(Part-2) Malaysia's Economic Reforms: From Agrarian Roots to Industrial Powerhouse

265
article image

মালয়েশিয়া ১৯৭০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আধুনিক অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করেছে। সরকার বিভিন্ন পলিসি এবং প্রোগ্রাম প্রবর্তন করে দেশের অর্থনীতিকে উচ্চ আয়ের দিকে উন্নীত করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মালয়েশিয়ার জন্যে এই যাত্রা একেবারে সহজ ছিল না, তবে, চ্যালেঞ্জের মাঝেও তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে।

Key Points

  • মালয়েশিয়ায় ২০১০ সালে ‘ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রাম (ETP)’ চালু হয়।
  • ৩.৩ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়।
  • পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) ২০১৫ সালে চালু হয়, পরে ২০১৮ সালে বাতিল হয়।
  • মালয়েশিয়ায় ২০২০ সালে দারিদ্র্যের হার ০.৪% এর নিচে নেমে আসে।
  • PRIHATIN প্রণোদনা প্যাকেজ এবং PENJANA প্ল্যানটি অর্থনৈতিক সংকট প্রশমিত করতে সহায়ক ছিল।
  • ডিজিটাল অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য MyDIGITAL ব্লুপ্রিন্ট চালু করা হয়।

পর্ব - ২

মালেশিয়ার অর্থনৈতিক শীর্ষক আলোচনায় এটি পর্ব - ২। এই পর্বে থাকছে, মালয়েশিয়ার আধুনিক অর্থনৈতিক সংস্কার, 1MDB কেলেঙ্কারি এবং অর্থনৈতিক আস্থা, সাফল্য এবং চলমান চ্যালেঞ্জ, COVID-19 মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা, ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির কৌশল।

পর্ব - ১

মালেশিয়ার অর্থনৈতিক শীর্ষক আলোচনায় এর আগের পর্বটি ছিল পর্ব - ১। গত পর্বে ছিল, অর্থনৈতিক সংস্কারের পূর্বে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি, দি নিউ ইকোনমিক পলিসি, এর ফলাফল এবং এই পলিসি পরবর্তী মালয়েশিয়ান অর্থনীতি, পাম অয়েল শিল্পের ভূমিকা।

পর্ব-১ (লিঙ্ক):

 https://georenus.com/edu/bn/geopolitics/malaysias-economic-reforms-bangla 

মালয়েশিয়ার আধুনিক অর্থনৈতিক সংস্কার (২০০০–২০২০)

২০০০-এর দশকে, মালয়েশিয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে খাপ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। এর সমাধান হিসেবে সরকার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, মানব সম্পদের উন্নয়ন এবং কয়েক দশকের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন সংস্কার প্রবর্তন করে।

ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রাম (ইটিপি) – ২০১০

২০১০ সালে চালু হওয়া ‘ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রামের লক্ষ্য ছিল (ইটিপি)’ মালয়েশিয়াকে ২০২০ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-আয়ের অর্থনীতিতে পরিণত করা। ইটিপি’র মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে ছিল -

  • - মাথাপিছু আয় ৭,০০০ ডলার থেকে ১৫,০০০ ডলারে বৃদ্ধি করা।
  • - ৩.৩ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা।
  • - বিশেষ করে আর্থিক সেবা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পর্যটনের মতো প্রবৃদ্ধিশীল সেক্টরে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো।

ETP ১২টি ‘ন্যাশনাল কি ইকোনমিক এরিয়া (NKEAs)’-এর উপর ফোকাস করেছিল, যেখানে ‘তেল ও গ্যাস, পাম তেল, এবং ইলেকট্রনিক্স’ সেক্টরকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ‘ইসলামিক ফাইন্যান্স’ এবং ‘গ্রিন টেকনোলজির’ মতো নতুন শিল্পগুলির প্রচার করার ওপর জোর দেওয়া হয়।

পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) এবং রাজস্ব সংস্কার

তেল রপ্তানির উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য এবং রাজস্ব আয় বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে, মালয়েশিয়া ২০১৫ সালে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) প্রবর্তন করে। এই করটি সরকারের রাজস্ব আয়কে বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ছিল, তবে জনগণের বিরোধিতার মুখে পড়ে, যার ফলে ২০১৮ সালে GST বাতিল করা হয়।

GST-এর প্রবর্তন এবং পরবর্তীতে এর বাতিল মালয়েশিয়ার রাজস্ব ভারসাম্য বজায় রাখার এবং সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার প্রোগ্রামগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের স্ট্রাগল করার বিষয়টি প্রকাশ করে। এর ফলে আর্থিক ঘাটতি একটি চলমান সমস্যা হয়ে ওঠে, ২০১৯ সালে সরকারের ঋণ GDP-র ৫৫.৮%-এ পৌঁছায়।

1MDB কেলেঙ্কারি এবং অর্থনৈতিক আস্থা

1Malaysia Development Berhad (1MDB) কেলেঙ্কারি ২০১০-এর মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ পায়, যা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। কয়েক বিলিয়ন ডলারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে, যা আন্তর্জাতিক তদন্তের কারণ হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, যা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। কেলেঙ্কারির ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মালয়েশিয়ার ভাবমূর্তি বড় ধরনের আঘাত পায়। জনমতের চাপে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য জোরালো দাবির জন্ম হয়, যা প্রশাসনিক সংস্কারের দিকে ইঙ্গিত করে।

সাফল্য এবং চলমান চ্যালেঞ্জ

এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, মালয়েশিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে:

- ২০২০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ০.৪% এর নীচে নেমে আসে।

- ২০১৯ সালে বেকারত্বের হার ৩.৩%-এর কাছাকাছি ছিল।

- MRT (ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) এবং উচ্চ-গতির রেল প্রকল্পের মতো বড় অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়, যা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করে।

তবে, আয়ের বৈষম্য এখনও বজায় রয়েছে এবং বুমিপুত্র মালিকানার পরিমাণ উন্নত হলেও এটি এখনও আগের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। তাছাড়া, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারী নতুন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে, যার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের গতি ধীর হয় এবং দেশীয় শিল্পগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হয়।

মালয়েশিয়া, নিউ ইকোনমিক পলিসি (NEP)-এর প্রাথমিক সময় থেকে শুরু করে আধুনিক অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে, ক্রমাগত পরিবর্তন এবং সংস্কারের একটি যাত্রা অতিক্রম করেছে। দারিদ্র্য হ্রাস, অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রধান অবকাঠামোগত উন্নয়ন সত্ত্বেও, রাজস্ব ঘাটতি পরিচালনা, আয় বৈষম্য মোকাবিলা করা, এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা

COVID-19 মহামারীর সময় মালয়েশিয়া অন্যান্য দেশের মতোই বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। মহামারীটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তীব্র মন্দা তৈরি করেছিল, বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইনগুলিকে ব্যাহত করেছিল এবং পর্যটন, রিটেইল ও উৎপাদন খাতের মতো ক্ষেত্রে ব্যাপক চাকরি হারানোর কারণ হয়েছিল। এই সংকট থেকে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার এবং নাগরিকদের জীবনযাত্রা রক্ষা করার জন্য মালয়েশিয়ার সরকার বেশ কয়েকটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।

এর মধ্যে অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ ছিল PRIHATIN অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ, যা মার্চ ২০২০ সালে প্রবর্তিত হয়। এই ২৫০ বিলিয়ন রিঙ্গিতের প্যাকেজটি মহামারীর প্রভাব প্রশমিত করতে বড় শিল্প, ছোট ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমই) এবং ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এতে মজুরি ভর্তুকি, নগদ সহায়তা এবং ঋণ স্থগিতের মতো পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ব্যাপক বেকারত্ব রোধ করতে এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থা লাঘব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এরপর, ২০২০ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা (PENJANA) চালু করা হয়। এই ৩৫ বিলিয়ন রিঙ্গিতের পরিকল্পনা অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে কর প্রণোদনা, চাকরি সৃষ্টির জন্য সহায়তা এবং ডিজিটাল অর্থনীতি উন্নয়নের উদ্যোগকে সামনে রাখে। মহামারী চলাকালে ব্যবসা ও ভোক্তাদের অনলাইন সেবার দিকে ঝোঁক বৃদ্ধির কারণে, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সমাধানের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

পরবর্তীতে সরকার ২০২১ সালের বাজেট পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ বাড়ায়, যেখানে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং জনস্বাস্থ্য, টিকা সংগ্রহ এবং এসএমই সহায়তার দিকে বড় বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বাজেটে মালয়েশিয়ার ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করার জন্য ৫জি অবকাঠামো, স্মার্ট সিটি এবং প্রযুক্তি-চালিত শিল্পের জন্য বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। সরকার বুঝতে পারে যে, মহামারী-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির জন্য ডিজিটাল অর্থনীতির শক্তিশালীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মালয়েশিয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরো ত্বরান্বিত করতে ডিজিটাল অর্থনীতি ব্লুপ্রিন্ট (MyDIGITAL) চালু করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে মালয়েশিয়াকে একটি আঞ্চলিক ডিজিটাল অর্থনীতির লিডার হিসাবে গড়ে তোলা। এতে উদ্ভাবন বৃদ্ধি, প্রযুক্তি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং কর্মশক্তির মধ্যে ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ক্লাউড কম্পিউটিং এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলিকে উন্নীত করে, মালয়েশিয়া বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে।

এছাড়াও, পেমুলিহ প্যাকেজ, যা ২০২১ সালের মাঝামাঝি চালু হয়, ১৫০ বিলিয়ন রিঙ্গিতের অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, ব্যবসা এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের জন্য। এই প্যাকেজটি বিশেষ করে এসএমইগুলির জন্য, যা মালয়েশিয়ার অর্থনীতির মেরুদণ্ড, তাদের রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই মহামারীকালীন নীতিগুলি মালয়েশিয়ার তাৎক্ষণিক পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যত-ভিত্তিক উদ্যোগগুলির ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ডিজিটাল অর্থনীতি কেন্দ্রিক পরিবর্তনগুলি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং ভবিষ্যতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়ক হবে। যদিও মহামারী থেকে পূর্ণ পুনরুদ্ধার কিছুটা সময় নিবে, মালয়েশিয়ার প্রোঅ্যাকটিভ পদক্ষেপগুলো আগামী বছরের জন্য স্থায়ী প্রবৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করেছে।

চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

যদিও মালয়েশিয়া উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এখনও বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। আয়ের বৈষম্য এখনো একটি বড় উদ্বেগের বিষয়, বিশেষত শহর এবং গ্রামের জনসংখ্যার মধ্যে এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে। মালয়েশিয়ার গিনি কোএফিশিয়েন্ট সময়ের পরিক্রমায় বেশ উন্নত হয়েছে, তবে নীতি নির্ধারকদের জন্য এই স্ট্যাট এখনো বেশ চিন্তার বিষয়। বুমিপুত্র সম্প্রদায়, যদিও সুবিধামূলক নীতির মাধ্যমে কিছুটা উপকৃত হয়েছে, তবে সম্পদ ও ব্যবসায়িক মালিকানার ক্ষেত্রে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর তুলনায় এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। সরকারের ঘন ঘন পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা অনিশ্চয়তা তৈরি করে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলে। দুর্নীতির কেলেঙ্কারি, যেমন - 1MDB কেলেঙ্কারি, সরকারী প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাসহীনতা বাড়িয়েছে, যার ফলে আরও শক্তিশালী শাসন সংস্কার এবং স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির কৌশল

প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে মালয়েশিয়া কয়েকটি কৌশলে মনোনিবেশ করছে:

১। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ :

উৎপাদন ও পাম তেল এখনও প্রধান খাত হলেও, মালয়েশিয়া উচ্চ প্রযুক্তি খাতে, যেমন ইলেকট্রনিক্স, জৈবপ্রযুক্তি এবং তথ্য প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে যাতে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে পারে। সরকার ইসলামিক ফাইন্যান্স-কেও উৎসাহিত করছে, এই খাতে গ্লোবাল লিডার হওয়ার চেষ্টা করছে।

২। নবায়নযোগ্য শক্তি :

বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, মালয়েশিয়া নবায়নযোগ্য শক্তি খাত, বিশেষত সৌর শক্তি, জলবিদ্যুৎ এবং বায়োম্যাস-এ প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২০% নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাবে এবং নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করবে।

৩। মানবসম্পদ উন্নয়ন :

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার জন্য দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন, তা মালয়েশিয়া বুঝতে পেরেছে। সরকার শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করছে যাতে উৎপাদনশীলতা ও উদ্ভাবন বৃদ্ধি পায়। STEM শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রযুক্তি ও গবেষণা খাতে আরও অংশগ্রহণ উৎসাহিত করার দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।

এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে এবং ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির কৌশলে মনোযোগ দিয়ে, মালয়েশিয়া একটি উচ্চ আয়ের অর্থনীতি হয়ে ওঠার যাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চায়।

পরিসংহার

মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক সংস্কারের ইতিহাস একটি ধারাবাহিক অভিযোজন এবং উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। ১৯৭০-এর দশকের নিউ ইকোনমিক পলিসির (NEP) থেকে শুরু করে আধুনিক ইকোনমিক ট্রান্সফর্মেশন প্রোগ্রাম (ETP), দেশটির দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিল্পায়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তবে আয় বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের চ্যালেঞ্জগুলো এখনও রয়ে গিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন, উচ্চ প্রযুক্তি খাত এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মালয়েশিয়া তার ভবিষ্যতকে আরও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করার লক্ষ্য রাখছে।

 
 
 
 


  • https://en.wikipedia.org/wiki/Economic_history_of_Malaysia
  • https://www.ide.go.jp/library/English/Publish/Periodicals/De/pdf/73_04_03.pdf
  • https://www.worldbank.org/en/country/malaysia/overview
  • https://www.britannica.com/place/Malaysia/Resources-and-power
  • https://www.ehm.my/publications/articles/malaysias-structural-economic-change-past-present-and-future
  • https://eh.net/encyclopedia/economic-history-of-malaysia/
  • https://www.krinstitute.org/assets/contentMS/img/template/editor/20181129_Part%203_KRI_SOH_2018.pdf
  • https://resourcegovernance.org/sites/default/files/RWI_Econ_Diversification_Malaysia.pdf
  • https://www.imf.org/en/News/Articles/2019/06/23/sp062419-md-ingredients-for-malaysias-economic-prosperity
  • https://m.aliran.com/thinking-allowed-online/how-malaysia-can-become-a-developed-nation
  • https://eastasiaforum.org/2020/04/30/malaysia-beats-brutal-covid-19-expectations/
  • https://www.thedailystar.net/business/global-economy/south-east-asia/news/migrant-worker-crisis-malaysias-palm-oil-industry-crumbles-3046131
  • https://www.investopedia.com/terms/a/asian-financial-crisis.asp
  • https://corporatefinanceinstitute.com/resources/economics/asian-financial-crisis/
Next to read
Canvas & Methods
মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট (Minimum Viable Product)
মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট (Minimum Viable Product)

অধিক শ্রম ও অর্থ খরচের এই ঝুঁকি এড়াতে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন ধরনের বিজনেস স্ট্র‍্যাটেজি যেখানে পণ্য প্রয়োজনীয় কিছু ফিচার দিয়ে বাজারজাত করা হয়। পরবর্তীতে গ্রাহকদের চাহিদা পর্যালোচনা করে ধীরে ধীরে এই পণ্যের উন্নয়ন করা হয় এবং নতুন নতুন উপাদান/ফিচার যুক্ত করা হয়। ব্যবসায়িক জগতে একে বলা হয় মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট।

অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
Business Models
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
কাস্টমার ডাটা মনেটাইজেশন মডেল (Customer Data Monetization Model)
Business Models
কাস্টমার ডাটা মনেটাইজেশন মডেল (Customer Data Monetization Model)
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
Business Models
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
লোগোর উদাহরন (Example of Logos)
Logo
লোগোর উদাহরন (Example of Logos)
নিট মুনাফা (net profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং কিভাবে হিসাব করবেন
Business
নিট মুনাফা (net profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং কিভাবে হিসাব করবেন
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?
Business
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?
ব্যষ্টিক অর্থনীতি বা Micro Economics কী?
Economics
ব্যষ্টিক অর্থনীতি বা Micro Economics কী?