SEO (Search Engine Optimization for Websites)

২১ শতকের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে, একটি ভিজুয়ালি ইন্টারেস্টিং এবং কার্যকরী ওয়েবসাইট থাকা অপরিহার্য। তবে কার্যকর সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) ছাড়া, আপনার ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের বিশাল বিস্তৃতির মধ্যে নিমিষেই হারিয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, টার্গেটেড দর্শকদের কাছে নাও পৌঁছাতে পারে৷ এসইও গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা স্ট্র্যাটেজি গুলোর একটি শক্তিশালী টুলকিট। অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে আর অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে এবং শেষ পর্যন্ত আপনার ডিজিটাল গোল গুলো ফুলফিল করতে SEO এর বিকল্প নেই। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজি এই SEO, যা এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক গ্রো করতে সক্ষম।
Key Points
- ডিজিটালাইজেশন এর যুগে মার্কেটিং এর অন্যতম হাতিয়ার SEO
- SEO এর সাহায্য বিজনেস গুলো তাদের ওয়েবসাইট কে নিয়ে আসছে সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে
- ওয়েবসাইট এ অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ছে Search Engine Optimization এর কল্যানে
- ক্রলিং, ইনডেক্সিং ও বিভিন্ন রকম এলগরিদম ব্যবহার করে এসইও আরো বেশি এডভান্স হয়ে পড়েছে
SEO কি?
এসইও, বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান হল একটি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যার লক্ষ্য একটি ওয়েবসাইটের Visibility এবং সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ গুলোতে (SERPs) র্যাঙ্কিং বাড়ানো। এসইও-এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদমের সাথে এনলিস্ট করার জন্য আপনার সাইটের বিভিন্ন এলিমেন্টকে অপ্টিমাইজ করে ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিকের পরিমাণ এবং গুণমান অর্গানিকভাবে বৃদ্ধি করা।
এর মধ্যে কীওয়ার্ড ইউজ, কনটেন্ট কোয়ালিটি, মেটা ট্যাগ এবং ইউআরএল স্ট্যাকচারের মতো অন-পেজ কনটেন্ট, সেইসাথে ব্যাকলিংক এবং সোশ্যাল সাইনের মতো অফ-পেজ বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত।
একটি পরিসংখ্যান দেখা যায় যে, বিশ্বব্যাপী অর্গানিক সার্চ ট্র্যাফিকের 90% এর বেশি গুগলের একার দখলে । আর অধিকন্তু, হায়ার সার্চ র্যাঙ্কিং সরাসরি ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই সবার প্রথম সার্চ রেজাল্ট সাধারণত প্রায় 30% ক্লিক পায়। আর এসইও ই আপনাকে এই সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টের শুরুর দিকে থাকার সূযোগ করে দেয়। সুতরাং গুগলে সার্চে এগিয়ে থাকতে SEO অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
SEO এর ধরন
ওয়েবসাইটে কাজের ওপর নির্ভর করে এসইও কয়েক ধরনের হয়ে থাকে -
অন-পেজ এসইও (On-Page SEO)
অন পেইজ এসইও হল একটি অপটিমাইজেশন টেকনিক, যেগুলো ডিরেক্টি ওয়েবসাইটে এপ্লাই করা হয় এবং সার্চ ইঞ্জিন ranking ইমপ্রুভ করা হয়। অন পেইজ এসইও মূলত কয়েকটি বেসিক এলিমেন্টের সাহায্য কাজ করে। সেগুলো হল-
কি - ওয়ার্ড অপটিমাইজেশন
সবার আগেই যে বিষয় টা মাথায় রাখতে হবে তা হল কি-ওয়ার্ড। কনটেন্ট লেখার সময়েই প্রাসঙ্গিক ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। হেডিং, মেটা, ট্যাগ, কন্টেন্ট এর বিভিন্ন অংশে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হবে। এতে করে পেইজ এর টপিক টা সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে ক্লিয়ার থাকবে।
কোয়ালিটি কনটেন্ট
তবে শুধু আকর্ষণ করলেই হবে না, পাঠকদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য কনভিন্স করতে হবে। এজন্য কোয়ালিটি, এনগেজিং এবং ইনফরমেটিভ কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে।
টাইটেল, ট্যাগ এবং মেটা ডেসক্রিপশন
ডেসক্রিপটিভ এবং Compelling টাইটেল, ট্যাগ এবং হেডিং ব্যবহার করতপ হবে। এতে করে ভিজিটর রা আপনার ওয়েবসাইট লিংকে ক্লিক করতে আগ্রহী হবে।
হেডার ট্যাগ
H1 H2 H3 এভাবে হেডিং ব্যবহার করে কনটেন্ট কে একটা স্ট্র্যাকচারে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে পাঠকরা পড়ার আগেই একটা আউটলাইন পাবে এবং পড়তে আগ্রহী হবে।
URL স্ট্র্যাকচার
স্পষ্ট এবং ডেসক্রিপটিভ URL তৈরি করতে হবে যাতে লিংক দেখেই টপিক সম্পর্কে আইডিয়া করা যায়।
ইমেজ অপটিমাইজেশন
Accessibility এর জন্য কনটেন্টের ইমেজ গুলোতে ডেসক্রিপটিভ atl text এবং ইমেজ ফাইল সাইজ সিলেক্ট করে দিতে হবে যাতে ফাস্ট লোড হয়।
ইন্টারনাল লিঙ্কিং
অন্যন্য প্রাসঙ্গিক পেইজের লিংক আর্টিকেলের সাথে দিয়ে দিতে হবে৷ এতে করে পাঠক রা আরো বেশি ইনফরমেশন ফলো করতে পারবে আর আপনার পেইজের এসইও ranking বাড়বে।
অফ-পেজ এসইও
অফ পেইজ এসইও হল, ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে এর দৃশ্যমানতা বাড়াতে কাজ করা। অফ পেইজ এসইও এর মেজর কিছু স্ট্র্যাটেজি হল-
ব্যাকলিংক তৈরী
অফ পেইজ এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হচ্ছে ব্যকলিংক তৈরি। এক্ষেত্রে Authoritative ওয়েবসাইট গুলো থেকে হাই কোয়ালিটি ও রিলেভেন্ট ব্যকলিংক প্রয়োজন হবে। যাতে করে পাঠক রা আপনার ওয়েবসাইট এর সন্ধান পায় এবং বিশ্বাসযোগ্য মনে করে।
সোশ্যাল মিডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় এনগেজমেন্ট বাড়াতে হবে। এতে করে ওয়েবসাইট এর visibility ও অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে। আর ব্যকলিংক পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
গেস্ট পোস্টিং
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হল গেস্ট পোস্টিং। এখানে অন্য স্বনামধন্য ওয়েবসাইটের জন্য সেইম এবং রিলেটেবল কনটেন্ট লিংতে পারেন এবং সেখানে আপনার নিজের সাইটের লিংক এড করে দিতে পারেন।
টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)
টেকনিক্যাল দিক থেকে আপনার ওয়েবসাইট এর visibility বাড়ানো, এবং সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট এ উপরে নিয়ে আসার জন্য যেসব অপটিমাইজেশন করা হয় সেগুলো ই টেকনিক্যাল SEO। এর মধ্যে আছে-
ওয়েবসাইট স্পিড
পেইজ লোডিং টাইম যত বেশি হবে, ট্রাফিক ও তত বেশি হারাতে হবে। তাই সার্ভার রেসপন্স টাইম কমিয়ে আনতে হবে এবং ওয়েবসাইটে ব্রাউজিং স্পিড বাড়াতে হব।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি
যেহেতু ভিজিটর দের একটি বড় অংশই মেবাইলের ইউজার হয়, তাই নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইট টি মেবাইলে সহজে সাপোর্ট করে এবং লোড গয়। এছাড়া গুগল ও মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস কে হায়ার rank দিয়ে থাকে।
XML সাইটম্যাপ
XML সাইট ম্যাপ তৈরি করতে হবে এবং সাবমিট করতে হবে। এতে করে সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার ওয়েবসাইটের স্টর্যাকচার ও কনটেন্ট বুঝতে পারবে ও সে অনুসারে ট্রাফিক নিয়ে আসবে।
SSL সিকিউরিটি
আপনার ওয়েবসাইট কে SSL সার্টিফিকেট এর সাথে সিকিউর করার চেষ্টা করুন। এতে করে পেজের ব্লকিং কিংবা অন্যান্য লিগ্যাল সমস্যায় কাজে লাগবে। এবং ভিজিটর দের কাছেও বিশ্বাসযোগ্য হবে।
এসইও কিভাবে কাজ করে
SEO মূলত তিনটি কৌশল অবলম্বন করে কাজ করে থাকে সেগুলো হচ্ছে -
ক্রলিং এবং ইনডেক্সিং (Crawling and Indexing)
ক্রলিং এর মধ্যে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে ওয়েবে নেভিগেট করা এবং ওয়েবসাইটগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বট (ক্রলার বা মাকড়সা নামেও পরিচিত) পাঠানো। এরপর সংগৃহীত তথ্য গুলো ইনডেক্স হয়, যার মানে এটি একটি ডাটাবেসে সংগঠিতভাবে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তী তে একজন ইউজার যখন কোনো কিছু সার্চ করে তখন এই ইনডেক্সটি প্রাসঙ্গিক ফলাফল প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়।
র্যাঙ্কিং এলগরিদম (Ranking Algorithm)
সার্চ ইঞ্জিনগুলো ইনডেক্স করা ডেটা বিশ্লেষণ করতে এবং নির্দিষ্ট সার্চের প্রশ্নের সাথে প্রতিটি ওয়েবপৃষ্ঠার relevance নির্ধারণ করতে জটিল অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। কীওয়ার্ড, কনটেন্ট কোয়ালিটি, ব্যবহারকারীর এনগেজমেন্ট, ব্যাকলিংক এর মতো বিষয়গুলো প্রতিটি ওয়েবপেজের র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করার জন্য বিবেচনা করা হয়। এর লক্ষ্য হল সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টের শীর্ষে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং মূল্যবান লিংকটি প্রদর্শন করা।
সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ (Search Engine Result Pages (SERPs)
SERPs হল একজন ব্যবহারকারী একটি প্রশ্ন সার্চ করার পর যে পেজ গুলো রেজাল্টে আসে। এটি মূলত অর্গানিক লিস্টিং (আনপেইড) এবং পেইড বিজ্ঞাপন এর ওপর নির্ভর করে। তবে সর্বোপরি এর উদ্দেশ্য আপনার সামনে সবচেয়ে সহায়ক এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে ধরা।
এসইও এর গুরুত্ব(Benefits of SEO)
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) যেসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ:
দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি
এসইও,সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ গুলোতে (SERPs) একটি ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা ডেভেলপ করতে সাহায্য করে। রিলেটেড কীওয়ার্ড এবং কনটেন্ট গুলো অপ্টিমাইজ করে। আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টের শীর্ষে উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। সর্বোপরি, আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
ইম্প্রুভ ইউজার এক্সপেরওয়েন্স:
SEO আপনার ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের দিকগুলিকে অপ্টিমাইজ কে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারযোগ্যতা, অ্যাক্সেসযোগ্যতা এবং সামগ্রিক ইউজার দের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি মূলত, ইতিবাচকভাবে এনগেজমেন্ট মেট্রিক্সকে প্রভাবিত করে এং বাউন্স রেট কমিয়ে ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি ডেভেলপ করে।
উচ্চ মানের ট্রাফিক:
SEO এর সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে উচ্চ মানের ট্রাফিক আকর্ষণ করতে পারবেন। নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড এবং কনটেন্ট কে টার্গেট করে, আপনি এমন ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে পারেন যারা আপনার পণ্য বা সার্ভিস গুলোতে আগ্রহী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সাশ্রয়ী মার্কেটিং:
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হল আপনার ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক চালানোর জন্য একটি অন্যতম সাশ্রয়ী মার্কেটিং স্ট্যাটেজি। বিশেষ করে পে-পার-ক্লিক (PPC) এড এর মতো অনলাইন এড এর তুলনায় বেশ কম খরচে হয়ে যায়।
প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা:
অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক ভাবে এগিয়ে থাকতে এসইও বেশ কার্যকর। এসইও রিলেটেড কীওয়ার্ড এবং কনটেন্টের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করে। ফলে আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত হয় এবং আপনার প্রতিযোগীদের তুলনায় আপনার ওয়েবসাইটে আরও বেশি ট্রাফিক আকর্ষণ করা সম্ভব হয়।
সামগ্রিকভাবে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনার ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা, কোয়ালিটি, বিশ্বাসযোগ্যতা, ভিজিটর ও সেলস বাড়াতে সাহায্য করে।
উপসংহার
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) বর্তমানে এমন একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যা ওয়েবসাইট এর ভিজিবিলিটি বাড়াতে, SERP পেজ গুলোতে হয়ার ranking পেতে, মার্কেট প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে এবং বিজনেস গ্রোথ বাড়াতে ব্যাপক ভাবে ব্যাবহার করা হয়। কি-ওয়ার্ড, টাইটেল, ট্যাগ, ব্যাকলিংক, সাইটম্যাপের মত বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করে এসইও বাড়াচ্ছে ইউজার এনগেজমেন্ট। এবং প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিবর্তনের সাথে SEO অনলাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং কে আরে এডভান্স পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
- https://searchengineland.com/guide/what-is-seo
- https://www.semrush.com/blog/what-is-seo/
- https://www.simplilearn.com/main-types-of-seo-techniques-in-digital-marketing-article
Next to read
মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট (Minimum Viable Product)


সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)

বেইট এন্ড হুক মডেল (Bait & Hook Model)

মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)

সারোগেট মার্কেটিং (SURROGATE MARKETING)

Needs, Wants, Demands (প্রয়োজন, চাওয়া এবং চাহিদা)

রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example

CSR বা Corporate Social Responsibility কী?

রিব্র্যান্ডিং (Rebranding)
