Learn Money

Money

golden-rules-of-money-bangla

Golden Rules of Money Management : 10 Rules for Mastering Money Management

অর্থের সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললেই আর্থিক ক্ষতি এড়ানো অনেক সহজ হয়ে যায়। যেমন - ইমার্জেন্সি ফান্ড রাখা, ৫০/৩০/২০ রুল মেনে চলা, ঋণের ফাদে পা না দেয়া, সর্বদা নিজের আয় বৃদ্ধির চেষ্টায় থাকা, বড় বড় খরচগুলোর জন্যা আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা, নিজের আর্থিক জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করা, রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান তৈরি ও কম বয়সে বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তোলা, নিজের আয় ও সম্পদের বৈচিত্রায়ন করা, দায় ক্রয় না করে সম্পদ ক্রয় করা ইত্যাদি।

rules-of-money-bangla

The Rules of Money : 10 Rules That Will Bring You Financial Success

অর্থের যথাযথ ব্যবস্থাপনা কোনো রকেট সাইন্স নয় যে সাধারণ মানুষ তা করতে পারবে না। বরং আমাদের আশেপাশে হরহামেশাই আমরা এমন অনেক সাধারণ মানুষ দেখতে পাই যারা সাধারণ কিছু নিয়ম অনুসরণ করার কারণে নির্দিষ্ট সময় পর আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করতে পারেন। যেমন - আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা ও ঝুকিঁ গ্রহণ করা, দীর্ঘসময়ের অন্য পরিকল্পনা করা, আর্থিক সফলতাকে একটি গেইম হিসেবে চিন্তা করা, প্রফেশনালদের মতামত নেয়া, অতিরিক্ত কিস্তি গ্রহণ না করা, রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান রাখা, ঋণের সঠিক ব্যবহার করা, ইনকাম সোর্স বৃদ্ধি করা ও ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া ইত্যাদি।

make-money-home-bangla

15 Ways to Make Money at Home

ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করে ঠিকভাবে কাজ করতে পারলে ঘরে বসেও বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব। অনেকেই এইভাবে এখন বেশ ভালো করছেন। ঘরে বসেই করা যায় এমন কাজগুলোর মাঝে এখন অন্যতম হচ্ছে - ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা, অনলাইন টিউশন, ব্লগ লিখা, অনলাইন সার্ভিস প্রদান, এফ-কমার্স ব্যবসায়, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা, অনলাইনে কোর্স বিক্রয়, ড্রপশিপিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।

make-money-offline-bangla

10 Ways to Make Money Offline

পড়ালেখার পাশাপাশি অফলাইনে বারতি অর্থ আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কায়িক পরিশ্রম করতে রাজি থাকতে হবে। এভাবে টাকা আয়ের সহজ কিছু উপায়গুলো মাঝে থাকছে - গ্যাজেট ক্রয়-বিক্রয়, টিউশন করানো, ডেলিভারি পারসন হিসেবে কাজ করা, রাইড শেয়ারিং সার্ভিস প্রদান, ইভেন্ট ফটোগ্রাফি, ইভেন্ট স্টাফ, ইভেন্ট প্ল্যানিং, মিল সিস্টেমে খাবার সরবরাহ, ফুড-স্টক ব্যবসা, কল সেন্টারে চাকরি ইত্যাদি।

make-money-online-bangla

15 Ways to Make Money Online, Offline and at Home

অনলাইনে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই ভ্যালু ক্রিয়েট করা শিখতে হবে। ভ্যালু ক্রিয়েট করার পর আপনি সহজেই অন্যদের থেকে সেই ভ্যালুর বিনিময় টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে ভ্যালু ক্রিয়েট করার অন্যতম কিছু উপায় হচ্ছে - ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করা, ই-বুক পাবলিশ করা, এফ-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও তৈরি করা বা ব্লগ পরিচালনা করা ইত্যাদি।

digital-money-bangla

ডিজিটাল মানি: সংজ্ঞা এবং কিভাবে কাজ করে

ডিজিটাল অর্থ বলতে মূলত বিভিন্ন দেশের মুদ্রার ডিজিটাল রিপ্রেজেন্টেশন ও বিভিন্ন ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বোঝানো হয়ে থাকে। ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো সাধারণত ডিসেন্ট্রালাইজড প্লাটফর্মে তৈরি করা হলেও বর্তমানে সেন্ট্রাল ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অনেক ধরণের ডিজিটাল অর্থ দেখা যাচ্ছে। একদিকে ডিজিটাল অর্থের ব্যবহারের দরুন আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে সেন্ট্রাল ব্যাংকের রেগুলেশনের কারণে ডিজিটাল অর্থের স্বকীয়তা হারানোর সম্ভাবনা’ও দেখা যাচ্ছে।

digital-wallet-bangla

ডিজিটাল ওয়ালেট (সংজ্ঞা এবং কিভাবে কাজ করে)

একটি ডিজিটাল ওয়ালেট হচ্ছে এক ধরণের আর্থিক লেনদেনের অ্যাপ যা ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন যেকোনো ডিভাইসে ব্যবহার করা সম্ভব। এই অ্যাপ আপনার পেমেন্ট ইনফরমেশন ও পাসওয়ার্ড নিরাপদে ক্লাউডে স্টোর করে রাখে। আপনি যখন আপনার ব্যাংকের কার্ড থেকে কোথাও পেমেন্ট করতে চান বা কাউকে টাকা পাঠাতে চান, তখন ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে ঐ কার্ড ছাড়াই লেনদেনটি করা সম্ভব। ডিজিটাল ওয়ালেটের সুবিধা হচ্ছে এই যে, আপনাকে একাধিক কার্ড সাথে নিয়ে ঘুড়তে হচ্ছে না। একটি ডিজিটাল ওয়ালেটে বেশ কিছু ব্যাংকের কার্ড একসাথে আপনি স্টোর করে রাখতে পারেন।

money-investing-vs-saving-bangla

অর্থ বিনিয়োগ না সঞ্চয়: আপনার কোনটি করা উচিত?

নিজের মাসিক আয় থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরিয়ে রেখে ধীরে ধীরে তা জমানোকে অর্থ সঞ্চয় করা বলা হয়। অর্থ সঞ্চয় করা সুবিধা হচ্ছে এই যে, তা আপনাকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। আবার অসুবিধা হচ্ছে এই যে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থের মান হারানো সম্ভাবনা সর্বদাই থেকে যায়। অপরদিকে, রিটার্ন জেনারেট করার উদ্দেশ্যে কোনো লাভজনক সম্পদ ক্রয় করাকে অর্থের বিনিয়োগ করা বলা হয়। বিনিয়োগের সুবিধা এই যে, এতে করে অর্থ অলস পরে থাকে না। আবার অসুবিধা হচ্ছে যে, এখানে বিনিয়োগকৃত অর্থ হারানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। আপনার কি অর্থ সঞ্চয় করা উচিত নাকি বিনিয়োগ করা উচিত তা নির্ভর করবে আপনার আর্থিক লক্ষ্য ও ঝুকিঁ গ্রহণ করার মানসিকতার উপর।

time-value-of-money

Time Value of Money Explained with Formula and Examples

অর্থের সময়মূল্যের কনসেপ্ট অনুযায়ী, আজকের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ, ভবিষ্যতের যেকোনো সময়ের ঐ একই পরিমাণ অর্থের চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মূলত মুদ্রাস্ফীতি ও চক্রবৃদ্ধি সুদের কনসেপ্টের কারণে আধুনিক যুগে অর্থের সময়মূল্য এতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা যদি অর্থকে কাজে না লাগিয়ে তা ফেলে রাখি, তাহলে মুদ্রাস্ফীতির কারণে তা ধীরে ধীরে ক্রয়ক্ষমতা হারায়। আবার কারো কাছে যদি একই ধরণের একের অধিক বিনিয়োগ সুযোগ থাকে, সেগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভালো সুযোগটি খুজে বের করার কাজে অর্থের সময়মূল্যের কনসেপ্ট ব্যবহার করা হয়।

fiat-money-bangla

ফিয়াট মানি কী? এবং ফিয়াট মানি কীভাবে কাজ করে?

আধুনিক সময়ে বিশ্বের অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফিয়াট কারেন্সি। এই কারেন্সি কোনো ফিজিকাল কমোডিটি দ্বারা সমর্থিত নয় এবং এর মান নির্ভর করে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার উপর। এতে করে সরকার অনেক কম খরচে ও নমনীয়তার সাথে কারেন্সি ম্যানেজ করতে পারে। আবার কোনো ফিজিকাল কমোডিটি দ্বারা সমর্থিত না হওয়ার কারণে সরকারের বিভিন্ন কাজের কারণে এই মুদ্রার গ্রহণযোগ্যতা শেষ হয়ে যেতে পারে। এভাবেই বিভিন্ন দেশ উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়ে দেউলিয়া হয়ে যায়।

money-illusion-bangla

Money Illusion: Overview, History and Examples

Money Illusion হচ্ছে একধরণের সাইকোলজিকাল বায়াস, যেখানে মানুষ তার সম্পদ ও আয়কে মুদ্রাস্ফীতির সাথে অ্যাডযাস্ট করে বিবেচনা করতে চায় না। কারণ, মুদ্রাস্ফীতির সাথে অ্যাডযাস্ট করলে দেখা যায় যে সম্পদ ও আয়ের ভ্যালুয়েশন কমে গিয়েছে। অর্থনীতিবিদ আরভিং ফিশার সর্বপ্রথম এই কনসেপ্টটি তুলে ধরেন। অর্থনীতিবিদগণ Money Illusion - এর পেছনে মূলত দুটি ফ্যাক্টরকে দায়ী করে থাকেন, যথা - আর্থিক শিক্ষার অভাব ও প্রাইসের স্টিকিনেস।

the-psychology-of-money-bangla

The Psychology of Money

অর্থকে অনেকেই অনেক জটিল বিষয় মনে করেন। তবে অর্থ নিজে কোনো জটিল বিষয় নয়, বরং আমরা অর্থকে জটিল বিষয় হিসেবে দেখি বলেই জটিল মনে হয়। অর্থের প্রতি কারো মনোভাব কেমন হবে, তা সাধারণত তার বায়াস ও মাইন্ডসেট দ্বারা নির্ধারিত হয়। আবার পরিবার ও সংস্কৃতির মতো বিভিন্ন সামাজিক ফ্যাক্টর এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। তবে নিজেদের জীবনে আরো কার্যকর আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাইলে আমরা নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে পারি, যেমন - আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ, বাজেট তৈরি, বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়া এবং মাইন্ডফুলনেস চর্চা করা।

how-money-works-bangla

অর্থ কীভাবে কাজ করে? (How Money Works)

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের যেকোনো লেনদেনে অর্থ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, অর্থের মাধ্যমে আমরা পণ্য ও সেবা ক্রয় করি এবং ঋণ পরিশোধ করি। অর্থের মূল কাজগুলো হচ্ছে হিসাবের একক হিসেবে কাজ করা, মূল্য ধারণ করা এবং লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। অর্থ হতে চাইলে যেকোনো উপাদানকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন - স্বীকৃতি, পরিবহনযোগ্যতা, স্থিতিশীলতা, টেকসই ও সাদৃশ্য। বর্তমান সময়ে আমরা মূলত ৩ ধরণের অর্থ দেখতে পাই, যথা - ফিজিকাল, ডিজিটাল ও ক্রিপ্টোকারেন্সি।

money-vs-currency-bangla

Money vs Currency : What’s The Difference?

অর্থ হচ্ছে একটি লেনদেনের মাধ্যম, হিসাবের একক ও মূল্যের ধারক যার বিভিন্ন রুপ থাকতে পারে, যেমন - সরকারি কয়েন ও নোট, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ডিজিটাল মুদ্রা ইত্যাদিত। আর মুদ্রা হচ্ছে অর্থের একটি সাবসেকশন যেখানে মূলত সরকারি নোট ও কয়েনকে ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে মুদ্রার এই দুটো রুপই সর্বজনস্বীকৃতি। অর্থ ও মুদ্রার মাঝে মূল পার্থক্যগুলো হচ্ছে এদের প্রকৃতিতে, রুপে, কার্যক্রমে, স্বীকৃতিতে, গ্রহণযোগ্যতায় ও স্থিতিশীলতায়।

currency-bangla

মুদ্রা কী? এবং অর্থ ও মুদ্রার মাঝে সম্পর্ক

আমরা কোনো ব্যাক্তি বা ব্যবসায় থেকে কোনো ধরণের ভ্যালু পাওয়ার বিপরীতে মুদ্রা দ্বারা অর্থ পরিশোধ করি। যেই দেশের গন্ডির মাঝে লেনদেনটি সম্পাদন করা হচ্ছে, সাধারণত সেই দেশের মুদ্রাতেই লেনদেন করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদাতেও লেনদেন হতে পারে। বর্তমান সময়ে মুদ্রার সবচেয়ে কমন রুপগুলো হচ্ছে ব্যাংক নোট ও কয়েন। অর্থ ও মুদ্রার মাঝে পার্থক্য হচ্ছে এই যে, অর্থ বলতে যেকোনো ধরণের নোট, কয়েন, ডিমান্ড ডিপোজিট ও তরল সম্পদকে বোঝানো হয়, যা দ্বারা লেনদেন করা যায়। আর মুদ্রা বলতে শুধু ব্যাংক নোট ও কয়েনকে বোঝানো হয়।

money-supply-bangla

মানি সাপ্লাই সংজ্ঞা: ধরণ এবং অর্থনীতিতে মানি সাপ্লাইয়ের প্রভাব

একটি অর্থনীতিতে কখন কি পরিমাণ নগদ অর্থ বা তার সমতুল্য সম্পদ সার্কুলেশনে আছে, তা কাউন্ট করা হয় মানি সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে। কি পরিমাণ মানি সাপ্লাই থাকবে তা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর অর্থনীতির প্রয়োজন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস’ও করতে পারে। মানি সাপ্লাই অনেক বেড়ে গেলে জনগণ অনেক বেশি খরচ করা শুরু করে এবং এতে করে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। আবার মানি সাপ্লাইয়ের পরিমাণ অনেক কমে গেলে তার ফলে মুদ্রাসংকোচন দেখা দেয়।

monetary-policy-bangla

Monetary policy (Definition, Types, Examples, & Facts)

মনিটারি পলিসি হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা তৈরি এক সেট নিয়মকানুন যার মাঝে ঐ অর্থবছরে দেশে মুদ্রার সরবরাহ, সুদের হার, ব্যাংকের রিজার্ভের হার কেমন হবে তা নির্ধারণ করা হবে। সাধারণত ৩টি টুলের মাধ্যমে যথা - ব্যাংক রেট, খোলাবাজার নীতি ও ব্যাংকের রিজার্ভের হার নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই ধরণের মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করতে পারে, যথা - সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতি মূল উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখা, বেকারত্বের হার কমানো ও এক্সচেঞ্জ রেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।

fiscal-policy-bangla

Fiscal policy (Definition, Examples, Importance, & Facts)

কোনো অর্থবছরে সরকার কোন খাত থেকে কি পরিমাণ অর্থ কর হিসেবে সংগ্রহ করবে এবং কোন খাতে কি পরিমাণ অর্থ খরচ করবে, তার পরিকল্পনাকেই মূলত ফিসকাল পলিসি বা রাজস্বনীতি বলা হয়। ফিসকাল পলিসির উৎপত্তি হয়েছিল জন ম্যায়নার্ড কিনেসের হাত ধরে। বর্তমানে দুই ধরণের ফিসকাল পলিসি দেখতে পাওয়া যায়, যথা সম্প্রসারণমূলক ফিসকাল পলিসি এবং সংকোচনমূলক ফিসকাল পলিসি। ফিসকাল পলিসির কমপোনেন্টগুলো হচ্ছে - সরকারি খরচ, করারোপণ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা।

money-control-bangla

আমাদের অর্থ নিয়ন্ত্রণ করে কে? (Who Controls All of Our Money?)

সহজ কথা বললে, দেশের নোট ইস্যু ও মনিটারি পলিসি তৈরি করার দায়িত্ব যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর অর্পিত থাকে, তাই বলা যায় যে আমাদের অর্থকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব’ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতেই থাকে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু নোট ইস্যু ও মনিটারি পলিসি তৈরি করার মাধ্যমেই এই কাজটি করে না। এর পাশাপাশি তারা আরো কিছু ইকোনমিক ফ্যাক্টর ব্যবহার করে, যেমন - সরকার ও রাজস্ব-নীতি, কমার্শিয়াল ব্যাংক ইত্যাদি। আবার বিশ্বায়নের ফলে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠন’ও দেশের অর্থকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

history-of-money-bangla

অর্থের ইতিহাস (বিনিময় প্রথা - মুদ্রা - ব্যাঙ্কনোট - বিটকয়েন)

মানবসভ্যতার শুরু থেকে মানুষ নিজেদের মাঝে বিনিময় প্রথায় লেনদেন করতেন। তবে আজ থেকে প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বে মানুষ বিনিময় প্রথা বাদ দিয়ে ধাতব কয়েনের ব্যবহার করতে শুরু করেন। ধাতব কয়েন হিসেবে তামা, রুপা ও স্বর্ণের কয়েন ব্যবহার করা হতো। ১২৬০ সালের দিকে চীনে সর্বপ্রথম কাগজি মুদ্রার আবিষ্কার হয় এবং ধীরে ধীরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে। ১৯৩০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দ্বারা এবং ১৯৫০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ব্যাংক দ্বারা ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়।

velocity-of-money-bangla

Velocity of Money: Definition, Formula, and Examples

অর্থনীতিতে অর্থ কি পরিমাণ হাতবদল হচ্ছে তা বোঝার জন্য ভেলোসিটি অফ মানি ব্যবহার করা হয়। ভেলোসিটি অফ মানি নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় জিডিপি ও মানি সাপ্লাই। তবে অনেকে জিডিপির পরিবর্তে জিএনপি ব্যবহার করে থাকেন। সম্প্রসারণশীল অর্থনীতিতে ভেলোসিটি অফ মানি বেশি দেখা যায়। অপরদিকে, সংকোচনশীল অর্থনীতিতে ভেলোসিটি অফ মানি কম থাকে।

what-is-money-bangla

অর্থ কী? অর্থের ইতিহাস, প্রকারভেদ সহ বিস্তারিত

দুই বা তার বেশি ব্যাক্তির মাঝে বিনিময় বা লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত উপাদানকেই অর্থ বলা হয়। আবার পণ্য বা সেবার বিপরীতে আমরা বিক্রেতাকে যা প্রদান করি, তা’ই অর্থ হিসেবে স্বীকৃত। বর্তমান সময়ে মূলত কাগজি অর্থের প্রচলন থাকলেও অর্থব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল মূলত শামুকের খোল ও ধাতব কয়েনের হাত ধরে। সেই থেকে এখন বিশ্বে বিভিন্ন ধরণের অর্থের দেখা পাওয়া যায়, যেমন - পণ্য অর্থ, সরকারি অর্থ, ব্যাংক নোট, ডিমান্ড ডিপোজিট ইত্যাদি।