মার্কেটিং-এর বিবর্তন (ঐতিহাসিক পার্সপেক্টিভ)

615
article image

বর্তমান সময়ে মার্কেটিং বলতে আমরা যা বুঝি তা পর্যন্ত আসতে মার্কেটিং-কে যেতে হয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। এই পরিবর্তনগুলোকে যদি আমরা বিভিন্ন যুগে ভাগ করি, তবে সেগুলো হচ্ছে - প্রোডাকশন-অরিয়েন্টেড যুগ, সেলস-অরিয়েন্টেড যুগ, মার্কেটিং-অরিয়েন্টেড যুগ, সোসাইটাল-অরিয়েন্টেড মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং যুগ।

Key Points

  • “মার্কেটিং হচ্ছে কাস্টমারদের কোম্পানীর সাথে জড়িত করার, দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং কাস্টমারদের কিছু ভ্যালু অফার করার মাধ্যমে কাস্টমারদের থেকে ভ্যালু ক্যাপচার করা।”
  • মার্কেটিং বলতে আজ আমরা যা বুঝি, তার ধারণা আমরা মাত্র বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই পেয়েছি।
  • প্রোডাকশন অরিয়েন্টেড মানসিকতার ফলেই ইউরোপে ঘটে শিল্প বিপ্লব।
  • কাস্টমারের বদলে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের বিজনেস অবজেক্টিভকে প্রাধাণ্য দিলে কাস্টমারদের মাঝে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়।
  • মার্কেটিং অরিয়েন্টেশনের মূলকথা হচ্ছে কাস্টমারদের চাহিদা ফুলফিল করার চেষ্টা, তাই অনেক সময় এটিকে কাস্টমার-অরিয়েন্টেশন হিসেবে’ও আক্ষায়িত করা হয়।

মার্কেটিং-এর বিবর্তন (ঐতিহাসিক পার্সপেক্টিভ)

এখনকার সময়ে মার্কেটিং - স্ট্র্যাটেজি এবং প্রযুক্তির একটি যথাযথ সংমিশ্রণ হিসেবে পরিচিত। তবে এটি কিন্তু সবসময় এমন ছিল না। মার্কেটিং-এর ইতিহাস ঘাটালে আমরা জানতে পারি এটি একসময় শুধুই পণ্য ও সেবা বিক্রয়ের চেষ্টামাত্র ছিল।

একটি মুক্ত-বাজার অর্থনীতিতে, মার্কেটিং এতোটাই সর্বব্যাপী যে এটি কীভাবে শুরু হয়েছিল এবং আজ কোথায় আছে তা আমরা ভাবার সময়ই পাই না। উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে লোকেরা কীভাবে পণ্য সম্পর্কে জানতেন? এই সোশ্যাল মিডিয়া প্রজন্মের কাছে এটি কল্পনা করা কঠিন যে, কীভাবে অতীতের লোকেরা স্মার্টফোন ছাড়াই তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

প্রস্তর যুগ থেকে উত্তর-আধুনিক যুগ পর্যন্ত, মানবসভ্যতা ইতিহাসে একটি আকর্ষণীয় বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। মার্কেটিং-এর জগৎ’ও আলাদা নয়। এই আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করবো কিভাবে মার্কেটিং আমাদের সাথে তাল মিলিয়ে বিবর্তিত হয়েছে এবং কিভাবে আমাদের মানবমনকে প্রভাবিত করেছে।

মার্কেটিং কী?

কিছু লোক মনে করেন যে, মার্কেটিং মানেই প্রতারণামূলক, উচ্চচাপ প্রয়োগের কিছু কৌশল যার মাধ্যমে আপনাকে এমন কিছু ক্রয় করতে বাধ্য করা হয় যা আপনার আসলে প্রয়োজন নেই, এটি একটি ভুল ধারণা। যদিও মার্কেটিং-এ বিক্রয় রিলেটেড কিছু প্রসঙ্গ থাকে, তবে মার্কেটিং-এর পুরোটা জুড়েই যে বিক্রয় রয়েছে তা নয়, এমনকি মার্কেটিয়ারদের এমন কিছু করা উচিৎ’ও নয়। “ফিলিপ কটলার তার “প্রিন্সিপালস অব মার্কেটিং” নামক বইয়ে বলেছেন - “মার্কেটিং হচ্ছে কাস্টমারদের কোম্পানীর সাথে জড়িত করার, দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং কাস্টমারদের কিছু ভ্যালু অফার করার মাধ্যমে কাস্টমারদের থেকে ভ্যালু ক্যাপচার করা।”

মার্কেটিং-এর মূলমন্ত্র হচ্ছে কাস্টমারদের স্যাটিস্ফাইড করা। কারণ, একটি কোম্পানীর জন্য সন্তুষ্ট কাস্টমারদের থেকে বড় সম্পদ আর কিছুই হতে পারে না। তবে এটি সত্য যে, মার্কেটিং-এর ধারণা সবসময় এমন ছিল না।

মার্কেটিং-এর বিবর্তন

মার্কেটিং বলতে আজ আমরা যা বুঝি, তার ধারণা আমরা মাত্র বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই পেয়েছি। এর আগের সময়গুলোতে মার্কেটিং-এর ধারণায় বেশ কয়েকবার বদল এসেছে। সেগুলোকে আমরা কিছু ভাগে ভাগ করে নিতে পারি।

প্রোডাকশন-অরিয়েন্টেড যুগ (১৮০০ - ১৯২০)

এই যুগে কোম্পানীগুলো প্রধাণত ম্যাস-প্রোডাকশনের দিকে গুরুত্বারোপ করেছে। ধারণা করা হতো, কাস্টমারদের জন্য যা’ই তৈরি করা হবে - তারা সেটাই কিনবেন। কিন্তু শর্ত হচ্ছে, পণ্য হতে হবে সাধ্যের মধ্যে এবং কাস্টমারদের হাতের নাগালে। কাস্টমারদের টেস্ট-প্রিফারেন্সকে এই সময়ে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। যার ফলে কোম্পানীগুলো কোয়ালিটিকে প্রাধাণ্য না দিয়ে, অধিক পরিমাণকে গুরুত্ব দিয়েছে। সর্বদা চেষ্টা ছিল - প্রোডাকশন কস্ট সর্বনিম্ন রেখে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিক্রয় অর্জন করার।

এই ধারণার ফলেই ইউরোপে শুরু হয়েছিল “শিল্প বিপ্লব”। কোম্পানীগুলো এই সময়ে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করতো, যাতে করে তারা ডিমান্ড ফুলফিল করতে পারে এবং প্রতিযোগীদের থেকে বেশি পরিমাণ উৎপাদন করতে পারে। কারণ এই সময়ে পণ্যের মান দিয়ে কোম্পানীর ভ্যালু নির্ধারণ করা হতো না, করা হতো কোম্পানীর উৎপাদন সক্ষমতার ভিত্তিতে। এই সময়ে মার্কেটিং-এর কাজ ছিল শুধু কাস্টমারদের এটা জানানো যে কোন কোম্পানীর পণ্যের মূল্য সবচেয়ে কম।

সেলস-অরিয়েন্টেড যুগ (১৯২০ - ১৯৪০)

শিল্প-বিপ্লব শেষে কোম্পানীগুলোর মাঝে প্রতিযোগীতা অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। যার পেছনের প্রধাণ কারণ ছিল মার্কেটে অধিক পরিমাণে কোম্পানী তৈরি হওয়া। এতো বড় বড় কোম্পানীর মাঝে গ্রাহকরা কার সেবা নিবেন আর কার পণ্য ক্রয় করবেন সেই বিষয়ে হয়ে পরতেন কনফিউজড। তাই এই সময়ে কোম্পানীগুলো ক্রেতাদের আকর্ষিত করার জন্য বেশ রংচটে প্রমোশনাল এক্টিভিটজ পরিচালনা করতো।

বিক্রয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই সময়টায় কোম্পানীগুলোকে প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং-প্রমোশনে জড়াতে দেখা যায়। মূলত তখনই “মার্কেটিং মাত্রই প্রমোশন” এই ধারণা সাধারণ মানুষের মাঝে তৈরি হয়। এডভার্টাইজমেন্ট-এর জন্য এই সময়ে রেডিও, টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল। এর পাশাপাশি, কোম্পানীগুলো কিছু বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ দিতেন যারা মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে কাস্টমারদের উক্ত কোম্পানীর পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ধারণা দেয়ার ও বিক্রয় করার চেষ্টা করতেন।

মার্কেটিং-অরিয়েন্টেড যুগ (১৯৪০ - ১৯৭০)

এই সময়ে এসে কোম্পানীগুলো বুঝতে পারে যে কাস্টমারের বদলে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের বিজনেস অবজেক্টিভকে প্রাধাণ্য দিলে কাস্টমারদের মাঝে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়। যার ফলে হারাতে হয় কাস্টমার। তাই কোম্পানীগুলো কাস্টমারদের চাহিদা আইডেন্টিফাই এবং সেই অনুযায়ী নিজেদের কার্যক্রম সাজানো শুরু করে।

যার ফলে মার্কেটিং অরিয়েন্টেড যুগের সূচনা হয়। এই ধারণামতে, ব্যবসায়ের লক্ষ্য অর্জনের পূর্বশর্ত হচ্ছে টার্গেট কাস্টমারদের চাহিদা নির্ধারণ এবং সেই চাহিদা মেটানো যাবে এমনভাবে প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি সাজানো। প্রতিযোগীদের থেকে বেশি ভ্যালু অফার করার মাধ্যমেও অনেক কোম্পানী এই কাজটি করতো।

মার্কেটিং অরিয়েন্টেশনের মূলকথা হচ্ছে কাস্টমারদের চাহিদা ফুলফিল করার চেষ্টা, তাই অনেক সময় এটিকে কাস্টমার-অরিয়েন্টেশন হিসেবে’ও আক্ষায়িত করা হয়। প্রথমে টার্গেট মার্কেট নির্ধারণ করে তারপর সেই মার্কেটের চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশ্যে পণ্য উৎপাদন শুরু করা হতো এই সময়ে।

সোসাইটাল-অরিয়েন্টেড (১৯৭০ - বর্তমান)

সোসাইটাল মার্কেটিং-কে আবার “সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং”-এর সাথে মিলিয়ে ফেলবেন না। সোসাইটাল মার্কেটিং-এর মতে মূলত এমন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেয়া হয় যা কাস্টমার এবং পরিবেশ উভয়ের জন্য ইতিবাচক। মূলত কাস্টমারদের চাহিদা এবং সোসাইটির দীর্ঘমেয়াদে উন্নয়নের সংমিশ্রণ হচ্ছে এই সোসাইটাল মার্কেটিং-এর ধারণা।

৬০ এবং ৭০-এর দশকে প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং-এর সমালোচনা হয় কারণ, কোম্পানীগুলো এমন সব পলিসি ফলো করছিল যা সোসাইটির জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফলাফল বয়ে আনতে ব্যর্থ হয়। তাই ম্যানেজাররা বুঝতে পারেন যে, তাদের পলিসিগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে লাভজনক হলেও, সোসাইটির জন্য তা বয়ে আনতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই সময়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা সাধারণ মানুষদের পরিবেশ রক্ষার প্রতি সচেতন করে তোলার চেষ্টা করে এবং এর ফলে কোম্পানীগুলোকে হারাতে হয় বেশ ভালো পরিমাণ কাস্টমার।

তাই কাস্টমার ধরে রাখতে তারা এমন সব স্ট্র্যাটেজি ও পলিসি অবলম্বন শুরু করে যা কাস্টমার এবং প্রকৃতি - উভয়ের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে সক্ষম। নিজেদের পণ্যকে তারা ভালো কোয়ালিটি প্রদানের পাশাপাশি পরিবেশের জন্য টেকসই প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন শুরু করে।

সোসাইটাল মার্কেটিং-এর আরো একটি সুবিধা হচ্ছে এটি কোম্পানী সম্বন্ধে কাস্টমারদের মনে একটি পজিটিভ ইমেজ তৈরিতে সাহায্য করেছে। যেসব কোম্পানী বেশি বেশি পরিবেশগতভাবে নিরাপদ পলিসি অবলম্বন করেছে তাদেরকে কাস্টমাররা বেশি বেশি প্রায়োরিটি দিয়েছেন। তাই এই ধারণাকে অনেকটাই “টেকসই ডেভেলপমেন্ট এবং করপোরেট সোশ্যাল রেস্পনসিবিলিটি”র একীভূত হিসেবে মনে করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং (১৯৯০ - বর্তমান)

এই সময়ে এসে মার্কেটিং জগৎ আরো একটি যুগান্তকাররী পরিবর্তনের ভেতর প্রবেশ করে। প্রযুক্তির সহায়তায় সাধারন মানুষের হাতে মার্কেটিং-কে নিয়ন্ত্রণ করার বিভিন্ন উপায় চলে আসে। যার ফলে ট্রেডিশনাল মিডিয়া ফলো করে মার্কেটিয়াররা আর বিশেষ সুবিধা করতে পারছিলেন না।

যার ফলে শুরু ডিজিটাল মার্কেটিং-এর অধ্যায়। ইন্টারনেটের ম্যাস এডোপশনের ফলে প্রচুর পরিমাণে মানুষ অনলাইনে সময় কাটানো শুরু করেন। মার্কেটিয়াররা লক্ষ্য করেন যে, ট্রেডিশনাল মিডিয়া বাদ দিয়ে তারা খুব সহজে এবং অনেক কম খরচে অনলাইনে কাস্টমারদের নিজেদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করতে পারছেন। ৯০-এর দশকে মার্কেটিয়াররা ট্রেডিশনাল মিডিয়ায় যে সমস্যাগুলো ফেইস করছিলেন, তার সবগুলোর সমাধান তারা পেয়ে গেলেন ডিজিটাল মিডিয়ায়।

তবে, প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের হাতেও এমন নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে যাতে করে তারাই ঠিক করে দিতে পারেন যে তারা কোন ধরণের বা কোন কোম্পানীর মার্কেটিং দেখতে চান। বিশেষ করে সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা যেমন - অ্যামাজন প্রাইম - মার্কেটিং ব্যাপারটাকে অনেকটাই অবসোলেট করে দিয়েছে। এখন আর সাধারণ মানুষদের উপায়হীনভাবে বসে বসে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন হজম করতে হচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এখন তারা শুধু সেই কোম্পানীগুলোকেই ফলো করেন যাদের পণ্য বা সেবা তারা ব্যবহার ও পছন্দ করেন।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি ডিজিটাল মার্কেটিং-কে আরো ত্বরাণ্বিত করেছে। যেহেতু এখন বেশিরভাগ মানুষ তাদের সময় কাটায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে, তাই মার্কেটিয়াররা’ও এই মাধ্যম ব্যবহার করেই কাস্টমারদের কাছে নিজেদের পণ্যের বিবরণ পৌছে দিচ্ছেন। কন্টেন্ট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এগুলো সবই ডিজিটাল মার্কেটিং-এর জনপ্রিয় সাব-সেক্টর।

ডিজিটাল মার্কেটিং যেমন একদিকে ট্রেডিশনাল মার্কেটিয়ারদের এখন অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে, অন্যদিকে মার্কেটিয়ারদের জন্য তৈরি করেছে নতুন নতুন আরো অনেক সেক্টর। এই কারণেই কন্টেন্ট মার্কেটিয়ার, এসইও স্পেশালিস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিয়ার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপারদের এখন অনেক বেশি ডিমান্ড।

পরিসংহার

যেমনটা আমরা দেখতেই পারছি, মার্কেটিং বলতে আমরা আজ যা বুঝি, তা একদিনেই তৈরি হয়নি। বরং এটি শতকের পর শতক ধরে চলা বিবর্তনের একটি ফলাফল। শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে শুরু করে এখনও মার্কেটিং নিয়মিত বিবর্তনের মধ্য দিয়ে ছুটে চলেছে। আজ আমাদের কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক নতুন এবং সুস্পষ্ট একটি ধারণা, তবে আগামীতে হয়তো ডিজিটাল মার্কেটিং-এর কনসেপ্টটি’ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পরতে পারে।

যতো নতুন নতুন প্রযুক্তি ও মিডিয়ার উদ্ভাবন হবে, মার্কেটিং’ও সেই সাথে নিজের চলার পথ খুজে বের করে ফেলবে। তাই মার্কেটিং-এর দুনিয়ায় শুধু একটি জিনিসকেই কন্সটেন্ট হিসেবে ধরা হয় - পরিবর্তন। যতো দিন যাবে মার্কেটিং-এর জগৎ-এও আমরা দেখতে পারবো আরো বেশি পরিবর্তন 
 
 
 


  • আর্টিকেল-এর রেফারেন্স
  • https://www.brafton.com/blog/content-marketing/evolution-of-marketing/
  • https://historycooperative.org/the-evolution-of-marketing-from-trade-to-tech/
  • https://fullscale.io/blog/the-evolution-of-marketing/
  • https://www.encyclopedia.com/finance/finance-and-accounting-magazines/marketing-historical-perspectives
  • মার্কেটিং-এর সংজ্ঞা
  • Principles of Marrketing - Kotler and Armstrong (17th Edition)
Next to read
Business Models
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)

অ্যাড অন মডেলে মূলত কোনো একটি পণ্য বা পরিসেবার জন্য বাজারে অন্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্য (কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিনামূল্য) নির্ধারণের মাধ্যমে গ্রাহক চাহিদা সৃষ্টি করা হয়। আর পণ্য বা সেবাটি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন গ্রাহক মনে ঐ নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবার বাইরেও ঐ পণ্য সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত ফিচার কিংবা সেবার প্রতি প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়। এর ফলে গ্রাহক ঐ পণ্যটির বাইরেও অন্যান্য পরিষেবা গুলোও অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করে। এভাবে এই অ্যাড অন বিজনেস মডেল টি মূলত কাজ করে থাকে।

Needs, Wants, Demands (প্রয়োজন, চাওয়া এবং চাহিদা)
Business
Needs, Wants, Demands (প্রয়োজন, চাওয়া এবং চাহিদা)
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
Logo
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
সেলস কি এবং কিভাবে তা কাজ করে?
Sales
সেলস কি এবং কিভাবে তা কাজ করে?
PESTLE বিশ্লেষণ
Analysis
PESTLE বিশ্লেষণ
ব্যবসায়কি আইন কি? উদাহরণ সহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়কি আইন
Business Law
ব্যবসায়কি আইন কি? উদাহরণ সহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়কি আইন
হিসাববিজ্ঞান পরিচিতি (What is Accounting)
Accounting
হিসাববিজ্ঞান পরিচিতি (What is Accounting)
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
SEO (Search Engine Optimization for Websites)
Digital Marketing
SEO (Search Engine Optimization for Websites)
Generally Accepted Accounting Principle (GAAP)
Accounting
Generally Accepted Accounting Principle (GAAP)