সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)

553
article image

সামাজিক উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা আরো সহজ করে দেয় সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস টুল। মূলত বহুল ব্যবহৃত বিজনেস মডেল ক্যানভাস টুল থেকেই সামাজিক সংগঠনের কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী করে এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের সামাজিক উন্নয়নে কোনো আইডিয়া এই টুলের মাধ্যমে পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সিন্ধান্তে আসা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।

Key Points

  • সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস সামাজিক সমস্যার সমাধানকল্পে গড়ে তুলা একটি ক্যানভাস বা টুল
  • মূলত বহুল ব্যবহৃত বিজনেস মডেল ক্যানভাস টুল থেকেই সামাজিক সংগঠনের কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী করে এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে।
  • সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস মূলত ১৩ টি ব্লকে বিভক্ত, কিছু কিছু ব্লক আবার একটি মৌলিক ব্লকের অংশ মাত্র

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস

যুগে যুগে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে কিংবা নির্দিষ্ট এক বা একাধিক সমাধানের লক্ষ্যে অসংখ্য নন-প্রফিট, চ্যারিটেবল কিংবা সোশ্যাল স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে। গতানুগতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর এই সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পার্থক্য হলো এইসব প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনের চেয়ে সামাজিক কিংবা জনগণের উন্নয়ন কে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে জনগণের সেবা প্রদান করাই এই সামাজিক উদ্যোগ গুলোর একমাত্র মূখ্য উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, সেখানে মুনাফা অর্জনের কোনো চিন্তাধারা থাকে না। তাই এসব সামাজিক সমস্যার সমাধানকল্পে গড়ে তুলা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্ল্যানিং ও স্ট্র‍্যাটেজিও কিছুটা ব্যাতিক্রম হয়ে থাকে।

আর একজন সামাজিক উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা আরো সহজ করে দেয় সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস টুল। মূলত বহুল ব্যবহৃত বিজনেস মডেল ক্যানভাস টুল থেকেই সামাজিক সংগঠনের কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী করে এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের সামাজিক উন্নয়নে কোনো আইডিয়া এই টুলের মাধ্যমে পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সিন্ধান্তে আসা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আপনি যদি সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উদগ্রীব থাকেন এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে চান, চলুন, তাহলে এই অসাধারণ সামাজিক আইডিয়া উপযোগী টুলটি সম্পর্কে বিশদভাবে জেনে নেওয়া যাক যা আপনাকে অনেকাংশে উপকার করবে বলে আশা করা যায়।

সোশ্যাল বিজনেস ক্যানভাস সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য

২০১৩ সালে সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব ( Social Innovation Lab) বিজনেস মডেল ক্যানভাস অনুকরণ করে সোশ্যাল বিজনেস ক্যানভাস মডেলটি তৈরি করে। এই মডেলটি অন্য মডেলের চেয়ে কিছুটা ব্যাতিক্রমধর্মী হওয়ার মূল কারণ এটি মুনাফা অর্জনের চেয়ে একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে সামাজিক উপকারে কাজে লাগছে সেটি তুলে ধরে। একারণে বিজনেস মডেল ক্যানভাস নয়টি ব্লকের মাধ্যমে তৈরি করা হলেও এই সোশ্যাল বিজনেস ক্যানভাস মডেলে তেরটি ব্লক রয়েছে যা একটি মাত্র পৃষ্ঠায় ভিজুয়ালি উপস্থাপন করা।

সামাজিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া ছোট যেকোনো ব্যবসায় যদি মানুষের কথা বিবেচনা করে গড়ে তুলতে চান, এই মডেলটি ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারেন। মূলত এই বিজনেস টুলটি আপনাকে বিজনেস মডেল ক্যানভাসের তুলনায় আরো বেশকিছু মূল বিষয়াদি সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে সহায়তা করবে। যা সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিবেচনায় রাখা খুবই জরুরি।

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাসের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ

যদিও সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস মূলত ১৩ টি ব্লকে বিভক্ত, কিছু কিছু ব্লক আবার একটি মৌলিক ব্লকের অংশ মাত্র। এই অংশে আমরা সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাসের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো, যাতে আপনার সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এই মডেলটি ব্যবহার করা অনেকাংশে সহজ এবং নির্ভূল করা যায়।

ভ্যালু প্রোপোজিশন ( Value Proposition)

আপনি যে সমস্যা সমাধান করতে চাচ্ছেন তা সামাজিকভাবে সেই স্থানে কতটুকু প্রভাব ফেলবে সেটা অবশ্যই আলোকপাত করা জরুরি। সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাসে এই ভ্যালূ প্রোপোজিশনকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

সোশ্যাল ভ্যালু প্রোপোজিশন (Social Value Proposition)

একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোনো একটা সমস্যা সমাধানে সেটি সামাজিকভাবে কেমন প্রভাব ফেলবে তা অংশে ব্যাখা করা প্রয়োজন।

ইম্প্যাক্ট মেজারস ( Impact Measures)

আপনার ভ্যালু প্রোপোজিশন সামাজিক ক্ষেত্রে কিভাবে প্রভাব বিস্তার করছে তা আপনি কিভাবে পরিমাপ করবেন? এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কাস্টমার ভ্যালু প্রোপোজিশন (Customer Value Proposition)

সামাজিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি গ্রাহকরা কিভাবে অনেক বেশি উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তাহলে, সবকিছু মিলে একটা দারুণ যোগসূত্র হবে।

টাইপস অফ ইন্টারভেনশন (Types of Intervention)

কিভাবে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কিংবা সমাজের উন্নয়ন করা সম্ভব? আপনি কি তাদের জন্য নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করবেন নাকি কোনো পণ্য কিংবা সেবা প্রদানের মাধ্যমে এক বা একাধিক সমস্যার সমাধান করবেন? এই ব্যাপারে একটি নির্দিষ্ট সিন্ধান্তে উপনিত হয়ে আপনাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

সেগমেন্টস ( Segments)

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাসে সেগমেন্ট অংশটি আবার দু'ভাগে বিভক্ত। যেমনঃ

বেনেফিশিয়ারি (Beneficiary)

এই অংশের উপর ভিত্তি করেই একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। আপনি নির্দিষ্ট সামাজিক সমস্যা সমাধানকল্পে যে পদক্ষেপ গুলো নিয়েছেন তা কিভাবে উপকার বয়ে আনবে? আপনি কিভাবে সফল হয়েছেন বলে নিজেকে ভাবতে পারবেন? (এক্ষেত্রে মুনাফা অর্জন কম প্রাধান্য পাবে)

কাস্টমার (Customer)

আপনি অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করেই একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করেছেন কিংবা গড়ে তুলেছেন। নির্দিষ্ট গ্রাহক সম্পর্কে যত অবগত থাকা যায়, তাদের কাছে পৌছানো টা ততটাই সহজ হয়ে যায়।

চ্যানেলস ( Channels)

নির্দিষ্ট গ্রাহক সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে, এখন লক্ষ্য হলো আপনি তাদের কাছে কিভাবে পৌছাবেন? আপনাকে পর্যালোচনা করে বের করতে হবে কোন মাধ্যমে আপনি আপনার উপযুক্ত গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন। সেটি হতে পারে প্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনে, কিংবা জনসম্মুখে মানুষের সামনে গিয়ে প্রচারণা চালিয়ে।

কী একটিভিটিস ( Key Activities)

আপনার সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন তাই মূলত কী একটিভিটিস। আপনার প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি করা অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে যদি আপনার ভবিষ্যতে কি কি করবেন এই নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকে।

কী রিসোর্সেস (Key Resources)

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কি কি প্রয়োজন? আপনার হয়তো দক্ষ জনশক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য-সামগ্রী প্রয়োজন! আপনার সামাজিক ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী কি কি প্রয়োজন সবকিছু নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা রাখুন। সে অনুযায়ী কী রিসোর্সেস ব্লকে সবকিছু লিপিবদ্ধ করুন।

পার্টনারস/স্টেকহোল্ডারস ( Partners/Stakeholders)

আপনার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য বাহিরের কোন কোন ব্যাক্তিবর্গ কিংবা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট? আপনার যেকোনো প্রজেক্ট হাতে নিতে কি কারো থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা? এইসকল বিষয়গুলো একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এইসব বিষয়ে অবশ্যই শুরু থেকেই ধারণা রাখা উচিত।

কস্ট স্ট্রাকচারস (Cost Structures)

আপনার প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কেমন অর্থের প্রয়োজন এবং কোথায় কেমন খরচ করতে হবে এই ব্যাপারে একটা নিখুঁত প্ল্যান করা জরুরি। কোন কোন অংশগুলোর জন্য একটা বিশাল বাজেট রাখতে হবে কিংবা কিভাবে আপনার প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট বাজেটিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে তা অবশ্যই লিপিবদ্ধ করে রাখা প্রয়োজন।

সারপ্লাস (Surplus)

সারপ্লাস হলো আপনি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যে ফান্ডিং কিংবা লভ্যাংশ অর্জন করবেন তা কোথায় বিনিয়োগ করবেন। ধরুন, আপনি এক সমাজসেবক থেকে বেশকিছু টাকা পেয়েছেন সামাজিক উন্নয়নের জন্য। এখন এই টাকা আপনি দরিদ্র জনগণের মাঝে শীতের কাপড় বিতরণের মাধ্যমে খরচ করতে চান। এটাই মূলত সারপ্লাস।

রেভিনিউ (Revenue)

আপনি যদি নন-প্রফিট কিংবা চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশনের চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে এই অংশটি এড়িয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন কিরতে চান তাহলে কিভাবে সেই অর্থ আসবে সেটার একটা ভালো রেভিনিউ মডেল দাড়া করানো জরুরি। এক্ষেত্রে যে মাধ্যম থেকে আপনি টাকা উপার্জন করতে চাচ্ছেন, সেগুলো সবগুলো নিয়ে শতকরা হিসেবে এই মডেলে উপস্থাপন করতে পারেন।

সোশ্যাল বিজনেস ক্যানভাস মডেল কেন গুরুত্বপূর্ণ?

যেকোনো সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ এর জন্য একটি পরিপূর্ণ বিজনেস টুল বলা যায় সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস কে। তাই যেকোনো সামাজিক উদ্যোক্তাদের জন্য এই টুলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শুরুতেই পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা বিজনেস প্ল্যান লিখাটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। অন্যদিকে বিজনেস মডেল ক্যানভাস, লিন ক্যানভাস ইত্যাদি যে মডেলগুলো একটি ব্যবসার প্ল্যান এবং স্ট্র‍্যাটেজি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তা একটি সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ এর জন্য পুরোপুরি উপযোগী নয়।

এক্ষেত্রে সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস হতে পারে একমাত্র উপযোগী টুল যা আপনার আইডিয়া কিংবা উদ্যোগ এর কোনো ক্রুটি না রাখা এবং একটি গাঠনিক রুপ প্রদান করতে সহায়তা করে। তাছাড়া, সর্বমোট তেরটি ব্লক সুনিপুণভাবে আলোকপাত করে আপনি খুব সহজেই যথোপযুক্ত সিন্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আশা করি যায়।

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস ব্যবহার করে কোন কোন ক্ষেত্রে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব?

যেকোনো সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ এর জন্য এই মডেলটি আশীর্বাদস্বরূপ। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে এই মডেলটির যথাযথ প্রয়োগ করে অধিক লাভবান হতে পারেন। যেমনঃ

ফান্ড ম্যানেজিং

একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ফান্ড যোগাড় করা খুব ই প্রয়োজনীয়। যারা আপনার প্রজেক্ট কিংবা প্ল্যানে ডোনেট কিংবা ইনভেস্ট করতে চাইবে তাদের অবশ্যই আপনার কম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার গাঠনিক রুপ দেখিয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার শুভাকাঙ্খীদের কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন।

সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা যাচাই

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রজেক্ট, পণ্য কিংবা সেবার যোগ্যতা যাচাই করতে পারবেন। এই এক পৃষ্ঠার ভিজুয়াল টুলে মোট ১৩ টি মৌলিক বিষয়াদি ব্লক আকারে উপস্থাপন করা থাকে। সবগুলো ব্লক সঠিকভাবে পূরণ করে আপনি আপনার উদ্যোগটি নিয়ে কতদূর কিংবা কখন আগাতে পারবেন তা সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন।

সুযোগ-সুবিধা

সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাসের বেশকিছু অসাধারণ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ

  • এই মডেলের মাধ্যমে সোশ্যাল বিজনেস এর প্ল্যান ও স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা অনেক সহজ।
  • টুলটির গাঠনিক রুপটি খুব সহজেই অনুধাবন করা যায়।
  • একটি সোশ্যাল বিজনেস গড়ে তোলার জন্য যাবতীয় সকল কিছু এই টুলে আলোকপাত করা হয়।
  • অন্য যেকোনো বিজনেস টুলের সাথে খুব সহজেই তুলনা করা যায়।

সীমাবদ্ধতা

  • সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাসের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমনঃ
  • প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি, জনশক্তি এইসব নিয়ে এই টুলে ব্যাখা করা যায় না।
  • ভ্যালু এক্সচেঞ্জ কিংবা লেন-দেন সম্পর্কিত স্পষ্টভাবে আলোকপাত করা হয় না।

উপসংহার

আমাদের সমাজের উন্নয়নে প্রয়োজন অসংখ্য সামাজিক উদ্যোক্তার ইতিবাচক মনোভাব। আর তাদের ছোট কিংবা বড় স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রুপদান করতে সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস টুল অনেক সহায়তা করতে পারে।

Next to read
Canvas & Methods
মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট (Minimum Viable Product)
মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট (Minimum Viable Product)

অধিক শ্রম ও অর্থ খরচের এই ঝুঁকি এড়াতে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন ধরনের বিজনেস স্ট্র‍্যাটেজি যেখানে পণ্য প্রয়োজনীয় কিছু ফিচার দিয়ে বাজারজাত করা হয়। পরবর্তীতে গ্রাহকদের চাহিদা পর্যালোচনা করে ধীরে ধীরে এই পণ্যের উন্নয়ন করা হয় এবং নতুন নতুন উপাদান/ফিচার যুক্ত করা হয়। ব্যবসায়িক জগতে একে বলা হয় মিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট।

অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
Business Models
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
Marketing
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
Logo
লোগো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা (Pros and Cons of Logo Usage)
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?
Business
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?
ব্রান্ডিং (Branding)
Branding
ব্রান্ডিং (Branding)
ব্যবসায়কি আইন কি? উদাহরণ সহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়কি আইন
Business Law
ব্যবসায়কি আইন কি? উদাহরণ সহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়কি আইন
বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ১০ টি বিষয়
Investment
বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ১০ টি বিষয়
মাল্টি ভেন্ডর ই-কমার্স (Multi Vendor E-commerce)
E-Commerce
মাল্টি ভেন্ডর ই-কমার্স (Multi Vendor E-commerce)
SEO (Search Engine Optimization for Websites)
Digital Marketing
SEO (Search Engine Optimization for Websites)