কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি : A to Zআকর্ষণীয়, সাবলীল এবং তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট যেমন - ভিডিও, অডিও, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ইত্যাদি তৈরি করে তা দ্বারা প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রমোশন চালানোকেই মূলত কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যদি একটি বৃত্ত হয়, তাহলে কাস্টমাররা হবেন সেই বৃত্তের মধ্যবিন্দু। কাস্টমারদের চাহিদা, সমস্যা, প্রয়োজন, আকাঙ্কা ইত্যাদি রিলেটেড কন্টেন্ট তৈরি করে তা দ্বারা প্রোডাক্ট প্রমোট করলে ব্র্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন বৃদ্ধি পায় এবং পজিটিভ ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি হয়।
নিশ মার্কেট কি ও তার বিস্তারিতহাজার হাজার প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা বিজনেস এর মধ্যে আমি কোনটা নিয়ে কাজ করব? আমার কোনটা নিয়ে কাজ করা উচিত? বিজনেস শুরু করা বা কোন কাজে নামার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সাথে জরুরী। একটি সুনির্দিষ্ট নিশ মার্কেট (Niche Market) নির্ধারন বিজনেসে অভাবনীয় অনেক সুবিধা ও লাভ এনে দিতে পারে। এখানে নিশ মার্কেট হচ্ছে বৃহৎ কিংবা অসংখ্য পণ্যের বাজারের মধ্যে প্রতিশ্রুতিশীল, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ফোকাসড ও বিশ্বাসযোগ্য অংশ যা দিয়ে নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করা যেতে পারে। Niche বা নিশ শব্দটির বাংলা অর্থ হচ্ছে - উপযুক্ত, প্রকৃত, যথার্থ স্থান, যথাযোগ্য স্থান। সুতরাং, কেউ যখন বৃহৎ পণ্যের বাজারের একটি নির্দিষ্ট অংশ (Portion), একটি নির্দিষ্ট কোন অঞ্চল নিয়ে কাজ করবে তখন আমরা সেটাকে নিশ মার্কেট বলি।
TAM, SAM এবং SOM কী? কীভাবে ক্যালকুলেট করবেন?TAM, SAM এবং SOM-এর পূর্ণরুপ হচ্ছে যথাক্রমে Total Addressable Market, Serviceable Addressable Market এবং Share of Market। কোনো পণ্য বা সেবার টোটাল মার্কেট সাইজ, পটেনশিয়াল মার্কেট সাইজ এবং বর্তমান মার্কেট শেয়ার গণনা করার কাজে এই ৩টি মেট্রিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, একটি ব্যবসা বা কোম্পানী আদতে ঠিক কতোটা লাভজনক হতে পারে।
পোর্টারস ফাইভ ফোর্সেস১৯৮০ সালে Michael E. Porter মার্কেট অ্যানালাইজ করার জন্য ৫টি ভিন্ন ভিন্ন ফোর্সের কথা তুলে ধরেন, যেগুলো হলো - কাস্টমারদের শক্তি, সাপ্লাইয়ারদের শক্তি, ব্যবসায়ের প্রতিযোগিতা, নতুন প্রতিযোগী কোম্পানির সম্ভাবনা, বিকল্প প্রোডাক্ট/সার্ভিসের হুমকি। এই ৫টি ফোর্স ব্যবহার করে যথাযথ মার্কেট অ্যানালিসিস করা সম্ভব।
সাপ্লাই চেইন কি? সাপ্লাই চেইনের আদ্যোপান্তপণ্য উৎপাদনের পর তা ভোক্তার কাছে পৌছে দেয়া পর্যন্ত একাধিক উপাদান নিয়ে সাপ্লাই চেইন গঠিত হয়। সাপ্লাই চেইনে বিভিন্ন ধরণের উপাদান থাকতে পারে, যেমন - সাপ্লাইয়ার, ম্যানুফ্যাকচারার, ওয়্যারহাউজ, ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার। কোম্পানীর প্রয়োজন অনুসারে সাপ্লাই চেইনে আরো বেশি বা কম উপাদান থাকতে পারে।
মার্কেট কি এবং এর প্রকারভেদসাধারণত মার্কেট বলতে একটি নির্দিষ্ট স্থানকে বোঝায়, যেখানে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হয়। কিন্তু অর্থনীতির ভষায় মার্কেট বলতে কোন স্থানকে বোঝায় না, বরং ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষির মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করাকে বাজারে বলে। ক্ষেত্রবিশেষে বাজার অনেক রকমের হয়ে থাকে: পাটের বাজার, স্বর্ণের বাজার, গমের বাজার, সবজির বাজার ইত্যাদি।
টার্গেট মার্কেট কিভাবে নির্ধারণ করবেন?আপনার ব্র্যান্ড যাদের উদ্দেশ্য করে পণ্য তৈরি করে বা করবে, তারাই হচ্ছেন আপনার টার্গেট মার্কেট। টার্গেট মার্কেট নির্ধারণের জন্য আপনাকে কাস্টমারদের ডেটা কালেক্ট করতে হবে, আপনার পণ্যের সুবিধাগুলো জানতে হবে এবং কম্পিটিটর অ্যানালিসিস করতে হবে। সবশেষে, একটি টার্গেট মার্কেট স্টেটমেন্ট লেখার মাধ্যমে টার্গেট মার্কেট নির্ধারণের কাজ শেষ হবে।
হোয়াইট লেবেল মার্কেটিং কী? হোয়াইট লেবেল মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিতহোয়াইট লেবেল মার্কেটিং-এ একটি কোম্পানি অন্য একটি কোম্পানির পণ্য বা কোম্পানি থেকে কোনো পণ্যের আইডিয়া, সার্ভিস বা মার্কেটিং কৌশল নিজের নামে ব্যবহার করে। ব্যবসা বৃদ্ধি এবং অধিক মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য একটি কোম্পানি মূলত হোয়াইট লেবেল মার্কেটিং করে থাকে।
মার্কেটিং-এর বিবর্তন (ঐতিহাসিক পার্সপেক্টিভ)বর্তমান সময়ে মার্কেটিং বলতে আমরা যা বুঝি তা পর্যন্ত আসতে মার্কেটিং-কে যেতে হয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। এই পরিবর্তনগুলোকে যদি আমরা বিভিন্ন যুগে ভাগ করি, তবে সেগুলো হচ্ছে - প্রোডাকশন-অরিয়েন্টেড যুগ, সেলস-অরিয়েন্টেড যুগ, মার্কেটিং-অরিয়েন্টেড যুগ, সোসাইটাল-অরিয়েন্টেড মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং যুগ।
মার্কেটিং মায়োপিয়া কী? মার্কেটিং মায়োপিয়া নিয়ে বিস্তারিতসময়ের সাথে বাজার চাহিদা পরিবর্তিত হয়, এবং সফল কোম্পানিগুলি এই পরিবর্তনগুলোর সাথে নিজেদের পণ্য পরিবর্তন করে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে। অন্যদিকে বাজার এবং গ্রাহক চাহিদার পরিবর্তনের সাথে কোনো কোম্পানি তার পণ্য পরিবর্তন না করলে সেটা মার্কেটিং মায়োপিয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। একটি কোম্পানি যখন শুধুমাত্র তার পণ্যের উপর ফোকাস করে, তার গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয় এবং গ্রাহকের চাহিদা উপেক্ষা করে তার পণ্য বা সার্ভিসের ব্যাপক জনপ্রিয়তার দিকে নজর দেয় তখন সেটি হচ্ছে মার্কেটিং মায়োপিয়া।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং কী? ইনবাউন্ড মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিতইনবাউন্ড মার্কেটিং হলো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল যেখানে কোনো ব্যবসা বা কোম্পানি কাস্টমার এক্সপিরিয়েন্সের বিভিন্ন পর্যায়ে (যেমন সচেতনতা, বিবেচনা এবং সিদ্ধান্ত) তার আদর্শ ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং আউটবাউন্ড মার্কেটিং এর মাধ্যমে মনোযোগের জন্য প্রতিযোগিতা করার পরিবর্তে তাদের সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
আউটবাউন্ড মার্কেটিং কী? আউটবাউন্ড মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিতআউটবাউন্ড মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানির সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমগুলো যেমন মেইল, বিলবোর্ডস, টেলিভিশন এড ইত্যাদির মাধ্যমে পৌছানো। অর্থ্যাৎ আউটবাউন্ড মার্কেটিং তখনই ঘটবে যখন একটি কোম্পানি সাধারণ মিডিয়া বিজ্ঞাপনের (যেমন টিভি বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড, সংবাদপত্র) মাধ্যমে বা সরাসরি এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে (যেমন মিটিং, কোল্ড কলিং এবং ঠান্ডা ইমেল) মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
ইনবাউন্ড এবং আউটবাউন্ড মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্যইনবাউন্ড মার্কেটিং এমন একটি কৌশল গ্রহণ করে যেখানে গ্রাহকরা কোম্পানির কাছে আরও অর্গানিকভাবে আসে, যেখানে আউটবাউন্ড মার্কেটিং গ্রাহকদের কাছে সরাসরি পৌঁছানোর সাথে জড়িত। ইনবাউন্ড এবং আউটবাউন্ড মার্কেটিং পদ্ধতি লিড জেনারেশন এবং সেলসকে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করে, কিন্তু উভয় প্রকার মার্কেটিং আপনার যেকোনো ব্যবসা দুর্দান্ত সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
হোলিস্টিক মার্কেটিং কী? হোলেস্টিক মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিতহোলিস্টিক মার্কেটিং মডেল বলতে এমন একটি স্ট্র্যাটেজিকে বোঝানো হয় যা একটি ব্যবসায়ের পুরো সিস্টেম এবং প্রতিটি চ্যানেলকে একক হিসেবে চিন্তা করে। মূলত ব্যবসায়ের বিভিন্ন কার্যক্রমকে একে অপরের সাথে ইন্টিগ্রেট করার মাধ্যমে এই মডেল কাজ করে। ব্যবসায়ের প্রতিটি প্রসেসের মাঝে সমন্বয় করে সেরা কাস্টমার এক্সপিরিয়েন্স তৈরি করাই এই মডেলের উদ্দেশ্য।
STP (সেগমেন্টেশন, টার্গেটিং এবং পজিশনিং) মার্কেটিংয়ের সম্পূর্ণ গাইডলাইনSTP হচ্ছে এমন একটি মার্কেটিং মডেল যা আপনাকে আপনার সম্ভাব্য কাস্টমারদের বিভিন্ন সেগমেন্টে ভাগ করতে, সেই সেগমেন্টগুলোকে টার্গেট করতে এবং আপনার পণ্য বা সেবা এমনভাবে পজিশনিং করতে সাহায্য করে যেন আপনার কাস্টমাররা সহজেই তা ক্রয় করতে পারেন। STP এর পূর্ণরূপ হচ্ছে - সেগমেন্টেশন, টার্গেটিং এবং পজিশনিং।
ইমশোনাল মার্কেটিং (Emotional Marketing)কোম্পানি যখন নিজের প্রোডাক্ট/ সার্ভিসের ফিচারগুলো বাধা ধরা নিয়মে মার্কেটিং এর মধ্যে বর্ণনা না করে কাস্টমারের একটি ইমোশন খুজে বের করে এবং একটি গল্প বা ঘটনার মধ্যে দিয়ে সেই ইমোশোনকে আঘাত করে তাদের প্রোডাক্ট/সার্ভিসের মাধ্যমে একটা আশার আলো বা সমাধান দেখায়, তখন এই পুরো প্রোসেসকে বলা হয় ইমোশনাল মার্কেটিং।
ডিমার্কেটিং (DeMarketing)ডিমার্কেটিং হল গ্রাহকের চাহিদা নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে মার্কেটিং। যে পক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তাদের পণ্যের মূল্য এবং চাহিদা উভয় নিয়ন্ত্রণ করে তাই হচ্ছে ডিমার্কেটিং। চমৎকার এই মার্কেটিং স্ট্রাটেজিটি যেকোনো কোম্পানিকে লাভ বা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।
অ্যাম্বুশ মার্কেটিং (Ambush Marketing)কোনো ইভেন্টের অফিশিয়াল স্পন্সর না হয়েও যখন কোনো কোম্পানী উক্ত ইভেন্টের স্পটলাইটে চলে আসে বা আসার চেষ্টা করে, তখন তাকে অ্যাম্বুশ মার্কেটিং বলা হয়। কখনো এটি পূর্ব-পরিকল্পিত উপায়ে করা হয়, আবার কখনো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে’ও এটি হয়ে যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্টে অ্যাম্বুশ মার্কেটিং-এর চিত্র দেখা যায়।
মার্কেটিং এ ৫ সি (5 C's Of Marketing)মার্কেটিং এর ৫ সি হল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ক্ষেত্র। মার্কেটাররা যখন মার্কেটিং সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তাদের মার্কেটিং এর পাঁচটি সি বিবেচনা করা উচিত। কোম্পানি, গ্রাহক, সহযোগী, প্রতিযোগী এবং জলবায়ু হচ্ছে পাঁচটি সি এর স্ট্যান্ড। যখন আমরা একটা মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করি বা একটি মার্কেটিং কৌশল তৈরি করি তখন পাঁচটি সি একটি নির্দেশিকা হিসাবে কাজ করে।
সারোগেট মার্কেটিং (SURROGATE MARKETING)একটি কোম্পানি যখন তার একটি (প্রচলিত আইনে বিজ্ঞাপনের জন্য বৈধ নয় এমন) পণ্যকে বিজ্ঞাপন করার জন্য অন্য একটি (বৈধ) পণ্যকে ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন করে থাকে তাই সারোগেট মার্কেটিং। যেমন: বিয়ার বিজ্ঞাপনের জন্য বৈধ নয় কিন্তু "Kingfisher" এয়ারলাইন্স এর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে "Kingfisher" এর বিজ্ঞাপন করে যাচ্ছে। এতে করে আইনও যেমন ভাঙ্গা হলো না তেমনি আবার মানুষের মাঝে নিজ প্রতিষ্টানকে পরিচয় করিয়েও দেওয়া গেলো।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহমূলত মার্কেটিং এর যে প্রক্রিয়া বা ধারণাগুলো রয়েছে সেসব ধারণাগুলোকে প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিকভাবে উপস্থাপন বা ব্যবহার করাই ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং-এ একদিকে যেমন ব্যয় হয় স্বল্প ঠিক তেমনই সময়’ও লাগে কম। আর তাছাড়া বয়স, লিঙ্গ, অঞ্চল ইত্যাদি বিষয় একদম নির্দিষ্ট করে দিয়ে প্রচারণা চালানো সম্ভবপর হয়ে উঠে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
মার্কেটিং এর ৭'পি (7P’s of Marketing)মার্কেটিং-এর ৭’পি বলতে মূলত বোঝানো হয় প্রোডাক্ট, প্রাইস, প্লেইস, প্রোমোশন, পিপল, প্রসেস ও ফিজিকাল এভিডেন্স। ৭’পি-এর সবগুলো এলিমেন্ট ব্যবহার করে একটি পরিপূর্ণ মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হয় যেখানে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, প্রাইসিং, ডিস্ট্রিবিউশন, কমিউনিকেশন ও কাস্টমার এক্সপিরিয়েন্সকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এতে করে কাস্টমারের চাহিদাকে পূরণ করে ব্যবসায়ের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।