অর্থ কীভাবে কাজ করে? (How Money Works)

Share on:
article image

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের যেকোনো লেনদেনে অর্থ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, অর্থের মাধ্যমে আমরা পণ্য ও সেবা ক্রয় করি এবং ঋণ পরিশোধ করি। অর্থের মূল কাজগুলো হচ্ছে হিসাবের একক হিসেবে কাজ করা, মূল্য ধারণ করা এবং লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। অর্থ হতে চাইলে যেকোনো উপাদানকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন - স্বীকৃতি, পরিবহনযোগ্যতা, স্থিতিশীলতা, টেকসই ও সাদৃশ্য। বর্তমান সময়ে আমরা মূলত ৩ ধরণের অর্থ দেখতে পাই, যথা - ফিজিকাল, ডিজিটাল ও ক্রিপ্টোকারেন্সি।

Key Points

  • অর্থের যাত্রা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন ধরণের পণ্যের মাধ্যমে যেখানে যেকোনো মূল্যবান পণ্যের বিনিময়ে অন্যান্য পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা হতো।
  • এমন কোনো উপাদান যদি অর্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয় যার মান অনেক বেশি অস্থিতিশীল, তাহলে লেনদেনে ঝুকিঁর পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে এবং এতে করে লেনদেনের খরচ’ও বেড়ে যাবে।
  • প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার কল্যাণে একদিকে ফিজিকাল মানির গ্রহণযোগ্যতা কমছে এবং খুব দ্রুত হারে ডিজিটাল মানির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • আপাতদৃষ্টিতে মুদ্রাসংকোচনকে ভালো মনে হলেও এর ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম অনেক কমে যেতে পারে এবং বেকারত্বের হার অনেক বেড়ে যেতে পারে।

ভূমিকা

দৈনন্দিন জগতে আমরা একটি জিনিস ব্যবহার না করে কোনোভাবেই চলতে পারি না, তা হচ্ছে অর্থ। কোথাও যেতে চাইলে অর্থের প্রয়োজন, কিছু ক্রয় করতে চাইলে অর্থের প্রয়োজন, কাউকে উপহার দিতে চাইলে অর্থের প্রয়োজন। আমাদের জীবনের এতোটা জুড়ে যেই জিনিস বিরাজ করে, কখনো কি ভেবেছি যে এই জিনিস আসলে কাজ করে কীভাবে? আর কেনোই বা আমাদের কাছে অর্থের এতো গ্রহণযোগ্যতা! আজকের লেখায় তাই আমরা অর্থের খুব স্পেসিফিক বিষয় জানার চেষ্টা করবো, যেমন অর্থ কী, অর্থের কাজ কী, অর্থের প্রকারভেদ ও মুল্যস্ফীতি এবং মুদ্রাসংকোচনে অর্থের প্রভাব কী ইত্যাদি।

অর্থ কী?

অর্থনীতিতে আমরা যেই জিনিস ব্যবহার করে কোনো কিছু ক্রয়-বিক্রয় করি ও ঋণ গ্রহণ বা প্রদান করি তা’ই অর্থ। অর্থের মাধ্যমে আমরা খুব খরচে এবং খুব সহজেই নিজেদের মাঝে লেনদেন সম্পাদন করতে পারি। বিনিময় প্রথার তুলনায় অর্থের ব্যবহার অনেক সহজ এই কারণেই যে বিনিময় প্রথায় কোনো স্ট্যান্ডার্ড একক ছিল না। কিন্তু অর্থ দিয়ে আমরা এখন যেকোনো পণ্য বা সেবার মূল্য খুব সহজেই নির্ধারণ করে ফেলতে পারি। এতে আমাদের লেনদেনে খুব পরিমাণ মূল্যের অপচয় হয় বা একেবারে হয় না বললেই চলে।

অর্থের যাত্রা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন ধরণের পণ্যের মাধ্যমে যেখানে যেকোনো মূল্যবান পণ্যের বিনিময়ে অন্যান্য পণ্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় করা হতো। সেই থেকে বর্তমান সময়ে আমরা সচরাচর অর্থ বলতে বুঝি সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত বিভিন্ন মুদ্রা, ডিজিটাল কারেন্সি ও ক্রিপ্টোকারেন্সি।

অর্থ কীভাবে কাজ করে?

অর্থ হচ্ছে একধরণের তরল সম্পদ যা যেকোনো ধরণের ভ্যালুর বিনিময়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই অর্থকে লেনদেনের মাধ্যম, মূল্যের ধারক ও হিসাবের একক বলা হয়। বলে রাখা ভালো যে এই ৩টি জিনিসই অর্থের মূল কার্যকারিতা।

বিনিময় প্রথার যুগে মানুষ নিজেদের মাঝে বিভিন্ন পণ্যের বিনিময় করতো। তবে এই ব্যবস্থা তখনই কাজ করতো যখন দুই পার্টির কাছেই এমন কিছু আছে যা অপর পার্টির প্রয়োজন। এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে লেনদেন করা হয়ে যেতো অনেক কঠিন। অর্থের আবিষ্কারের পর এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এখন অর্থ যেকোনো লেনদেনের মাঝে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করে। আর এটাই বর্তমান সময়ে অর্থের সবচেয়ে বড় কাজ। তবে এছাড়া’ও অর্থের আরো কিছু কাজ রয়েছে।

১। হিসাবের একক

যেকোনো লেনদেনে এখন যেহেতু অর্থকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই অর্থই হচ্ছে এখন হিসাবের একক। অর্থাৎ, আমরা যখন কোনো পণ্য বা সেবার মূল্য নির্ধারণ করতে চাই, তখন তার মূল্য নির্ধারণ করি অর্থের মাধ্যমে। উদাহরণস্বরুপ, আপনি দোকান থেকে এক কেজি চিনি ক্রয় করতে চাইলে দোকানদার আপনাকে বলবে যে এক কেজি চিনির জন্য আপনাকে ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ, এই ৭০ টাকা দ্বারা এক কেজি চিনির ভ্যালু প্রকাশ করা হচ্ছে। যেকোনো পণ্যের দামের ক্ষেত্রেই আমরা এখন এই বিষয়টি দেখতে পাই।

২। মূল্যের ধারক

অর্থকে আমরা এখন যেকোনো লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি মূলত এই কারণে যে লেনদেন থেকে প্রাপ্ত অর্থকে আমরা আবার ভবিষ্যতে ব্যবহার করতে পারবো। অর্থাৎ, এখানে অর্থ নির্দিষ্ট কিছু ভ্যালু স্টোর করছে। সেই ভ্যালুর বিনিময়ে আমরা ভবিষ্যতে অন্য কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারবো। অর্থ যদি এই কাজ না করতো, তাহলে তা সার্বজনীনতা পেতো না।

৩। লেনদেনের মাধ্যম

অর্থের মূল কার্যকারিতা’ই হচ্ছে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। অর্থাৎ, যেকোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এখানে অর্থ ইন্টারমিডিয়ারি ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে কাজ করছে।

অর্থের বৈশিষ্ট্য কী কী?

বর্তমান সময়ে যেকোনো উপাদানের অর্থ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এই শর্তগুলো পূরণ করলেই সেই উপাদানকে খুব সহজেই অর্থ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। সেগুলো হলো -

১। সাদৃশ্য

যেকোনো উপাদানকে অর্থ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে সেই গোত্রভূক্ত সব উপাদানের একই রকম দেখতে হতে হবে এবং সবগুলো স্ট্যান্ডার্ড ভ্যালু থাকতে হবে। অর্থাৎ, একটি উপাদানের সাথে খুব সহজেই ঐ উপাদানের অন্য একটি পিসের সাথে সেটি এক্সচেঞ্জ করে ফেলা যাবে।

উদাহরণস্বরুপ, আপনার কাছে যদি কোনো স্বর্ণের কয়েন থাকে, তাহলে সেই স্বর্ণের কয়েনের সাথে অন্যান্য স্বর্ণের কয়েনের মিল থাকতে হবে এবং সেগুলোর ভ্যালু সেইম থাকতে হবে। একমাত্র তখনই আপনি সেই স্বর্ণের কয়েন ব্যবহার করে লেনদেন সম্পাদন করতে পারবেন। একেকটি স্বর্ণের কয়েন যদি দেখতে একেকরকম হয় এবং তাদের মান ভিন্ন হয়, তাহলে তা লেনদেনকে আরো জটিল ও সময়সাপেক্ষ করে তোলে।

২। টেকসই

যেকোনো অর্থকে একাধিক লেনদেন সহ্য করার মতো টেকসই হতে হবে। কারণ, আমরা জানি যে অর্থ বার বার হাতবদল হতে থাকে। এইক্ষেত্রে আমরা যদি এমন কোনো উপাদানকে অর্থ হিসেবে ব্যবহার করে যা একবার বা কয়েকবার হাতবদল হওয়ার পরই নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তার উপযোগিতা অনেক কমে যাবে। তাই পনচশীল কোনো উপদানকে এখন আর অর্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয় না।

৩। পরিবহনযোগ্য

অর্থকে অবশ্যই পোর্টেবল বা এক স্থান হতে অন্য স্থানে পরিবহনযোগ্য হতে হবে। পরিবহনে সমস্যা হয় এমন জিনিসের লেনদেনের খরচ অনেক বেড়ে যায়। তাই তো মধ্যযুগ পরবর্তী সময়ে ধাতব কয়েনের ব্যবহার দিন দিন হ্রাস পেয়েছে এবং কাগজি মুদ্রার ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

৪। স্বীকৃত

অর্থকে অবশ্যই জনগণ ও সরকার দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে। স্বীকৃত না হলে ঐ অর্থকে যেকোনো স্থানে বা যেকোনো মানুষের সাথে লেনদেনে ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। এতে করে লেনদেনের আকার অনেক সীমিত হয়ে যাবে এবং লেনদেনের খরচ বেড়ে যাবে।

৫। স্থিতিশীল

অর্থের সরবরাহকে অবশ্যই স্থিতিশীল হতে হবে যাতে করে তার চাহিদা পূরণ করা যায় এবং নির্দিষ্ট মান ধরে রাখা যায়। এমন কোনো উপাদান যদি অর্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয় যার মান অনেক বেশি অস্থিতিশীল, তাহলে লেনদেনে ঝুকিঁর পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে এবং এতে করে লেনদেনের খরচ’ও বেড়ে যাবে।

ডিজিটাল যুগে অর্থের প্রকারভেদ

অর্থের উপযোগিতার উপর নির্ভর করে একে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা গেলেও, বর্তমান সময়ে আমরা মূলত ৩ ধরণের অর্থ দেখতে পাই।

১। ফিজিকাল -

ফিজিকাল মানি বলতে বর্তমানে ব্যাংক নোট ও কয়েনকে বোঝানো হয় যা আমরা দেখতে ও স্পর্শ করতে পারি। এই ধরণের অর্থ এখনো পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে গ্রহণযোগ্য। তবে পৃথিবী যতোই এগিয়ে যাচ্ছে, ফিজিকাল মানির গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন ততোই হ্রাস পাচ্ছে।

২। ডিজিটাল -

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার কল্যাণে একদিকে ফিজিকাল মানির গ্রহণযোগ্যতা কমছে এবং খুব দ্রুত হারে ডিজিটাল মানির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল মানি বলতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসগুলোর অ্যাকাউন্টে জমানো অর্থকে বোঝানো হয়। শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকে অনলাইনে লেনদেন করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মানির কোনো জুড়ি নেই।

৩। ক্রিপ্টোকারেন্সি -

অর্থের জগতে সবচেয়ে নতুন যোগ হয়েছে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি যেমন - বিটকয়েন বা ইথিরিয়াম। পুরোপুরি ডিসেন্ট্রালাইজেশন কনসেপ্টের উপর দাঁড়ানো এই অর্থগুলো ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার করে নিরাপদে ও সহজে লেনদেন করার সুযোগ দিচ্ছে। যদিও এখনো বেশিরভাগ দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনো সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তবে আশা করা হচ্ছে যে মানুষ তার আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়ে যতো সচেতন হতে থাকবে, ঠিক ততোটাই ক্রিপ্টোকারেন্সির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

অর্থ তৈরির প্রক্রিয়া

অর্থ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় যখন বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট ইস্যু করে। তবে এই প্রক্রিয়া কিন্তু সেখানেই থেমে থাকে না। অর্থনীতিতে নতুন অর্থ তৈরির ক্ষেত্রে কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে তারা অর্থনীতিতে অর্থের প্রবাহকে সাহায্য করে। আমরা যখন কোনো ব্যাংকে অর্থ জমা রাখি, তখন ব্যাংক সেই অর্থ দায়িত্ব গ্রহণ করে। আমরা যখন ইচ্ছা অর্থ তুলে নিতে পারি এবং যেখানে ইচ্ছা খরচ করতে পারি। তবে ব্যাংক কিন্তু পুরো ডিপোজিট নিজের কাছে রেখে দেয় না।

ডিপোজিটের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিজের কাছে রেখে ব্যাংক বাকি অংশ ঋণ হিসেবে অন্য গ্রাহকদের প্রদান করে। পুরো অর্থকে নিজের কাছে জমা না রেখে নির্দিষ্ট অংশ অন্যদের ঋণ হিসেবে প্রদান করার এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ফ্র্যাকশনাল রিজার্ভ ব্যাংকিং। অর্থাৎ, আপনি যদি ব্যাংকে ১০০ টাকা জমা রাখেন, তাহলে ব্যাংক সেখান থেকে শুধু ২০ টাকা জমা রেখে বাকি ৮০ টাকা ঋণ হিসেবে অন্যদের প্রদান করবে। এইভাবে ব্যাংক ঋণ রুপে অর্থনীতিতে নতুন অর্থ তৈরি করে চলে।

এখন মাত্র এই ২০ টাকা দিয়ে ব্যাংক কিভাবে ডিপোজিটরদের ডিমান্ড পূরণ করে তা অন্য আলোচনা, তবে আশা করি কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলো কিভাবে অর্থনীতিতে নতুন অর্থ তৈরি করে তা বুঝতে পেরেছেন। এই সিস্টেমে অর্থনীতিতে নতুন অর্থ তৈরি করা সম্ভব হলেও ব্যাংকের জন্য ঝুকিঁ অনেক বেড়ে যায়। কারণ, অনেক বেশি ডিপোজিটর একসাথে নিজেদের অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নিতে চাইলে তখন ব্যাংকের পক্ষে সেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না, যাকে আমরা ব্যাংক রান বলি।

মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রাসংকোচন

সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন ফ্যাক্টরের কারণে পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পায়, যাকে আমরা মুদ্রাস্ফীতি বলি। মুদ্রাস্ফীতি মূলত দুই কারণে হতে পারে -

  • ১। অতিরিক্ত চাহিদার বৃদ্ধির কারণে।
  • ২। উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণে।

উভয়ক্ষেত্রেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মারাত্মক হারে কমে যায় এবং অর্থ খুব দ্রুত তার মান হারায়।

অপরদিকে, মুদ্রাসংকোচন বলতে সকল ধরণের পণ্য বা সেবার মূল্য কমে যাওয়াকে বোঝানো হয়। আপাতদৃষ্টিতে মুদ্রাসংকোচনকে ভালো মনে হলেও এর ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম অনেক কমে যেতে পারে এবং বেকারত্বের হার অনেক বেড়ে যেতে পারে।

মুদ্রাস্ফীতির কারণে দ্রুত হারে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। এতে করে সমপরিমাণ অর্থ দ্বারা কিছু দিন আগের তুলনায় আপনি বর্তমানে অনেক কম পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারবেন, আপনার সঞ্চয়ের মান কমে যাবে এবং আপনার আয়ের মান’ও কমে যেতে শুরু করবে। অপরদিকে, মুদ্রাসংকোচনের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের বেশ ক্ষতি হতে পারে। তাই উভয়ের মাঝে ভালো ব্যালেন্স তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই।

মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সাধারণ জনগণের হাতে করার মতো বিশেষ কিছু নেই। এই সমস্যাকে মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমাধান করে থাকে। মনিটারি পলিসির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিতে সুদের হার ও অর্থের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে অর্থের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

পরিসংহার

আর্থিক শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে অর্থ কিভাবে কাজ করে তা বোঝা। অর্থের জটিল জগতে তথ্য-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। আশা করি আজকের লেখায় অর্থ কিভাবে কাজ করে, তার বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ ও মুদ্রাস্ফীতি-মুদ্রাসংকোচন সম্পর্কে আপনাকে একটি বিস্তারিত ধারণা দিতে পেরেছি। তবে আর্থিক জ্ঞানের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা ও নিয়মিত বিনিয়োগ করা। এভাবে আপনি মুদ্রাস্ফীতির বিপরীতে খুব সহজেই আপনার অর্থের মান নিশ্চিত করতে পারবেন এবং আপনার অর্থ অলস পরে থাকবে না।

  • https://corporatefinanceinstitute.com/resources/economics/money/
  • https://www.investopedia.com/insights/what-is-money/
  • https://www.studysmarter.co.uk/explanations/macroeconomics/financial-sector/money/
  • https://economictimes.indiatimes.com/definition/money
  • https://www.britannica.com/money/topic/money/Metallic-money
  • https://corporatefinanceinstitute.com/resources/economics/functions-of-money/
  • https://www.projectfinance.com/functions-characteristics-of-money/
Next to read
Business Models
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল (Sharing Economy Model)
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল (Sharing Economy Model)

শেয়ারিং ইকোনমি মূলত দুই পক্ষের (Peer to Peer) সমন্বয়ে গঠিত এমন একটি বিজনেস মডেল, যেখানে মূল প্রতিষ্ঠানটি একটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। এক্ষত্রে প্রতিষ্টান গুলো মূলত দুই পক্ষ অর্থাৎ সেবা প্রদানকারী এবং সেবা গ্রহণকারীদের মাঝে প্রযুক্তির সহায়তায় নিজস্ব কৌশলে সংযোগ করে দেয়।

কাস্টমার ডাটা মনেটাইজেশন মডেল (Customer Data Monetization Model)
Business Models
কাস্টমার ডাটা মনেটাইজেশন মডেল (Customer Data Monetization Model)
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
Business Models
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
বি-টু-বি, বি-টু-সি এবং বি-টু-জি কি? (B-to-B, B-to-C, B-to-G)
Business
বি-টু-বি, বি-টু-সি এবং বি-টু-জি কি? (B-to-B, B-to-C, B-to-G)
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
Logo
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
মোট মুনাফা (Gross profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং উদাহরণ
Business
মোট মুনাফা (Gross profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং উদাহরণ
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?
Business
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?
সেলস কি এবং কিভাবে তা কাজ করে?
Sales
সেলস কি এবং কিভাবে তা কাজ করে?
বিক্রয়ের ১০টি ভুল যেগুলো প্রতিটি বিক্রয়কর্মীর এড়ানো উচিৎ
Sales
বিক্রয়ের ১০টি ভুল যেগুলো প্রতিটি বিক্রয়কর্মীর এড়ানো উচিৎ
বিনিয়োগ কি? বিনিয়োগের ধরণ এবং উদাহরণ
Investment
বিনিয়োগ কি? বিনিয়োগের ধরণ এবং উদাহরণ