সর্বকালের সবচেয়ে বড় ৫ স্টক স্ক্যাম

425
article image

স্টক মার্কেটের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আকাশচুম্বী। সেই নব্বই দশক থেকে একুশ শতকে, এসেও কমেনি মানুষের আগ্রহ। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়েই যুগে যুগে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। এখন পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ স্টক স্ক্যাম এর শিকার হয়েছে। পাম্প এন্ড ডাম্প কিংবা কর্পোরেট জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া স্টক দিয়ে সর্বস্বান্ত করা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

Key Points

  • ওয়ার্ল্ড হিস্টোরি তে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে বড় স্টক স্ক্যাম এর ঘটনা ঘটে ২০০১ সালে
  • এনরন স্টক স্ক্যামে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লস হয় ইনভেস্টরদের
  • এনরোন এর আগে কোনো কোম্পানি সাথে এতবড় দেউলিয়াত্বের ঘটনা ঘটে নি।
  • ইতিহাসের অন্যতম বড় Ponzi স্ক্যাম ঘটে যায় ২০০৮ সালে
  • বার্নেড লরেন্স ম্যাডফের পরিকল্পনায় লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী সর্বস্বান্ত হয়

ভূমিকা

ইতিহাসের পাতায় অসংখ্য স্টক স্ক্যামের ঘটনা ঘটলেও সবচেয়ে বেশি ঘটে ২০০০-২০১৫ সালের মধ্যে। ইন্ডাস্ট্রির ব্যপক বৃদ্ধির সাথে সাথে স্টক কেনার ঝোঁক দিন দিন বাড়তে থাকে। ফলস্বরূপ, ২০০১ সালে ঘটা তখনকার সময়ের সবচেয়ে বড় স্টক স্ক্যামের সাক্ষী হয় বিশ্ববাসী। শুধুমাত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইনভেস্টর রা প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলার স্টক স্ক্যামে হারায়। আর বিশ্বব্যাপী এর পরিমান ৯ বিলিয়ন কেও ছাড়িয়ে যায়।

স্ক্যাম

Enron Scandal (2001):

একুশ শতকের গোড়ার দিকে, এনার্জি ইন্ডাস্ট্রিতে সফল এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, এনরন কর্পোরেশন, জড়িয়ে পরে ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত কর্পোরেট কেলেঙ্কারিতে। কর্পোরেট লোভ এবং প্রতারণার এই আকর্ষণীয় গল্পটি বেশ কয়েক বছর ধরেই ছিল আলোচনার শীর্ষে। অবশেষে, ২০০১ সালে কোম্পানির দর্শনীয় পতনের সাথে এর চূড়ান্ত পরিণতি সকলের সামনে আসে।

১৯৯০ সালেই ধীরে ধীরে এনরনের আকস্মিক উত্থান শুরু হয়েছিল। কোম্পানিটি, সিইও কেনেথ লে এবং পরে জেফরি স্কিলিং এর নেতৃত্বে, উদ্ভাবনী বিজনেস স্ট্র্যাটেজি এবং বাজারে এর অবিশ্বাস্য বৃদ্ধির জন্য বেশ প্রশংসিতও হচ্ছিল। ফলস্বরূপ, এনরনের স্টক এর মূল্য অনেকটাই বেড়ে যায়, এবং একে ওয়াল স্ট্রিট ফেভারিট বলেই সবাই জানতো।

তবে, এর বিহাইন্ড দ্যা সিন ছিল একদম অন্যরকম। এনরন ফাইনান্সিয়াল সিকিউরিটি এবং অ্যাকাউন্টিং স্ট্র্যাটেজি গুলোর অপব্যবহার করে ভুয়াভাবে প্রফিট স্ফীত (inflate) করতো এবং বিভিন্ন ব্যংক থেকে নেয়া তাদের আকাশচুম্বী ঋণের কথা টেকনিক্যালি গোপন করতো। এ কারণে, লোকমুখে এনরনের পজিটিভ ভ্যালুই প্রকাশ পেত আর অভ্যন্তরীণ দূরাবস্থার ব্যপার টি গোপনই রয়ে যেত।

এই কেলেঙ্কারির কেন্দ্রবিন্দু ছিল ব্যালেন্স-শীট পার্টনারশিপের একটি সিরিজ, বিশেষ করে কুখ্যাত "স্পেশাল পারপাস এন্টিটিস" (এসপিই)। এনরন থেকে কোম্পানির ঋণ এবং ক্ষতি লুকানোর জন্য এই ভুয়া ব্যালেন্স শীট ব্যবহার করা হয়েছিল। সিএফও অ্যান্ড্রু ফাস্টো সহ প্রধান এক্সিকিউটিভরা ছিল এই ক্রিটিকাল ফ্রডের মূখ্য ভূমিকায়।

তবে, ২০০১ সালে হঠাৎ করেই কয়েকজন সাহসী কর্মচারীর হাত ধরে এই কেলেঙ্কারি উন্মোচিত হয়। এনরনের সাবেক কর্মচারী, শেরন ওয়াটকিন্স, উর্ধতন কর্মকর্তাদের আসন্ন বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু ততদিনে এনরনের পতন শুরু হয়ে গেছে। আগস্ট মাসে এসে এনরোন স্বীকার করে, তারা প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মূনাফা করেছে অকেজো স্টক বিক্রি করে। আর হাজার হাজার বিনিয়োগকারী যখন এই স্টক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় তখন অটোমেটিক স্টক প্রাইস অবিশ্বাস হারে কমে যায়। তাই, ইতিহাসের সবচয়ে বড় পাম্প এন্ড ডাম্প কেলেঙ্কারিও বলা যায় একে।

এনরোনের এই ডুবে যাওয়া জাহাজটিকে উদ্ধার করার মরিয়া প্রচেষ্টায়, এনরনের এক্সিকিউটিভরা আরও বেশি অনৈতিক কাজে ইনভলভ হয়ে পড়ে। ফাইল নষ্ট করা, কোম্পানির স্টক কেনার জন্য কর্মচারীদের চাপ দেওয়া, এমনকি নিজস্ব শেয়ার বিক্রি করা, কোনটিই বাদ রাখে নি তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না।

২ ডিসেম্বর, ২০০১, ফাইনালি এনরন নিজেদেরকে দেউলিয়া ঘোষণা করে, আর মার্কিন ইতিহাসে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় দেউলিয়াত্বের ঘটনা। এনরনের এই স্ক্যামে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। চাকরী হারিয়েছে অসংখ্য কর্মচারী। এই কেলেংকারীর জের ধরে ২০০২ সালে স্টক জালিয়াতির জন্য নতুন করে আইন প্রনয়ণ করতে বাধ্য হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

Bernie Madoff Ponzi Scheme (2008):

বার্নি ম্যাডফের মত ধ্বংসাত্মক Ponzi স্ক্যাম ইতিহাসে খুবই কমই দেখা গেছে। কিন্তু ২০০৮ সালে বিশ্ববাসী এই কুখ্যাত পঞ্জি স্ক্যাম এর সাক্ষী হয়। যেই স্ক্যাম কেড়ে নেয় অসংখ্য মানুষের সারাজীবনের সঞ্চিত সম্পদ, নাম লেখায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতার খাতায়।

বার্নার্ড লরেন্স ম্যাডফ, NASDAQ-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ছিলেন এই বিশাল প্রতারণার পিছনের মাস্টারমাইন্ড । তিনি কয়েক দশক ধরেই সম্মান এবং সাফল্যের একটি ইমেজ গড়ে তুলেছিলেন। আর কন্টিনিয়াসলি অধিক আয়ের আশা দিয়ে ইনভেস্টর দের স্টক কিনতে প্রলুব্ধ করেছিলেন। তারা কেউ ধারনাও করে নি, সন্মানিত ব্যাক্তত্বের আড়ালে থাকা এই লোকটিই ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত ফ্রড।

ইতালীয় কন আর্টিস্ট চার্লস পঞ্জির নামানুসারে এই স্কিমটির নামকরণ করা হয়েছিল। এখানে মূলত নতুন বিনিয়োগকারীদের টাকা গুলো দিয়ে পুরনো বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন ফিলআপ করা হত। যার ফলে, শুরুর দিকে কেউই বিন্দুমাত্র সন্দেহ না করে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ফেলতো। ম্যাডফের পুরো অপারেশনটি মিথ্যা এবং প্রতারণার উপর নির্মিত ছিল, যেখানে আর্থিক বিবৃতি গুলো ছিল নিছকই লোক দেখানো। বছরের পর বছর ধরে, ম্যাডফের ক্লায়েন্ট তালিকায় সেলিব্রিটি, চ্যারিটি এবং এমনকি সম্মানিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ইনভলবড হতে দেখা গেছে।

২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী যখন ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিস হিট করে, তখন ম্যাডফের বিজনেসে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে। আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা তাদের ফান্ড উইথড্র করার জন্য মরিয়া হয়ে পরে। ফলে, ম্যাডফও আর তার প্রতারণা লুকিয়ে রাখতে পারেনি। ১১ ডিসেম্বর, ২০০৮-এ, তিনি তার ছেলেদের কাছে স্বীকার করেন যে তার বিনিয়োগ সংস্থাটি একটি বিশাল পঞ্জি স্কিম ছাড়া আর কিছুই নয়। এবং প্রায় ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আনুমানিক ক্ষতির কথাও স্বীকার করে নেয় ম্যাডফ।

ম্যাডফের স্বীকারোক্তির ফলাফল ছিল প্রচন্ড বিপর্যয়কর। বহু মানুষের সারাজীবনের সঞ্চয় এক নিমিষেই হারিয়ে গিয়েছে, ক্ষতির মুখে পড়েছে বহু চ্যারিটি, মানুষ আস্থা হারিয়েছে ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান গুলোর ওপর। শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষতিই নয় বরং এমন একজনের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার মানসিক অশান্তির সম্মুখীন হয়েছে অসংখ্য ইনভেস্টর।

এতসব হতাশামূলক ঘটনার মাঝে একটি ভাল খবর ছিল, জুন ২০০৯ -এ, বার্নি ম্যাডফকে তার অপরাধের জন্য দেয়া হয় ১৫০ বছরের কারাদণ্ড।

WorldCom Accounting Scandal (2002):

২০০২ সালের কর্পোরেট জগতে, টেলিকম ফিল্ডের জায়ান্ট ছিল ওয়ার্ল্ডকম কোম্পানি। জনসম্মুখে সম্মান আর জনপ্রিয়তা নিয়ে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকা এই কোম্পানির আড়ালেও ঘটছিল কিছু অশুভ কার্যক্রম।

ওয়ার্ল্ডকমের সিএফও, স্কট সুলিভান এবং অন্যান্য হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরা ছিল ওয়ার্ল্ডকম স্ক্যান্ডালের পেছনের মূল প্রতারক। আর কোম্পানির সিইও, বার্নি এবার্স, ছিলেন এই পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। কোম্পানির খ্যাতির আড়ালে তারাও তাদের কোম্পানির প্রফিট বিলিয়ন ডলারে ইনফ্লেট করেছিল। আর এত প্রফিট দেখে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী এসে স্টক কেনা শুরু করেছিল।

যাইহোক, একটা প্রবাদ আছে , "প্রতারকরা কখনই উন্নতি লাভ করে না।" ঠিক তেমনি তাদের এই প্রতারণাও দীর্ঘদিন স্থায়ী হল না। ওয়ার্ল্ডকমের ই একজন অভ্যন্তরীণ এক্সিকিউটিভ, সিনথিয়া কুপার এই কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস করে দেয়।

তবে, এর পরিণতি ছিল মারাত্মক। ওয়ার্ল্ডকম সেই সময়ে মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম বড় দেউলিয়া হওয়ার ঘটনা ছিল। হাজার হাজার কর্মচারী তাদের চাকরি হারিয়েছিল, এবং বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছিল তাদের সারাজীবনের সঞ্চয়।

Tyco International Scandal (2002):

গল্পটি শুরু হয়, টাইকোর সিইও, ডেনিস কোজলোস্কি,এবং সিএফও মার্ক সোয়ার্টজ, যারা কোম্পানির টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করে যাচ্ছিলেন। প্রথমদিকে তাদের এই বিলাসবহুল জীবনের রহস্য অনুমান করা না গেলেও, ২০০২ সালে এসে এগুলো একে একে বেড়িয়ে আসে।

তাদের বিরুদ্ধে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে, আর্টওয়ার্ক এবং এমনকি ৬০০০ ডলারের, শাওয়ার কার্টেন এর মত অযৌক্তিক কেনাকাটার অভিযোগ আনা হয়৷ তাদের এই বিলাসিতার কারণ খতিয়ে দেখলে জানা যায়, কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য অননুমোদিত বোনাস এবং কোম্পানির নামে নেয়া অবৈধ ঋণ ব্যবহার করে তারা কয়েক মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে। এবং ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে স্টক এর প্রাইস বৃদ্ধি করেছে৷

এই ঘটনা ফাঁস হবার সাথে সাথে টাইকোর বিলিয়ন ডলারের মার্কেট ভ্যালু এক নিমিষেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ইনভেস্টর এবং শেয়ারহোল্ডাররা হতবাক হয়ে পড়েছিল কারণ টাইকোর স্টক প্রাইস এত বেশি কমে গিয়েছিল, যে সেগুলো বিক্রি কোনো সম্ভাবনা ছিল না।

অবশেষে, কোজলোস্কি এবং সোয়ার্টজ গ্রেপ্তার হন এবং বিচারের মুখোমুখি হন। কোর্টরুম থেকে আর্থিক প্রতারণা এবং অযথা ব্যয়ের কারণে ২০০৫ সালে তাদের দোষী সাব্যস্ত হয়। কোজলোস্কিকে ৮ থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, আর সোয়ার্টজকে ৫ থেকে ১৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল।

টাইকো ইন্টারন্যাশনাল কেলেঙ্কারি, কর্পোরেট লোভ এবং শক্তিশালী কর্পোরেট শাসনের ইতিহাসের একটি সতর্কতামূলক গল্প হয়ে থাকবে।

Volkswagen Dieselgate Scandal (2015):

২০১৫ সালে ঘটে যাওয়া অন্যতম সারা জাগানো, স্টক ক্রাইম ঘটনা ছিল ভক্সওয়াগেন ডিজেলগেট স্ক্যান্ডাল। এই প্রতারণা শুরু হয় ভক্সওয়াগেন নামের এক উদ্দোক্তার মাধ্যমে, যিনি দাবি করেন, তার কাছে ক্লিন ডিজেল এর ফর্মুলা আছে। এবং এই ফর্মূলা ব্যবহার করে তিনি যে গাড়ি গুলো বানাবেন সেগুলো, বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন করবে না। এবং এগুলো ১০০% পরিবেশবান্ধব।

পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা এবং নতুন উদ্ভাবন মানুষকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করে ফেলে। ফলে, তার কোম্পানির গাড়ি বিক্রি, কোম্পানির স্টক দুটোই অসম্ভব হারে বাড়তে থাকে। ভক্সওয়াগেন এই প্রতারণা চলে বহু বছর কারণ, মানুষের মনে অলরেডি তার কোম্পানির নিয়ে একটি ইতিবাচক প্রভাব পরে গিয়েছিল। অনেকবার তার কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসলেও, মানুষের আস্থা তাকে বার বার সেইভ করছিল।

কিন্তু অবশেষে, ২০১৫ সালে, States Environmental Protection (EPA), ভক্সওয়াগেনের এই প্রতারণা জনসম্মুখে প্রমান করতে সক্ষম হয়। ভক্সওয়াগেন মুলত কোনো পরিবেশবান্ধব ডিজেল ই আবিষ্কার করে নি। সে মূলত তার গাড়ি গুলোতে একটা হিডেন সফটওয়্যার ইনস্টল করে দেয়। ফলে ইমিশন টেস্ট এ বার বার হেরফের হত এবং তার গাড়িগুলো কে পরিবেশবান্ধব দেখানো হত৷

রাতারাতি এই ঘটনা ছড়িয়ে পরে বিশ্বব্যাপী। তাদের স্টক প্রাইস অনেক বেশি নিচে নেমে যায় এক পর্যায়ে মার্কেট থেকেই সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় তারা৷ এই লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে রিজাইন করে কোম্পানির সিইও মার্টিন উইন্টারকর্ন। পরিবেশের কথা ভেবে চড়া দামে গাড়ি কেনা কাস্টমার, লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা ইনভেস্টর এবং অভ্যন্তরীণ প্রতারণা সম্পর্কে না জানা কর্মচারীরা প্রত্যেকে বিশাল ক্ষতির মূখে পড়ে। ভক্সওয়াগেন কে শাস্তির আওতায় আনা হলেও, এতবড় স্ক্যামের ক্ষতিপূরণ কখনই আদায় করা সম্ভব হয় নি।

উপসংহার

প্রতি বছর স্টক স্ক্যামের আড়ালে বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে নামীদামী প্রতিষ্ঠান গুলো। বিনিয়োগকারীরা হারাচ্ছে তাদের সর্বস্ব। প্রতি বছর কমপক্ষে ৮.৮ বিলিয়ন ডলারের স্টক স্ক্যাম ঘটে। ২০২১ সালের পর স্টক মার্কেট স্ক্যাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০%!

ভূয়া স্টক বিক্রতা ও প্রফিট ইনফ্লেট করা কোম্পানি গুলোর এই প্রতারণা থামানো যাচ্ছে না কোনভাবেই। অসংখ্য আইন প্রনয়ণ করেও ফাইনান্সিয়াল সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করার আগে সচেতন হতে হবে বিনিয়োগকারীদের। এড়িয়ে চলতে হবে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া স্টক গুলো৷ পরিশেষে, আত্মসচেতনতাই পারবে স্টক স্ক্যাম অনেকাংশে প্রতিরোধ করতে।

  • https://www.investopedia.com/terms/w/worldcom.asp
  • https://en.m.wikipedia.org/wiki/Securities_fraud
  • https://www.investopedia.com/updates/enron-scandal-summary/
  • https://www.financial-dictionary.info/terms/tyco-international-scandal/amp/
Next to read
Canvas & Methods
কাস্টমার এক্সপ্লোরেশন ম্যাপ (Customer Exploration Map)
কাস্টমার এক্সপ্লোরেশন ম্যাপ (Customer Exploration Map)

কাস্টমার এক্সপ্লোরেশন ম্যাপ মূলত এক ধরনের টেমপ্লেট বা চার্ট। যা অনেকাংশে একটা স্টোরিবোর্ড এর মতো ও কাজ করে থাকে। নিতান্তই ছোট এবং সংক্ষিপ্ত কিন্তু অর্থবহ এই টেমপ্লেট কিংবা স্টোরিবোর্ড আপনার ব্যবসার উন্নতির জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।

লিন ক্যানভাস মডেল (Lean Canvas Model)
Canvas & Methods
লিন ক্যানভাস মডেল (Lean Canvas Model)
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
Logo
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
মোট মুনাফা (Gross profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং উদাহরণ
Business
মোট মুনাফা (Gross profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং উদাহরণ
ইক্যুইটির সংজ্ঞা এবং অর্থ
Business
ইক্যুইটির সংজ্ঞা এবং অর্থ
রিব্র্যান্ডিং (Rebranding)
Branding
রিব্র্যান্ডিং (Rebranding)
ব্যবসায়কি আইন কি? উদাহরণ সহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়কি আইন
Business Law
ব্যবসায়কি আইন কি? উদাহরণ সহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়কি আইন
বিজনেস অ্যানালিসিস কী, কেনো, কীভাবে করবেন?
Analysis
বিজনেস অ্যানালিসিস কী, কেনো, কীভাবে করবেন?
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল
Investment
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল