15 Ways to Make Money at Home

523
article image

ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করে ঠিকভাবে কাজ করতে পারলে ঘরে বসেও বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব। অনেকেই এইভাবে এখন বেশ ভালো করছেন। ঘরে বসেই করা যায় এমন কাজগুলোর মাঝে এখন অন্যতম হচ্ছে - ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা, অনলাইন টিউশন, ব্লগ লিখা, অনলাইন সার্ভিস প্রদান, এফ-কমার্স ব্যবসায়, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা, অনলাইনে কোর্স বিক্রয়, ড্রপশিপিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।

Key Points

  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনাকে মূলত খুব সহজ কিছু কাজ করতে হতে পারে, যেমন - ট্রাভেল প্ল্যান তৈরি করা, ইমেইল চেক করা, অনলাইন রিসার্চ করা ইত্যাদি।
  • একটি পুরো ই-কমার্স ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে যেহেতু অনেক ধরণের বাধার সম্মুখীন হতে হয়, তাই একটি এফ-কমার্স ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য ভালো অল্টারনেটিভ।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে প্রফেশনালি মৌখিক ও লিখিত মাধ্যমে কমিউনিকেট করতে জানতে হবে।
  • আপনার যদি কোনো নন-অ্যাকাডেমিক বিষয়ে পারদর্শিতা থাকে, তাহলে সেই দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কোর্স তৈরি করে তা অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন।

ভূমিকা

লম্বা সময় অফিসের চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে ক্লান্ত? ট্রেডিশনাল জব মার্কেট থেকে কিছুদিনের জন্য ব্রেক নেয়ার কথা ভাবছেন? বাসায় ছোট-বাচ্চার দেখাশোনা করা দরকার? এমন বিভিন্ন কারণে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এখন রিমোট জবগুলোর দিকে ঝুকছে। ট্রেডিশনাল জবের তুলনায় রিমোট জবে আয়ের পটেনশিয়াল তুলনামূলক কম হলেও দীর্ঘসময় লেগে থাকলে এই সেক্টরেও বেশ ভালো করা সম্ভব। আবার অনেকে তো এই সেক্টরকেই ফুলটাইম ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এতে করে তারা নিজেদের ও পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন ও অফিসের টক্সিক প্রোডাক্টিভিটির কালচার থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারছেন। তাই, আপনার জন্য আজ আমরা এমন ১৫টি কাজ তুলে ধরতে চাই, যেগুলোর মাধ্যমে আপনিও ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন ও টাকা আয় করতে পারবেন।

ঘরে বসে টাকা আয় করার ১৫টি উপায়

তবে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক যে কি কি উপায়ে আপনি ঘরে বসেই টাকা আয় করতে পারবেন। প্রতিটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আমরা সংক্ষেপে আলোচনা করছি। কোনো বিষয় আপনার ভালো লাগলে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত রিসার্চ করতে ভুলবেন না যেন।

১। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা

বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টদের জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক কোম্পানী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হায়ার করে থাকে, আবার কিছু ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানী’ও গড়ে উঠেছে যারা অন্য কোম্পানীদের এই ধরণের সেবা প্রদান করে থাকে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনাকে মূলত খুব সহজ কিছু কাজ করতে হতে পারে, যেমন - ট্রাভেল প্ল্যান তৈরি করা, ইমেইল চেক করা, অনলাইন রিসার্চ করা ইত্যাদি। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করতে চাইলে আপনার একটি কমপিউটার বা ল্যাপটপ ও ভালো ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। এর পাশাপাশি ইন্টারনেট সম্পর্কেও আপনার ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন।

২। অনলাইন টিউশন করানো

আপনার যদি অন্যের বাসায় গিয়ে শিক্ষার্থী পড়াতে ভালো না লাগে, তাহলে আপনি অনলাইনে টিউশন করাতে পারেন। এখন অনেকেই অনলাইনে টিউশন করাচ্ছেন আবার কেউ কেউ অনলাইনে ব্যাচ হিসেবে’ও পড়াচ্ছেন। এভাবে আপনি যাতায়াত ভাড়া ও অনেকটা সময় সেইভ করতে পারবেন। তবে এই কাজেও আপনার একটি কমপিউটার বা ল্যাপটপ ও ভালো ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে।

৩। ব্লগে লিখে টাকা আয়

আপনি চাইলে ঘরে বসেই নিজের একটি ব্লগ শুরু করতে পারেন। এই কাজ অনেক সহজ হয়ে যায় যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে পারদর্শিতা থাকে। সেই বিষয়ের উপর একটি ব্লগ খুলে আপনি আর্টিকেল লেখা শুরু করতে পারেন। মার্কেটিং-এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনার ব্লগে প্রতিদিন ভালো সংখ্যক মানুষ আসা শুরু করলে আপনি বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা শুরু করতে পারেন।

৪। অনলাইনে সার্ভিস প্রদান

অনেকেই আছেন, যারা ফ্রিল্যান্সিং-কে ফুলটাইম পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী নন। তবে তাদের কিছু স্কিল আছে, যার মাধ্যমে তারা টাকা আয় করতে আগ্রহী। আপনিও যদি এমন একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি আপনার স্কিল দ্বারা অনলাইনে বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান করতে পারেন, যেমন - গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, অ্যানিমেশন ইত্যাদি। আপনি চাইলে পড়ালেখা বা ফুলটাইম চাকরির পাশাপাশি এই কাজগুলো ঘরে বসেই করতে পারবেন।

৫। এফ-কমার্স ব্যবসা

বর্তমানে ঘরে বসে টাকা আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এফ-কমার্স ব্যবসায়। একটি পুরো ই-কমার্স ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে যেহেতু অনেক ধরণের বাধার সম্মুখীন হতে হয়, তাই একটি এফ-কমার্স ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য ভালো অল্টারনেটিভ। আপনাকে শুধু ভালো মানের প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে তা ফেসবুকে ভালো করে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট যাদের প্রয়োজন, তারা নিজেরাই আপনাকে খুজে নিবে। আর আপনি যদি পেইড মার্কেটিং ট্রাই করতে চান, তাহলে ফেসবুকে বুস্ট করার অপশন তো থাকছেই।

তবে চেষ্টা করবেন অল্প টাকায় ভালো মানের পণ্য অফার করার। আপনার পণ্য ভালো হলে রিটার্নিং কাস্টমারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ও এর পাশাপাশি অর্গানিক মার্কেটিং’ও বেশ ভালো হবে।

৬। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা

এটি হচ্ছে এমন ধরণের চাকরি, যার জন্য আপনার অফিসে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই বেশিরভাগ কোম্পানী তাদের জন্য রিমোট সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হায়ার করে থাকে। আর আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ভালো নলেজ থাকে, তাহলে এই কাজটি আপনি অনায়াসেই করতে পারবেন। আপনার কোম্পানীর জন্য কন্টেন্ট প্ল্যান তৈরি করে তা নিয়মিত পোস্ট করতে হবে, কমেন্টের রিপ্লাই দিতে হবে, ইনবক্সের ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতে হবে, অর্ডার নিতে হবে ও কাস্টমার সার্ভিস দেয়ার মতো কাজগুলো করতে হবে। এর পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে প্রফেশনালি মৌখিক ও লিখিত মাধ্যমে কমিউনিকেট করতে জানতে হবে। এইসব বিষয় জানা থাকলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে আপনি বেশ ভালো করতে পারবেন।

৭। অনলাইন কোর্স বিক্রয়

আপনার যদি কোনো নন-অ্যাকাডেমিক বিষয়ে পারদর্শিতা থাকে, তাহলে সেই দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কোর্স তৈরি করে তা অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন। আপনি চাইলে উক্ত কোর্স নিজস্ব ওয়েবসাইটে অথবা কোনো থার্ড-পার্টি সাইটেও বিক্রয় করতে পারবেন। থার্ড-পার্টি সাইটে বিক্রয় করলে প্রতিটি কোর্স এনরোলমেন্টে আপনি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন।

এই কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে অবশ্যই কোর্সটি ভ্যালুয়েবল ও ইন্টারেক্টিভ করার চেষ্টা করবেন। এতে করে কোর্সের অর্গানিক মার্কেটিং বেশ ভালো হবে।

৮। ড্রপশিপিং করে টাকা আয়

গত দশকে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় ছিল ড্রপশিপিং ব্যবসা। তবে এখন অল্টারনেটিভ অনেক বেড়ে যাওয়ায় এই ব্যবসার জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। তবে এটাকেই আপনি সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় লোকাল মার্কেটে কাজ না করে, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে কাজ করলে। মনে করুন, আপনি চীনের কোনো শহরকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্টের উপর ওয়েবসাইট তৈরি করলেন। এরপর আপনাকে সেই প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে হবে (উক্ত অঞ্চলে)। এভাবে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনো অর্ডার আসলে আপনি আলিবাবা বা অন্য কোনো চাইনিজ ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্যটি গ্রাহকের কাছে পৌছে দিলেন। এখানে আপনার ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের পার্থক্য হচ্ছে আপনার লাভ। সঠিকভাবে করতে পারলে ও দীর্ঘসময় লেগে থাকলে ড্রপশিপিং করে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব।

৯। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই। পূর্বে মানুষ অ্যামাজনের মতো বড় বড় ই-কমার্সের অ্যাফিলিয়েট হিসেবে কাজ করে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতো। তবে এখন দেশেই অনেক কোম্পানী অ্যাফিলিয়েট হায়ার করা শুরু করেছে। এদের মধ্যে ই-লার্নিং প্লাটফর্মগুলো সবচেয়ে এগিয়ে। আপনি চাইলে খুব সহজ কিছু শর্ত পূরণ করেই এসব প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট হয়ে যেতে পারবেন।

এরপর আপনার কাজ হচ্ছে শুধু তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা। প্রতিটি পণ্য বা সেবা বিক্রয়ে আপনি নির্দিষ্ট হারে কমিশন অর্জন করবেন। ভালো ভাবে কাজ করলে মাস শেষে ভালো মানের টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এই ধরণের কাজকে ফুলটাইম হিসেবে নেয়ার কথা কখনো ভাববেন না। আর অনেক কোম্পানী অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর আড়ালে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করে, তাদের থেকেও সাবধান থাকবেন।

১০। পডকাস্ট থেকে টাকা আয়

উন্নত বিশ্বে বিগত দশক থেকেই পডকাস্ট বেশ জনপ্রিয় হলেও আমাদের দেশে সাম্প্রতিক সময়ে এটি জনপ্রিয় হওয়া শুরু করেছে। এখন আমাদের দেশে অনেকেই নিয়মিত পডকাস্ট শোনেন। এই বারতি চাহিদা পূরণ করতে আপনি ইন্টারেস্টিং কোনো বিষয়ে পডকাস্ট শুরু করতে পারেন। শুরুতে হয়তো অনেক বেশি মানুষ শুনবেন না। তবে আপনার পডকাস্টের মান ও আলোচনা যদি ভালো হয় এবং দীর্ঘদিন লেগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ভালো করতে পারবেন।

১১। কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে টাকা আয়

ঘরে বসেই টাকা আয় করার আরো একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি লেখার হাত ভালো থাকে এবং যেকোনো বিষয় খুব সুন্দর করে ও গুছিয়ে লিখিত আকারে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে আপনিও কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আপনি ব্লগ লিখতে পারবেন, ইউটিউব স্ক্রিপ্ট লিখতে পারে, নিউজ আর্টিকেল লিখতে পারেন, প্রোডাক্ট রিভিউ লিখতে পারে। এই ফিল্ডে প্রচুর কাজ রয়েছে এবং আপনাকে শুধু কাজগুলো খুজে নিতে হবে। এই কাজে আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আর লোকাল মার্কেটে কাজ করতে চাইলে ফেসবুক গ্রুপগুলো তো আছেই।

আর আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে আগ্রহী হোন, তাহলে সেই বিষয়ে ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও রয়েছে। অল্প কিছুদিনের চেষ্টায় আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন একজন কন্টেন্ট রাইটার।

১২। থাম্বনেইল ডিজাইনার হিসেবে কাজ করা

এই বিষয়টি আলাদা করে উল্লেখ করার একমাত্র কারণ হচ্ছে এই যে এখন প্রচুর পরিমাণ থাম্বনেইল ডিজাইনের কাজ রয়েছে অনলাইনে। আপনাকে শুধু মার্কেটপ্লেস ও ফেসবুকে গ্রুপগুলো থেকে কাজগুলো খুজে নিতে হবে। তবে থাম্বনেইল ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে এবং কালার সেন্স ভালো হতে হবে। পুরো ভিডিও দেখে তা একটি ছবির মাধ্যমে সামারাইজ করা ও ভিউয়ারদের আগ্রহী করে তোলা বেশ চমৎকার একটি প্রতিভা। তাই আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করার ইচ্ছা থাকলে এখন সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে থাম্বনেইল ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করা।

১৩। অডিওবুক তৈরি করে টাকা আয়

এই কাজের জন্য আপনাকে একটি মাইক-সেটআপে বিনিয়োগ করতে হতে পারে। এরপর অডিওবুক তৈরি করেই আপনি টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন। শুরুতে আপনি কপিরাইট নেই বা পুরনো বইগুলোর অডিওবুক তৈরি করা শুরু করতে পারেন। তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি সেগুলো কোনো থার্ড-পার্টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন। বিক্রয় করতে না চাইলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানেও অডিওবুক আপলোড করতে পারেন। এতে করে আপনি ইউটিউব অ্যাড থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

১৪। প্রুফরিডার হিসেবে কাজ করা

প্রুফরিডার হিসেবে কাজ করার জন্য আপনি নিউজ অর্গানাইজেশন বা বই প্রকাশনা সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রতিটি নিউজ বা বই প্রুফরিড করে দেয়ার জন্য তারা আপনাকে নির্দিষ্ট হারে অর্থ প্রদান করবে। এই উপায়ে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পকেট খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট অর্থ চলে আসবে।

১৫। টেলিমার্কেটার হিসেবে কাজ করা

বাংলাদেশে এখন বেশ কিছু টেলিমার্কেটিং কোম্পানি গড়ে উঠেছে যারা রিমোট কর্মী হায়ার করে। এই কাজ করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পাশাপাশি একটি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ ও মোবাইল ফোনের প্রয়োজন হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে সুন্দর করে কথা বলতে জানতে হবে। বাকিটা যেই কোম্পানীর অধীনে কাজ করবেন, তারাই আপনাকে ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করে নিবে। টেলিমার্কেটার হিসেবে বেশি বেশি বিক্রয় করতে পারলে আপনি কমিশন হিসেবে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।

পরিসংহার

উপরিউক্ত যেকোনো উপায় কাজ লাগিয়ে আপনি ঘরে বসে মোটামুটি মানের একটি আয়ের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারবেন। তবে ভালোভাবে করতে পারলে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ইত্যাদি কাজকে ফুলটাইম হিসেবেও বিবেচনা করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনার একটি ট্রেডিশনাল জব থাকে এবং তার পাশাপাশি আপনি রিমোট কোনো আয়ের ব্যবস্থা করেন। এতে করে আপনার নেয়া ঝুকিঁর পরিমাণ অনেক বেশি হবে না এবং আপনি বারতি কিছু অর্থ আয় করার সুযোগ পাবেন।

  • https://www.indeed.com/career-advice/finding-a-job/how-to-make-money-at-home
  • https://www.flexjobs.com/blog/post/real-ways-to-make-money-from-home/
  • https://www.indeed.com/career-advice/finding-a-job/earn-money-from-home
  • https://www.forbes.com/advisor/business/make-money-from-home/
  • https://www.entrepreneur.com/starting-a-business/how-to-make-money-from-home-in-14-ways/299733
  • https://www.lionblogger.com/top-15-ways-to-make-money-at-home/
  • https://mailchimp.com/resources/make-money-from-home/
Next to read
Canvas & Methods
লিন ক্যানভাস মডেল (Lean Canvas Model)
লিন ক্যানভাস মডেল (Lean Canvas Model)

লিন ক্যানভাস মডেল মূলত একটি এক পৃষ্ঠার নয়টি ব্লকের মাধ্যমে তৈরি করা সমস্যা-সমাধান ভিত্তিক মডেল যা একটি আইডিয়াকে ব্যবসায়ে রুপান্তরিত করতে কিংবা স্টার্টআপ এর প্রসারে সহায়তা করে। এই মডেলটি মূলত স্টার্টআপ লেভেলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যুগান্তকারী মডেল হিসেবে কাজ করে যেকারণে অনেক বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও তাদের শুরুর দিকে এই মডেলটি ব্যবহার করে নানাভাবে উপকৃত হয়েছে।

শেয়ারিং ইকোনমি মডেল (Sharing Economy Model)
Business Models
শেয়ারিং ইকোনমি মডেল (Sharing Economy Model)
বেইট এন্ড হুক মডেল  (Bait & Hook Model)
Business Models
বেইট এন্ড হুক মডেল (Bait & Hook Model)
সারোগেট মার্কেটিং (SURROGATE MARKETING)
Marketing
সারোগেট মার্কেটিং (SURROGATE MARKETING)
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
Business
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
অর্থনীতি কী?
Economics
অর্থনীতি কী?
বিনিয়োগ কি? বিনিয়োগের ধরণ এবং উদাহরণ
Investment
বিনিয়োগ কি? বিনিয়োগের ধরণ এবং উদাহরণ
বিজনেস অ্যানালিসিস কী, কেনো, কীভাবে করবেন?
Analysis
বিজনেস অ্যানালিসিস কী, কেনো, কীভাবে করবেন?
Startup funding Pre-seed to series A, B, C brief discussion
Investment
Startup funding Pre-seed to series A, B, C brief discussion
হোয়াইট লেবেল নাকি প্রাইভেট লেবেল ই কমার্স?
E-Commerce
হোয়াইট লেবেল নাকি প্রাইভেট লেবেল ই কমার্স?