Basel Accords

263
article image

বিশ্ব ব্যাংক খাতকে সহজ ও এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে, নানান সময়ে নানান ধরনের ব্যাংকিং নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম Basel Accodrs. Basel Committee of Banking Supervision (BCBS) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এর তিনটি সংস্করন, Basel I, Basel II, এবং Basel III, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং ঝুকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং সেক্টরে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অনন্য মাত্রা প্রদান করে।

Key Points

  • Basel অ্যাকর্ড হল, ব্যাংকিং সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রণীত নীতি ও চুক্তির সমষ্টি যা ব্যাংকিং নীতিমালা নির্ধারণ এবং ক্রেডিট ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করে।
  • ব্যাংকিং সেক্টরের তত্ত্বাবধানের জন্য Basel কমিটি BCBS, ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পর্রবতীতে এই কমিটি, ১৯৮৮, ২০০৪ এবং ২০১০ সালে Basel চুক্তি I, II, এবং III প্রবর্তন করে।
  • প্রতিটি চুক্তি ব্যাংকিং খাতে বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা নির্ধারণ করে। প্রাথমিকভাবে, Basel নীতিগুলি আর্থিক নিরাপত্তা, ইক্যুইটি, ঋণ ঝুঁকি হ্রাস এবং সামগ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও মূলধন বৃদ্ধিতে জোর দেয়।
  • সর্বশেষ চুক্তি, Basel III, নভেম্বর ২০১০-এ সম্মত হয়, যা বিশ্বজুড়ে আজ পর্যন্ত ও বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। এটি ব্যাংকগুলোর ন্যূনতম মূলধনের পর্যাপ্ততা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করে।

Bassel Accords কি

যদি প্রশ্ন করি, অর্থ ছাড়া কি কিছু চলে এই দুনিয়াতে? অর্থ ব্যাতিত কি কোন কিছু সম্ভব আদৌও? উত্তরটি হবে না। বলা হয় অর্থই সব কিছুর নিয়ন্ত্রক, চাবিকাঠি। কিন্তু অর্থই যে আবার সব অনর্থেরও মূল। অর্থ ও অর্থনির্ভর ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির, হার অন্য সব সেক্টরের চেয়ে বেশি, যার মধ্যে অন্যতম ব্যাংকিং ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনা।

বিশ্বজুড়ে আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ১৮ শতক থেকে শুরু হলেও, তখন থেকে আজ পর্যন্ত ব্যাংকিং সেক্টর কখনো প্রশ্নের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলার জন্য ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হলেও, দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই ব্যাংকিং সেক্টর অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়, হয়েছে কখনো ব্যর্থ, হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ।

Basel অ্যাকর্ডস, যা Basel ফ্রেমওয়ার্ক বা Basel চুক্তি নামেও পরিচিত। এটি হল আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং মান ও নিয়ন্ত্রক নীতিসমূহের সমষ্টি, যা Basel Committee of Banking Supervision (BCBS) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। ১৯৮৮ সালে সূচনা হওয়ার পর থেকে, Basel অ্যাকর্ডগুলি নিরাপদ ব্যাংকিং এবং অর্থে সমৃদ্ধশীল বিশ্ব গঠনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির জটিল ধারা, এর অগণিত লেনদেন এবং এর সাথে সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং প্রযুক্তিগত ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য Basel অ্যাকর্ড-এর যাত্রা শুরু হয়। Basel অ্যাকর্ডের প্রাথমিক লক্ষ্য হল স্মার্ট ও নিরাপদ ব্যাংকিং অনুশীলন এবং মূলধনের পর্যাপ্ততাকে ধরে রাখতে নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা এবং বিশুদ্ধতাকে উন্নীত করা।

Basel নীতিগুলো বাজার ঝুঁকি মূল্যায়ন ও পরিচালনার জন্য একটি মানসম্মত কাঠামো প্রদান করে, ব্যাংকিং সেক্টরে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এবং সামগ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার চর্চা বাড়ায়, যা নিশ্চিত করে ব্যাংকগুলোর পর্যাপ্ত মূলধন ধরে রাখা, গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি ও ব্যাংকিং ব্যর্থতার সম্ভাবনা হ্রাস করা।

Basel Accords-এর ইতিহাস

১৯৭৪: Basel কমিটি গঠন

১৯৭৪ সালে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও ব্যাংকিংকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করা, পশ্চিম জার্মানির ব্যাংকহাউস ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া জানাতে, প্রতিষ্ঠিত হয় Basel Committee on Banking Supervision (BCBS)। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের Basel শহরে অবস্থিত।

প্রাথমিকভাবে, BCBS কমিটিতে G10-ভুক্ত দেশগুলো ছিল- নেদারল্যান্ডস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপান, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স এবং জার্মানি। কমিটির প্রথম সভা ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং খাতের যেসব ত্রুটিগুলি সামনে আসছিল, তা সমাধানের জন্য BCBS কমিটি নিরলসভাবে কাজ করেছিল। এই কমিটি শুরুতেই নিশ্চিত করে যেন কোন ব্যাংক যাতে তাদের নজরদারি এড়াতে না পারে। এই ফাংশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সুপারভাইজরি কভারেজ হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৭৫ সালে, BCBS কমিটি, কনকর্ড্যাটেড ব্যাংকিং নীতি ঘোষণা করে।

১৯৮৮: Basel I

১৯৮৮ সালে, প্রথম Basel অ্যাকর্ড প্রতিষ্ঠা করে, যা Basel I নামে পরিচিত। এর প্রাথমিক ফোকাস ছিল ঋণ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনার উপরে। এছাড়াও এটি ব্যাংকগুলিকে তাদের সম্পদের ঝুঁকির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে Capital Adequacy Ratio (CAR) বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২০০৪: Basel II

Basel II, ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যা মূল Basel চুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি Basel I এর সীমাবদ্ধতাগুলিকে সংশোধন করে।

Bassel II চুক্তি মোট তিনটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে-

Pillar 1: ন্যূনতম মূলধনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।

Pillar 2: নীতিগুলো পর্যালোচনার উপর জোর দেয় এবং

Pillar 3: বিশ্ব বাজারের প্রসার ও শৃঙ্খলার উপর জোর দেয়।

২০১০: Basel III

২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কট দেখা দেয় যা ব্যাংকিং সেক্টরের দুর্বলতা ফলাফল, এবং এই সেক্টরের নিয়ন্ত্রক কাঠামোর পর্যাপ্ততা ও কার্যকারীতা প্রতি সন্দেহের জন্ম দেয়। এই সংকটের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, BCBS, Basel III পাশ করে, যা বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এবং এর সংস্কারের একটি কাঠামো দান করে।

Basel I

১৯৮০-এর শতকের গোড়ার দিকে, BCBS কমিটির মূল চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর পরিচালনার ভিত্তি স্থাপন এবং পর্যাপ্ত মূলধন ধরে রাখা। ঠিক তখনই লাতিন আমেরিকার ঋণ সংকট শুরু হয় যা কমিটির চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এর ফলশ্রুতিতে, BCBS কমিটি, ব্যাংকসমূহের মূলধনের পর্যাপ্ততা সঠিকভাবে পরিমাপ করে, এর হ্রাস বন্ধ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়।

তখন আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করতে এবং দেশগুলোর জাতীয় মূলধনের তারতম্যের ফলে সৃষ্ট প্রতিযোগিতামূলক বৈষম্য দূর করার জন্য একটি বহুজাতিক চুক্তির দরকার হয়ে পরে। আর তাই ১৯৮৮ সালে Basel । বা Basel Capital Accords, G10-ভুক্ত দেশগুলো দ্বারা অনুমোদিত হয়।

এই চুক্তি G10-ভুক্ত দেশগুলোকে, কঠোর মূলধন মান ও পর্যাপ্ততা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বাধ্য করে। দেশগুলোকে তাদের বিভিন্ন সম্পদের ঝুঁকি নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ক্রেডিট পরিচালনা করার জন্য, নির্দিষ্ট কাঠামো প্রদান করে। Basel । অনুসারে, ঝুঁকির পরিমাপের উপর ভিত্তি করে, সম্পদকে পাঁচটি শ্রেনীতে ভাগ করা হয়:

  • ক্যাটাগরি-১ (0% ঝুঁকি): সরকারী বন্ড এবং নগদ সম্পদ অন্তর্ভুক্ত, যা ন্যূনতম ক্রেডিট ঝুঁকি আছে বলে বিবেচিত হয়।
  • ক্যাটাগরি -২ (২0% ঝুঁকি): সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং সহ অন্যান্য ব্যাংক লোনের জন্য।
  • ক্যাটাগরি-৩ (৫0% ঝুঁকি): আবাসিক সম্পত্তিতে বন্ধক সংক্রান্ত ঋণগুলির জন্য৷
  • ক্যাটাগরি-৪ (১00% ঝুঁকি): বেশিরভাগ কর্পোরেট ঋণের জন্য।
  • ক্যাটাগরি-৫ (বিভিন্ন ঝুঁকি): ওইসব সম্পদ যাদের নির্দিষ্ট আলাদা ঝুঁকি রয়েছে।

এছাড়াও Basel I চুক্তির আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ব্যাংকগুলোকে সর্বনিম্ন ৮% ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ মজুদ রাখতে বাধ্য করা এবং চুক্তিটি কেবল সদস্য দেশ নয়, বরং সব দেশে চালু করা। এই চুক্তি পরবর্তী অন্যান্য Basel চুক্তির ভিত্তি স্থাপন করে এবং ব্যাংকিং খাতে আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Basel II

Basel I-এর একটি মূল সীমাবদ্ধতা ছিল, এটি ব্যাংকগুলির ন্যূনতম মূলধনের পর্যাপ্ততা নির্ধারণ করত শুধুমাত্র ক্রেডিট ঝুঁকির মাত্রা দেখে। এতে অপারেশনাল এবং বাজার ঝুঁকির মাত্রা নির্নয় করা সম্ভব হয় না। যার ফলে, অর্থনীতির ক্ষেত্রে সর্বমোট ঝুঁকির মাত্রা ও পরিমাণ নির্ণয় করা এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা সম্ভব হতো না। ফলশ্রুতিতে, একটি ব্যাংকের কি পরিমাণ মূলধন জমা রাখতে হবে, তা নির্ণয় করতে Basel I ব্যর্থ হয়।

এই সমস্যার সমাধান হিসেবে এবং Basel I-এর বর্ধিত ও পরিমার্জিত রূপ হিসেবে, ২০০৪ সালে Basel II চালু করা হয়। এই চুক্তি, অর্থনীতির ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য পরিমার্জিত ও বিস্তৃত অনেক নীতি প্রণয়ন করে। এটি ক্রেডিট, অপারেশনাল এবং বাজার ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য আধুনিক ব্যবস্থাপনাও তৈরি করে।

নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে প্রসারিত করা, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং এর সঠিক ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে, Basel II একটি তিনটি আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক প্রবর্তন করে-

Pillar 1- Minimum Capital Requirements

Basel I এর মূল ধারণা ধরে রেখে, এই স্তম্ভটি ব্যাংকগুলির জন্য ন্যূনতম মূলধনের পর্যাপ্ততা নির্ধারণ করে। অর্থনৈতিক ঝুঁকিসমূহ নির্ধারণের জন্য, Basel II অনেক পরিমার্জিত ও আধুনিক পদ্ধতির ধারণা দেয়। এতে করে ব্যাংকগুলো তাদের ঝুঁকির মাত্রা নির্ণয় করে, কি পরিমাণ মূলধন ধরে রাখতে হবে তার নির্ধারণ করতে পারে।

Pillar 2- Supervisory Review Process

Basel II নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং মূলধনের পর্যাপ্ততা বৃদ্ধিতে, ব্যাংকিং সুপারভাইজারদের ভূমিকার উপর জোর দেয়। এটি বিভিন্ন ঝুঁকিগুলোকে কার্যকরভাবে চিহ্নিত ও পরিমাপ করতে এবং এর পরিচালনার জন্য ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পথ দেখায়।

Pillar 3- Market Discipline and Disclosure

পিলার-3 এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল, ব্যাংকিং সেক্টরে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা। ব্যাংকগুলোকে জনসাধারণ এবং গ্রাহকদের কাছে মূল তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য করে, যাতে করে অর্থনীতি ও বাজারের শৃঙ্খলা বৃদ্ধি পায়। কারন, যখন বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা একটি ব্যাংকের সামগ্রিক ঝুঁকির তথ্য এবং মূলধনের পর্যাপ্ততা সম্পর্কে তথ্য জেনে থাকে, তখন তারা আরও সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং ঝুঁকির ব্যবস্থাপনা বজায় রাখতে ব্যাংকগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে।

Basel III

২০০৮ সালে, Lehman Brothers এর পতন এবং তার পরবর্তী আর্থিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে, BCBS, Basel Accords-গুলোকে আপডেট এবং শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই Lehman Brothers এর পতনের কারন হিসেবে, BCBS কমিটির দুর্বল প্রশাসন ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অনুপযুক্ত প্রণোদনা কাঠামো এবং ব্যাপক হারে ব্যাংকিং শিল্পের পতনকে দায়ী করা হয়।

ফলশ্রুতিতে, ২০১০ সালের নভেম্বরে, মূলধনের সামগ্রিক নকশা ও লিকুইডিটি ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিটি এখন Basel III নামে পরিচিত। এবং এই নীতি এখনও বিশ্বজুড়ে বাস্তবায়ন করা হয়।

Basel III এর বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ:

  • Basel III ব্যাংকিং খাতের লিকুইডিটি ঝুঁকি নিরীক্ষণের জন্য নতুন কাঠামো প্রদান করে।
  • এটি ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে জোর দেয়।
  • এটি সাধারণ ইক্যুইটির গুণমান এবং পরিমাণের উপর জোর দেয়।
  • এটি সাধারণ ইক্যুইটির চাহিদা ২% থেকে ৪.৫%-এ বৃদ্ধি করে।

চুক্তিটি, ব্যাংকিং খাতের অতিরিক্ত লিভারেজ কমানোর জন্য, একটি লিভারেজ রেশিও চালু করে।

Basel III, Basel I এবং II-তে উল্লিখিত ন্যূনতম মূলধনের পর্যাপ্ততাকে শক্তিশালী করে। এটি ব্যাংকগুলোর উপর আরও কঠোর বিধিবিধান আরোপ করে, আর্থিক খাতের দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতাকে উন্নীত করে। তাই বিশ্বব্যাপী আজও প্রচলিত এই Basel III নীতি, অতীতের সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে, তার সমাধানের জন্য এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বাড়ানোর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে।

শেষকথা

বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, "অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে ব্যাংক খাত। তবে ব্যাংক নিয়ে গর্ব করার যেমন নানান দিক আছে, তেমনি আছে লুটপাটের ইতিহাস।" তাই রহস্যময় আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং খাতের এই রহস্য উন্মোচন করে, একটি পরিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধশালী বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার খোজে, Basel অ্যাকর্ডগুলি, তাই নীতি নির্ধারকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে ওঠে।

এই Basel চুক্তিগুলি, জটিল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এই বিশ্বে, সামগ্রিক ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং অর্থনীতিকে রক্ষা করতে যেন এক মহান আলোকবর্তিকা। তাই আজও বাস্তবায়িত এই চুক্তিগুলো যে ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে সমৃদ্ধশীল অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা উপহার দিবে, তা আশা করাই যায়। 
 


  • https://corporatefinanceinstitute.com/resources/career-map/sell-side/risk-management/basel-accords/?campaignid=20123236318&adgroupid=&adid=&gclid=Cj0KCQjw06-oBhC6ARIsAGuzdw15ROm1Ah4NfczW8fq9fKo-zv1R6YmgLFuo9FAP5Iwve3tIuQQ8BFEaAmV4EALw_wcB
  • https://www.investopedia.com/terms/b/basel_accord.asp
  • https://www.wallstreetmojo.com/basel-accords/
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)

ইম্প্যাথি ম্যাপিং মূলত একধরনের ট্যুলস। এটি গ্রাহকদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভব, উপলব্ধি সহ নানাবিধ তথ্য, উপাত্ত এর সমন্বয়ে গঠিত সুশৃঙ্খল এবং সুবিন্যস্ত একটি চার্ট। উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পর্কিত তথ্য উপাত্তের খুব চমৎকার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন পাওয়া যায় এই ইম্প্যাথি ম্যাপিং এর মাধ্যমে। যা মূলত আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে।

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
Canvas & Methods
সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
Business Models
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
Business Models
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
Marketing
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
Business
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
Investment
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
Marketing
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)
E-Commerce
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)