পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি। শিশুকাল থেকেই জানা প্রয়োজন সমুদ্র দিয়ে আমরা কতভাবে উপকৃত হই। এই বিষয়ে কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ দরকার। দেশে ৩০০টি শিপইয়ার্ড ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে বর্তমানে ছোট ও মধ্যম আকারের জাহাজ রফতানি করা হচ্ছে। রফতানি আয় বাড়ানোর জন্যও বড় জাহাজ তৈরির সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়াও সমুদ্রের অফসোর অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় উইন্ড মিল স্থাপন করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি পাওয়া যেতে পারে। আমাদের বিস্তীর্ণ সমুদ্রের ওয়েভ এবং জোয়ার-ভাটাকে ব্যবহার করে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়ানোর উপায় বের করা প্রয়োজন।
সরকার বঙ্গোপসাগরের অপার সম্ভাবনা ও সম্পদ চিহ্নিতকরণ, পরিমাণ নির্ধারণ ও জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথাযথভাবে ব্যবহারসহ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও দূষণ ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণার জন্য "বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট" প্রতিষ্ঠা করেছে। যার ফলে দেশি ও বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সহযোগিতা ও গবেষণা পরিচালনের মাধ্যমে যেমন এই প্রতিষ্ঠানের দক্ষ জনবল তৈরি হবে, তেমনি দক্ষিণ এশীয় সমুদ্র অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অংশ আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থনীতির অংশ হিসেবে অর্জন করতে পারব। সমুদ্র অর্থনীতিতে আরো বেশি সু-শৃঙ্খল করার জন্য সরকার ২০১৭ সালে খনিজ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্লু ইকোনমি সেল এবং ২০১৯ সালে মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট গঠন করে।
ব্লু ইকোনমি উন্নয়নে নানা মাত্রিক পরিকল্পনা নিয়েছে বিওআরআই (বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট)। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা গুলো হচ্ছে পটেনশিয়াল ফিশিং জোন চিহ্নিতকরণ, সমুদ্র পর্যবেক্ষণ এবং রিয়েলটাইম ডাটা সিস্টেম চালুকরণ, বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি সম্পর্কিত বেজ লাইন ডাটা নির্ধারণ, একোয়া কালচার করা, সমুদ্র তীরবর্তী দূষণ রোধ, কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি সম্পর্কিত বেজ লাইন ডাটা সমৃদ্ধকরণ। সমুদ্র বিষয়ে দক্ষ জনবল তৈরিসহ সমুদ্র বিষয়ে সচেতনতামূলক এরকম আরও কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের একমাত্র সমুদ্রবিদ্যা গবেষণা জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিওআরআই ২০১৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে যা দেশের সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মাইলফলক অর্জন করবে বলে আশা করা যায়।
উপসংহার
সমগ্র বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতির দাপট। এই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সমুদ্র অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এদেশে যেমন রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা, তেমনি সম্পদে ভরা আমাদের এই দেশ। শুধু প্রয়োজন পর্যাপ্ত নীতিমালা ও সঠিক কর্মপরিকল্পনা। জনগণকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে শুরু করেছি।
তাই প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্প্রসারণ প্রয়োজন। সমুদ্রে গমন এবং গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য আলাদাভাবে গবেষণামূলক জাহাজ তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে সম্পদের পরিমাণ এবং মূল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া গ্যাসসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ উত্তোলন, মৎস্যসম্পদ আহরণ, বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি বছর আড়াই লাখ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির মাধ্যমে।
- https://en.wikipedia.org/wiki/Blue_economy
- https://www.worldbank.org/en/news/infographic/2017/06/06/blue-economy
- https://bsmrmu.edu.bd/public/files/econtents/63e209dc456f53-Emerging%20Blue%20Economy%20for%20Bangladesh%20Opportunities%20.pdf
Next to read
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)


লিন ক্যানভাস মডেল (Lean Canvas Model)

মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)

সারোগেট মার্কেটিং (SURROGATE MARKETING)

ব্রান্ডিং (Branding)

‘SWOT’ Analysis

সেলস টার্গেট অর্জনের জন্য ১০টি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ টিপস

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল

স্টার্টাপ এর জন্য অ্যাকাউন্টিং (Accounting for Startup)
