অর্থ বিনিয়োগ না সঞ্চয়: আপনার কোনটি করা উচিত?

নিজের মাসিক আয় থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরিয়ে রেখে ধীরে ধীরে তা জমানোকে অর্থ সঞ্চয় করা বলা হয়। অর্থ সঞ্চয় করা সুবিধা হচ্ছে এই যে, তা আপনাকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। আবার অসুবিধা হচ্ছে এই যে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থের মান হারানো সম্ভাবনা সর্বদাই থেকে যায়। অপরদিকে, রিটার্ন জেনারেট করার উদ্দেশ্যে কোনো লাভজনক সম্পদ ক্রয় করাকে অর্থের বিনিয়োগ করা বলা হয়। বিনিয়োগের সুবিধা এই যে, এতে করে অর্থ অলস পরে থাকে না। আবার অসুবিধা হচ্ছে যে, এখানে বিনিয়োগকৃত অর্থ হারানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। আপনার কি অর্থ সঞ্চয় করা উচিত নাকি বিনিয়োগ করা উচিত তা নির্ভর করবে আপনার আর্থিক লক্ষ্য ও ঝুকিঁ গ্রহণ করার মানসিকতার উপর।
Key Points
- সঞ্চয় করা অর্থ স্বল্পমেয়াদে আপনাকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে এবং বাজে আর্থিক পরিস্থিতিগুলো পার হতে সাহায্য করে।
- অর্থ বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঝুকিঁ গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
- যেকোনো খাতে বিনিয়োগ করার আগে আপনাকে ভালো করে রিসার্চ করে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বিনিয়োগ খাত নির্ধারণ করতে হবে।
- আপনার কি অর্থ সঞ্চয় করা উচিত নাকি অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত, তা পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, ভবিষ্যত আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুকিঁ মোকাবিলা করতে পারার ক্ষমতার উপর।
ভূমিকা
একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং আর্থিক নিরাপত্তা অর্জন করতে চাইলে অর্থ সঞ্চয় করা এবং বিনিয়োগ করার মাঝে পার্থক্য জানার কোনো বিকল্প নেই। আপনাকে শুধু একটি জানলেই হবে না, বরং দুটি বিষয় সম্পর্কেই আপনার বেশ ভালো ধারণা থাকতে হবে। কারণ, অর্থ সঞ্চয় না করতে জানলে আপনি অর্থ বিনিয়োগ করা শুরু করতে পারবেন না। আমাদের দেশে এই দুটি শব্দ অনেক ক্ষেত্রে একই অর্থে ব্যবহার করা হলেও দুটি বিষয়ের মাঝে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। নিজের পারসোনাল ফাইন্যান্সের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য তাই জেনে নিতে হবে অর্থ সঞ্চয় করার এবং অর্থ বিনিয়োগ করার উপায়গুলো সম্পর্কে। আর এই বিষয়ে আপনি যতো আগে থেকে জ্ঞান অর্জন করা শুরু করবেন, ততোই আপনার জন্য ভালো হবে।
আজকের লেখায় আমরা জানবো যে অর্থ সঞ্চয় করা এবং বিনিয়োগ করা বলতে আসলে কি বোঝানো হয়, দুটি বিষয়েরই ভালো এবং খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে এবং এর পাশাপাশি আমরা কিছু উদাহরণের সাহায্য কনসেপ্টগুলো ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবো।
অর্থ সঞ্চয় করা বলতে কী বোঝায়?
মানুষ সাধারণত ভবিষ্যতে কোনো কিছু ক্রয় করার জন্য অথবা ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন মোকাবিলা করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করে থাকে। অর্থ সঞ্চয় করা পারসোনাল ফাইন্যান্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, কারণ এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নিজের অর্থ আলাদা করে রাখা হয়। পূর্বে মানুষ মাটির ব্যাংকে অথবা স্টিলের ট্রাংকে অর্থ জমিয়ে জমিয়ে সঞ্চয় করতো। তবে বর্তমান সময়ের অর্থ সঞ্চয়ের পন্থায় এসেছে পরিবর্তন। এখন মানুষ ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট অথবা সার্টিফিকেট অব ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলে অর্থ সঞ্চয় করে। এসব অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার বিপরীতে ব্যাংক নির্দিষ্ট হারে তার গ্রাহকদের সুদ অফার করে।
অর্থ সঞ্চয়ের পেছনে অনেক ধরণের কারণ উপস্থিত থাকতে পারে, যেমন - নতুন কোনো গ্যাজেট ক্রয় করা, ট্যুরে যাওয়া অথবা ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনের জন্য জমানো ইত্যাদি। স্বল্পমেয়াদে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করা বেশ ভালো একটি টুল। সঞ্চয় করা অর্থ স্বল্পমেয়াদে আপনাকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে এবং বাজে আর্থিক পরিস্থিতিগুলো পার হতে সাহায্য করে। তবে অর্থ সঞ্চয় করা তুলনামূলক ঝুকিমূক্ত কাজ হওয়ায় এই উপায়ে খুব অল্প পরিমাণ সুদ পাওয়া যায়।
অর্থ সঞ্চয়ের উদাহরণ
মনে করুন আপনি ৩০,০০০ টাকা দিয়ে একটি ল্যাপটপ ক্রয় করতে আগ্রহী। তবে বেতন বেশি না হওয়ায় আপনি একসাথে এতোগুলো টাকা খরচ করতে চাইছেন না। তাই আপনি ঠিক করলেন যে প্রতিমাসের বেতন পেয়ে সেখান থেকে ৩০০০ টাকা করে সরিয়ে রাখবেন যাতে করে নির্দিষ্ট সময় পর আপনি ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন। এভাবে প্রতি মাসে অর্থ সঞ্চয় করলে আপনি ১০ মাসের ভেতর ৩০,০০০ টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন এবং ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন। এতে করে আপনাকে আপনার মাসিক আয় থেকে এককালীন বড় অংক খরচ করতে হচ্ছে না এবং সুদের বিপরীতে কোনো উৎস থেকে ঋণ’ও গ্রহণ করতে হচ্ছে না।
অর্থ সঞ্চয়ের সুবিধা ও অসুবিধা
অর্থ সঞ্চয় করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন - অনাকাঙ্ক্ষিত আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়, কোনো কিছু ক্রয় করা সম্ভব হয় এবং দিনশেষে আপনার টাকা নিরাপদ থাকে। অপরদিকে, অর্থ সঞ্চয় করার কিছু অসুবিধা রয়েছে, যেমন - মুদ্রাস্ফীতির কারণে টাকার মান হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়, আরো বেশি রিটার্ন দেয়া খাতগুলোতে বিনিয়োগ করার সুযোগ হারানো হয় ইত্যাদি। তাই অর্থ সঞ্চয় করার অসুবিধাগুলোর প্রভাব হ্রাস করার জন্য আপনার উচিত সেভিংস অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি এমন কিছু খাতে টাকা রাখা, যেগুলো এই অসুবিধাগুলোকে অফসেট করে দিতে পারে, যেমন - শেয়ার মার্কেট অথবা বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ।
অর্থ বিনিয়োগ করা বলতে কী বোঝায়?
নিজের সঞ্চিত অর্থ সময়ের সাথে সাথে যাতে বৃদ্ধি পায় সেই উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কোনো সম্পদ যেমন - স্টক, বন্ড, মিচুয়াল ফান্ড, জমি, গহনা ইত্যাদি ক্রয় করে রাখাকে অর্থ বিনিয়োগ করা বোঝানো হয়। ক্রয়কৃত সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে করে মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থের মূল্য হারানোর ঝুকিঁ অনেকটাই হ্রাস করা সম্ভব হয়। তবে অর্থ সঞ্চয়ের মতো অর্থ বিনিয়োগ করা ঠিক অতোটা নিরাপদ অপশন নয়। অর্থ বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঝুকিঁ গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করার উদ্দেশ্যে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়, যেমন - বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উদ্দেশ্যে, বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয় করার উদ্দেশ্যে বা অবসরে যাওয়ার জন্য ইত্যাদি। এইক্ষেত্রে যেহেতু দীর্ঘ সময়ের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করা হয়, তাই আপনার উচিত এমন বিনিয়োগ খাত নির্ধারণ করা যা আপনার আর্থিক লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। তবে যেকোনো বিনিয়োগের সাধারণ ফলাফল একটাই হয়, তা হলো - আপনি যতো দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করবেন, আপনার ঝুকিঁর পরিমাণ ঠিক ততোটাই বৃদ্ধি পাবে এবং বিনিয়োগ থেকে আসা রিটার্নের পরিমাণ’ও বৃদ্ধি পাবে।
আর অর্থ বিনিয়োগ করার সময় একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, এমন খুব কম খাতই রয়েছে যেখান থেকে দীর্ঘমেয়াদে ঝুকিঁমুক্ত রিটার্ন আসতে পারে। আপনি অর্থ বিনিয়োগ করছেন মানেই আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ হারানোর একটি সম্ভাবনা সর্বদাই থাকছে।
অর্থ বিনিয়োগের উদাহরণ
ধরে নিন, আপনার কাছে এই মুহুর্তে ১ লক্ষ টাকা রয়েছে, যা নিকট ভবিষ্যতে আপনার প্রয়োজন হবে না বলে আপনি নিশ্চিত। তাই আপনি ব্যাংকে একটি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলে সেই ১ লক্ষ টাকা রেখে দিলেন। ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট থেকে যেহেতু চাইলেই অর্থ উত্তোলন করে নেয়া সম্ভব নয়, তাই এই অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ব্যাংক তুলনামূলক বেশি সুদ অফার করে। আপনি যদি এই ১ লক্ষ টাকা ১০ বছরের জন্য ব্যাংকে রেখে দেন, তাহলে দেখা যাবে ১০ বছর পর আপনার এই ১ লক্ষ টাকা সুদাসলে মিলে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হয়ে গিয়েছে।
এখানে, ১ লক্ষ টাকা আপনার বিনিয়োগ এবং অতিরিক্ত ২ লক্ষ টাকা আপনার বিনিয়োগ থেকে আসা রিটার্ন। এখন গত ১০ বছরে মুদ্রাস্ফীতি হার কেমন ছিল এবং নিত্যপণ্যের মূল্য কেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তার সাথে আপনার বিনিয়োগের রিটার্নের তুলনা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার বিনিয়োগ থেকে কি আসলে আপনার লাভ হয়েছে নাকি ক্ষতি হয়েছে।
অর্থ বিনিয়োগের সুবিধা ও অসুবিধা
ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টের তুলনায় অন্য যেকোনো খাতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। এখানে চক্রবৃদ্ধি সুদের হারের ব্যবহার এবং বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় পুনরায় বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বেশি রিটার্ন অর্জন করা সম্ভব। আবার এতে করে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করার পাশাপাশি জীবনের বড় বড় খরচগুলো যেমন - ফ্ল্যাট ক্রয় বা বাড়ি তৈরি ইত্যাদি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
আবার অর্থ বিনিয়োগের অসুবিধাগুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে এই যে, যেকোনো ধরনের বিনিয়োগের সাথে নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট পরিমাণ ঝুকিঁ জড়িত থাকে। আবার সব ধরণের বিনিয়োগ খাত আপনাকে রিটার্নের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, বরং কিছু খাতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থ হারানোর ঝুকিঁ অনেক বেশি থেকে যায়। আবার বিনিয়োগ সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য করতে হয়, স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ থেকে উল্লেখযোগ্য হারে রিটার্ন পাওয়া যায় না।
তাই যেকোনো খাতে বিনিয়োগ করার আগে আপনাকে ভালো করে রিসার্চ করে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বিনিয়োগ খাত নির্ধারণ করতে হবে। আর কখনোই নিজের সব অর্থ কোনো একটি খাতে বিনিয়োগ করা যাবে না। আপনাকে অবশ্যই একাধিক খাতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আপনার বিনিয়োগ ঝুকিঁ সর্বোচ্চ পরিমাণ হ্রাস করার চেষ্টা করতে হবে।
কখন সঞ্চয় করা উচিত এবং কখন বিনিয়োগ করা উচিত?
আসলে এই প্রশ্নের কোনো সার্বজনীন উত্তর নেই। আপনার কি অর্থ সঞ্চয় করা উচিত নাকি অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত, তা পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, ভবিষ্যত আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুকিঁ মোকাবিলা করতে পারার ক্ষমতার উপর।
তবে একটি বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই, তা হলো যতো অল্প বয়স থেকে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, ততোই ভালো। আপনার যদি এই মুহুর্তে বয়স কম হয়ে থাকে এবং মাসিক আয় থাকে কম, তাহলে আপনার উচিত হবে দুটোই করার চেষ্টা করা। শুরুতে আপনি মাসিক আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রতিমাসে সরিয়ে রেখে সঞ্চয় করা শুরু করতে পারেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কতো টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করবেন?
এখানে আপনি যেটি করতে পারেন তা হলো আপনার মাসিক ব্যয়ের ৩ থেকে ৬ গুণ অর্থ সঞ্চয় করে ফেলুন। অর্থাৎ, আপনার মাসিক ব্যয় যদি হয় ২০,০০০ টাকা, তাহলে আপনি ৬০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করার লক্ষ্য তৈরি করতে পারেন। এই পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করার উদ্দেশ্য একটাই, যাতে হঠাৎ করে আপনার মাসিক আয় বন্ধ হয়ে গেলেও আপনি ৩ থেকে ৬ মাস অনায়াসে সার্ভাইভ করতে পারেন এবং এই সময়ের মাঝে বিকল্প আয়ের উপায় খুজে বের করতে পারেন।
একবার এই পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত হয়ে গেলে তারপর কি সঞ্চয় করা বন্ধ করে দিবেন? না, এরপরেও আপনি একই হারে প্রতি মাসে সঞ্চয় করা চালিয়ে যাবেন। তবে এখন থেকে আপনি আপনার অতিরিক্ত সঞ্চিত অর্থ বিভিন্ন নিরাপদ খাতে বিনিয়োগ করা শুরু করতে পারেন। কম বয়সে বিনিয়োগ করলে অর্থ হারানোর ঝুকিঁ অনেক বেশি থাকে, তবে এই অর্থ ভবিষ্যতে উঠিয়ে আনার জন্য আপনার পর্যাপ্ত সময়’ও পাবেন। আর নিজের ভুল থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার চেয়ে উত্তম বিনিয়োগ শিক্ষা আপনাকে কেউ দিতে পারবে না।
আপনার বয়স যতো বাড়তে থাকবে, আপনার ঝুকিঁ গ্রহণ করার ক্ষমতা ততোটাই কমতে থাকবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর গিয়ে আপনি পুরোপুরি নিরাপদ বিনিয়োগ খাতগুলোতে বিনিয়োগ করা শুরু করতে পারেন, যেমন - সরকারি বন্ড, জমি ইত্যাদি।
তবে আগেই বলেছি, আপনার অর্থ সঞ্চয় করা উচিত নাকি অর্থ বিনিয়োগ করার উচিত, তা সর্বদাই আপনার ব্যাক্তিগত পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। সার্বজনীন কোনো পরামর্শ এখানে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে আমরা কখন সঞ্চয় ও বিনিয়োগ শুরু করা উচিত সেই বিষয়ে একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।
পরিসংহার
অর্থ সঞ্চয় ও অর্থ বিনিয়োগ, উভয়ই আমাদের জীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অর্থ সঞ্চয় করার অভ্যাস আমাদের স্বল্পমেয়াদে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে এবং বিভিন্ন ছোট ছোট প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। আবার বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজের অলস অর্থ থেকে রিটার্ন জেনারেট করা সম্ভব। উভয় বিষয়েরই কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। আপনার উচিত নিজের পরিস্থিতি ও আর্থিক লক্ষ্য বিবেচনা করে ব্যাক্তিগত আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। প্রয়োজনে আপনি কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
- https://www.investopedia.com/articles/investing/022516/saving-vs-investing-understanding-key-differences.asp
- https://www.investopedia.com/should-you-save-your-money-or-invest-it-depends-4692975
- https://www.bankrate.com/investing/saving-vs-investing/#which-is-better
- https://fortune.com/recommends/banking/saving-vs-investing/
- https://www.td.com/ca/en/personal-banking/personal-investing/learn/saving-vs-investing
- https://www.hl.co.uk/learn/should-i-save-or-invest
- https://www.wsj.com/buyside/personal-finance/saving-vs-investing-01657732972
Next to read
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)


বেইট এন্ড হুক মডেল (Bait & Hook Model)

লোগোর প্রকারভেদ (Types of Logos)

হোরেকা (HORECA)

রিব্র্যান্ডিং (Rebranding)

সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?

বিক্রয়ের ১০টি ভুল যেগুলো প্রতিটি বিক্রয়কর্মীর এড়ানো উচিৎ

বিনিয়োগ কি? বিনিয়োগের ধরণ এবং উদাহরণ

ব্র্যান্ড আর্কিটেকচার কী? সংজ্ঞা, মডেল এবং উদাহরণ
