Project Financing: Strategies for Success

326
article image

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি নন-রিকোর্স অথবা লিমিটেড রিকোর্স ফাইন্যান্সিং স্কিম, যার মাধ্যমে বড় বড় প্রজেক্টের জন্য ফান্ড কালেক্ট করার চেষ্টা করা হয়। একবার প্রজেক্ট কমপ্লিট হয়ে গেলে তারপর প্রজেক্ট থেকে আসা রিটার্ন থেকেই এই ফান্ডের টাকা পরিশোধ করা শুরু হয়। এতে করে ফান্ড কালেক্ট করা কোম্পানীকে নিজেদের ব্যালেন্স শিটে এই ফান্ডের পরিমাণ দেখাতে হয় না। ফলে তাদের অন্যান্য প্রজেক্টের জন্য তারা আরো ফান্ড ঋণ হিসেবে কালেক্ট করতে পারে।

Key Points

  • প্রজেক্ট ফাইন্যান্স বলতে মূলত কোনো বড় অবকাঠামো তৈরির উদ্দেশ্যে বড় অংকের পাবলিক ফান্ড কালেক্ট করার কনসেপ্টকে বোঝানো হয়।
  • প্রজেক্ট থেকে আসা রিটার্নের মাধ্যমে যদি অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রজেক্টের সম্পদ্গুলো বিক্রয় করার মাধ্যমে সেই অর্থ তুলে আনার চেষ্টা করা হয়।
  • প্রজেক্টের জন্য সবচেয়ে বড় পরিমাণ অ্যামাউন্ট ঋণদানকারীদের থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই ঋণের বিপরীতে সাধারণত প্রজেক্টের সম্পদগুলো জামানত হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
  • প্রজেক্ট ফাইন্যন্স এক প্রকার নন-রিকোর্স ঋণ হওয়ার কারণে ঋণগ্রহণকারীরা এই ঋণের পরিমাণ তাদের ব্যালেন্স শিটে দেখাতে বাধ্য থাকে না।

ভূমিকা

ব্যবসায় শুরু করা ও সম্প্রসারণের জন্য কোম্পানীগুলোর বেশ ভালো পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন হয়। মূলধন সংগ্রহ করার বেশ জনপ্রিয় একটি সিস্টেম হচ্ছে প্রজেক্ট ফ্যাইন্যান্সিং। এই সিস্টেমে এমন সব কোম্পানী, যাদের বেশ শক্তপোক্ত কোনো ফ্যাইন্যান্সিয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তারা’ও বড় বড় প্রজেক্টের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্যাপিটাল কালেক্ট করতে পারে। আর প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যে প্রজেক্ট থেকে রিটার্ন আসা শুরু হওয়ার পূর্বে কোনো পেমেন্ট দিতে হয়। একবার প্রজেক্ট থেকে রিটার্ন আসা শুরু হলে সেই রিটার্ন থেকে বিনিয়োগকারীদের টাকা রিটার্ন করা হয়। তবে চলুন আর দেরি না করে প্রজেক্ট ফাইন্যান্স সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

প্রজেক্ট ফাইন্যান্স কী?

বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি প্রজেক্টের জন্য ফান্ডিং কালেক্ট করার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় প্রজেক্ট ফাইন্যান্স। প্রজেক্ট বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন - বড় কোনো অবকাঠামো তৈরি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রজেক্ট বা পাবলিক সার্ভিসের প্রজেক্ট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর প্রজেক্ট থেকে আসা রিটার্নের মাধ্যমে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের ঋণ শোধ করে দেয়া, তবে এটি ইক্যুইটি বা ঋণ উভয় ধরণের হতে পারে।

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রজেক্টের সম্পদ্গুলো জামানত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, প্রজেক্ট থেকে আসা রিটার্নের মাধ্যমে যদি অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রজেক্টের সম্পদ্গুলো বিক্রয় করার মাধ্যমে সেই অর্থ তুলে আনার চেষ্টা করা হয়। তাই বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের কনসেপ্ট বেশ জনপ্রিয়, কারণ এতে করে তারা শেয়ার বিক্রয় না করেই বড় পরিমাণ ফান্ড কালেক্ট করতে পারে।

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের বিভিন্ন অংশীদার

যেকোনো বড় স্কেলের প্রজেক্টের মতো প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর বেশ কিছু অংশীদার থাকে। তাই এদের সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নেয়া ভালো।

১। স্পন্সর

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর জন্য প্রথমেই একটি কোম্পানী গঠন করে নেয়া হয়। আর এই কোম্পানীর গঠনের সাথে যারা জড়িত থাকেন তাদের বলা স্পন্সর বা পার্টানারস।

২। ইক্যুইটি ইভেস্টর

ইক্যুইটি ইনভেস্টররা কোম্পানীর নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানীতে বিনিয়োগ করে থাকেন। প্রজেক্ট সফল হলে তারা এই বিনিয়োগ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে রিটার্ন পাবেন, মূলত এই আশাতেই তারা কোম্পানীতে বিনিয়োগ করে থাকেন।

৩। কন্ট্রাক্টর

প্রজেক্ট ডিজাইন ও কন্সট্রাকশনের কাজ মূলত কন্ট্রাক্টরদের দেয়া হয়। কন্ট্রাক্টরা মূলত সেপারেট কোম্পানী হয়ে থাকে যারা নির্দিষ্ট ফি-এর বিপরীতে এই কাজ করে থাকে।

৪। অপারেটর

প্রজেক্টের সম্পদের মান নিয়ন্ত্রণের কাজ অপারেটরদের দেয়া হয়ে থাকে। প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা প্রজেক্টের দেখাশোনা করেন এবং ইনভেস্টরদের রিপোর্ট করেন।

৫। ফিডস্টক সাপ্লাইয়ার

প্রজেক্টের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কাচাঁমাল সরবরাহ করার কাজ দেয়া হয় এই ফিডস্টক সাপ্লাইয়ারদের। প্রজেক্টের জন্য যেসব কাচাঁমাল প্রয়োজন হয়, যেমন - জ্বালানী, বিদ্যুৎ - এগুলো ফিডস্টক সাপ্লাইয়াররা সরবরাহ করে থাকে।

৬। ঋণদানকারী

প্রজেক্টের জন্য সবচেয়ে বড় পরিমাণ অ্যামাউন্ট ঋণদানকারীদের থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই ঋণের বিপরীতে সাধারণত প্রজেক্টের সম্পদগুলো জামানত হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

৭। প্রজেক্ট অফ-টেকার

প্রজেক্ট শুরু করার আগে বিনিয়োগকারী কোম্পানী অফ-টেকারদের সাথে চুক্তি করে নেয়। একবার প্রজেক্ট কমপ্লিট হয়ে গেলে বিনিয়োগকারী কোম্পানী অফ-টেকারদের কাছে প্রজেক্টের সমস্ত সম্পদ ও দায়িত্ব হস্তান্তর করে দেয়।

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের প্রক্রিয়া

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের পুরো প্রক্রিয়াটি মূলত ৩টি ভাগে বিভক্ত, যথা - প্রি-ফাইন্যান্সিং স্টেজ, ফাইন্যান্সিং স্টেজ ও পোস্ট-ফাইন্যান্সিং স্টেজ।

১। প্রি-ফাইন্যান্সিং স্টেজ

প্রি-ফাইন্যান্সিং স্টেজে সাধারণত প্রজেক্টের প্রাথমিক কার্যাবলি সম্পাদন করা হয় এবং প্রজেক্টের রিস্ক যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রথমেই কোম্পানীর স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের সাথে এই প্রজেক্ট অ্যালাইন করে কি না তা বোঝার চেষ্টা করা হয়।

এরপর কোন কোন ফ্যাক্টরের কারণে প্রজেক্ট ব্যর্থ হতে পারে সেগুলো আইডেন্টিফাই করা হয় এবং সেগুলোকে মিনিমাইজ করার চেষ্টা করা হয়। সবশেষে প্রজেক্টের আর্থিক ও টেকনিকাল ফিজিবিলিটি চেক করা হয়, যে আসলেই এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কি না।

২। ফাইন্যান্সিং স্টেজ

প্রজেক্ট ফ্যাইন্যান্সিং স্টেজে প্রজেক্টের জন্য ফান্ড কালেক্ট করার কাজ করা হয়।

প্রথমেই প্রজেক্টের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয় যাদের গোলস প্রজেক্টের গোলের সাথে অ্যালাইন করে এবং যারা প্রজেক্ট থেকে দীর্ঘমেয়াদে রিটার্নের আশা করেন।

তারপর প্রজেক্টের বিনিয়োগকারীদের সাথে নিগোসিয়েশনের মাধ্যমে অ্যাগ্রিমেন্টের টার্মগুলো ফাইনালাইজ করা হয়।

ফাইন্যান্সিং-এর টার্মগুলো ঠিক করা হয়ে গেছে প্রপার ডকুমেন্টেশন করা হয় এবং বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ গ্রহণ করা হয়।

৩। পোস্ট-ফাইন্যান্সিং স্টেজ

এই স্টেজে প্রজেক্টের প্রগ্রেস মনিটর করা হয় এবং এনশিওর করা হয় যে প্রজেক্ট সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রথমেই প্রজেক্টের প্রগ্রেস মনিটর করার জন্য প্রজেক্ট ম্যানেরজার অ্যাসাইন করা হয়। প্রজেক্ট ম্যানেজাররা এনশিওর করেন যাতে করে কোনো ভুল না হয় এবং প্রজেক্টের খরচ যাতে বাজেট ক্রস করে না চলে যায়।

প্রজেক্টের সব কাজ শেষ হয়ে গেলে প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এন্ড-প্রোডাক্ট অপারেট করা শুরু হয়।

এন্ড-প্রোডাক্ট থেকে রিটার্ন আসা শুরু করলে সেই রিটার্ন থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ রিটার্ন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের সুবিধা

প্রজেক্ট ফ্যাইন্যান্সিং সিস্টেমের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন -

১। নন-রিকোর্স এলিমেন্ট

প্রজেক্ট ফাইন্যান্স হচ্ছে এক প্রকার নন-রিকোর্স ঋণ। অর্থাৎ, প্রজেক্ট কোনো কারণে ব্যর্থ হলে বা প্রজেক্ট থেকে আশানুরুপ রিটার্ন না আসলে বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ প্রজেক্টের সম্পদগুলো বিক্রয় করে ঋণের টাকা উঠাতে পারেন। ঋণগ্রহণকারীদের এর বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হয় না।

২। ফাইন্যান্সিয়াল লেভারেজ

প্রজেক্ট ফাইন্যান্স যেহেতু বড় বড় প্রজেক্টের ক্ষেত্রে করা হয়, তাই এসব প্রজেক্টে অনেক বড় অ্যামাউন্টের বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। প্রজেক্ট ফাইন্যান্স করা কোম্পানী সাধারণত ঋণের মাধ্যমেই এই অ্যামাউন্ট কালেক্ট করে থাকে। তাই তারা তাদের ফাইন্যান্সিয়াল লেভারেজের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে।

৩। অফ-ব্যালেন্স শিট

প্রজেক্ট ফাইন্যন্স এক প্রকার নন-রিকোর্স ঋণ হওয়ার কারণে ঋণগ্রহণকারীরা এই ঋণের পরিমাণ তাদের ব্যালেন্স শিটে দেখাতে বাধ্য থাকে না। ফলে তারা অন্যান্য প্রজেক্টের জন্য আরো বেশি পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

৪। রিস্ক-শেয়ারিং

অনেক বড় সাইজের প্রজেক্ট হওয়ার কারণে এসব প্রজেক্টের রিস্কের পরিমাণ’ও অনেক বেশি হয়ে থাকে। স্পন্সররা তাই প্রজেক্টের শেয়ার বিক্রয় করার মাধ্যমে অন্যান্য থার্ড-পার্টির সাথে এই রিস্ক শেয়ার করে ফেলতে পারেন।

প্রজেক্ট ফাইন্যান্স বনাম করপোরেট ফাইন্যান্স

করপোরেট ফাইন্যান্সের হচ্ছে ফান্ড কালেকশনের আরো একটি বেশ জনপ্রিয় সিস্টেম। কনসেপ্ট দুটো বেশ একই হলেও, প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের সাথে করপোরেট ফাইন্যান্সের মূল পার্থক্য হচ্ছে এই যে, করপোরেট ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে কালেক্টেড অ্যামাউন্ট কোম্পানীগুলো দায় হিসেবে তাদের আর্থিক বিবরণীতে দেখিয়ে থাকে। কিন্তু প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে কোম্পানীগুলো কালেক্টেড অ্যামাউন্ট তাদের আর্থিক বিবরণীতে দেখায় না।

প্রজেক্ট ফাইন্যান্স ও করপোরেট ফাইন্যান্সের মাঝে আরো একটি পার্থক্য হচ্ছে এই যে, করপোরেট ফাইন্যান্সের টাকা যেকোনো সোর্স থেকে পরিশোধ করা যাবে। অর্থাৎ, যেই প্রজেক্টের জন্য ফাইন্যান্সিং করা হয়েছে, সেই প্রজেক্ট থেকে যদি কোনো কারণে রিটার্ন না’ও আসে, তবুও শেয়ারহোল্ডারদের বা বিনিয়োগকারীদের চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ এইক্ষেত্রে কোম্পানী অন্য কোনো প্রজেক্ট থেকে আসা রিটার্নের মাধ্যমে ফান্ডের টাকা পরিশোধ করতে পারবে। এই কারণে করপোরেট ফাইন্যান্সকে রিকোর্স ফর্ম অফ ফাইন্যান্সিং বলা হয়।

অপরদিকে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সে যেই প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে টাকা কালেক্ট করা হয়েছে, সেই প্রজেক্ট যদি কোনো কারণে ব্যর্থ হয়, অর্থাৎ রিটার্ন না আসে, তাহলে কোম্পানী শুধু সেই প্রজেক্টের সম্পদ্গুলো বিক্রয় করে যতোটা সম্ভব ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে। অন্য কোনো প্রজেক্ট থেকে আসা রিটার্নের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে তারা বাধ্য থাকে না। এই কারণে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সকে নন-রিকোর্স ফর্ম অফ ফাইন্যান্সিং বলা হয়।

উদাহরণস্বরুপ, মনে করুন আপনার ট্রাকের ব্যবসায় আছে, যেখান থেকে আপনি ট্রাক ভাড়া দিয়ে থাকেন। এখন আপনি একটি করপোরেট ব্যাংক থেকে করপোরেট লোন নিয়ে ৫টি ট্রাক ক্রয় করার মাধ্যমে নিজের ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে চাইছেন। তবে ট্রাক ক্রয় করার পর দেখা গেল যে করোনা মহামারীর কারণে কেউ আর ট্রাক ভাড়া নিচ্ছে না, আর আপনি লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। এই ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রথমে আপনার ৫টি ট্রাক জব্দ করবে।

যদি ৫টি ট্রাক বিক্রয় করার মাধ্যমে লোনের টাকা পুরোপুরি ওঠানো না যায়, তাহলে ব্যাংক আপনার অন্যান্য ট্রাকগুলোকেও জব্দ করতে পারে। অর্থাৎ, এখানে করপোরেট ফাইন্যান্সিং করার কারণে আপনার পুরো ব্যবসা হুমকির মুখে পরেছে। অপরদিকে আপনি যদি প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং করতেন তাহলে আপনার দায় শুধু ৫টি ট্রাক পর্যন্ত’ই থাকতো। তাই করপোরেট ফাইন্যান্সিং-এর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের জন্য রিস্ক বেশি থাকে। তবে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর ক্ষেত্রে যেহেতু বিনিয়োগকারীদের বেশি ঝুকি নিতে হয়, তাই এই সিস্টেমে ব্যবসায়ের জন্য খরচ বেশি হয়।

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের সীমাবদ্ধতা

অনেকগুলো সুবিধার পাশাপাশি প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা’ও রয়েছে।

১। জটিল

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সের সাথে একাধিক পক্ষ জড়িত থাকার কারণে এবং একেক পার্টির একেক ধরণের অ্যাগ্রিমেন্ট থাকার কারণে পুরো প্রসেস বেশ জটিল হয়ে উঠতে পারে। অপরদিকে ডিরেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর ক্ষেত্রে এতো জটিলতা তৈরি হয় না।

২। সময়সাপেক্ষ

একাধিক পক্ষ জড়িত থাকার কারণে সবার মাঝে মতের ঐক্য নিয়ে আসতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে। আবার কাগজপত্রের অনেক ঝামেলা থাকার কারণে সেগুলো প্রজেক্টের কাজ আরো পিছিয়ে দিতে পারে।

৩। খরচ

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর ক্ষেত্রে প্রজেক্ট শুরু করার আগেই বিশাল পরিমাণ খরচ হয়ে যেতে পারে যেহেতু এখানে একাধিক পক্ষের মধ্যে অনেক কাগজপত্রের ঝামেলা ও আঈনগত ঝামেলার সমাধান করে তারপর প্রজেক্টের কাজ শুরু করা হয়।

৪। বিশেষজ্ঞদের হস্তক্ষেপ

প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর মাধ্যমে ফান্ড কালেক্ট করা প্রজেক্ট বেশ জটিল হওয়ায় এই কাজে সবসময় এক্সপার্টদের নজরদারির আওতায় রাখতে হয়। এতে করে প্রজেক্টের খরচ আরো বেড়ে যেতে পারে এবং এক্সপার্টদের সাথে বিনিয়োগকারীদের মতের ঐক্য না হলে প্রজেক্ট শেষ না’ও হতে পারে।

৫। আঈনগত জটিলতা

একাধিক পার্টি জড়িত থাকার কারণে প্রজেক্ট ম্যানেজারদের এটা এনশিওর করতে হয় যে কোনো পার্টির কোনো ধরণের আঈনগত জটিলতা নেই। অনেক সময় দেখা যায় প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর অভ্যন্তরে ট্যাক্স ফাকি দেয়ার বা অর্থ পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনো পার্টির মাঝে এমন কিছু দেখা গেলে তা প্রজেক্টের জন্য হুমকিস্বরুপ হিসেবে দেখা দিতে পারে।

পরিসংহার

আপাতদৃষ্টিতে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর কনসেপ্ট বেশ লোভনীয় মনে হলেও এই সিস্টেম বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। এছাড়া ভালো ব্যাকাপ আছে এমন কোনো কোম্পানি না হলে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর মাধ্যমে ফান্ড কালেক্ট করা’ও সম্ভব হয়। তাই আপনাকে আগেই ভালো করে বুঝে নিতে হবে যে প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকাপ ও সক্ষমতা আপনার আছে কি না। যদি না থাকে, তাহলে করপোরেট বা ডিরেক্ট ফাইন্যান্সিং-এর দিকে যাওয়াই উত্তম হবে।

  • https://www.bankbazaar.com/personal-loan/project-financing.html
  • https://corporatefinanceinstitute.com/resources/commercial-lending/project-finance-primer/
  • https://cleartax.in/glossary/project-finance/
  • https://www.ecosys.net/knowledge/project-finance/
  • https://uk.indeed.com/career-advice/career-development/what-is-project-finance
  • https://in.indeed.com/career-advice/career-development/what-is-project-finance
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)

ইম্প্যাথি ম্যাপিং মূলত একধরনের ট্যুলস। এটি গ্রাহকদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভব, উপলব্ধি সহ নানাবিধ তথ্য, উপাত্ত এর সমন্বয়ে গঠিত সুশৃঙ্খল এবং সুবিন্যস্ত একটি চার্ট। উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পর্কিত তথ্য উপাত্তের খুব চমৎকার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন পাওয়া যায় এই ইম্প্যাথি ম্যাপিং এর মাধ্যমে। যা মূলত আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে।

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
Canvas & Methods
সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
Business Models
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
Business Models
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
Marketing
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
Business
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
Investment
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
Marketing
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)
E-Commerce
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)