সাপ্লাই চেইন কি? সাপ্লাই চেইনের আদ্যোপান্ত

830
article image

পণ্য উৎপাদনের পর তা ভোক্তার কাছে পৌছে দেয়া পর্যন্ত একাধিক উপাদান নিয়ে সাপ্লাই চেইন গঠিত হয়। সাপ্লাই চেইনে বিভিন্ন ধরণের উপাদান থাকতে পারে, যেমন - সাপ্লাইয়ার, ম্যানুফ্যাকচারার, ওয়্যারহাউজ, ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার। কোম্পানীর প্রয়োজন অনুসারে সাপ্লাই চেইনে আরো বেশি বা কম উপাদান থাকতে পারে।

Key Points

  • সাপ্লাই চেইন হচ্ছে কিছু কোম্পানী ও মানুষের সমন্বয়ে তৈরি একটি নেটওয়ার্ক, যারা পণ্য উৎপাদন ও বিপণ্নের সাথে জড়িত থাকেন।
  • সাপ্লাই চেইনের উপাদানগুলো হচ্ছে - সাপ্লাইয়ার, ম্যানুফ্যাকচারার, ইভেন্টরি, ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার।
  • সাপ্লাই চেইনের কার্যক্রমগুলোর ভেতর অন্যতম হচ্ছে - প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং, অপারেশনস, ডিস্ট্রিবিউশন ও কাস্টমার সার্ভিস।
  • সঠিকভাবে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজ করলে খরচ কমানো ও এফিশিয়েন্সি বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়।

ভূমিকা

যেকোনো কোম্পানীর কাছে সাপ্লাই চেইন বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও, কাস্টমারদের কাছে সাপ্লাই চেইনের খুটিনাটি তথ্য থাকে না বললেই চলে। সাপ্লাই চেইন কনসেপ্টের কারণেই আমরা এখন বিশ্বের অপরপ্রান্তে তৈরি হওয়া স্যামসাং বা অ্যাপল কোম্পানীর আইফোন বাসার কাছের আউটলেট থেকে ক্রয় করতে পারছি। সাপ্লাই চেইন কনসেপ্টের উপর নির্ভর করেই বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায় যেমন - ফুড ডেলিভারি বা কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। দেশের একপ্রান্তে তৈরি হওয়া কুটিরশিল্পের বিভিন্ন পণ্য অপরপ্রান্তে অল্প সময়ে পৌছে যাচ্ছে এই সাপ্লাই চেইনের ভূমিকার কারণেই। তাই চলুন, এই জটিল কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ কনসেপ্ট সম্পর্কে আজ ধারণা নেয়া যাক।

সাপ্লাই চেইন কী?

সাপ্লাই চেইন হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন, মানুষ, কার্যক্রম, তথ্য ও রিসোর্সের নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে একটি পণ্য বা সেবা তৈরি করা থেকে শুরু করে তা সাধারণ ভোক্তাদের পর্যন্ত পৌছে দেয়া হয়। পণ্যের জন্য কাচাঁমাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে ফাইনাল প্রোডাক্ট তৈরি করে তা সাধারণ ভোক্তাদের কাছে পৌছে দেয়া পর্যন্ত সকল উপাদানই এই সাপ্লাই চেইনের অংশ হিসেবে কাজ করে। সাপ্লাই চেইনের মূল উপাদানগুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে সাপ্লাইয়ার, ম্যানুফ্যাকচারার, ওয়্যারহাউজ, ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার ও রিটেইলার।

প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানো, কোয়ালিটি বৃদ্ধি করা ও সময়মতো পণ্য ডেলিভার করার জন্য এফিশিয়েন্ট সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের কোনো বিকল্প নেই। সাপ্লাই চেইনের সবগুলো উপাদানের মাঝে সমন্বয় করা ও সেগুলোকে অপ্টিমাইজ করার মাধ্যমে পুরো সাপ্লাই চেইনের ইফেক্টিভনেস ও এফিশিয়েন্সি বৃদ্ধি করা’ই হচ্ছে মূলত সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট।

আধুনিক সময়ে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি যেমন - অটোমেশন, ডেটা অ্যানালিটিক্স ও রিয়াল-টাইম ট্র্যাকিং ইত্যাদি সাপ্লাই চেইনগুলোর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই ডিমান্ড ফরকাস্টিং, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট ও অর্ডার প্রসেসিং-এর মতো কাজগুলো করা সম্ভব হচ্ছে।

আবার একটি এফিশিয়েন্ট সাপ্লাই চেইন একধরণের কম্পিটিটিভ অ্যাডভান্টেজ হিসেবে’ও কাজ করে যার মাধ্যমে সঠিক স্থানে, সঠিক পরিমাণ পণ্য, সঠিক সময়ে পৌছে দেয়া সম্ভব হয়।

একটি সাপ্লাই চেইন কীভাবে কাজ করে?

একটি সাপ্লাই চেইন কিছু আন্তঃসংযুক্ত স্টেপের সমন্বয়ে গঠিত হয় যেখানে একাধিক স্টেকহোল্ডার থাকেন। প্রতিটি স্টেকহোল্ডার প্রয়োজন অনুযায়ী সাপ্লাই চেইনের কোনো না কোনো দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি পণ্য বা সেবা তৈরি করে তা ভোক্তাদের নিকট পৌছে দেয়া হয়। একটি সাপ্লাই চেইন কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ধারণা নেয়া যাক।

১। সোর্সিং ও প্রোকিউরমেন্ট

সাপ্লাই চেইনের সর্বপ্রথম স্তরে থাকেন বিভিন্ন ধরণের সাপ্লাইয়াররা, যারা পণ্য উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাচাঁমাল, উপাদান বা পার্টস সরবরাহ করে থাকেন। কোম্পানীগুলো একাধিক সাপ্লাইয়ারদের সাথে কাজ করে, যাতে করে কাচাঁমাল সংগ্রহ করা রিলেটেড ঝুকিঁ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়।

আর প্রোকিউরমেন্ট বলতে বোঝায় সাপ্লাইয়ারদের সাথে নেগোশিয়েট করা ও তাদের সাথে অর্ডার কালেক্ট করা। এর মাধ্যমে কোম্পানীগুলো সঠিক মানের কাচাঁমাল সঠিক দামে সংগ্রহ করার চেষ্টা করে।

২। ম্যানুফ্যাকচারিং

সাপ্লাইয়ার থেকে কাচাঁমাল সংগ্রহ করার পর শুরু হয় পণ্য উৎপাদন করা। এই কাজে কোম্পানী তার নিজের ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট বা ফ্যাক্টরি ব্যবহার করতে পারে অথবা অন্য কোনো কোম্পানীর থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং-এর কাজ আউটসোর্স করতে পারে। খরচ কমানো ও প্রোডাকশন ডেডলাইন মিট করতে হলে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসকে এফিশিয়েন্ট করে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

৩। ওয়্যারহাউজিং ও ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট

কারখানায় পণ্য উৎপাদন করার পর ডিস্ট্রিবিউট করার পূর্ব পর্যন্ত তা গুদামে স্টোর করে রাখা হয়। নিরাপদে পণ্য স্টোর করে রাখা, সঠিক পরিমাণে পণ্য স্টোর করা ও যথাযথ সময়ে পণ্য গুদাম হতে ডিস্ট্রিবিউট করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এগুলো সঠিকভাবে করতে না পারলে সাপ্লাই চেইনের গতি অনেক কমে যেতে পারে।

ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্টের কাজ হচ্ছে মূলত প্রয়োজনমাফিক পণ্য ইনভেন্টরিতে জমা রাখা, যাতে করে ওভারস্টকিং বা আন্ডারস্টকিং-এর মতো সমস্যা তৈরি না হয়। ইফেক্টিভ ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্যে এখন কোম্পানীগুলো অনেক ধরণের টেকনিক অনুসরণ করছে, যেমন - যাস্ট-ইন-টাইম ইনভেন্টরি।

৪। ডিস্ট্রিবিউশন

মূলত ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারগুলোতে খুব অল্প সময়ের জন্য পণ্য স্টোর করা হয়ে থাকে। আবার খুব অল্প সময়ে খুব বেশি পরিমাণ পণ্য এখান থেকে ছেড়ে’ও দেয়া হয়। অনেক কোম্পানী নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার তৈরি না করে বরং থার্ড-পার্টি হোলসেলারদের ব্যবহার করে। আবার অনেক কোম্পানী কোনো ধরণের ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার বা হোলসেলার রাখে না, তারা সরাসরি গুদাম থেকে পণ্য রিটেইলারদের কাছে পৌছে দেয়।

৫। রিটেইল ও কাস্টমার সার্ভিস

হোলসেলার হয়ে পণ্য রিটেইলারদের কাছে পৌছায় এবং সাধারণ ভোক্তাগণ রিটেইলারদের থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকেন। অনেক কোম্পানী কোনো থার্ড-পার্টি রিটেইলার ব্যবহার করেন না, বরং তারা নিজেদের ব্র্যান্ডেরই রিটেইল স্টোর প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে করে তারা কাস্টমারদের খুব কাছাকাছি অবস্থান করতে পারেন এবং কাস্টমার এক্সপিরিয়েন্সকে আরো উন্নত করে তুলতে পারেন।

রিটেইল পয়েন্টগুলোই কাস্টমারদের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করে, তাই আফটার-সেলস সার্ভিস দেয়ার কাজেও রিটেইল পয়েন্টগুলো ব্যবহার করা হয়। কাস্টমার লয়ালটি ধরে রাখতে উন্নত আফটার-সেলস সার্ভিস প্রদান করার কোনো বিকল্প নেই।

৬। টেকনোলজি ও ইন্টিগ্রেশন

টেকনোলজি সাপ্লাই চেইনের কোনো ফিজিকাল পার্ট নয়। বরং সাপ্লাই চেইনের প্রতিটি পার্টেই টেকনোলজি এখন বিপ্লব নিয়ে এসেছে, তাই একে আলাদা করে উল্লেখ করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। এখন এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং,সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করার মাধ্যমে সাপ্লাই চেইনের প্রতিটি অংশকে বেশ অপ্টিমাইজ করা সম্ভব হয়েছে। আবার বিভিন্ন অটোমেশন টেকনোলজি যেমন - রোবোটিকস, এআই, আইওটি ইত্যাদি’ও এখন এই সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সাপ্লাই চেইনের বিভিন্ন মডেল

সাপ্লাই চেইন মডেল বলতে নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্ককে বোঝায়, যার মাধ্যমে নির্ধারিত হয় যে কোম্পানীগুলো কিভাবে তাদের ব্যবসায় ডিজাইন, ম্যানেজ ও অপ্টিমাইজ করবে। বিভিন্ন শিল্প, পণ্যের ধরণ ও মার্কেট কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের মডেল ব্যবহার করা হয়।

১। Continuous Flow Model

অল্প পণ্য কিন্তু চাহিদা বেশ স্থিতিশীল, এমন শিল্পে এই মডেল ব্যবহার করা হয়। এই মডেলের মাধ্যমে সাপ্লাই চেইনে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। যেমন - বেভারেজ, ঔষধ, খাদ্যপণ্য ইত্যাদি।

২। Fast Chain Model

এই মডেল মূলত গতিশীলতার দিকে ফোকাস করে। অর্থাৎ, পরিবর্তনশীল মার্কেট কন্ডিশন ও কাস্টমার প্রিফারেন্সের উপর নির্ভর করে পণ্যের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রোডাক্ট লাইফ সাইকেল বেশ ছোট, এমন প্রোডাক্টের জন্য এই মডেল ভালো। যেমন - ইলেক্ট্রনিক্স, কাপড় ইত্যাদি।

৩। Efficient Chain Model

যেই মার্কেটে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, সেখানে এফিশিয়েন্সি বৃদ্ধি ও খরচ হ্রাস করার উদ্দেশ্যে এই মডেল ব্যবহার করা হয়। রিসোর্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই মডেল বেশ সাবধানতা অবলম্বন করে। যেমন - প্যাকেটজাত পণ্য, গাড়ি ইত্যাদি।

৪। Agile Model

ফাস্ট চেইন মডেলের সাথে এই মডেলের পার্থক্য হচ্ছে এই যে, ফাস্ট চেইন মডেল মূলত পণ্যের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধির দিকে ফোকাস করে। আর এই মডেল কাস্টমার প্রিফারেন্স অনুযায়ী পণ্যের কাস্টমাইজেশনের দিকে ফোকাস করে। যেমন - হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রি ও কাস্টম ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি।

৫। Lean Model

এই মডেল ওয়েস্ট কমানো ও কন্টিনিউয়াস ইমপ্রুভমেন্টের উপর ফোকাস করে। এই মডেলের মাধ্যমে মূলত ঐসব কার্যক্রমকে সীমিত করে নিয়ে আসা হয় যেগুলো সাপ্লাই চেইনে বিশেষ একটা ভূমিকা পালন করে না। তবে এই মডেলের নমনীয়তা বেশ কম এবং কোনো একটি উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো সাপ্লাই চেইন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬। Green Model

এই মডেল সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যেখানে টেকসই উন্নয়নের দিকে ফোকাস করা হয় এবং পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর চেষ্টা করা হয়। পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই মডেল এখন সারা বিশ্বে বেশ প্রশংসিত।

ইফেক্টিভলি সাপ্লাই চেইন ম্যানেজ করার উপায়

ইফেক্টিভ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রয়োজন স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং, কার্যকর অপারেশনস এবং কন্টিনিউয়াস ইমপ্রুভমেন্ট।

১। স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং

কাস্টমার ডিমান্ড ফরকাস্ট করার জন্য ডিমান্ড ফরকাস্টিং মেথডগুলো ব্যবহার করতে হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক সাপ্লাইয়ার ম্যানেজমেন্ট ও ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট।

২। অপারেশনাল এফিশিয়েন্সি

এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে অপারেশনাল এফিশিয়েন্সি বৃদ্ধি করা সম্ভব। একই সাথে হাই স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করা ও ওয়েস্টের পরিমাণ কমানো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

৩। ডিস্ট্রিবিউশন

সাপ্লাই চেইনের সার্বিক খরচ কমিয়ে আনতে এফিশিয়েন্ট ট্রান্সপোর্টেশন মোড ও রুট ব্যবহার করতে হবে। একইসাথে যথাযথ ওয়্যারহাউজ ম্যানেজমেন্ট ও সময়মতো অর্ডার ফুলফিল করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

৪। ঝুকিঁ ব্যবস্থাপনা

সাপ্লাই চেইনের কোন কোন অংশগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তা নির্ধারণ করে ঝুকিঁ ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। কোনো একটি অংশ সাপ্লাই চেইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরলেও যাতে সাপ্লাই চেইন থেমে না যায়, তা এনশিওর করতে হবে। অর্থাৎ, সর্বদা ব্যাকআপ প্ল্যান হাতে রাখতে হবে।

৫। ক্রমাগত উন্নতি

সাপ্লাই চেইনের পারফরম্যান্স মনিটরিং-এর মাধ্যমে সাপ্লাই চেইনকে ক্রমাগত উন্নয়নের পথে রাখতে হবে। একইসাথে কাস্টমার ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের থেকে ফিডব্যাক গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।

পরিসংহার

পরিশেষে বলা যায় যে, সাপ্লাই চেইনের সাথে দুটো শব্দ ওতোপ্রোতভাবে জড়িত, তা হলো - ইফেক্টিভ ও এফিশিয়েন্ট। পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌছে দেয়া পর্যন্ত যেসব উপাদান সাহায্য করতে পারে, সেগুলোকে সাপ্লাই চেইনে যুক্ত এবং ক্রমাগত উন্নত করতে হবে। এর পাশাপাশি সাপ্লাই চেইনের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলোকে ছেটে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। সাপ্লাই চেইন এফিশিয়েন্ট হলে আপনি ভোক্তাদের কাছে কম দামে পণ্য অফার করতে পারবেন এবং কম্পিটিটিভ অ্যাডভান্টেজ পাবেন।

  • https://www.investopedia.com/terms/s/supplychain.asp
  • https://www.techtarget.com/whatis/definition/supply-chain
  • https://corporatefinanceinstitute.com/resources/management/supply-chain/
  • https://www.investopedia.com/terms/s/scm.asp
  • https://www.brightpearl.com/supply-chain
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)

ইম্প্যাথি ম্যাপিং মূলত একধরনের ট্যুলস। এটি গ্রাহকদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভব, উপলব্ধি সহ নানাবিধ তথ্য, উপাত্ত এর সমন্বয়ে গঠিত সুশৃঙ্খল এবং সুবিন্যস্ত একটি চার্ট। উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পর্কিত তথ্য উপাত্তের খুব চমৎকার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন পাওয়া যায় এই ইম্প্যাথি ম্যাপিং এর মাধ্যমে। যা মূলত আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে।

বিজনেস মডেল ক্যানভাস ( Business Model Canvas)
Canvas & Methods
বিজনেস মডেল ক্যানভাস ( Business Model Canvas)
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
লোগোর প্রকারভেদ (Types of Logos)
Logo
লোগোর প্রকারভেদ (Types of Logos)
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
Logo
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
বিনিয়োগ কি? বিনিয়োগের ধরণ এবং উদাহরণ
Investment
বিনিয়োগ কি? বিনিয়োগের ধরণ এবং উদাহরণ
‘SWOT’ Analysis
Analysis
‘SWOT’ Analysis
বিজনেস অ্যানালিসিস কী, কেনো, কীভাবে করবেন?
Analysis
বিজনেস অ্যানালিসিস কী, কেনো, কীভাবে করবেন?
ব্র্যান্ড আর্কিটেকচার কী? সংজ্ঞা, মডেল এবং উদাহরণ
Branding
ব্র্যান্ড আর্কিটেকচার কী? সংজ্ঞা, মডেল এবং উদাহরণ
General Agreement on Tariffs and Trade (GATT)
Agreement
General Agreement on Tariffs and Trade (GATT)