বীমা কী? বীমার প্রকারভেদ সহ বিস্তারিত

165
article image

দূর্ঘটনাবিহীন জীবন কল্পনা করা নিতান্তই অমূলক। তাই এই দূর্ঘটনার রেশ কিছুটা বা অনেকটা কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে বীমার ভূমিকা প্রশংসনীয়। মানুষের একার পক্ষে সকল দায় গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাই বীমা করার মাধ্যমে ঝুঁকির দায় বীমাপ্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করে অনেকটাই দায়মুক্তি সম্ভব। এছাড়াও প্রকারভেদে বীমা নানা রকম দায়, সুবিধা এবং সুযোগ প্রদান করে থাকে যা একজন মানুষের সহজ, সরল এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠছে দিন দিন। তাই বীমার মাধ্যমে নিরাপদ, নিশ্চিন্ত এবং অনাবিল জীবন উপভোগ এখন সময়ের দাবী। তবে বীমা করার পূর্বে শর্তাবলী, ঝুঁকি এবং দায়িত্বকর্তব্য জেনে বুঝে নেয়া গ্রাহকের জন্য খুবই জরুরি। অন্যথায়, বীমা গ্রাহকের জন্য কল্যাণকর নাও হতে পারে।

Key Points

  • বীমা শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে।
  • বীমায় মুদ্রাস্ফীতির সঙ্কা রয়েছে। তাই ভেবেচিন্তে বীমা করা বুদ্ধিমানের কাজ।
  • বীমা থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় কিছুটা প্রমাণ সাপেক্ষ তাই আপনার বিস্তারিত জেনে বুঝে বীমা করা একান্ত কর্তব্য।
  • সরকারি, বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানেই বীমা করা যায়। তবে কোথায় বীমা করবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।
  • বীমা দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। তাই আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা মিলিয়ে নিন।

বীমা কী?

বীমা হলো অর্থের পারস্পরিক লেনদেনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট কিছু ঝুঁকির দায়ভার গ্রহণ। বীমা করার মাধ্যমে মূলত বীমাগ্রহিতা বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে নির্দিষ্ট কিছু ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে চুক্তিভুক্ত হন এবং বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রতি মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করার অঙ্গীকার করেন। যদি বীমাগ্রহিতা প্রতি মাসে নির্ধারিত অর্থ বা প্রিমিয়াম যথাযথভাবে প্রদান করেন, তবেই বীমাগ্রহিতা তার চুক্তি সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের উপর অর্পন করে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন।

যেমন- কোন একজন গাড়ির মালিক "ক" নামক বীমা কোম্পানির নিকট গাড়ির অগ্নিবীমা করলেন। এবং শর্তানুসারে, তিনি প্রতি মাসে বীমা বাবদ 5,000/- (পাঁচ হাজার) টাকা বীমা প্রতিষ্ঠান বরাবর জমা দিচ্ছেন । এখন যদি বীমাগ্রহিতার গাড়িতে আগুন লেগে গ্রহিতার 5,00,000/- (পাঁচ লক্ষ) টাকাi ক্ষতি সাধিত হয় তবে তখন এই পুরো ক্ষতিপূরণই বীমা কোম্পানি তাদের বীমা পলিসি আইনে দিতে বাধ্য। অথচ বীমা গ্রহিতা প্রতিমাসের কিস্তি বাবদ পরিশোধ করেছেন 12 মাসে মাত্র 60,000/- টাকা। অথচ তার বিপরীতে পেয়েছেন 5,00,000/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা। এখানেই মূলত বীমাগ্রাহকের লাভ। ক্ষয়ক্ষতির প্রায় পুরোটাই বীমার মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া যায়। যা পুষিয়ে নেওয়ার অন্য কোন কার্যকর উপায় নেই।

বীমার প্রকারভেদ

বীমা সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যথা- (ক) জীবন বীমা ও (খ) সাধারণ বীমা।

জীবন বীমা

জীবন বীমা- জীবন বীমা এমন একটি চুক্তি যা একজন বীমা গ্রহীতা ও একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত হয়। যেখানে বীমা প্রতিষ্ঠান এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, বীমা গ্রহীতার মৃত্যু হলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বীমা গ্রহীতার উত্তরাধিকারীগণকে প্রদান করা হইবে। চুক্তির শর্তানুসারে, কখনো কখনো মারাত্মক অসুস্থ হলেও বীমা গ্রহীতা অর্থ পেয়ে থাকেন। বীমা গ্রহীতা সাধারণত এককালীন বা নির্দিষ্ট সময়ান্তে বীমা কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ বা প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন ।

বীমা গ্রহীতার সবচেয়ে বড়ো সুবিধা হচ্ছে "মানসিক প্রশান্তি" লাভ। কারণ, তিনি জানেন যে তার মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারীরা অর্থ সমস্যায় পতিত হবে না। এবং তাদের জীবনধারণের জন্য একটি মোটামুটি ভালো এমাউন্ট রেখে যাওয়া হচ্ছে।

এই পদ্ধতিটিতে অবসর গ্রহণের পর আর্থিক সুবিধা লাভের জন্যও ব্যবহার করা হয়, যদি বীমা গ্রহীতা সতর্কতার সাথে বীমা গ্রহণ করেন ও শর্তাবলীতে এরূপ উল্লেখ করে থাকেন তবেই সে শর্তাবলীর উপর ভিত্তি করে বীমা কার্যকর হয়ে থাকে।

এছাড়াও জীবন-নির্ভর বীমা চুক্তি দুটি প্রধান ধারায় বিভক্ত হয়ে থাকে। যেমন-

  • নিরাপত্তা পলিসি
  • বিনিয়োগ পলিসি

জীবন বীমা একটি আইনগত চুক্তি এবং চুক্তির শর্ত বীমার আওতা দ্বারা সীমাবদ্ধ। এখানে বিশেষ শর্তাবলী লিখিত থাকে এবং তার দায় বীমা গ্রহীতার উপর বর্তায়; যেমনঃ আত্নহত্যা, যুদ্ধ প্রভৃতি কারণে মৃত্যু ঘটলে বীমা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বীমা গ্রহীতার উত্তরাধিকারীকে কোনোরূপ অর্থ প্রদান করা হয় না। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত “জীবন বীমা কর্পোরেশন“ নামক বীমা কোম্পানিটি নিম্নোক্ত জীবন বীমাসমূহ প্রদান করে থাকে।

  • ০১. আজীবন বীমা (লাভসহ)
  • ০২. মেয়াদী বীমা (লাভসহ)
  • ০৩. প্রগতিশীল মেয়াদী বীমা (লাভসহ)
  • ০৪. প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা (লাভসহ)
  • ০৫. বহু কিস্তি বীমা (লাভসহ)
  • ০৬. ম্যারেজ এন্ডাওমেন্ট পলিসি
  • ০৭. যুগ্ম মেয়াদী বীমা
  • ০৮. শিশু নিরাপত্তা বীমা
  • ০৯. দ্বৈত নিরাপত্তা মেয়াদী
  • ১০. পেনশন বীমা
  • ১১. স্বাস্থ্য বীমা
  • ১২. একক প্রিমিয়াম পলিসি (লাভসহ)
  • ১৩. ট্রিপল প্রটেকশন পলিসি
  • ১৪. ওভারসিস এসুরেন্স পলিসি (লাভসহ)
  • ১৫. আজীবন বীমা (লাভ বিহীন)
  • ১৬. মেয়াদী বীমা (লাভ বিহীন)
  • ১৭. প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা (লাভ বিহীন)
  • ১৮. ওভারসিস মেডিক্লেইম পলিসি
  • ১৯. স্ব-নির্ভর বীমা (লাভ বহিীন)
  • ২০. সম্পত্তি কর বীমা (লাভ বিহীন)
  • ২১. ছেলে মেয়েদের শিক্ষা ও বিবাহ বীমা (লাভসহ)
  • ২২. নিশ্চিত বোনাস মেয়াদী বীমা
  • ২৩. মানি ব্যাক টার্ম পলিসি (লাভ বিহীন)
  • ২৪. সাময়িক বীমা (লাভ বিহীন)
  • ২৫. স্ব-নির্ভর বীমা (একক প্রিমিয়াম পলিসি)
  • ২৬. দারিদ্র বিমোচনে জীবন বীমা স্কিম
  • ২৭. প্রবাসী বীমা
  • ২৮. জেবিসি মাসিক সঞ্চয়ী স্কিম
  • ২৯. জেবিসি প্রত্যাশিত মাসিক সঞ্চয়ী স্কিম
  • ৩০. সামাজিক নিরাপত্তা বীমা (লাভসহ)
  • ৩১. প্রমিলা ডিপিএস (লাভসহ)
  • ৩২. হজ্জ্ব বীমা (লাভসহ)
  • ৩৩. গ্রামীণ জীবন বীমা (লাভসহ)
  • ৩৪. বন্ধকী নিরাপত্তা বীমা (মর্টগেজ প্রটেকশন পলিসি)

উপরোক্ত বিষয়গুলোই মূলত জীবন বীমার প্রকারভেদ। জীবনবীমা মূলত জীবন সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়ে থাকে তাই জীবন বীমা দ্বারা জীবন সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভবপর হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠালগ্নে জীবন বীমা কর্পোরেশন ১৫.৭০ কোটি টাকা ঘাটতি, ২১.৮৩ কোটি টাকা লাইফ ফান্ড এবং ৬.৪৫ কোটি টাকা প্রিমিয়াম এবং ১৭ (সতের) টি বাণিজ্যিক ভবন (১০টি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত) নিয়ে এর কর্মকান্ড শুরু করে সমসাময়িককালে ২০২১ সালের শেষে লাইফ ফান্ড ২,৩০৪.৮৮ কোটি টাকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। সারা দেশে মোট ৮ টি রিজিওনাল, ১২ টি কর্পোরেট, ৮১ টি সেলস এবং ৪৫৬ টি শাখা অফিস নিয়ে জেবিসির সর্ববৃহৎ বীমা সেবা প্রদান করছে সংস্থাটি ।

সাধারণ বীমা

সাধারণ বীমা- সাধারণ বীমা বলতে বুঝায় মূলত জীবন ব্যতিত সম্পদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বীমাগ্রহিতা বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে পারষ্পরিক লেনদেনের মাধ্যমে যে বীমা কার্যক্রম গড়ে তোলে তাকে সাধারণ বীমা বলে। যেমন- গাড়ি, বাড়ি, জাহাজ এরূপ সম্পদ বীমা করার মাধ্যমে এরূপ সম্পদের দূর্ঘুটনায় ক্ষতির মাত্রা পুষিয়ে নিতে যে বীমা করা হয় তাকেই সাধারণ বীমা বলা হয়। এক্ষেত্রে সম্পদের মূল্য এবং তার ক্ষতির আগাম সম্ভাব্য পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বীমা গ্রাহককে প্রতি মাস অন্তর অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বীমা প্রতিষ্ঠান বরাবর জমা দিতে হয়।

সাধারণ বীমা বহু প্রকারের হয়ে থাকে। কোম্পানিভেদে সাধারণ বীমার ধরণ ও প্রকার আলাদা আলাদা। তবে বাংলাদেশ ও বিশ্বে বহুল প্রচলিত সাধারণ বীমা সমূহের মধ্যে অন্যতম সাধারণ বীমাগুলো হচ্ছে-

  • গাড়ি বীমা
  • নৌ- বীমা
  • অগ্নি বীমা
  • দুর্ঘটনাজনিত বীমা
  • অপহরণ বীমা
  • স্বাস্থ্য বীমা
  • যাত্রী বীমা
  • উড়োজাহাজ বীমা
  • কার্গো বীমা
  • পণ্য বীমা
  • কর্ম বীমা
  • উন্নয়ন বীমা
  • ভ্রমণ বীমা
  • সম্পত্তি বীমা
  • গৃহ বীমা
  • বাণিজ্যিক বীমা
  • ইঞ্জিনিয়ারিং বীমা

উপরোক্ত বীমা সমূহ মূলত সম্পদ ও সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে সেবা প্রদান করে থাকে। যা সরাসরি মানুষের জীবন এবং মৃত্যুর সাথে জড়িত নয়। তাই এই বীমাসমূহকে সাধারণ বীমা বলা হয়। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত “সাধারণ বীমা কর্পোরেশন” মূলত একমাত্র রাষ্ট্রয়ত্ত প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশে সাধারণ বীমা সুবিধা প্রদান করে থাকে। এছাড়া এদেশে অনেক বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করে বীমা করার জন্য।

বীমার সুবিধা

বীমা করার মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়ে থাকে। আমরা জানি, মানুষের জীবনের মূল্য অপরিসীম তবে একজীবন মানুষের জীবন বীমা করা থাকলে তার অসুস্থতায় বীমা তার চিকিৎসা ভার বহন করে, তার মৃত্যুতে তার ওয়ারিশগণ একটি ভালো এমাউন্ট লাভ করে ফলে মানুষটির অবর্তমানে উক্ত অর্থ তাদের কিছুটা হলেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সাধারণ বীমার মাধ্যমে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণে অনেকটাই সহায়তা পাওয়া যায় বীমা কোম্পানি থেকে। ফলে দূর্ঘটনায় বীমাগ্রহিতাকে অর্থ চাপ তেমনভাবে মোকাবিলা করতে হয় না। অনেকক্ষেত্রে দূর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট সহায়তাও বীমা প্রতিষ্ঠান প্রদান করে থাকে। ফলে বীমা গ্রহিতা অনেকাংশেই চাপ মুক্ত থাকতে পারেন।

এছাড়াও বীমার আরও বেশ কিছু সুবিধাবলী রয়েছে। যেমন-

  • (১) বীমা জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  • (২) বীমা মূলধন সৃষ্টির পাশাপাশি লভ্যাংশও সৃষ্টি করে।
  • (৩) বীমা বৃদ্ধ বয়ন এবং আপদকালীন সম্বল হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
  • (৪) বীমা অর্থনৈতিক স্তম্ভে পরিণত হয়ে মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করে।
  • (৫) বীমা ব্যবসায়ে মূলধন যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • (৬) মুদ্রা স্ফীতি হ্রাসে বীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর প্রক্রিয়া।
  • (৭) বীমা সামাজিক সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধানে বদ্ধ পরিকর।

বীমার অসুবিধা

বীমার অসুবিধা সমূহ-

(১) শক্তিশালী বীমা আইন না থাকায় এবং মানুষ আইন সম্পর্কে ভালো ধারণা না রাখায় কতিপয় বীমা কোম্পানীসমূহ গ্রাহকের নির্ধারিত অর্থ প্রদান না করে গড়িমসি করে।

(২) ইসলাম বীমা সমর্থন করে না। কারণ, ইসলাম বিশ্বাস করে যার যার ক্ষতির দায়ভার তার তার। অন্য কেউ তার ক্ষতির দায়ভার নিতে পারবে না। (সূরা ইউসুফ, আয়াত- 79)

(২) অধিকাংশ সময়ই দেখা যায়, বীমা করার সময়ের শর্তাবলী, বীমা সমাপ্ত হওয়ার পর মূলধন ফেরত প্রদানের শর্তাবলী এক রকম হয় না। ফলে গ্রাহক তার কাঙ্খিত অর্থ ফেরত পায় না।

(৩) বীমা কোম্পানীর ভুয়া নাম ব্যবহার করে মফস্বলে অসহায়, সহজ, সরল মানুষদের টার্গেট করে অনেক সময় বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। তাই বীমা কোম্পানির প্রকৃত তথ্য জেনে বীমা না করলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

(৪) বীমা অনেক সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয় ফলতঃ মানুষ শেষ পর্যন্ত কন্টিনিউ করার শক্তি হারিয়ে ফেলে অনেকক্ষেত্রে।

(৫) বীমার কোন লুকায়িত শর্ত আছে কিনা তা জেনে বীমা না করলে পরবর্তীতে বীমা থেকে কাঙ্খিত সুবিধা পাওয়া সম্ভব হয় না।

উপসংহার

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ০১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করেছে এবং প্রতিবছর সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়ন ও উদ্যোগে জাতীয় বীমা দিবস পালন করা হয়। বীমা আইন 2009 এর মাধ্যমে বীমায় বর্তমানে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে যেন বীমা প্রকৃতই জনবান্ধব হয়। তাই বীমা করার মাধ্যমে বর্তমানে নিজের এবং নিজের সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। যেকেউ চাইলে এখন বীমা করে নিজের, পরিবারের এমনকি সম্পদ বা সম্পত্তিরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

তবে তার আগে বীমা কোম্পানির জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা সর্বশেষ বিশ্বস্ততার জায়গাসমূহ বীমা গ্রহিতাকে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। বর্তমানে অনলাইনেও বীমা করা যায় এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও প্রতিমাসের নির্ধারিত প্রিমিয়াম জমা দেয়া যায়। ফলে বীমা করা এবং বীমার রক্ষণাবেক্ষণ এখন অনেক অনেক সহজ ও নিরাপদ। তাছাড়া বীমায় ক্ষতিকর তূতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ লাগছে না একটুকুনও তাই বীমার মাধ্যমে উপকৃত হোক সবাই। সেই প্রত্যাশাই সতত।

  • https://www.fincash.com/l/bn/insurance/types-life-insurance#types-of-life-insurance-policies-1
Next to read
Business Models
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল (Sharing Economy Model)
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল (Sharing Economy Model)

শেয়ারিং ইকোনমি মূলত দুই পক্ষের (Peer to Peer) সমন্বয়ে গঠিত এমন একটি বিজনেস মডেল, যেখানে মূল প্রতিষ্ঠানটি একটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। এক্ষত্রে প্রতিষ্টান গুলো মূলত দুই পক্ষ অর্থাৎ সেবা প্রদানকারী এবং সেবা গ্রহণকারীদের মাঝে প্রযুক্তির সহায়তায় নিজস্ব কৌশলে সংযোগ করে দেয়।

সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
Business Models
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
Business Models
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
বি-টু-বি, বি-টু-সি এবং বি-টু-জি কি? (B-to-B, B-to-C, B-to-G)
Business
বি-টু-বি, বি-টু-সি এবং বি-টু-জি কি? (B-to-B, B-to-C, B-to-G)
ই-কমার্স: অনলাইন ব্যবসা
E-Commerce
ই-কমার্স: অনলাইন ব্যবসা
মার্কেটিং এ ৫ সি (5 C's Of Marketing)
Marketing
মার্কেটিং এ ৫ সি (5 C's Of Marketing)
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
Marketing
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
সেলস এবং মার্কেটিং কিভাবে একসাথে কাজ করে
Sales
সেলস এবং মার্কেটিং কিভাবে একসাথে কাজ করে
MTNUT কাটিয়ে কিভাবে একটি সেলস ডিল ক্লোজ করবেন?
Sales
MTNUT কাটিয়ে কিভাবে একটি সেলস ডিল ক্লোজ করবেন?