মানি সাপ্লাই সংজ্ঞা: ধরণ এবং অর্থনীতিতে মানি সাপ্লাইয়ের প্রভাব

1014
article image

একটি অর্থনীতিতে কখন কি পরিমাণ নগদ অর্থ বা তার সমতুল্য সম্পদ সার্কুলেশনে আছে, তা কাউন্ট করা হয় মানি সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে। কি পরিমাণ মানি সাপ্লাই থাকবে তা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর অর্থনীতির প্রয়োজন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস’ও করতে পারে। মানি সাপ্লাই অনেক বেড়ে গেলে জনগণ অনেক বেশি খরচ করা শুরু করে এবং এতে করে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। আবার মানি সাপ্লাইয়ের পরিমাণ অনেক কমে গেলে তার ফলে মুদ্রাসংকোচন দেখা দেয়।

Key Points

  • বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের মানি সাপ্লাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ সাধারণত দুইটি উপায়ে মানি সাপ্লাই কাউন্ট করে থাকে। এই উপায় দুটি তারা M1 এবং M2 হিসেবে লেবেল করে থাকে।
  • সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতিতে মানি সাপ্লাই বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয় এবং সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিতে মানি সাপ্লাই হ্রাস করার চেষ্টা করা হয়।
  • বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চাইলে নতুন নোট ইস্যু করা শুরু করে।

ভূমিকা

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অর্থের যোগান দেয় তা আশা করি আমরা সবাই জানি। তবে এই “অর্থের জোগান দেয়া” বলতে আসলে কি বোঝায় তা কি আমরা জানি? আর কিভাবেই বা বাংলাদেশ ব্যাংক এই কাজটি করে থাকে? জি না, শুধু নতুন নতুন নোট ইস্যু করা বলতে মানি সাপ্লাই বোঝানো হয় না। বরং, অর্থনৈতিক পড়াশোনার একটি বিস্তর এরিয়াজুড়ে রয়েছে মানি সাপ্লাই। বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলেই যখন ইচ্ছা নতুন নোট ইস্যু করে ফেলতে পারে না, তা করার আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনেক গবেষণা করে মানি সাপ্লাইয়ের প্রয়োজন বের করতে হয় এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে আসলে কিভাবে মানি সাপ্লাই করা হবে বা আদৌ করা হবে কি না। তাই আজকের লেখায় আমরা অর্থনীতিতে মুদ্রা সরবরাহ করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।

মানি সাপ্লাই কী?

মানি সাপ্লাই হচ্ছে কোনো অর্থনীতিতে এক নির্দিষ্ট সময়ে গণনা করা সকল মুদ্রা ও তরল সম্পদের সমষ্টি। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেই নোট ইস্যু করে তাকে আমরা সাধারণত অর্থের সরবরাহ হিসেবে কাউন্ট করে ভুল করতে পারি। যেকোনো অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ কাউন্ট করার সময় অর্থনীতিতে সকল ক্যাশ কাউন্ট করার পাশাপাশি সকল ধরণের ব্যাংক ডিপোজিট’ও কাউন্ট করা হয়।

নগদ অর্থ ও ব্যাংক ডিপোজিটকে এখানে এক হিসেবে ধরা হচ্ছে কেনো তা আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে। উত্তর হচ্ছে যে, যেকোনো ধরণের ব্যাংক ডিপোজিট খুব সহজেই নগদ অর্থ রুপান্তর করা যায় অর্থাৎ, অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নেয়া যায়। এমনকি এফডিআর’র ক্ষেত্রেও গ্রাহক চাইলে কিছু শর্ত মেনে অর্থ তুলে নিতে পারেন (সেক্ষেত্রে তিনি প্রাপ্য সুদ থেকে বঞ্চিত হোন)।

আমরা জানি যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতেই অর্থনীতিতে নতুন নোট ইস্যু করার ক্ষমতা থাকে, আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক’ই পরোক্ষভাবে সকল ব্যাংক ডিপোজিট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেই খুব সহজে অর্থনীতির মানি সাপ্লাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

মানি সাপ্লাই কীভাবে কাজ করে?

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের মানি সাপ্লাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনীতিবিদগণ কিছু সময় পর পর অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহের পরিমাণ গণনা করে থাকেন। এর মাধ্যমে তারা বোঝার চেষ্টা করেন যে অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহের পরিমাণ অনেক বেশি কি না, অনেক বেশি অর্থের সরবরাহ থাকলে তা মুদ্রস্ফীতিকে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। অপরদিকে, অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ অনেক কম হলেও সমস্যা, কারণ তখন মুদ্রাসংকোচন দেখা দিতে পারে।

তাই বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব কিছু উপায় ব্যবহার করে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক হারে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার ব্যাংক রেট পরিবর্তন করতে পারে। ব্যাংক রেট হচ্ছে মূলত যেই সুদের হারে অন্যান্য কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট হতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে থাকে। এই সুদের হার বৃদ্ধি পেলে ব্যাংকগুলো ঋণ নেয়া কমিয়ে দেয়। এতে করে কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের আরো কম পরিমাণ ঋণ প্রদান করে আর যাদের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে, তাদের থেকে বেশি পরিমাণ সুদ চার্জ করা হয়। ফলে সাধারণ মানুষের ঋণ গ্রহণের ইচ্ছা কমে যায়। এতে করে আল্টিমেটলি অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ হ্রাস পায়। আবার অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঠিক বিপরীত কাজটি করে, অর্থাৎ তখন সে ব্যাংক রেট বাড়িয়ে দেয়।

দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নোট ইস্যু করার ক্ষমতা থাকে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চাইলে নতুন নোট ইস্যু করা শুরু করে। আবার অর্থের সরবরাহ হ্রাস করতে চাইলে খোলাবাজারে বিভিন্ন সিকিউরিটি যেমন ট্রেজারি বন্ড ও ট্রেজারি বিল বিক্রয় করা শুরু করে। এভাবে অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

অর্থনীতির দুর্বল ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুদিন পর পর মানি সাপ্লাই কাউন্ট করে থাকে। এতে করে কোনো সমস্যা অনেক বড় আকার ধারণ করার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক তা সমাধান করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

অর্থনীতিতে মানি সাপ্লাইয়ের প্রভাব

বাংলাদেশ ব্যাংক কিভাবে মানি সাপ্লাই বৃদ্ধি বা হ্রাস করে তা আমরা জানলাম। এখন আমরা জানার চেষ্টা করবো যে অর্থনীতিতে মানি সাপ্লাই বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে আসলে কি হয়।

অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে সামগ্রিকভাবে সুদের হার কমে যায়। কারণ তখন ব্যাংকের কাছেও অনেক টাকা থাকে আবার সাধারণ জনগণের কাছেও অনেক টাকা থাকে। ফলে ব্যাংক তার ঋণ ব্যবসা সচল রাখার উদ্দেশ্যে সুদের হার কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। সুদের হার হ্রাস পেলে সাধারণ জনগণ ব্যাংক থেকে আরো বেশি করে ঋণ নেয়া শুরু করে। এতে করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায়।

তখন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্যবসায় সম্প্রসারণ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা শুরু করে। আবার সাধারণ জনগণ নিজেদের অলস অর্থ দিয়ে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ, ব্যবসা শুরু করা ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করে। ফলে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে খরচের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়গুলো যেহেতু নতুন নতুন বিনিয়োগ করছে, তাই সেখানে আরো কর্মীর প্রয়োজন হয়। ফলে সাময়িক সময়ের জন্য বেকারত্বের হার কমে আসলেও দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

আবার এর ঠিক বিপরীত প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে যদি অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ হ্রাস পায়। তখন ব্যাংক তার সুদের হার বাড়িয়ে দেয়, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণ বন্ধ করে দেয় এবং সাধারণ জনগণ’ও তাদের খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এতে করে স্বল্পমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পায়। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য এই অবস্থা বিরাজ করলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

মানি সাপ্লাইয়ের প্রকারভেদ

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ সাধারণত আমেরিকান পদ্ধতিতে মানি সাপ্লাই কাউন্ট করা হয়। মানি সাপ্লাই কাউন্ট করার সময় কোন কোন কমপোনেন্ট যোগ করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে মানি সাপ্লাইকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। তাই এগুলোকে মানি সাপ্লাইয়র প্রকারভেদ না বলে বরং মানি সাপ্লাই কাউন্ট করার প্রকারভেদ হিসেবে অভিহিত করলে বেশি ভালো হয়।

আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ সাধারণত দুইটি উপায়ে মানি সাপ্লাই কাউন্ট করে থাকে। এই উপায় দুটি তারা M1 এবং M2 হিসেবে লেবেল করে থাকে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে কিছু ভিন্ন ভিন্ন কমপোনেন্ট থাকে বলে তাদের এই ভেদাভেদ। আরো একটি কমপোনেন্ট ছিল, যাকে M3 হিসেবে লেবেল করা হতো, তবে ২০০৬ সালের পর ফেডারেল রিজার্ভ আর এই লেবেল কন্টিনিউ করেনি।

M1 Money Supply

M1 Money Supply বলতে আমরা সাধারণত খবরে যেই মানি সাপ্লাইয়ের পরিমাণ জেনে থাকি, তাকেই অভিহিত করে। এই লেবেলের অধীনে অর্থনীতিতে সকল ধরণের নগদ অর্থ ও কয়েন কাউন্ট করা হয়। এখন সেই নগদ অর্থ আপনার পকেটেই থাকুক, অথবা কোনো এটিএম মেশিনের ভেতরে, সবই কাউন্ট করা হবে। নগদ অর্থের পাশাপাশি এই লেবেলের অধীনে সকল ধরণের নগদ অর্থের সমতুল্য সম্পদ’ও কাউন্ট করা হয়। উদাহরণস্বরুপ - একটি সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্ট, যেখান থেকে যখন ইচ্ছা টাকা তুলে ফেলা সম্ভব, এটি একটি নগদ অর্থের সমতুল্য সম্পদ। M1 Money Supply লেবেলের অধীনে তাই এটি কাউন্ট করা হচ্ছে। অর্থাৎ,

M1 Money Supply = Total Cash (notes and coins) + Demand Deposits

M2 Money Supply

M2 Money Supply লেবেলের অধীনে M1 Money Supply - এর পরিমাণের সাথে স্বল্পমেয়াদি ব্যাংক ডিপোজিটগুলো কাউন্ট করা হয়। অর্থাৎ, এমন সব ব্যাংক ডিপোজিট, যার মেয়াদ ১ বছর বা তার কম। তাই -

M2 Money Supply = M1 Money Supply + Bank Deposits (of less than 1 year)

M3 Money Supply

এই লেবেলের অধীনে M2 Money Supply এর সাথে দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক ডিপোজিটগুলো যোগ করা হতো। তবে ফেডারেল রিজার্ভের মতে এই ইনফরমেশন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো কাজে আসছিল না। তাই তারা এটি প্রকাশ করা বন্ধ করে দেয়।

আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ সাপ্তাহিক অথবা মাসিক ভিত্তিতে M1 ও M2 এই দুটি লেবেলের মান তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই মানের উপর নির্ভর করে তাদের কার্যক্রম গ্রহণ করে।

মানি সাপ্লাইয়ের প্রভাবক

খালি চোখে M1 ও M2 এই দুটি লেবেলের মান দেখে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাই এই দুটি লেবেলের অধীনে আরো কিছু কমপোনেন্ট থাকে যার সাহায্য মূলত ধারণা করা হয় যে অর্থনীতিতে কোথায় কি পরিমাণ অর্থ আছে এবং কোথাও কোনো সমস্যা আছে কি না। তাই এগুলো মানি সাপ্লাইয়ের প্রভাবক বলা যেতে পারে।

কারেন্সি-ডিপোজিট রেশিও -

সাধারণ মানুষের হাতে নগদ কি পরিমাণ অর্থ আছে এবং সেই তুলনায় তাদের ব্যাংকে কি পরিমাণ অর্থ আছে তা দ্বারা কারেন্সি-ডিপোজিট রেশিও বোঝানো হয়।

ব্যাংক রিজার্ভ রেশিও -

ডিপোজিটের যেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংকগুলো বাধ্যতামূলকভাবে নিজেদের কাছে জমা রেখে দেয় তাকে ব্যাংকের রিজার্ভ রেশিও বলে।

রিজার্ভ অতিরিক্ত -

প্রয়োজনীয় পরিমাণ রিজার্ভ রাখার পর ব্যাংকগুলোর কাছে তাদের গ্রাহকদের ঋণ অফার করার জন্য যেই পরিমাণ অর্থ অবশিষ্ট থাকে তাকে রিজার্ভ অতিরিক্ত অর্থ বলা হয়।

মানি সাপ্লাইয়ের নির্ধারক

অর্থনীতিতে কি পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা হবে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি বা মনিটারি পলিসির উপর নির্ভর করে। আমরা সাধারণত দুই ধরণের মুদ্রানীতি দেখতে পাই।

সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি - এই নীতির আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। ফলস্বরুপ, সে নোট ইস্যু করা বাড়িয়ে দিতে পারে বা ব্যাংক রেট কমিয়ে দিতে পারে অথবা খোলাবাজার থেকে বিভিন্ন সিকিউরিটি ক্রয় করে নিতে পারে।

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি - এই নীতির আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ হ্রাস করার চেষ্টা করে। যার ফলে সে নোট ইস্যু করা কমিয়ে দিতে পারে, ব্যাংক রেট বৃদ্ধি করতে পারে অথবা খোলাবাজারে বিভিন্ন ধরণের সিকিউরিটি বিক্রয় করতে পারে।

পরিসংহার

অর্থনীতির সাথে জড়িতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মাঝে মানি সাপ্লাইয়ের বিষয়টি অন্যতম। দেশকে সচল রাখতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে অর্থনীতিবিদগণ দেশের সকল স্তরে পরে থাকে নগদ অর্থ ও ব্যাংক ডিপোজিটের গণনা করেন এবং সেই অনুযায়ী মুদ্রানীতি তৈরি করেন। দেশের মানুষের হাতে কখন কি পরিমাণ অর্থ থাকবে তা নির্ধারণ করা হয় এই মুদ্রানীতির মাধ্যমে। তাই মানি সাপ্লাই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আজকের লেখায় মানি সাপ্লাই সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত একটি ধারণা দিতে পেরেছি।

  • https://www.federalreserve.gov/faqs/money_12845.htm
  • https://www.investopedia.com/terms/m/m2.asp
  • https://testbook.com/ias-preparation/money-supply
  • https://www.thestreet.com/dictionary/m/money-supply
  • https://www.thebalancemoney.com/what-is-money-supply-3306128
  • https://www.masterclass.com/articles/money-supply-definition
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)
সোশ্যাল ইম্প্যাথি ম্যাপিং (Social Empathy Mapping)

ইম্প্যাথি ম্যাপিং মূলত একধরনের ট্যুলস। এটি গ্রাহকদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভব, উপলব্ধি সহ নানাবিধ তথ্য, উপাত্ত এর সমন্বয়ে গঠিত সুশৃঙ্খল এবং সুবিন্যস্ত একটি চার্ট। উল্লেখিত বিষয় সমূহ সম্পর্কিত তথ্য উপাত্তের খুব চমৎকার একটা ভিজ্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন পাওয়া যায় এই ইম্প্যাথি ম্যাপিং এর মাধ্যমে। যা মূলত আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে।

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
Canvas & Methods
সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
Business Models
ফ্রিমিয়াম মডেল (Freemium Model)
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
Business Models
সাবস্ক্রিপশন মডেল (Subscription Model)
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
Marketing
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
Business
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
Investment
এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
Marketing
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)
E-Commerce
সিঙ্গেল ব্রান্ডেড ই-কমার্স (Single Branded E-commerce)