স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (SOP)একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি হলো কিছু লিখিত নির্দেশাবলীর একটি সেট যা ধাপে ধাপে কিছু প্রক্রিয়া বর্ণনা করে যেগুলো সঠিকভাবে একটি রুটিন কার্যকলাপ সম্পাদন করতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি কোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি, প্রক্রিয়া এবং মান প্রদান করে। এটি একটি ব্যবসার ত্রুটি হ্রাস করে, দক্ষতা এবং লাভজনকতা বৃদ্ধি করে, একটি নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করে এবং বাধা কাটিয়ে ওঠার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করে উপকৃত করতে পারে।
ডেব্ট এর সংজ্ঞা এবং অর্থকখনও কখনও, আমাদের উপার্জন আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত নাও হতে পারে এবং সেই কারণে আমাদের ঋণের দিকে ঝুকতে হয় । সব ঋণই যে খারাপ তা নয় , ঋণ কখনো কখনো আমাদের কাজে লাগে যদি তা সময় মতো পরিশোধ করা যায় ।
গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভ্যালু (GMV)গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভ্যালু (GMV) হলো একটি মেট্রিক যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার বিক্রয়ের মোট মূল্য পরিমাপ করে। এটি এমন একটি মেট্রিক যা সাধারণত ইকমার্স শিল্পে ব্যবহৃত হয় এবং কখনও কখনও গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভলিউম হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। আর GMV নির্ণয়ের সূত্রটি হচ্ছে, মোট পণ্যের মূল্য = পণ্যের বিক্রয় মূল্য x বিক্রয়কৃত পণ্যের সংখ্যা।
বিজনেস বুটস্ট্রাপ কী? বিজনেস বুটস্ট্রাপ নিয়ে বিস্তারিতবিজনেস বুটস্ট্রাপ হচ্ছে মূলত বাহিরের কোনো বিনিয়োগ ছাড়া কিংবা খুবই কম পরিমাণে বাহ্যিক পুঁজির মাধ্যমে শূন্য থেকে একটি বিজনেস শুরু করার প্রক্রিয়া। একজন উদ্যোক্তা যখন নিজের সম্পদকে মূলধনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করে তখন সেটা বিজনেস বুটস্ট্রাপ হিসেবে গণ্য হয়। বিজনেস সম্পর্কিত অন্যান্য টার্ম এর মতো এর ও বিভিন্ন পর্যায়, উপকারিতা এবং সুবিধা রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে “Estately” (একটি হোম অনুসন্ধান প্লাটফর্ম) কে বিজনেস বুটস্ট্রাপ এর অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
ইউনিক সেলিং প্রপোজিশন (ইউএসপি)ইউএসপি হল এমন একটি কৌশল- যেটির কারণে গ্রাহকরা আপনার পণ্য পছন্দ করবে এবং আপনাকে অন্যান্য অনেক কোম্পানির মধ্য থেকে বেছে নেবে। স্ট্রং ইউএসপি নিমিষেই বদলে দিতে পারে একটি কোম্পানির অবস্থান। অন্যান্য কৌশলের সাথে ইউএসপির কৌশল অবলম্বনে আজ বিশ্বের নামিদামি অনেক কোম্পানি সফলতার শীর্ষে রয়েছে।
পণ্যের জীবন চক্র (Product Life Cycle)পণ্য জীবন চক্র বলতে একটি পণ্যের সূচনা, উন্নতি আর পরিণতির সময়কালকে বুঝিয়ে থাকে। একটি পণ্য মার্কেটে আসলে এর চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ- ক্যাবল টিভি, কোকা কোলা কিংবা ক্যাসেট প্লেয়ার’কে রাখা যেতে পারে। তবে পণ্য জীবন চক্র নিয়ে জানার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলে, এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের পর্যায় নির্বাচন করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে পণ্যের চাহিদা কিংবা জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারেন।
কাস্টমার অ্যাক্যুইজিশন কস্টএকজন সম্ভাব্য কাস্টমারকে আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি আকৃষ্ট করা থেকে শুরু করে পণ্য বা সেবাটি ক্রয় করানো পর্যন্ত আপনাকে মার্কেটিং-এ যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়, তাকেই কাস্টমার অ্যাক্যুইজিশন কস্ট বলা হয়। কাস্টমার অ্যাক্যুইজিশন কস্ট সম্পর্কে জানা থাকলে মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের সফলতা বা ব্যর্থতা পরিমাপ করা সহজ হয়ে যায়। সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমেই কাস্টমার অ্যাক্যুইজিশন কস্ট কমানো এবং ইম্প্রুভ করা সম্ভব।
কেপিআই (KPI) কী? কেপিআই এর সংজ্ঞা এবং বিস্তারিতকী পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর, সাধারণত কেপিআই হিসাবে উল্লেখ করা হয়, একটি কোম্পানির কর্মক্ষমতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত মূল সূচক। আপনার ড্যাশবোর্ড এবং প্রতিবেদনে উপস্থিত করে, তারা একটি কার্যকলাপ পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ সূচক কারণ তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে একটি মূল্যবান সহায়তা। এই কারণেই এই সূচকগুলিকে বুদ্ধিমানের সাথে বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI) আরওআই নিয়ে বিস্তারিতরিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI) হল একটি জনপ্রিয় লাভ মেট্রিক যা একটি বিনিয়োগ কতটা ভালো পারফর্ম করেছে তা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। অর্থ্যাৎ ROI সরাসরি বিনিয়োগের খরচের সাপেক্ষে একটি নির্দিষ্ট বিনিয়োগে রিটার্নের পরিমাণ পরিমাপ করার চেষ্টা করে। ROI একটি শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হয় এবং একটি বিনিয়োগের নিট লাভ (বা ক্ষতি) এর প্রাথমিক খরচ বা ব্যয় দ্বারা ভাগ করে গণনা করা হয়। এর গণনা খুব জটিল নয়, এবং এটির বিস্তৃত অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যাখ্যা করা তুলনামূলকভাবে সহজ।
নিশ মার্কেট কি ও তার বিস্তারিতহাজার হাজার প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা বিজনেস এর মধ্যে আমি কোনটা নিয়ে কাজ করব? আমার কোনটা নিয়ে কাজ করা উচিত? বিজনেস শুরু করা বা কোন কাজে নামার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সাথে জরুরী। একটি সুনির্দিষ্ট নিশ মার্কেট (Niche Market) নির্ধারন বিজনেসে অভাবনীয় অনেক সুবিধা ও লাভ এনে দিতে পারে। এখানে নিশ মার্কেট হচ্ছে বৃহৎ কিংবা অসংখ্য পণ্যের বাজারের মধ্যে প্রতিশ্রুতিশীল, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ফোকাসড ও বিশ্বাসযোগ্য অংশ যা দিয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করা যেতে পারে। Niche বা নিশ শব্দটির বাংলা অর্থ হচ্ছে - উপযুক্ত, প্রকৃত, যথার্থ স্থান, যথাযোগ্য স্থান। সুতরাং, কেউ যখন বৃহৎ পণ্যের বাজারের একটি নির্দিষ্ট অংশ (Portion), একটি নির্দিষ্ট কোন অঞ্চল নিয়ে কাজ করবে তখন আমরা সেটাকে নিশ মার্কেট বলি।
কম্পিটিটিভ অ্যাডভান্টেজ - সংজ্ঞা এবং উদাহরণযখন কোনো প্রতিষ্ঠান তার প্রতিযোগীদের থেকে কম মূল্যে আরো ভালো মানের পণ্য বা সেবা উৎপাদন করে, তখন তাকে কম্পিটিটিভ অ্যাডভান্টেজ বলা হয়। কম্পিটিটিভ অ্যাডভান্টেজ-এর মাধ্যমে কোম্পানী তার পণ্য বা সেবা অন্যদের থেকে ভিন্ন হিসেবে উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়ে যায় এবং এতে করে কাস্টমারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
পেটেন্ট কী? পেটেন্ট নিয়ে বিস্তারিতপেটেন্ট হলো একটি একচেটিয়া বা বাধা দেওয়ার মতো অধিকার যা অন্য কাউকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুমতি ছাড়া আপনার কোনো উদ্ভাবন তৈরি, ব্যবহার, বিক্রয়, বিতরণ, আমদানি বা বিক্রি করতে বাধা দেয়া। পেটেন্টের ধরণের উপর ভিত্তি করে এই সময়সীমাটি ২০ বছর পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। যদি কেউ আপনার আবিষ্কার চুরি করে, পেটেন্ট আপনাকে দোষী পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার দেয়।
লাইফটাইম ভ্যালু কী? লাইফটাইম ভ্যালু (এলটিভি) কিভাবে গণনা করা হয়?একজন গ্রাহকের সাথে কোনো কোম্পানির ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় সেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ঐ কোম্পানি যে মুনাফা বা খাজনা পাওয়ার আশা করে তার পরিমানই হলো লাইফটাইম ভ্যালু (LTV)। লাইফটাইম ভ্যালু ক্যালকুলেশন হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি কোম্পানিতে একজন গ্রাহকের গ্রাহক থাকার সময়-সীমার মাধ্যমে কোম্পানির কাছে উক্ত গ্রাহকের মূল্য পরিমাপ করা। গ্রাহকের লাইফটাইম ভ্যালু বা এলটিভি হলো কোম্পানির উন্নতি পরিমাপ করতে ব্যবহৃত মেট্রিকগুলোর মধ্যে একটি।
TAM, SAM এবং SOM কী? কীভাবে ক্যালকুলেট করবেন?TAM, SAM এবং SOM-এর পূর্ণরুপ হচ্ছে যথাক্রমে Total Addressable Market, Serviceable Addressable Market এবং Share of Market। কোনো পণ্য বা সেবার টোটাল মার্কেট সাইজ, পটেনশিয়াল মার্কেট সাইজ এবং বর্তমান মার্কেট শেয়ার গণনা করার কাজে এই ৩টি মেট্রিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, একটি ব্যবসা বা কোম্পানী আদতে ঠিক কতোটা লাভজনক হতে পারে।
ব্রেক-ইভেন অ্যানালিসিস কী? কীভাবে করবেন?যে পরিমাণ পণ্য বা সেবা বিক্রয় করলে আপনার ব্যবসায় থেকে লাভ বা ক্ষতি কোনোটাই হবে না, সেই পরিমাণ বের করা এবং সেই পরিমাণ পণ্য কিভাবে বিক্রয় করা যায় তার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা’ই হচ্ছে ব্রেক-ইভেন অ্যানালিসিস। ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট হচ্ছে সেই পয়েন্ট যেখানে ব্যবসায়ের আয় এবং ব্যয় সমান হয় অর্থাৎ, লাভ বা ক্ষতি কোনোটাই থাকে না।
মোট মুনাফা এবং নিট মুনাফার মাঝে পার্থক্যব্যবসায়ের ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা জানতে মোট মুনাফা সাহয্য করে। অপরদিকে, মোট মুনাফার ঠিক কতোটা অংশ দিয়ে পরিচালন ব্যয় মেটাতে হচ্ছে তা জানায় নিট মুনাফা। মোট মুনাফার ওপর নিট মুনাফার পরিমাণ নির্ভর করে। মোট মুনাফার পরিমাণ ভালো হলে, নিট মুনাফা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে মোট মুনাফা কমে গেলে, নিট মুনাফা’ও কমে যায়।
মোট মুনাফার হার: সংজ্ঞা সূত্র এবং ক্যালকুলেশনকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক লাভজনকতা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত মোট মুনাফার হার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পণ্য বা সেবার নিট বিক্রয়মূল্য থেকে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় বিয়োগ দিয়ে মোট মুনাফা নির্ণয় করা হয়। মোট মুনাফার হার’কে নিট বিক্রয় দিয়ে ভাগ করলে আমরা মোট মুনাফার হার পেয়ে যাই। সাধারণত, বিক্রয়কৃত অর্থের মোট কতো শতাংশ মুনাফা হচ্ছে তার প্রকাশ করা হয় মোট মুনাফার হার দিয়ে।
নেট ওয়ার্থ কী? এবং কিভাবে ক্যালকুলেট করবেনআপনারা প্রায়ই এখানে সেখানে বিভিন্ন বিলিওনারি কিংবা মিলিওনারিদের নেট ওয়ার্থ নিয়ে পড়ে থাকবেন। কিন্তু আপনাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা হয়তোবা নেট ওয়ার্থ সম্পর্কে জানেন না। নেট ওয়ার্থ আসলে কী? একজন মানুষ যা রোজগার করে কিংবা বছরে তার টোটাল রোজগার কিংবা তার ঋণ বা বিনিয়োগ ইত্যাদি - এ সব কোনো কিছুই আসলে নেট ওয়ার্থ নয়। বরং, এ সব কিছুর এক সংমিশ্রণই হচ্ছে নেট ওয়ার্থ। একটি কোম্পানির জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক, যার মাধ্যমে একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থানের একটি স্ন্যাপশট উঠে আসে।
সাপ্লাই চেইন কি? সাপ্লাই চেইনের আদ্যোপান্তপণ্য উৎপাদনের পর তা ভোক্তার কাছে পৌছে দেয়া পর্যন্ত একাধিক উপাদান নিয়ে সাপ্লাই চেইন গঠিত হয়। সাপ্লাই চেইনে বিভিন্ন ধরণের উপাদান থাকতে পারে, যেমন - সাপ্লাইয়ার, ম্যানুফ্যাকচারার, ওয়্যারহাউজ, ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার। কোম্পানীর প্রয়োজন অনুসারে সাপ্লাই চেইনে আরো বেশি বা কম উপাদান থাকতে পারে।
ইক্যুইটির সংজ্ঞা এবং অর্থশেয়ার বা স্টক কে ইক্যুইটি বলে যা একটি কোম্পানীতে মালিকের বা শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার অংশ কে বুঝায় । বিভিন্ন প্রকারের ইক্যুইটি রয়েছে যেমন :- মালিকের ইক্যুইটি : কোম্পানিতে কোম্পানির মালিকের নিয়ন্ত্রণকে বোঝায়। শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটি: শেয়ারহোল্ডারের ইক্যুইটি, যাকে স্টকহোল্ডারের ইক্যুইটিও বলা হয় এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি সাধারণত এমন কোম্পানিগুলির মূল্যায়নকে বোঝায় । রিটার্ন অন ইক্যুইটি (ROE) যত বেশী হবে তত ই ভালো ।
CSR বা Corporate Social Responsibility কী?ব্যবসায় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। তাই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সমাজকে কেন্দ্র করেই তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, এর ফলে সমাজের মানুষজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যবসায়ের কর্মকাণ্ড দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। তাছাড়া ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সমাজের বা দেশের মানুষের কাছে তার পণ্য, সেবা বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করে থাকে। তাই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলোর সমাজ এবং দেশের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে, এই দায়িত্ববোধ থেকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সমাজ, দেশ এবং বিভিন্ন পক্ষের প্রতি যে জনকল্যাণমূলক বা জনহিতকর কাজ করে থাকে তাকেই CSR/Corporate Social Responsibility বা ব্যবসায়ের সামাজিক দায়বদ্ধতা বলে।
হোরেকা (HORECA)হোরেকা (HORECA) শব্দটি নিজেই হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাটারিং ক্যাফে শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। এই মার্কেটিং চ্যানেলটি ইউরোপ এশিয়া হয়ে মার্কিংযুক্তরাষ্ট্রসহ এখন সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে । এর প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে এর কার্যকারীতাকে আরো গতিশীল করে তুলেছে । প্রকৃতপক্ষে আতিথেয়তার বাইরেও অন্যান্য খুচরা খাদ্য পরিষেবা সেক্টর যেমন বিনোদন পার্ক, অবকাশ কেন্দ্র, হোটেল এবং ভ্রমণ শিল্প অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এর পরিধি প্রসারিত করেছে।
নিট মুনাফা (net profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং কিভাবে হিসাব করবেনএকটি ব্যবসায় পরিচালনা করে প্রাপ্ত যাবতীয় আয় থেকে যাবতীয় ব্যয়গুলো বাদ দিলে নিট মুনাফা পাওয়া যায়। একটি প্রতিষ্ঠান ঠিক কতোটা লাভজনক, তা নিট মুনাফা’র মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। প্রতিষ্ঠানের কয়েক বছরের নিট মুনাফার ট্রেন্ড দেখেই বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করার বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মোট মুনাফা (Gross profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং উদাহরণবিক্রয় থেকে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় বিয়োগ করলে আমরা মোট মুনাফার পরিমাণ জানতে পারি। পণ্য বিক্রয় করে প্রতিষ্ঠানটি আদৌ লাভ করছে কি না তা জানতে মোট মুনাফা আমাদের সাহায্য করে। ব্যবসায়ের তিনটি মুনাফা সূচকের ভেতর প্রথম সূচকটি হচ্ছে “মোট মুনাফা”। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে প্রতিষ্ঠান ভালো পরিমাণ মোট মুনাফা অর্জন করতে পারে, এতে করে নিট মুনাফার পরিমাণও বেশি হয়।
বি-টু-বি, বি-টু-সি এবং বি-টু-জি কি? (B-to-B, B-to-C, B-to-G)বি -টু- বি অর্থ হলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে ব্যবসা হয়ে থাকে আর বি- টু- সি হচ্ছে যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তার মধ্যে সরাসরি পণ্য অথবা কোন সেবার আদান প্রদান হয় এবং বি- টু- জি মানে হচ্ছে যখন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার ও সরকার বা কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যবসায়িক কোন লেন দেন হয় ।
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with ExampleRed Ocean Strategy এবং Blue Ocean Strategy কিন্তু সমুদ্র বিষয়ক কোন জ্ঞান বা বিজ্ঞান এর আলোচনা নয়, বরং ইন্টারেস্টিং এই টার্ম গুলো শক্তিশালী দুটি ব্যাবসায়িক কৌশল এর বিস্তারিত অবস্থান বর্নণা করতে ব্যবহৃত হয়। বর্তমান বিশ্বের বিদ্যমান এবং পরিচিত সকল শিল্প বা ব্যাবসাই Red Ocean এর অন্তর্ভূক্ত। অন্যদিকে মার্কেটে যেসব শিল্প বা ব্যাবসার এখন পর্যন্ত কোন অস্তিত্ব নেই, হতে পারে আমাদেরই অতি প্রয়োজনীয় কোন জীবন ব্যবস্থা যা এখনো আমাদের অজানা এবং কোন উদ্ভাবনই এখনো হয়নি, এরকম যে কোন অবস্থানই Blue Ocean।
Needs, Wants, Demands (প্রয়োজন, চাওয়া এবং চাহিদা)Needs বা প্রয়োজন, আমাদের বেঁচে থাকার জন্যে বা টিকে থাকার জন্যে আমরা যা যা কিছুর অভাব অনুভব করি তাই Needs বা প্রয়োজন এই প্রয়োজন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক যেকোনো কিছু হতে পারে। Wants বা চাওয়া, প্রয়োজনকে পরিপূর্ণ করার জন্যে মানুষ যে ইচ্ছের প্রকাশ ঘটায় তাই Wants বা চাওয়া। মানুষের এই চাওয়া সবসময় তার পারিপার্শ্বিক আবস্থা বা অন্যান্য আরো অনেক কিছু দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। Demands বা চাহিদা, মানুষ যখন তার চাওয়াকে কেনার সামর্থ্যে অর্জন করে তাই Demands বা চাহিদা।