তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি

296
article image

বাংলাদেশ ও ভারত, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের বন্ধুত্ব আজ থেকে বহু বছর আগে থেকে। কিন্তু তর্ক সাপেক্ষে এই দুই দেশের সম্পর্ক বর্তমানে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো হলেও, একটা বিষয় যেন দুই দেশের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেটি হচ্ছে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি। এই আন্তঃসীমান্ত নদীটির পানির সুষম বণ্টনের লক্ষ্যে ২০১১ সালে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত বাস্তবতার মুখ দেখতে পারেনি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি। যদিও তিস্তা নদীর পানির অসম বন্টনের ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ প্রতি বছর বর্ষাকালে বন্যা এবং গ্রীষ্মকালে সম্মুখীন হয় ভয়াবহ পানি সংকটের।

Key Points

  • তিস্তা ভারত-বাংলাদেশের অন্যতম একটি আন্তঃসীমান্ত নদী যা সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
  • তিস্তার পানি ব্যবহার করে প্রতি বছর ভারতের প্রায় ৯.২ লাখ হেক্টর এবং বাংলাদেশে ৭.৫ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ কাজ পরিচালনা করা হয়।
  • ১৯১১ সালে এই নদীর পানির সুষম বণ্টনের লক্ষ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির খসড়া করা হয়।
  • চুক্তিতে ভারত সরকারের মত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার কারণে এখন পর্যন্তও চুক্তিটি কার্যকর হয়নি।

তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি কি?

দক্ষিণ এশিয়ার ছোট, সুন্দর এক নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। এদেশের ভুখন্ডের উপর দিয়ে প্রায় ৮০০টির বেশি নদী প্রবাহিত হয়ে গেছে যা, পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল নদী-ব্যবস্থা তৈরি করে। এদের মধ্যে প্রায় ৫৬ টি নদী, বাংলাদেশ এবং ভারত নিজেদের সীমানায় শেয়ার করে থাকে। তিস্তা নদী এমন একটি আন্তঃসীমান্ত নদী যা ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বাংলাদেশের অংশের তিস্তা নদীতে বর্ষাকালে ভারত থেকে পানি আসলেও, গ্রীষ্মকালে একেবারে শুকিয়ে যায় এই নদী। গ্রীষ্মকালে আন্তঃসীমান্ত এই নদীটির পানি আটকে রাখে ভারত যা, বাংলাদেশের জন্য কার্যত অবিচার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, তিস্তায় বর্ষাকালে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বর্গফুট পানি প্রবাহ থাকে। গ্রীষ্মকালে যা কমে প্রায় ১ হাজার ঘন ফুটে নেমে আসে।

তাই, এই নদীর পানির সঠিক বন্টনের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা হয় এবং ১৯১১ সালে চুক্তিটির খসড়া করা হয়। চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে দিল্লির ইতিবাচক মনোভাব থাকলেও, বড় বাঁধা হিসেবে দাঁড়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যার ফলে সেই সময় চুক্তিটি আর স্বাক্ষরিত হয়নি এবং আজও ঝুলে আছে এই বহুল আলোচিত চুক্তিটি।

তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির ইতিহাস

তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তির প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই তৎকালীন সরকার এই নদীর পানি বন্টন নিয়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে, ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পানি বন্টনের বিষয়ে একটি সমোঝতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তিস্তা নদীর ৩৬ শতাংশ পানি পাবে বাংলাদেশ, ভারত পাবে ৩৯ শতাংশ এবং বাকি ২৫ শতাংশ পানি নদীতে সংরক্ষিত রাখা হবে। কিন্তু পানি ভাগাভাগির সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়ে দেশ দুটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি এই আলোচনায়।

১৯৯৬ সালে গঙ্গা নদী পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ও ভারত। এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি বন্টনের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছিল। যদিও এই চুক্তিটি প্রাথমিকভাবে গঙ্গা নদীর পানি নিয়ে কথা বলেছিল, তবে এতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। এটি পানি ভাগাভাগি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুবিধার্থে যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) প্রতিষ্ঠা করেছে।

দীর্ঘদিন পরে ২০০৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত একটি যৌথবৈঠকে বাংলাদেশ, তিস্তা নদীর পানির সম বন্টনের ক্ষেত্রে একটি প্রস্তাবনা পেশ করে। এতে বলা হয় তিস্তার ৮০ শতাংশ দুই দেশের মধ্যে সমান দুই ভাগে ভাগ হবে এবং অবশিষ্ট বিশ শতাংশ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে। কিন্তু এই প্রস্তাবে ভারত অসম্পতি প্রকাশ করে।

২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সাথে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আলোচনায়, দুই দেশ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য একমত হন। এরপর ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ বছরের মেয়াদে এই তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির খসড়া করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ পানি দিতে সম্মত হয় ভারত সরকার।

তিস্তা চুক্তির লক্ষ্য

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির প্রাথমিক লক্ষ্য হলো তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ও বণ্টনের জন্য একটি ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

চুক্তির লক্ষ্য হল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য বন্টন, বিশেষ করে বিভিন্ন ঋতুতে যখন পানির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। এই বণ্টনের উদ্দেশ্য উভয় দেশের পানির চাহিদা পূরণ করা এবং টেকসই পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা।

চুক্তির আরেকটি লক্ষ্য হল তিস্তা নদীর পানি সম্পদের কার্যকর ও সহযোগিতামূলক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। এবং কীভাবে জল ভাগ করা হবে তার সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা।

চুক্তির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল তিস্তা নদীর পানি সংক্রান্ত বিরোধ ও দ্বন্দ্ব কমানো। পানি বণ্টনের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠা করে, এটি ভবিষ্যতে সৃষ্টি হতে পারে এমন বিরোধগুলিও সমাধানের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করবে।

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বৃহত্তর লক্ষ্যে অবদান রাখবে।

চুক্তিটি পানি ব্যবহারের পরিবেশগত প্রভাবকেও বিবেচনা করে এবং তিস্তা নদীর বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখা নিশ্চিত করার লক্ষ্য কাজ করবে।

তিস্তা ও গজলডোবা বাঁধ

১৯৭৯ সালের দিকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলাদেশ সরকার তিস্তা বাঁধ প্রকল্প হাতে নেয়। ১৯৯০-এ ৬১৫.২৪ মিটার লম্বা এই বাধ নির্মাণের মুল কাজ শেষ হয়। লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গাডিমারি ইউনিয়নের দোয়ানী গ্রামে অবস্থিত এই বাঁধ ১৯৯৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়।

এই বাঁধ তৈরির প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল তিস্তা নদীর পানির সঠিক ব্যবহার ও বন্টন এবং বর্ষা মৌসুমে পানির অতিরিক্ত চাপের ফলে বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া। শুষ্ক মৌসুমে ৬ লাখ কিউসেক পরিমাণ পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, বাকি পানিগুলোর প্রবেশ বন্ধ করার জন্যই এ বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সরকার।

তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে বাঁধ নির্মাণের প্রস্তুতি দেখে, ঠিক একই ধরনের বাঁধ, গজলডোবা বাঁধ, তাদের অংশে নির্মাণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে ভারত সরকার। ১৯৯৮ সালেই এই বাঁধ স্থাপিত হয় যার ফলে তিস্তা নদীর নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে ভারতের হাতে চলে যায়। এই বাঁধের মোট ৫৪টি গেট আছে। বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বাড়লে এই বাঁধের প্রত্যেকটি গেট খুলে দেয় ভারত সরকার। যার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে।

তিস্তার পানি কেন দরকার

দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের মত বাংলাদেশের একটি কৃষিপ্রধান দেশ। তাই আমাদের দেশের পানির উপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। তিস্তা নদীর পানি, রংপুর বিভাগের পাঁচটি জেলার মানুষের জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব রাখে। বাংলাদেশ অংশের তিস্তা বাঁধ দিয়ে রংপুর নীলফামারি ও দিনাজপুর জেলার সকল জমিতে সেচের কাজ পরিচালনা করা হয়। মোট প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার হেক্টর এরিয়ার জমির সেচের কাজ কভার করা হয় এই তিস্তার বাধ থেকে।

তিস্তা ব্যারেজের পানি কৃষকদের জন্য অনেক বেশি সহজলভ্য হয়। তিস্তা নদীর ঢাল একটু বেশি হওয়াতে, নদী থেকে জমিতে পানি নেওয়ার জন্য কোন পাম্পের দরকার হয় না। কারন অভিকর্ষ বলের ফলে পানি অতি সহজেই বিভিন্ন জমিতে চলে যায়। এর ফলে সেচের খরচ নেমে আসে বহুগুণে। এতে প্রতি একরে সেচে খরচ হয় বছরে ৪০০ টাকা মাত্র যেখানে, টিউবওয়েল বা পাম্প ব্যবহারে খরচ হয় ৬০০০-৭০০০ টাকা।

ভারত তিস্তা নদীর পানি ব্যবহার করে সিকিম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ২৫ থেকে ৩০টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করে থাকে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবহার করে তারা প্রায় ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি জেলার প্রায় ১০ লাখ হেক্টর জমির সেচের পানি আসে তিস্তা নদী থেকে। গজলডোবা ব্যারেজের ঠিক আগে একটি নদী খনন করে, সে নদী দিয়ে কলকাতা বন্দরে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করে ভারত। তাই তিস্তা নদীতে পানি না থাকলে অবর্ণনীয় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

তিস্তা চুক্তি ব্যর্থ

"তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকা লজ্জাজনক" ৩০ মে ২০২২ সালে আসামের গুয়াহাটিতে ভারতের এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঠিক এমনটাই বলছিলেন। কিন্তু কেন এই ব্যর্থতা? বিশেষজ্ঞরা ধারণা করে থাকেন, গত এক যুগ ধরে ঝুলে থাকা এই তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি কখনোই আলোর মুখ দেখবে না। তাহলে, কি কি বাধা আছে এই চুক্তির কার্যকারীতার পিছনে?

২০১১ সালে যখন তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির খসড়া প্রণয়ন করা হয় তখন এই চুক্তির বিরোধিতা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সাথে বাংলাদেশ সফরে এসে তার চুক্তিটি স্বাক্ষর করার কথা থাকলেও, সফরের ঠিক আগের দিন তিনি বাংলাদেশে আসতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। এরপর ২০১৩ সালে তিনি ঘোষণা দেন, পশ্চিমবঙ্গের সব জমির জন্য সেচের পানি রেখে বাকি পানি বাংলাদেশে ছেড়ে দিবেন। মানে এই ঘোষণাটি হচ্ছে পানি না দেওয়ার কথাটা সরাসরি না বলে একটু ঘুরিয়ে বলা।

মোটকথা, এটা সত্য যে মমতা ব্যানার্জি, এই চুক্তির পিছনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে আছেন। তিনি দাবি করেন তিস্তা নদীতে পানি নেই। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের যে পরিমাণে জল প্রয়োজন, সেই পরিমাণ জলও পশ্চিমবঙ্গ পাচ্ছেনা এই তিস্তা থেকে। তাই এই চুক্তিতে দিল্লির সদিচ্ছা এবং বাংলাদেশের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য এই চুক্তি আজও কার্যকর হতে পারেনি। পাশাপাশি এ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ এর ব্যাপারে দুই দেশের অসম্মতির থাকাতে, এই চুক্তি আদৌও কখনো কার্যকর হবে কিনা সে নিয়ে বড়োসড় প্রশ্ন থেকেই যায়।

শেষকথা

তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়া, ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। এই চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের একগুঁয়েমিতা, ঢিলেমি ও হঠকারিতার জন্য, এটি দুই দেশের সম্পর্কের মাঝে একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে আছে। এর ফলাফল স্বরূপ উত্তরবঙ্গের হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর বন্যায় অবর্ণনীয় কষ্টের শিকার হয়, ব্যাহত হয় কৃষি কার্যক্রম, প্রকৃতি হারায় জীববৈচিত্র্য।

তিস্তা নদীর সাথে জড়িয়ে আছে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষের প্রাণ, অনুভূতি, জীবিকা। কথায় আছে, বাঁধ দিলে নদী ধ্বংস হয়, মরে যায়। তিস্তা নদীতে বাঁধ যেমন তিস্তার জন্য মরনফাঁদ, ঠিক তেমনি ভারতের কার্যক্রমের জন্য তিস্তা বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক মরনফাঁদের নাম। তাই কোন বাঁধ এই নদীকে ধ্বংস না করুক, আলাদা না করুক এই নদীকে, আলাদা না করুক দুই দেশের মানুষকে। 
 
 
 


  • https://www.bbc.com/bengali/news-55579238
  • https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE_%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80
Next to read
Canvas & Methods
বিজনেস মডেল ক্যানভাস ( Business Model Canvas)
বিজনেস মডেল ক্যানভাস ( Business Model Canvas)

মূলত ব্যবসা শুরু করার আগে যেকোনো উদ্যোক্তাকে একটা স্ট্র‍্যাটেজিক প্ল্যান নিয়ে আগাতে হয়, তার ব্যবসার সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে কিভাবে পরিচালনা করবেন! সনাতনী পদ্ধতি অনুসরণ করে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখার চেয়ে বিজনেস মডেল ক্যানভাস অনুসরণ করা অধিকতর সহজ এবং কার্যকর। কারণ এই মডেল ব্যবহার করে আপনি নয়টি ব্লক তৈরি করে একটা পৃষ্ঠায় সবকিছু আলোকপাত করতে পারবেন যা আপনার নিজের এবং ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যাক্তির বুঝতে অনেকটা সহজ হবে।

সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
Business Models
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
সারোগেট মার্কেটিং (SURROGATE MARKETING)
Marketing
সারোগেট মার্কেটিং (SURROGATE MARKETING)
Needs, Wants, Demands (প্রয়োজন, চাওয়া এবং চাহিদা)
Business
Needs, Wants, Demands (প্রয়োজন, চাওয়া এবং চাহিদা)
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?
Business
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?
ব্রান্ডিং (Branding)
Branding
ব্রান্ডিং (Branding)
অর্থনীতি কী?
Economics
অর্থনীতি কী?
সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?
Sales
সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?
ই-কমার্স: অনলাইন ব্যবসা
E-Commerce
ই-কমার্স: অনলাইন ব্যবসা